সারাদিন কম্পিউটারে কাজ করেন? চোখের যত্নে ৬ পরামর্শ
চোখের যত্নে ৬ পরামর্শ - ছবি সংগৃহীত
ইদানিং ঠিক কজন মানুষ চশমা ছাড়া ভালোভাবে দেখতে পান তা অনায়াসে হাতে গুনেই বলে দেয়া যায়। আর এই গোদের ওপর বিষফোঁড়ার মতো রয়েছে স্মার্টফোন আর কম্পিউটরের রমরমা। টানা ৯ ঘন্টা কম্পিউটরের সামনে বসে থেকে কাজ। বা ফোনে সারাদিন খুঁটিনাটি। এসবে চোখের অবস্থা একেবারেই শোচনীয়। চশমার কাচও মোটা হচ্ছে পাল্লা দিয়ে। এই তালিকায় যদি আপনারও নাম থাকে তাহলে আপনার জন্য দেয়া রইল চোখ ভালো রাখার কিছু উপায়। একবার চোখ বুলিয়ে নিন, আর অফিসে বসেই চলতে থাকুক চোখের ব্যায়াম।
১) কম্পিউটারে কাজ করার সময় খেয়াল রাখুন চারদিক থেকে অতিরিক্ত আলো যেন আপনার কম্পিউটরে এসে না পড়ে। প্রয়োজনে কম্পিটারের ব্রাইটনেস অ্যাডজাস্ট করে নিন।
২) ঘন ঘন চোখের পাতা ফেলুন। সাধারণত প্রতি ৩-৪ সেকেন্ড পরপর চোখের পাতা ফেলা চোখের ছোটোখাটো সমস্যার সমাধান করে, একটানা কাজ থেকে চোখকে বিশ্রামও দেয়। এতে দৃষ্টিশক্তি ভালো থাকে। যারা কম্পিউটার ও মোবাইল ফোন বেশি ব্যবহার করেন, তাদের চোখের রেটিনা শুকিয়ে যাওয়ার সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাদের ক্ষেত্রে এই “আই ব্লিংকিং” ব্যায়াম খুবই উপযোগী। এতে চোখ শুকিয়ে যাওয়ার সমস্যা কমে এবং চোখের রক্ত সরবরাহ বৃদ্ধি পায়।
৩) কাজের ফাঁকে চোখকে বিশ্রাম দিন, অন্তত ৩০ মিনিট অন্তর কাজ বন্ধ রাখুন ২-৩ মিনিটের জন্য। চোখ বন্ধ করে বসে থাকতে পারেন, বা এদিক ওদিক হেঁটে আসুন। দিনে বেশ কয়েকবার এভাবে করুন। এতে চোখের রক্ত সরবরাহ বাড়বে এবং চোখের পেশি সক্রিয় থাকবে।
৪) মাঝে মাঝে চোখে পানির ঝাপটা দিন। সারাদিনে ১০ থেকে ১৫ বার চোখে পানির ঝাপটা দিন। তাতে চোখ ঠাণ্ডা থাকে। চোখ আর্দ্র হয় ও রক্তসঞ্চালন বাড়ে। তবে একদম ঠাণ্ডা বা মাত্রাতিরিক্ত গরম পানি দেবেন না চোখে।
৫) চোখ ভালো রাখতে গাজরের পাশাপাশি প্রচুর পরিমাণে সবুজ শাক-সবজি, বাদাম, কমলালেবু খান। টাটকা শাক-সবজিতে থাকে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট, ভিটামিন এ এবং ভিটামিন সি। যা চোখের কর্নিয়া ভালো রাখতে সাহায্য করে।
৬) পর্যাপ্ত ঘুম প্রয়োজন। সারাদিনের কাজের পর অন্তত আট ঘণ্টা ঘুম জরুরি। খেয়াল রাখুন রাতে ঘুমের আধা ঘণ্টা আগে ফোন বা ল্যাপটপ বন্ধ করে দিন। ওদিকে আর দেখবেন না।
সূত্র : ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস
মাসকুলার ডিসট্রোফি চিকিৎসায় জিন থেরাপি
আজাদুল কবির আজাদ
বংশগত রোগ ডুচিনি মাসকুলার ডিসট্রোফি। প্রতি ৩৫ হাজার নবজাতকের একজন এ রোগে আক্রান্ত হয়। এ রোগে আক্রান্তদের মাংসপেশিকে শক্তিশালী রাখার জন্য যে প্রোটিন দরকার তা থাকে না। পরীক্ষা করে দেখা গেছে, এদের মাংসপেশিতে ডিসট্রোফিনের মাত্রা কম থাকে। ফলে মাংসপেশি দুর্বল হয়ে পড়ে। এরা প্রতিবন্ধী জীবন যাপন করে। এ ছাড়াও এদের হার্ট ও ফুসফুসে সমস্যা দেখা দেয়। এখন পর্যন্ত এ রোগের সঠিক চিকিৎসা নেই। সম্প্রতি বিখ্যাত ‘ল্যানসেট’-এ একটি গবেষণালব্ধ ফল এ রোগের চিকিৎসায় আশার আলো দেখছেন গবেষকরা।
এ গবেষণায় জানানো হয়, জিন থেরাপির মাসকুলার ডিসট্রোফি রোগের চিকিৎসায় ব্যাপক সহায়তা করতে পারে। গবেষকরা একটি আর্টিফিসিয়াল নিউক্লিওটাইড আবিষ্কার করেন। পাঁচ থেকে ১৫ বছর বয়সী এ রোগে আক্রান্ত ১৯ জনকে প্রতি সপ্তাহে ইনজেকশনের মাধ্যমে এ নিউক্লিওটাইড শরীরে পুশ করা হয়। ইনজেকশন দেয়ার আগে ও পরে মাংসপেশির ডিসট্রোফিনের মাত্রা নির্ণয় করা হয়। এতে দেখা যায়, প্রায় সবারই এ মাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে।
দুইজনের মাত্রা ০.৯ থেকে ১৭ ও ২ থেকে ১৮ শতাংশে বৃদ্ধি পায়। এদের মাংসপেশির শক্তিও বাড়ে বলে জানান গবেষকরা। যদিও ক্ষয়ে যাওয়া মাংসপেশিকে আগের অবস্থায় আনতে পারে না এ ইনজেকশন কিন্তু সুস্থ মাংসপেশিকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করে বলে জানিয়েছেন গবেষক দলের ফ্রান্সিসকো মনটোনি।