নাক ডাকা মানেই ভালো ঘুম- আসল কথাটি জানেন?
নাক ডাকা মানেই ভালো ঘুম- আসল কথাটি জানেন? - ছবি সংগৃহীত
একমাত্র নতুন নতুন প্রেমে যদি না পড়েন, অথবা পরের সকালে পরীক্ষার খাতায় উগরে দেয়ার তাড়না না থাকে, ঘুম না হওয়া কিন্তু মোটেই ভালো কথা নয়। পর্যাপ্ত ঘুমের প্রয়োজনীয়তার কথা নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না। ঘুমের উপকারিতা, উপযোগিতা দেশে দেশে চর্চিত হচ্ছে বেশ কিছু কাল ধরেই। আধুনিক বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গিয়েছে বেশ কিছু লাইফ স্টাইল ডিজিজে নাকি পর্যাপ্ত ঘুমটাই ওষুধ।
ভালো ঘুম হওয়ার টোটকা নিয়ে অনেকের মধ্যেই ভুল ধারণা রয়েছে। গভীর ঘুমের দাওয়াই নিয়ে আপনি হয়তো দিনে পাঁচটা আর্টিকেল পড়ছেন। বাড়ি ফিরে সেসব মেনেও চলছেন, কিন্তু তাও ভালো ফল পাচ্ছেন না। কেন এমন হয়? ঘুম নিয়ে আসলে অনেক ভুল ধারণা প্রচলিত আছে।
দেখে নিন সেসব কী?
পাঁচ ঘণ্টা কিমবা আরো কম ঘুমে আপনার কাজ চলে যাবে
এর কোনো বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই। চিকিৎসকরা বলেন অন্তত ৬ থেকে ৭ ঘণ্টা ঘুম একজন পূর্ণবয়স্ক ব্যক্তির প্রয়োজন। দীর্ঘদিন ৫ ঘণ্টা কিমবা তার কম ঘুমোলে আপনার শারীরিক সমস্যা হতে পারে।
নাক ডাকা মানে অঘোরে ঘুম
একেবারেই না। বরং ঘুমের ব্যাঘাত ঘটছে বলেই আপনি নাক ডাকছেন। নাক ডাকা মানে আসলে ঘুমের মধ্যে শ্বাস প্রস্বাসের সমস্যা হওয়া। স্লিপ অ্যাপনিয়ার লক্ষণ হতে পারে তা। দীর্ঘদিন ধরে নাক ডাকলে দেরি না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। স্লিপ অ্যাপনিয়ার ক্ষেত্রে রাতে ঘুমের মধ্যে শ্বাসরোধ হয়ে মৃত্যু পর্যন্ত ঘটতে পারে।
ঘুমের আগে সামান্য অ্যালকোহল পান করলে ঘুম ভালো হয়
প্রচলিত ধারণা রয়েছে ঘুমের আগে অ্যালকোহল পান করলে ঘুম গভীর হয়। চিকিৎসকদের মত, অ্যালকোহল আসলে গভীর ঘুম হওয়ার জন্য শরীরের যে অবস্থা থাকা দরকার, তা হতে বাধা দেয়।
টিভি দেখতে দেখছে বিছানায় শুলে তাড়াতাড়ি ঘুম আসে
এটিও অত্যন্ত প্রচলিত, কিন্তু আদতে ভুল একটি ধারণা। বরং ঘুম ভালো হওয়ার জন্য বিছানায় গা এলিয়ে দেওয়ার পর কোনো ইলেক্ট্রনিক গ্যাজেটই ব্যবহার করা উচিত নয়।
সূত্র : ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস
চোখের পাতা ফুলে গেলে করণীয়
ডা: হুমায়ুন কবীর সরকার
চোখের পাতা ফুলে গেলে করণীয়
অনেক সময় দেখা যায়, চোখের পাতা ফুলে লাল হয়ে গেছে। চোখ ছোট হয়ে আসে। দেখতে কষ্ট হয়। চোখের পাতায় প্রচণ্ড ব্যথা করে। নিচের দিকে তাকালে ব্যথা বেশি অনুভূত হয়। মাঝে মধ্যে এ সমস্যা দেখা যায়। তবে চোখের মণিতে কিন্তু কোনো সমস্যা দেখা যায় না। যেমন- চোখ দিয়ে পানি পড়া, চোখ লাল হওয়া, এ লক্ষণগুলো থাকে না। এ সমস্যাটিকে বলে ব্লেফারাইটিস।
কোনো কারণে চোখের পাতায় প্রদাহ হলে চোখের পাতা ফুলে গিয়ে প্রচণ্ড ব্যথা করে। এ ধরনের সমস্যার প্রধানতম কারণ হচ্ছে খুশকি। মাথা খুশকিমুক্ত করতে হবে। এ জন্য অ্যান্টিডেনড্রাফ শ্যাম্পু যেমন কিটোকোনাজল ব্যবহার করতে হবে। মাথায়শ্যাম্পু দেয়ার সময় ভ্রু ও চোখের পাতায় শ্যাম্পু দিতে হবে। এ ধরনের শ্যাম্পু দেয়ার পর ১০ মিনিট অপেক্ষা করে চুল ধুয়ে ফেলতে হবে। বাজারে অ্যান্টিডেনড্রাফ শ্যাম্পু কিনতে পাওয়া যায়। ব্যাপক ব্যবহৃত শ্যাম্পু কিন্তু অ্যান্টিডেনড্রাফ শ্যাম্পু নয়।
খাবার ও কোনো কোনো ক্ষেত্রে কসমেটিক ব্যবহারের ক্ষেত্রেও সমস্যা হতে পারে। এ ছাড়া ঠাণ্ডা বা গরমের কারণেও এটি বারবার হতে পারে। এমনটি বারবার হলে খেয়াল করুন, কী কারণে হচ্ছে। সে কারণটি বাদ দিন। অনেক সময় কসমেটিক থেকে হতে পারে এ সমস্যা। তাই কসমেটিক ব্যবহার না করাই ভালো।
এ ধরনের সমস্যা দেখা দিলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। ব্যথানাশক সেবন করে ভালো ফলাফল পাওয়া যায়। কুসুম গরম পানিতে বোরিক পাউডার মিশিয়ে সেঁক দিলে ফোলা ও ব্যথা দুটোই কমে যাবে। বেশ আরাম পাবেন। এ ছাড়া চিকিৎসকের পরামর্শমতো অ্যান্টিবায়োটিক সেবনের প্রয়োজন হতে পারে। চোখে অ্যান্টিবায়োটিক মলম ও ড্রপ দিতে হতে পারে।