চীনের মহাপ্রাচীরের যত কথা
চীনের মহাপ্রাচীর - ছবি সংগৃহীত
মানুষের তৈরি বিস্ময়কর স্থাপনার কথা বলা হলে হাজারো স্থাপনা পাওয়া যাবে যা মানুষ নিজের দক্ষতা দিয়ে অসাধারণ করে নির্মাণ করেছে। আজ তা বিস্ময়কর ঐতিহাসিক স্থাপনাগুলোর অংশ। কিছু স্থাপনা তো এতটাই বিস্ময়কর যা নির্মাণে লক্ষ লক্ষ মানুষ কয়েক দশক ধরে কাজ করেছে। এসব বিস্ময়কর স্থাপনাগুলোর মধ্যে এমন একটি স্থাপনা আছে যাকে বিশ্বের সবচেয়ে বড় স্থাপনা বলা হয়ে থাকে। আর এই স্থাপনা তৈরিতে দশক কিংবা যুগ নয় বরং কয়েক শতাব্দী সময় লেগেছে। এই বিস্ময়কর স্থাপনাকে চীনের মহাপ্রাচীর তথা 'Great Wall Of China' বলা হয়।
চীনের ৯টি প্রদেশব্যাপী বিস্তৃত এই মহাপ্রাচীর চীনের ৬টি রাজবংশ প্রায় আট লাখ শ্রমিকের সাহায্যে প্রায় দুই হাজার বছরে নির্মাণ করেছে। চীনের মহাপ্রাচীর নির্মাণের শুরু হয় খ্রিস্টপূর্ব সময়ে। তখন চীন অনেক রাজ্যে বিভক্ত ছিলো। আর এই রাজ্যগুলো তাদের সুরক্ষার জন্য অনেক বড় বড় প্রাচীর নির্মাণ করে রেখেছিলে। কিন্তু ২২১ খ্রিস্টপূর্ব থেকে ২০৬ খ্রিস্টপূর্ব পর্যন্ত চিন বা কিন রাজবংশ (Qin Dynasty) চীনে শাসন করার সুযোগ পেয়েছিলো। তখন তারা এসব ছোট বড় রাজ্যগুলোকে একত্রিত করে সংযুক্ত চীনা সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করে। চীন সাম্রাজ্যের সম্রাট চিন শি হুয়াং (Qin Shi Huang) তার সাম্রাজ্যের রাজ্যগুলোর সীমান্তুগুলোকে মিলিয়ে নেয়ার জন্য একটি বিশাল প্রাচীর নির্মাণের কাজ শুরু করেন। প্রাথমিকভাবে চিন ইয়াও ও ইয়াং সাম্রাজ্যকে মিলিয়ে একটি বৃহৎ নির্মাণ করা হয়েছিলো। যা প্রায় ৫ হাজার কিলোমিটার দীর্ঘ ছিলো। এরপর বিভিন্ন সম্রাট এর শাসনামলে এই প্রাচীরের সংস্কার করা হয় এবং দৈর্ঘ্যও বৃদ্ধি করা হয়। তবে এই প্রাচীরের অধিকাংশ অংশ নির্মাণ করা হয় ১৪ থেকে ১৭ শতাব্দীতে মিং সাম্রাজ্যের (Ming Empire) শাসনামলে।
একটি হিসেব মোতাবেক মিং সাম্রাজ্য ৮৮৫০ কিলোমিটার প্রাচীর নির্মাণ করিয়েছিল। সব মিলিয়ে চীনের মহাপ্রাচীরের নির্মাণকাল প্রায় দুই হাজার বছর। প্রথমে এই প্রাচীরের দৈর্ঘ্য পাঁচ হাজার কিলোমিটার কখনো বা ছয় হাজার কিলোমিটার বলে অনুমান করা হতো। যেহেতু চীনের মহাপ্রাচীর শুধুমাত্র একটি প্রাচীর নয় বরং অনেকগুলো প্রাচীরের সমষ্টি। তাই চীনের মহাপ্রাচীরের দৈর্ঘ্য কতটা তা সঠিক করে বলা মুশকিল। তবে ২০১২ সালের এক জরিপ অনুযায়ী মহাপ্রাচীরের সকল অংশের মোট দৈর্ঘ্য ১৩১৭১ মাইল তা ২১১৯৬ কিলোমিটার।
