এশিয়ার পরিষ্কারতম নদী রয়েছে এখানেই!
এশিয়ার পরিষ্কারতম নদী রয়েছে এখানেই! - ছবি সংগৃহীত
প্রকৃতপক্ষেই যেন কাচের উপর নৌকা ভেসে যাচ্ছে। উপর থেকে তলদেশ পর্যন্ত এতটাই ঝকঝকে পরিষ্কার এই নদীর পানি!
শুধু ভারত কেন সারা এশিয়াতেও দেখা মিলবে না এত স্বচ্ছ পানির কোনো নদীর। নাম উমনগোট নদী।
এশিয়ার মধ্যে পরিষ্কারতম নদী এটি। কাচের মতো পরিষ্কার এই নদীর পানি। উপর থেকে নদীর তলদেশ তাই পরিষ্কারভাবে দেখা যায়।
এই নদীর অপর নাম দৌকি। মেঘালয়ের ছোট পাহাড়ি গ্রাম মাওলিননং। এই গ্রামের মধ্য দিয়েই বয়ে গিয়েছে নদীটি।
মেঘালয়ের ওই পাহাড়ি গ্রামটিও হলো এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে পরিষ্কার গ্রাম। যা ভারত ও বাংলাদেশের সীমান্তের কাছে রয়েছে।
উমনগোট নদী জয়ন্তীয়া এবং খাসি পাহাড়ের মাঝ দিয়ে বয়ে গিয়েছে। তারপর সেটি বাংলাদেশের মধ্যে প্রবেশ করেছে।
এই নদীর পানি এতটাই পরিষ্কার যে উপরে কোনো নৌকায় ভেসে যাওয়ার সময় তলদেশের নুড়ি-পাথরও পরিষ্কার দেখতে পাওয়া যায়।
মেঘালয়ের এই গ্রাম এখন পর্যটকদের অন্যতম গন্তব্য। সারা বছর প্রকৃতির সাক্ষী হতে হাজার হাজার পর্যটক এখানে এসে ভিড় জমান।
কেন এই নদীর পানি এতটা স্বচ্ছ? দূষণমুক্ত হওয়ার কারণেই পানি এতটা স্বচ্ছ নদীর। একই ভাবে মাওলিননং নামে যে গ্রামের মধ্যে দিয়ে নদীর বয়ে গিয়েছে। সেই গ্রামেও কোনো দূষণ নেই বলা যেতে পারে।
জায়গাটিকে দূষণমুক্ত রাখার আপ্রাণ চেষ্টা করে চলেন গ্রামবাসীরা। এই গ্রামে যেমন প্লাস্টিকের ব্যবহার একেবারেই নিষিদ্ধ।
পাহাড়ি নদী হওয়ায় এর গভীরতা খুব বেশি নয়। গভীরতা মাত্র ১৫ ফুট। নদীর উপর দিয়ে একটি ঝুলন্ত সেতুও রয়েছে যা নদীর দু’দিকের দুই পাহাড়ের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করেছে।
এই ঝুলন্ত সেতুও পর্যটকদের কাছে খুবই আকর্ষণীয়। সেতুর মাঝ বরাবর পৌঁছলে এশিয়ার পরিষ্কারতম এই নদীর পানির স্বচ্ছতা আরো ভালোভাবে উপভোগ করা সম্ভব।
সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা
আরেকটি বারমুডা ট্রায়াঙ্গেল
বর্তমান বিশ্বে মানুষ সম্পূর্ণ প্রযুক্তিনির্ভর। সকালে দিন শুরুর পর রাতে ঘুমানের আগ পর্যন্ত বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার করেন সবাই। কিন্তু বিশ্বে এমন একটি জায়গা রয়েছে যেখানে কোনো ইলেকট্রিক ডিভাইস কাজ করে না। শুনতে অবাক লাগলেও মেক্সিকোর চিহুয়াহুয়ান মরুভূমিতে এমন একটি রহস্যময় স্থান রয়েছে। এটিকে মাপিমির সংরক্ষিত অঞ্চল হিসেবেও ধরা হয়। স্থানটি ‘জোন অব সাইলেন্স’ নামে পরিচিত।
রহস্যময় এই জায়গা অনেকটা বারমুডা ট্রায়াঙ্গেলের মতো। নির্দিষ্ট স্থানে যাওয়ার পর আর কোনো ইলেকট্রনিক ডিভাইস স্বাভাবিকভাবে কাজ করে না। রেডিও সিগন্যাল পাওয়া যায় না। এ ছাড়া কম্পাসের কাঁটাও অস্বাভাবিকভাবে দিক পরিবর্তন করে। স্থানীয়দের মাঝে এ নিয়ে বিভিন্ন কল্পকাহিনী প্রচলিত আছে। কিন্তু আজ পর্যন্ত কেউ এর প্রকৃত রহস্য উন্মোচন করতে পারেননি। ১৯৩৮ সালে এই স্থানে একটি উল্কাপাত হয়। সে সময় স্থানটি সবার নজরে আসে। এরপর ১৯৫৪ সালে সেখানে দ্বিতীয়বার উল্কাপাত হয়। তখন থেকেই স্থানটি ঘিরে অস্বাভাবিক বিষয়গুলো ঘটতে থাকে।
জায়গাটির নাম ‘জোন অব সাইলেন্স’ রাখা হয় ১৯৬৬ সালে। মেক্সিকোর রাষ্ট্রায়ত্ত তেল প্রতিষ্ঠান পেমেক্সের পক্ষ থেকে সেই স্থানে অভিযান চালানো হয়। দলপ্রধান অগাস্টো হ্যারি সেখানে গিয়ে যখন রেডিওর সিগন্যাল পাচ্ছিলেন না, তখন তিনি স্থানটির নাম ‘জোন অব সাইলেন্স’ দেন।
১৯৭০ সালে ‘অ্যাথেনা’ নামে একটি মিসাইল উটাহর গ্রিন রিভার থেকে নিউ মেক্সিকোর হোয়াইট স্যান্ডে নিক্ষেপের জন্য প্রস্তুত করা হয়। কিন্তু মাসিপির জোন অব সাইলেন্সে এসে এটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে। বিজ্ঞানীরা যখন সেখানে যান, দেখতে পান কম্পাস ও জিপিএস অস্বাভাবিকভাবে কাজ করছে, ফলে মিসাইলটি দিকভ্রান্ত হয়েছে।
জানা যায়, বারমুডা ট্রায়াঙ্গল আর জোন অব সাইলেন্স একই অক্ষাংশে অবস্থিত। প্রতিনিয়ত অদ্ভুত সব ঘটনার কারণে বিশ্বের অন্যতম রহস্যময় স্থানের তালিকায় রয়েছে এটি। তবে রহস্য উন্মোচনে গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন গবেষকরা। সব দেখেশুনে তারা জায়গাটিকে নতুন আরেকটি বারমুডা ট্রায়াঙ্গেল বলছেন!
ইন্টারনেট।