বিশ্ববাজারে মেহেরপুরের কপি

অন্য এক দিগন্ত ডেস্ক | Mar 01, 2021 01:40 pm
বিশ্ববাজারে মেহেরপুরের কপি

বিশ্ববাজারে মেহেরপুরের কপি - ছবি : বাসস

 

মালয়েশিয়া ও সিঙ্গাপুরের পর এবার তাইওয়ানের বাজারে মেহেরপুরে উৎপাদিত নিরাপদ সবজি পাতাকপি যাচ্ছে। ইতোমধ্যে ৬ শ' টন কপি রফতানি হয়েছে। বিশ্ববাজারে কপি রফতানিতে চাষিরা উৎসাহ পাচ্ছে কীটনাশকমুক্ত কপি চাষে। সঠিক দাম পেলে আগামীতে মেহেরপুরের মাঠময় কপিচাষ হবে বলে কৃষিবিভাগসহ সব শ্রেণীর মানুষ আশা করছেন।

কৃষিনির্ভর মেহেরপুর জেলায় সারা বছরই বিভিন্ন ধরনের সবজি চাষ হয়। দেশের সবজি উৎপাদনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে মেহেরপুরের কৃষকদের। এবার নিরাপদ সবজি হিসেবে অগ্রাধিকার পেয়েছে গাংনী উপজেলার চাষিদের উৎপাদিত পাতাকপি। গাংনীর পাতাকপি এখন মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর ও তাইওয়ানে যাচ্ছে। এ রফতানিতে সবজি চাষের এক নতুন অধ্যায় শুরু হয়েছে বলে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন কৃষিবিভাগ। আর্থিক লাভের কথা চিন্তা করে নিরাপদ সবজি উৎপাদনে আগ্রহী হচ্ছেন এ অঞ্চলের কৃষকরা।

জেলা কৃষি স¤প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, দেশে ও বিদেশে নিরাপদ সবজির ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। নিরাপদ সবজি উৎপাদনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে মেহেরপুর। এভাবে বিদেশে বেশি বেশি রপ্তানী করতে পারলে চাষিরা যেমন উপকৃত হবে তেমন আর্জিত হবে বৈদেশিক মুদ্রা। এ লক্ষ্যে কীটনাশক সহনশীল ও নিরাপদ সবজি হিসেবে পাতাকপি চাষ করছেন মেহেরপুরের চাষিরা। ইতোমধ্যে ৬শ মেট্রিকটন পাতা কপি সংগ্রহ করছেন রপ্তানীকারক প্রতিষ্ঠান। ক্ষেত থেকে সাদা কাগজে মুড়িয়ে বস্তা ভর্তি করে রপ্তানী উপযোগী করা হচ্ছে। রপ্তানীকারকদের মাধ্যমে বাঁধাকপি বিক্রি করে অনেক বেশি লাভবান হচ্ছেন কৃষকরা। এক বিঘা জমিতে প্রায় ৩৫ থেকে ৪০ হাজার টাকা পর্যন্ত লাভবান হচ্ছেন বলে জানিয়েছেন চুক্তিবদ্ধ বেশ কয়েকজন কৃষক। রপ্তানীকারকরা কৃষকের জমি থেকেই নিরাপদ বাঁধাকপি সংগ্রহ করেছেন।

এগ্রো ফ্রেশ নামের একটি রফতানিকারক প্রতিষ্ঠানটি গাংনী উপজেলা কৃষি অফিসের সহায়তায় শুধুমাত্র গাংনী উপজেলার বিভিন্ন মাঠ থেকে বাঁধাকপি সংগ্রহ করছেন।

সরেজমিনে গাংনী উপজেলার কোদাইলকাটি গ্রামের কৃষক আজগর আলীর পাতাকপির জমিতে গিয়ে দেখা যায় কৃষি বিভাগের পরামর্শে এবং রফতানিকারক প্রতিষ্ঠানের নির্দেশনায় পাতাকপি ক্ষেত থেকে সংগ্রহের আগেই নিরাপদ সবজির প্রক্রিয়া করা হয়। কপি সংগ্রহর পর সাদা কাগজে জড়িয়ে নেট বস্তায় ভর্তি করা হচ্ছে।

কপিচাষি আজগর আলী বলেন, প্রতি বছরেই শীতকালের সবজি চাষে আমাদের লোকসান হয় প্রতিবছর এভাবে সবজি বিদেশে রফতানি করতে পারলে আমরা অতি আনন্দে সবজি চাষ বৃদ্ধি করতে পারবো। একই আশাবাদ ব্যক্ত করেন সবজি গ্রামখ্যাত সাহারবাটির নিরাপদ সবজি চাষি আবুল কাশেমসহ অনেকেই।

এগ্রো ফ্রেশ নামের রফতানিকারক প্রতিষ্ঠানের কোয়ালিটি কন্ট্রোল ম্যানেজার রুবেল আহমেদ বলেন, এ বছর চুক্তিবদ্ধ ৪৫ জন কৃষকের ৭৫ একর জমি থেকে নিরাপদ উপায়ে চাষ করা হয়েছে পাতাকপি। জমিতে চারা রোপণের পর থেকে কপি সংগ্রহ করা পর্যন্ত নিবিড় পরিচর্যার মাধ্যমে রফতানি উপযোগী করা হয়। এ বছর রফতানিতে বেশ চাহিদা আছে। গত বছর মালয়েশিয়া ও সিঙ্গাপুরে রফতানি করা হয়েছিলো। এবছর নতুন দেশ হিসেবে তাইওয়ানেও রফতানি করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে ৬ শ' মেট্রিক টন বাঁধাকপি রফতানি করা হয়েছে। এখনো ৪শ টনের চাহিদা রয়েছে তাই নিবন্ধিত চাষি ছাড়াও অন্যান্য নিরাপদ সবজি চাষির থেকে কপি নেওয়া হচ্ছে। আগামী বছর আরও অনেক বেশি সবজি রফতানি করার আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

গাংনী উপজেলা কৃষি অফিসার কেএম শাহাবুদ্দিন আহমেদ জানান, কৃষিবিভাগ সব সময়ই নিরাপদ সবজি চাষে উদ্বুদ্ধ করে। বিদেশে রফতানির জন্য নিরাপদ সবজি উৎপাদন করতে পারলে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন কৃষি কর্মকর্তা।

সূত্র : বাসস


 

ko cuce /div>

দৈনিক নয়াদিগন্তের মাসিক প্রকাশনা

সম্পাদক: আলমগীর মহিউদ্দিন
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সালাহউদ্দিন বাবর
বার্তা সম্পাদক: মাসুমুর রহমান খলিলী


Email: online@dailynayadiganta.com

যোগাযোগ

১ আর. কে মিশন রোড, (মানিক মিয়া ফাউন্ডেশন), ঢাকা-১২০৩।  ফোন: ৫৭১৬৫২৬১-৯

Follow Us