জুম্বানি গুল্মে সারছে করোনা!

অন্য এক দিগন্ত | Feb 19, 2021 02:18 pm
জুম্বানি গুল্ম

জুম্বানি গুল্ম - ছবি : সংগৃহীত

 

করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন নিয়ে নানান জটিলতার মুখোমুখি বিশ্ব। একদিকে টিকার অসম বিতরণ নিয়ে হয়রানির শিকার বিশ্বের সংখ্যাগুরু দেশ–আবার কোথাও টিকার কার্যকারিতা হাজারো প্রশ্নের মুখে। এরকম পরিস্থিতিতে ভ্যাকসিনের অপেক্ষা না করে ঘরোয়া ভেষজ পদ্ধতিতে করোনা রোগীদের সুস্থ করে চলেছে জিম্বাবুয়ে। এক ধরনের গুল্ম জাতীয় উদ্ভিদের (জুম্বানি) পাতা দিয়ে চিকিৎসা চলছে মহামারি করোনার।

শুনতে আশ্চর্যজনক লাগলেও ইতিমধ্যেই এই আয়ুবের্দিক চিকিৎসার সুফল পেয়েছেন ৫২ বছরের নায়সন মাখা এবং তার স্ত্রী গাত্রুদ। কোভিডে আক্রান্ত হওয়ার পর এই চমকপ্রদ জড়িবুটি দিয়ে চিকিৎসার পরই তারা সম্পূর্ণ সুস্থ হয়েছেন। এরপর থেকে করোনার চিকিৎসায় জুম্বানির সক্ষমতা বিষয়ে প্রচার চালানো শুরু করেন তাঁরা। চিকিৎসা বিজ্ঞানে করোনা সারাতে জুম্বানির কার্যকারিতার উল্লেখ না থাকলেও বিশেষজ্ঞরা ধারণা করছেন– শ্বাসকষ্টজনিত যেকোনো সমস্যার চিকিৎসায় জুম্বানির জুড়িমেলা ভার।

এই গুল্মজাতীয় উদ্ভিদের বিজ্ঞানসম্মত নাম লিপ্পিয়া জাভানিকা। সাধারণত আফ্রিকান দেশগুলিতেই এই উদ্ভিদ দেখা যায়। জুম্বানি সেবনে করোনাকে হার মানিয়ে ওঠা মাখার কথায়, ‘ঈশ্বরকে ধন্যবাদ। জুম্বানি আমাদের সুস্থ হতে সাহায্য করেছে।’

প্রতিষেধক নিয়ে ধনী দেশের দাদাগিরিতে ক্ষুব্ধ জাতিসঙ্ঘ

প্রতিষেধক বণ্টন নিয়ে ‘দাদাগিরি’ করছে ধনী দেশগুলো। ক্ষোভ প্রকাশ করে এমনটাই জানালেন জাতিসঙ্ঘের মহাসচিব আন্তোনিয়ো গুতেরেজ। তার কথায়, ‘‘গোটা প্রক্রিয়াটাই ভয়ঙ্কর অস্বচ্ছ। হাতে গোণা দশটা দেশে ৭৫ শতাংশ টিকা প্রয়োগ হয়েছে। অথচ এই দেশগুলোরই দাবি, গোটা পৃথিবীর সব দেশের মানুষের কাছে যত দ্রুত সম্ভব টিকা পৌঁছে দিতে হবে!’’

জাতিসঙ্ঘ নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে একটি রিপোর্ট পেশ করে গুতেরেজ় জানান, অন্তত ১৩০টি দেশে এখনও একজনকেও ভ্যাকসিন দেয়া হয়নি। অথচ ব্রিটেন-আমেরিকার মতো দেশে ইতিমধ্যেই লাখখানেক টিকাকরণ হয়ে গিয়েছে। গুতেরেজের কথায়, ‘‘এমন সঙ্কটের পরিস্থিতিতে প্রতিষেধক সমবণ্টন হল গোটা বিশ্বের সামনে সব চেয়ে বড় নৈতিক পরীক্ষা।’’

সপ্তাহখানেক আগেই অবশ্য ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) স্পষ্ট করে জানিয়েছে, নিজেদের দেশের মানুষের প্রাণ আগে। তার পরে অন্য কারো কথা ভাবার প্রশ্ন। চুক্তি মতো যথেষ্ট পরিমাণ প্রতিষেধক ইইউ-এ পৌঁছচ্ছে না বলে অভিযোগ জানিয়ে এই মন্তব্য করেছিলেন ইইউ প্রধান উরসুলা ফন ডের লেয়েন। ইইউ-এর কোনও দেশে উৎপাদিত টিকা ব্লকের বাইরে যেতে দেয়া হবে না বলেও ‘হুমকি’ দেন তিনি। ফলে টিকার সমবণ্টন নিয়ে যতই সতর্ক করুক না কেন জাতিসঙ্ঘ, ভ্যাকসিন নিয়ে জাতীয়তাবাদ চলছেই।

গুতেরেজ জানান, অবিলম্বে ‘গ্লোবাল ভ্যাকসিনেশন প্ল্যান’ তৈরি করতে হবে। যাতে ক্ষমতাবান দেশগুলো প্রতিষেধক সমান ভাগে ভাগ করতে বাধ্য হয়। এই পরিকল্পনায় বিজ্ঞানী, টিকাপ্রস্তুতকারী সংস্থা ও অর্থ তহবিল তৈরি করছেন না যাঁরা, তাঁদের যুক্ত করতে হবে। জরুরি পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে জি২০-এর সদস্য দেশগুলোকে টাস্ক ফোর্স তৈরির জন্যেও আবেদন জানান তিনি। টাস্ক ফোর্সে বিশ্বের প্রথম সারির ওষুধপ্রস্তুতকারী ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় সংস্থাগুলোকে এক ছাতার তলায় নিয়ে আসা হবে।

জাতিসঙ্ঘ শুরু থেকে বলে আসছে, ভাইরাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধটা এমনই, কোনো দেশ শুধু নিজের ভালোটুকু বুঝে নিয়ে সুস্থ হতে পারবে না। পৃথিবীর কোনো প্রান্তে ভাইরাস থেকে যাওয়া মানেই বিপদকে বাঁচিয়ে রাখা। কিন্তু সে বার্তা যে এখনো উপেক্ষিত, ১৩০টি দেশের ভ্যাকসিন না-পাওয়া থেকেই স্পষ্ট।


সূত্র : পুবের কলম ও আনন্দবাজার পত্রিকা


 

ko cuce /div>

দৈনিক নয়াদিগন্তের মাসিক প্রকাশনা

সম্পাদক: আলমগীর মহিউদ্দিন
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সালাহউদ্দিন বাবর
বার্তা সম্পাদক: মাসুমুর রহমান খলিলী


Email: online@dailynayadiganta.com

যোগাযোগ

১ আর. কে মিশন রোড, (মানিক মিয়া ফাউন্ডেশন), ঢাকা-১২০৩।  ফোন: ৫৭১৬৫২৬১-৯

Follow Us