চীনের উত্তরে রয়েছে মঙ্গোল জাতির দেশ মঙ্গোলিয়া। মঙ্গোল যাযাবররা চীন ও এর আশেপাশের এলাকায় প্রায় সময় হামলা চালাতো। ১২৩৪ সালে চেঙ্গিস খান ছিং রাজবংশকে চীনের ক্ষমতা থেকে সরিয়ে চীনকে মঙ্গোল সাম্রাজ্যের অধীন করেন। চেঙ্গিস খানের মঙ্গোল সেনাবাহিনী চীনের মহাপ্রাচীরকে পার করে চীনের উত্তর দিক দিয়ে চীনে প্রবেশ করে। ১৪০০ বছরের মধ্যে প্রথমবার কোনো যাযাবর গোষ্ঠী চীনের মহাপ্রাচীর টপকে বৃহৎ জনগোষ্ঠীর ওপর শাসন প্রতিষ্ঠা করেছিলো। ১৩৬৮ সালে মিং সাম্রাজ্য চীন থেকে মঙ্গোলদের বিতাড়িত করে এবং চীনের উত্তর দিকের প্রাচীর ও নিরাপত্তা মজবুত করে। ১৪২০ সালে মিং রাজবংশের শাসনামলে চীনা মহাপ্রাচীরের নির্মাণ কাজ আবারও শুরু হয়। ওই সময় চীনা মহাপ্রাচীরে সেনা দুর্গ, রাস্তা এবং কিছু দূরুত্ব পর পর ওয়াচটাওয়ার নির্মাণ করা হয়। যাতে দূর থেকে আগত শত্রুর ওপর নজর রাখা যায়। ঐতিহাসিকদের মতে চীনের মহাপ্রাচীরে মোট ২৫ হাজার ওয়াচটাওয়ার নির্মাণ করা হয়ে ছিলো। যেগুলোর মধ্যবর্তী দূরুত্ব বিভিন্ন রকম। কিছু কিছু জায়গায় একেবারে কম। আবার কিছু কিছু জায়গায় তিন মাইলের চেয়েও বেশি দূরে ওয়াচ টাওয়ার অবস্থিত।
এসব ওয়াচ টাওয়ার তিন তলা উচুঁ ছিলো। এসব ওয়াচ টাওয়ার দ্বারা শত্রুর ওপর নজর রাখার জন্য ওয়াচ টাওয়ারের ওপরে বিশ্রামগারও নির্মাণ করা হয়েছিলো। কোনো ওয়াচ টাওয়ারে হামলা হলে আগুন জ্বালিয়ে অন্যান্য ওয়াচ টাওয়ারে খবর পাঠানো হতো। একটি গবেষণা মোতাবেক একটি ওয়াচ টাওয়ার থেকে এক দিনে ৬২০ মাইল দূর পর্যন্ত খবর পাঠানো যেতো।
একটি হিসেব অনুযায়ী চীনের মহাপ্রাচীর নির্মাণে প্রায় আট লাখ লোক কাজ করেছিলো। যাদের মধ্যে তিন লাখ ছিল সৈন্য এবং বাকি পাঁচ লাখ ছিলো সাধারণ চীনা নাগরিক। চীনের মহাপ্রাচীর নির্মাণে বালি, ইট, চুন, কাঠ, পাথর ব্যবহার করা হয়েছিলো। আর কিছু কিছু জায়গায় ইট জোড়া লাগানোর জন্য আটালো ভাত ব্যবহার করা হয়েছে।
