কখন হাঁটলে বেশি উপকার পাবেন?
কখন হাঁটলে বেশি উপকার পাবেন? - ছবি সংগৃহীত
ফিট থাকতে গেলে হাঁটার কোনো বিকল্প নেই। হাঁটলে শরীরও থাকে চনমনে। সোজা না হেঁটে যদি পেছন দিকে করে হাঁটেন তাহলে আরো দ্রুত সুফল পাওয়া যায়। কিন্তু সেই নিয়মে কিছুটা অসুবিধাও রয়েছে। সুস্থ থাকতে একজন মানুষের কমপক্ষে ৩০ মিনিট হাঁটা জরুরি। প্রতিদিন নিয়ম করে ৩০ মিনিট হাঁটলে বেশ কিছু উপকার পাবেন।
* হাঁটলে সারা দিনের কর্মক্লান্তি কিংবা অবসাদ দূর হয়। তাই সময় বের করে দিনে একবার আধ ঘণ্টা হাঁটুন।
* কাজ করার ক্ষমতাকে বাড়িয়ে দেয় নিয়মিত এই হাঁটার অভ্যাস।
* যাদের ঘুমের সমস্যা রয়েছে, তারা নিয়মিত হাঁটুন উপকার পাবেন।
* যাদের পায়ের মাংসপেশির সমস্যা রয়েছে তারা এই নিয়ম জারি রাখতে পারেন।
* যাদের ওজন দ্রুত বাড়ছে, তারা ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে নিয়মিত হাঁটুন। হাঁটা হজম শক্তি বাড়াতে সহায়তা করে।
কখন হাঁটবেন
প্রতিদিন ৩০ মিনিট হাঁটা আপনাকে সুস্থ রাখবে। সকাল ও বিকেলে দিনের যেকোনো সময়েই হাঁটা শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। আর অতিরিক্ত ওজন কমাতে চাইলে খাওয়ার পরে হাঁটতে পারেন। এছাড়া ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতেও খাওয়ার পরে হাঁটা ভালো।
শুধু নিয়মিত হাঁটলেই কতটা সুস্থ থাকা যায় জানেন?
কী লাভ হয় হাঁটলে? অনেককিছু। মেদ কমে, এনার্জি বাড়ে, স্ট্রেস কাটে, মেজাজ ভালো হয়। এমনকি, বিশেষজ্ঞদের মতে, ঠিকভাবে হাঁটলে বেশ কিছুটা আয়ু বেড়ে যাও। আসুন, এক নজরে দেখে নেয়া যাক হাঁটাহাঁটির উপকারিতা।
ক্যালোরি বার্ন করে
নিয়ম করে হাঁটলে প্রচুর ক্যালোরি পোড়ে। শরীর থাকে তরতাজা আর সুস্থ। এনার্জি বাড়ে অনেকখানি। দৌড়নো, সাঁতার কাটা, সাইকেল চালানোর মতো হাঁটাহাঁটিও ক্যালোরি বার্ন করার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই হাঁটতে ভুলবেন না। তবে একটা কথা, যতটা ক্যালোরি বার্ন করা সম্ভব, আপনি যদি তার চেয়েও বেশি বেশি ক্যালোরি গ্রহণ করেন, তাহলে কিছু লাভের লাভ কিছু হবে না। অতয়েব, বুঝে খান, ভালো খান।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
হাঁটলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। চিকিৎসকদের মতে, হাঁটাহাঁটির ফলে রক্তে শ্বেত রক্ত কণিকার চলাচল অনেকখানি বেড়ে যায়। ফলে ইনফেকশন এবং অন্যান্য রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
স্ট্রেস কমায়
প্রতিদিন নিয়ম করে আধ ঘন্টা হাঁটুন। দেখবেন, স্ট্রেস অনেকখানি কমে গিয়েছে। বেশ ফুরফুরে লাগছে। লকডাউন বাড়ি থেকে কাজ করতে গিয়ে অনেকেরই স্ট্রেস তৈরি হচ্ছে। হাঁটলে কিন্তু এই সমস্যা কমবেই।
আয়ুবৃদ্ধি হয়
হাঁটাহাঁটি করলে মর্টালিটি কমে। শরীর সতেজ থাকে, ফলে জীবন খানিকটা লম্বা হয়ে যায়। তাই বেশি দিন সুস্থ শরীরে বাঁচতে চাইলে অবশ্যই হাঁটুন।
এনার্জি ও কর্মক্ষমতা বাড়ে
নিয়মিত হাঁটলে শরীরে রক্তচলাচল অনেকখানি বাড়ে। ব্রেন ও পায়ের মাসলগুলোর সক্রিয়তা বৃদ্ধি পায়। ফলে তরতরিয়ে বাড়তে থাকে এনার্জি। অনেক বেশি কর্মক্ষম হয়ে উঠি আমরা।
সূত্র ; ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস