পার্কিনসন্স নিয়ে কিছু মারাত্মক ভুল ধারণা

অন্য এক দিগন্ত ডেস্ক | Feb 20, 2021 04:15 pm
পার্কিনসন্স নিয়ে কিছু মারাত্মক ভুল ধারণা

পার্কিনসন্স নিয়ে কিছু মারাত্মক ভুল ধারণা - ছবি সংগৃহীত

 

পার্কিনসন্স এক ধরনের নিউরো ডিজেনারেটিভ ডিসঅর্ডার। এই রোগটি সম্পর্কে আমাদের সাধারণ মানুষের অধিকাংশ ক্ষেত্রে ভুল ধারণা থাকে। একবার দেখে নেয়া যাক সেগুলি কী-

পার্কিনসন্স থাকলে শুধুমাত্র হাঁটা চলার ক্ষেত্রে সমস্যা হয়

সত্য : চলা ফেরা জনিত সমস্যা ছাড়াও ঘুমের সমস্যা, কোষ্ঠকাঠিন্য, রক্তচাপ কমে যাওয়া, হাইপার টেনশন, প্রস্রাবজনিত সমস্যা দেখা যায়।

এই রোগে সবচেয়ে প্রচলিত উপসর্গ হলো হাত কাঁপা

সত্য : হাত পা কাঁপা নিশ্চয়ই পার্কিনসন্স রোগের লক্ষণ, তবে এই রোগ হওয়ার অনেক বছর আগেই ভবিষ্যতের রোগীর মধ্যে ওপরে উল্লেখ করা উপসর্গ দেখা যেতে পারে।

একমাত্র ওষুধ খেলেই পার্কিনসন্স সারে

সত্য : জীবনযাপনে কিছু পরিবর্তন আনলে পার্কিনসন্সে খানিক উন্নতি দেখা যায়। নিয়মিত স্বাস্থকর খাদ্যাভ্যাস, শরীরচর্চা, যোগা করলে অনেক উন্নতি হয়

পার্কিনসন্স সেরে যায়

সত্য : পার্কিনসন্স এখন পর্যন্ত সম্পূর্ণ নির্মূল করা যায় না। নিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন, সার্জারি, ফিজিওথেরাপিতে নিয়ন্ত্রণে থাকে।

বয়স্ক মানুষেরই পার্কিনসন্স হয়

সত্যি : অধিকাংশ ক্ষেত্রে বয়স্ক মানুষেরা এই রোগে আক্রান্ত হলেও অনেক ক্ষেত্রে অল্প বয়স, এমন কী ২০ বছরের আগেও পার্কিনসন্স হতে পারে। ভারতে ২৫ শতাংশ কেসে পার্কিনসন্স আক্রান্ত রোগীদের বয়স ৪০ এর কম।

পার্কিনসন্স থেকে মৃত্যু পর্যন্ত ঘটতে পারে

সত্যি : না, হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোকের মতো সরাসরি এই রোগ থেকে মৃত্যু হয়না। তবে এই রোগ ইমিউনিটি কমিয়ে দেয় বলে অন্য অসুখ হওয়ার আশঙ্কা বেশি থাকে

পার্কিনসন্স পারিবারিক সূত্রে হয় না

সত্য : ১০ থেকে ১৫ শতাংশ ক্ষেত্রে একজন পার্কিনসন্স রোগীর পরিবারে অন্য কোনো রোগী থাকেন।

সূত্র : ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

বিয়ে ক্যান্সার কমায়
ডা: সাহিদা সুলতানা সিমু

দিল্লি কা লাড্ডু, খাইলেও পস্তাবেন, না খাইলেও পস্তাবেন- বিয়ে নিয়ে বহুল প্রচলিত একটি প্রবাদ। কিন্তু সম্প্রতি একটি গবেষণা থেকে জানা গেছে যারা দিল্লি কা লাড্ডু খাবেন না তারা সত্যিই পস্তাবেন। এ গবেষণায় বলা হয়েছে যারা বিয়ে করেছেন তাদের ক্যান্সারে আক্রান্তের হার কম। অবিবাহিতরা বিবাহিতদের চেয়ে শতকরা ৩৫ ভাগ বেশি ক্যান্সারে আক্রান্ত হন। প্রায় ৪০ বছরের ডাটা বিশ্লেষণ করে এ তথ্য উপস্থাপন করা হয়। ৪০ বছরের বেশি বয়সী প্রায় সাড়ে চার লাখ নরওয়ে নর-নারীর ওপর গবেষণা করে এ তথ্য প্রকাশ করেন গবেষকরা।

এতে দেখা গেছে ১৯৭০-৭৪ সালে অবিবাহিত পুরুষরা বিবাহিতদের চেয়ে ১৮ ভাগ ও মেয়েরা ১৭ ভাগ বেশি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছেন। ২০০৫-০৭ সালে এসে এ পরিসংখ্যান দাঁড়ায় ৩৫ ভাগ ও ২২ ভাগে। ‘বিএমসি পাবলিক হেলথ’ জার্নালে এ গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হয়েছে। বিবাহিতদের ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে বেঁচে থাকার হার অবিবাহিতদের চেয়ে বেশি। এ জন্য সঙ্গীর সেবা-যত্ন, সাহস, ভালোবাসা কাজ করে বলে জানিয়েছেন গবেষকরা।


 

ko cuce /div>

দৈনিক নয়াদিগন্তের মাসিক প্রকাশনা

সম্পাদক: আলমগীর মহিউদ্দিন
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সালাহউদ্দিন বাবর
বার্তা সম্পাদক: মাসুমুর রহমান খলিলী


Email: online@dailynayadiganta.com

যোগাযোগ

১ আর. কে মিশন রোড, (মানিক মিয়া ফাউন্ডেশন), ঢাকা-১২০৩।  ফোন: ৫৭১৬৫২৬১-৯

Follow Us