একটি হিসাব মোতাবেক চীনের মহাপ্রাচীর নির্মাণে ৩৮৭ কোটি ইট ব্যবহার করা হয়। এখানে বর্ণনা করার মতো আরেকটি বিষয় হলো এক চাকার দু'হাতে টানা গাড়িও চীনা মহাপ্রাচীর নির্মাণের সময়কার আবিষ্কার এবং তা সর্বপ্রথম চীনের মহাপ্রাচীর নির্মাণে ব্যবহার করা হয়। কিছু মানুষের পরিমাপ অনুযায়ী চীনের মহাপ্রাচীরের ওজন ৫ কোটি ৮০ লাখ টন পর্যন্ত হতে পারে। চীনের মহাপ্রাচীর কিছু কিছু জায়গায় ২৫ ফুট এবং কিছু কিছু জায়গায় ৫০ ফুট উচুঁ। আর প্রস্থ কিছু জায়গায় ১৫ ফুট আর কিছু জায়গায় ৩০ ফুট। গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় শত্রুর হামলা থেকে নিরাপত্তার জন্য আরও প্রাচীর নির্মাণ করা হয়েছে। চিন সাম্রাজ্যের পর হান, মিং, সাং সাম্রাজ্যও প্রাচীর নির্মাণ ও মেরামত করে। আজকের হিসেবে চীনের মহাপ্রাচীরের নির্মাণ ব্যয় ৬৩৫ বিলিয়ন চীনা ইউআন বা ৯৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
চিন শি হুয়াং জালিম শাসক ছিলেন। চিন শি হুয়াং চীনের মহাপ্রাচীর নির্মাণ ছাড়াও তামার নতুন মুদ্রা, রেশম চাষ ও ব্যবহার বড় বড় খাল ও পুকুর খননে, বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণ এবং লোহার অস্ত্র নির্মাণের কারণে বিখ্যাত। এছাড়া ২১৩ খ্রিস্টপূর্বে একটি ফরমান জারি করেন। এই ফরমান অনুযায়ী কৃষি এবং চিকিৎসা ব্যতীত অন্য সকল বিষয়ের বই জ্বালিয়ে দেওয়া হয় এবং এই সকল বইয়ের লেখক ও এই সকল বিষয়ের পন্ডিতদেরও ওই আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়। চিন শি হয়াংয়ের সময়ে লক্ষাধিক মানুষের শ্রম শক্তি প্রয়োগ করে নেওয়া হয় চীনের মহাপ্রাচীর নির্মাণের জন্য। ঐতিহাসিকদের মতে, চিন শি হয়াং তাঁর সাম্রাজ্যের প্রতি ৩ জনের ১ জনকে চীনের মহাপ্রাচীর নির্মাণের জন্য নিয়োজিত করেন। একটি হিসাব মোতাবেক চীনের মহাপ্রাচীর নির্মাণ চলাকালীন সময়ে ৪ লক্ষ মানুষ মৃত্যুবরণ করে প্রাচীর নির্মাণ করতে গিয়ে। এজন্য চীনের মহাপ্রাচীরকে পৃথিবীর সবচেয়ে দীর্ঘ কবরস্থান তথা The Longest Graveyard বলা হয়।
এছাড়া চীনের মহাপ্রাচীরের ব্যাপারে বেশ কয়েকটি লোককথাও প্রচলিত আছে। যার মধ্যে সবচেয়ে বিখ্যাত লোককথা হলো যে, চীনের মহাপ্রাচীর চাঁদ থেকেও দেখা যায়। এই তথ্য ১৯২৫ সালে আমেরিকার National Geographic ম্যাগাজিনের একটি আর্টিকেলে দেওয়া হয়। সেখানে বলা হয় চীনের মহাপ্রাচীরই মানুষের তৈরি একমাত্র স্থাপনা যা চাঁদ থেকেও দেখা যায়। যদিও নাসার বিজ্ঞানীরা বলছেন যে, এই প্রাচীরের অবস্থান নির্ণয় করা গেলেও চীনের মহাপ্রাচীর খালি চোখে দেখা সম্ভব নয়। তবে চীনের মহাপ্রাচীর পৃথিবী পৃষ্ঠ থেকে ১৮০ মাইল উচ্চতা থেকেও খালি চোখে দেখা যাওয়া একমাত্র স্থাপনা।
