সাঁজোয়া শক্তিতে সৌদি আরব ৫ম, তুরস্ক ৬ষ্ট
সাঁজোয়া শক্তি - ছবি সংগৃহীত
গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ারের তালিকায় বিশ্বে পঞ্চম বৃহত্তম সাঁজোয়া শক্তির স্থান পেয়েছে সৌদি আরব। গত শুক্রবার আল-খালিজ অনলাইন এ প্রতিবেদন করেছে। তারা অনেক আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক শক্তিকে পেছনে ফেলে এই স্থানে ওঠে এসেছে।
আল-খালিজ অনলাইনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার সৌদি আরবকে বিশ্বের পঞ্চম সাঁজোয়া শক্তির দেশ হিসেব অভিহিত করেছে। তাদের সাঁজোয়া যান রয়েছে সাড়ে ১২ হাজার। এর মাধ্যমে তারা যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, ইরান, তুরস্ক ও ইসরাইলকে পেছনে ফেলে দিয়েছে।
গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার জানিয়েছে যে ৪০ হাজার সাঁজোয়া যান নিয়ে সাঁজোয়া শক্তিতে বিশ্বে প্রথম যুক্তরাষ্ট্র। এর পর রয়েছে চীন ৩৫ হাজার, রাশিয়া ২৭ হাজার, দক্ষিণ কোরিয়া ১৪ হাজার এক শ'।
আর ১১ হাজার ৬৩০টি সাঁজোয়া যান নিয়ে তালিকার ষষ্ঠ শক্তিধর দেশ তুরস্ক, মিসর ১১ হাজার যান নিয়ে অষ্টম, সাড়ে ৮ হাজার নিয়ে ইরান ১৫তম, সাড়ে ৭ হাজার সাঁজোয়া যান নিয়ে ইসরাইলের অবস্থান ১৭তম।
উপসাগরীয় অঞ্চল, বৃহত্তম আরব ও মধ্যপ্রাচ্যের সেনাদলগুলোর মধ্যে সৌদির সেনাবাহিনীকে অন্যতম শক্তিশালী সেনাদল বিবেচনা করা হয়।
সূত্র : মিডল ইস্ট মনিটর
কাশ্মিরিদের বিরুদ্ধে জার্মানি অস্ত্র সরবরাহ করবে না
টেলিগ্রাফ
কাশ্মিরে ব্যাপক মানবাধিকার লঙ্ঘনের কারণ দেখিয়ে জার্মান সরকার ওই দেশের দু’টি অস্ত্র বিক্রি প্রতিষ্ঠানকে ভারতের কাছে ছোট অস্ত্র বিক্রির ছাড়পত্র দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।
জার্মানি ইউরোপে ভারতের এক নম্বর এবং বিশ্বে ছয় নম্বর বৃহৎ বাণিজ্যিক অংশীদার হয়েও আশঙ্কা করছে, এসব ছোট অস্ত্র কাশ্মিরের জনগণের বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হবে। এর আগেও ভারতের গুজরাট, জম্মু-কাশ্মির, অন্ধ্র প্রদেশ ও মহারাষ্ট্রে মানবাধিকার লঙ্ঘনের কারণ দেখিয়ে ভারতকে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ রাখে জার্মানি। সম্প্রতি বেলজিয়ামের একটি অস্ত্র বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান একই কারণ দেখিয়ে ভারতের স্পেশাল ফ্রন্টিয়ার ফোর্সের (এস এফ এফ) জন্য ২০ কোটি রুপির ছোট অস্ত্র ও এসল্ট রাইফেলের সরবরাহ বাতিল করে দিয়েছে।
এ দিকে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর আসন্ন কাশ্মির সফরের প্রতিবাদ জানিয়ে শ্রীনগর ও আশপাশের এলাকা রাস্তায় গলিতে দেয়াল ও লাইট পোস্টে পোস্টার সাঁটিয়ে দিয়েছে কাশ্মিরের লোকজন। আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারির পর যেকোনো দিন নরেন্দ্র মোদির কাশ্মির সফরে যাওয়ার কথা রয়েছে। রোববার কাশ্মির মিডিয়া সার্ভিসেস এক রিপোর্টে জানিয়েছে, কাশ্মিরের পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক এটা দেখানোর জন্য এ সফরের পরিকল্পনা করা হয়েছে। কিন্তু দেয়ালে দেয়ালে সাঁটানো ছাপা পোস্টারে উর্দুতে লেখা হয়েছে ‘কাশ্মির নরেন্দ্র মোদির সফরকে প্রত্যাখ্যান করছে। মোদির হাতে কাশ্মিরি জনগণের রক্ত। কাশ্মিরে বিজেপির হিন্দুত্ববাদ রোপণ করতে চাইছেন মোদি। জনসংখ্যার অনুপাত বদলে দিয়ে কাশ্মিরের মুসলিম ঐতিহ্য এবং সংস্কৃতির বিলোপ ঘটাতে চান নরেন্দ্র মোদি।’
এ দিকে জম্মু কাশ্মিরে বিভিন্ন এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করে, রাস্তায় ব্যারিকেড ও নিরাপত্তা চৌকি বসিয়ে নিরাপত্তা কঠোর করা হয়েছে। একই সাথে শ্রীনগরের রাস্তায় টহল দিচ্ছে মিলিটারি কনভয়। শুক্রবার বাদগাম জেলায় কাশ্মিরি গেরিলাদের সাথে সংঘর্ষে দু’জন পুলিশ নিহত হওয়ার প্রেক্ষাপটে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। এরই মধ্যে, বান্দিপোরা জেলায় স্থানীয় দু’জন যুবককে আটক করেছে পুলিশ।