আরেকটি বিখ্যাত লোককথা হলো চীনের মহাপ্রাচীরের ভিত্তি মানুষের হাঁড় দিয়ে তৈরি করা হয়েছে। যদিও এখনো এটার সত্যতা প্রমাণিত হয়নি। তবে কিছু কিছু জায়গায় অবশ্যই মানুষের হাঁড় পাওয়া গেলেও গবেষকদের মত হলো, এসব হাড় ওইসব শ্রমিকদের। যারা চীনের মহাপ্রাচীর নির্মাণ করতে গিয়ে মারা গেছে।
এছাড়া আরো অনেক লোককথা বিখ্যাত। এসব লোককথার মধ্যে মিং নামক এক মেয়ের লোককথাও খুব বিখ্যাত। মিং চীনের মহাপ্রাচীর নির্মাণের সময় তার স্বামীকে খুঁজতে বেরিয়েছিলো। প্রতিকূল আবহাওয়া ও শারীরিক ক্লান্তি মোকাবেলা করে যখন মিং চীনের মহাপ্রাচীরের নিকট গিয়ে শুনলো যে, তার স্বামী মারা গেছে। এ খবর শুনে মিং এত কাঁদলো যে, তার কান্নার ফলে চীনের মহাপ্রাচীরের একটি অংশ ধসে গেল। এই কাহিনী অনেক চীনা বইয়ে পাওয়া যায়। আর এর উপর অনেক লোক সঙ্গীতও লেখা হয়েছে। তবে এই ঘটনাটি সত্য নয়।
চীনের মহাপ্রাচীর চীনের পূর্ব দিকের হোবে প্রদেশ থেকে শুরু হয়ে পশ্চিম দিকের গানসু প্রদেশের জিয়াইগুয়াং পর্যন্ত বিস্তৃত হয়। চীনের মহাপ্রাচীর পাহাড়, ফসলি জমি, উপত্যকা ওপর নির্মিত। জিয়াইগুয়াং এ একটি মহাপ্রাচীরের বিশাল দরজা ও উদ্যান রয়েছে। এই দরজা ও উদ্যান মিং সাম্রাজ্য তৈরি করিয়েছে। জিয়াইগুয়াং এর উদ্যান স্থাপনা নির্মাণ সংক্রান্ত একজন অভিজ্ঞ চীনা ইঞ্জিনিয়ারের গল্পও বেশ বিখ্যাত। সেই ইঞ্জিনিয়ার হিসেব করে বলেছিলো - 'এটা নির্মাণ করতে ৯৯ হাজার ৯৯৯টি ইট লাগবে।' চীনা সম্রাট তা বিশ্বাস করলো না। চীনা সম্রাট বললেন যদি হিসেবের একটি ইটও ভুল হয়, তাহলে সকল শ্রমিকদের ৩ বছর কারাগারে থাকতে হবে। তো নির্মাণ শেষ হওয়ার পর একটি ইট বাকি রয়ে গেল। সম্রাটের জিজ্ঞেস করার পর ওই ইঞ্জিনিয়ার এক অবাক করা উত্তর দিলো। তিনি বললেন, এই ইটটি কোনো এক দেবতা এখানে রেখে গেছে। যদি ইট এখান থেকে সরানো হয় তাহলে এই দেয়ালগুলো ভেঙ্গে পড়বে। এরপর কেউ আর এই ইটে হাত লাগালো না। আর আজও এই ইট ওখানেই আছে।
১৯৮৭ সালে ইউনেস্কো চীনের মহাপ্রাচীরকে বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকাভুক্ত করে এবং ২০০৭ সালে চীনের মহাপ্রাচীরকে পৃথিবীর সপ্তাশ্চর্যের একটি ঘোষণা করা হয়। ১৯৬৬ সাল থেকে ১৯৭৬ সাল পর্যন্ত সময়ে চীনের মহাপ্রাচীরকে বেশ ক্ষতিগ্রস্থ করা হয়। আর মহাপ্রাচীরের কাছে বসবাসকারী লোকজন মহাপ্রাচীর থেকে ইট ও পাথর উঠিয়ে নিজেদের বাড়ি তৈরি করে ফেলে। তারপর চীনা সরকার মহাপ্রাচীরকে দ্রুত মেরামত করে আবারো সরকারি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেয়। ১৯৩৭ সালে এখানে চীন ও জাপানের একটি যুদ্ধ হয়। যাকে Second Sino Japanese War বলা হয়। এই যুদ্ধেও মহাপ্রাচীর বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। যদিও চীনের মহাপ্রাচীর তৈরি করা হয়েছিলো মঙ্গোলদের হামলা থেকে বাঁচার জন্য। কিন্তু বিশ শতকের শেষ দশকগুলোতে চীনের মহাপ্রাচীর বিশ্ব ঐতিহ্যের মর্যাদা লাভ করেছে। বিশ্বের সকল দেশের পর্যটকদের জন্য ১৯৭০ সালে উন্মুক্ত করা হয়। চীনের রাজধানী বেইজিং এর অঞ্চলে মহাপ্রাচীর প্রায় ৬০০ কিলোমিটার বিস্তৃত। তাই মহাপ্রাচীরের সবচেয়ে বেশি পর্যটক আকর্ষণীয় জায়গা বেইজিং-ই। প্রতি বছর ১ কোটি মানুষ চীনের মহাপ্রাচীর দেখতে আসেন। এছাড়া বিভিন্ন দেশের প্রধানরাও চীনের মহাপ্রাচীর ভ্রমণ করেছেন।
চীনের মহাপ্রাচীর থেকে প্রতি বছর চীন ১৫.৫ বিলিয়ন ডলার আয় করে থাকে। প্রতি বছর চীনের মহাপ্রাচীরে একটি ম্যারাথন অনুষ্ঠিত হয়। যাতে ২৫০০ মানুষ অংশ নেয়। হাজার মাইল দীর্ঘ এই মহাপ্রাচীরকে অনেক মানুষ পায়ে হেঁটে পাড়ি দিয়েছে। এই রেকর্ড সর্বপ্রথম গড়েন মার্কিন অভিযাত্রী উইলিয়াম জেল ১৯০৮ সালে। তিনি প্রায় ৫ মাসে মহাপ্রাচীর পাড়ি দেন। এরপর ১৯৮৫ ও ১৯৮৬ সালে কয়েকজন চীনা অভিযাত্রী এটা পাড়ি দেয়। ১৯৮৭ সালে এক ব্রিটিশ অভিযাত্রীও এটা পায়ে হেঁটে পাড়ি দেয়। এরপর আরও অনেক মানুষ মহাপ্রাচীর পায়ে হেঁটে শেষ করে। এই ছিলো চীনের মহাপ্রাচীরের নির্মাণ ও এর সম্পর্কিত নানা লোককথা ও নানা তথ্য।
লেখক : সাবেক শিক্ষার্থী, আঙ্কারা বিশ্ববিদ্যালয়, তুরস্ক
তথ্যসূত্র : Great Wall Of China - BS
Great Wall Of China - Wikipedia
Qin Dynasty - Wikipedia [English]
Qin Shi Huang - Wikipedia [English]
Ming Empire - Wikipedia [English]
history.com
historyextra.com
China.org.cn
Map Of China And Mongolia
chinahighlights.com
The Story Of The Great Wall Of China By Ian Kerk
travelchinaguide.com
factsanddetails.com
Jay Apt, National Geographic
ranker.com
Meng Jiangnu Brings Down The Great
Wall By Hayan Lee
travellandleisure.com
satista.com