চীন এবং ম্যাকাউ, হংকং ও তাইওয়ান
চীন এবং ম্যাকাউ, হংকং ও তাইওয়ান - ছবি সংগৃহীত
ম্যাকাউ চীনের একটি অংশ এবং ক্যাসিনো ও জুয়া খেলার জন্য বিশ্বে সুপরিচিত। এক জেনারেশনের মাঝেই ম্যাকাউ বিশ্বের সবচেয়ে বড় জুয়ার শহরে পরিণত হয়েছে। জুয়াকেন্দ্রিক সব সুযোগ সুবিধা এখানে রয়েছে। বিশ্বের সব জুয়াড়ি জুয়ার নেশায় ম্যাকাউ ছুটে যায়। রমরমা ক্যাসিনো ইন্ডাস্ট্রির কারণে ভালো বেতনের চাকরির বাজারও রমরমা।
হংকং ও ম্যাকাউ দুটিই এখন চীনের অংশ এবং বিশেষ সার্বভৌম ক্ষমতা ভোগ করছে। বিষয়টি কিছুটা জটিল প্রকৃতির। চীনের ‘এক দেশ দুই সিস্টেম’ পলিসির কারণে দেশ দুটি উচ্চ পর্যায়ের অটোনমি ভোগ করে থাকে। মূলত ম্যাকাউ চীনের বিশেষ এক প্রশাসনিক অঞ্চল যা পৃথক প্রশাসনিক ও অর্থনৈতিক সিস্টেমে পরিচালিত। ২০ ডিসেম্বর ১৯৯৯ সালে চীন ম্যাকাউ ‘টেকওভার’ করার পর চীনের সার্বভৌমত্বের অধীনে একটি প্রশাসনিক ইউনিটে পরিণত হয়। ১৯৯৭ সালের হংকংয়ের মতো, চীন এবং ম্যাকাউয়ের সম্মিলন ছিল শান্তিপূর্ণ ও সমৃদ্ধ।
ম্যাকাউ এত সমৃদ্ধ যে, এখানে অধিবাসীদের প্রশাসন উল্টো অর্থকড়ি দিয়ে থাকে। ক্যাসিনো থেকে প্রচুর আয় সরকারের তহবিলকে সবসময় সারপ্লাস রেখেছে। সরকার চেকের মাধ্যমে বার্ষিক এই অর্থ দেয়। ২০০৬ সালে চীনের ম্যাকাউ আমেরিকার লাস ভেগাসকে ছাড়িয়ে বিশ্বের সেরা জুয়াড়ি-শহরে পরিণত হয়। বিশ্ব ব্যাংকের হিসাবে গড় আয়ের দেশ হিসাবে ম্যাকাউ বিশ্বে দ্বিতীয় ধনী এলাকা। লোকসংখ্যা সাত লাখেরও কম। এখানে লোকজন হংকংয়ের চেয়ে ৮০ শতাংশ বেশি ধনী। জুয়াকেন্দ্রিক কিছু সামাজিক সমস্যা এখানে আছে। গত দেড় শত বছর ধরে ম্যাকাউয়ের অধিবাসীরা জুয়ার সাথে জড়িত থাকলেও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির বড় ধরনের অবনতি হয়নি। জুয়া, মদ্যপান এসব বিষয়ের সাথে মারামারি ও সংশ্লিষ্ট অপরাধ পরিবেশ বিনষ্ট করলেও ম্যাকাউ-পরিস্থিতি ভালো। ২০০২ সালের পর থেকে ম্যাকাউয়ের জুয়ার জগত বিশ্বে চূড়ায় আরোহণ করতে পেরেছে। তথাপি ম্যাকাউর বিশিষ্টজন ও পলিসি মেকাররা জুয়াকে একটি ‘সামাজিক সমস্যা’ মনে করেন। স্থানীয় বাসিন্দাদের জুয়া খেলায় উৎসাহিত করা হয় না; তথাপি ১০০ মিলিয়ন হংকং ডলার ঋণ স্বাভাবিক মনে করা হয়। স্থানীয়দের জুয়ার নেশা কাটানোর জন্য আটটি কাউন্সেলিং কেন্দ্র কাজ করছে; সরকারিভাবে টাস্কফোর্সও রয়েছে। আগে বয়স ১৮ বছর না হলে স্থানীয় কেউ ক্যাসিনোতে ঢুকতে পারত না। এখন বয়স বাড়িয়ে ২১ বছর করা হয়েছে। জুয়ায় আসক্তদের জন্য ক্যাসিনোগুলোতে ‘নো অ্যাডমিশন’ তালিকাও ঝুলিয়ে রাখা হয়। এ ছাড়া ৩৬ হাজার সরকারি কর্মচারীর ক্যাসিনোতে যাওয়া নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত. ১ জুলাই, ১৯৯৭ সালের মধ্যরাতে হংকং চীনকে ফিরিয়ে দেয়া হয়। অনুষ্ঠানে তৎকালীন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ার, প্রিন্স চার্লস অব ওয়েলস, চীনা প্রেসিডেন্ট জিয়াং জেমিন ও যুক্তরাষ্ট্রের সেক্রেটারি অব স্টেট ম্যাডেলিন অলব্রাইট উপস্থিত ছিলেন। ম্যাকাউতে ন্যাশনাল সিকিউরিট আইন রয়েছে। এই রকমই একটি আইন হংকংয়ে প্রয়োগ করা হচ্ছে। ম্যাকাউবাসীরা পর্তুগিজ ও চীনা ভাষায় কথা বলে।
তাইপা ও কাউলু ম্যাকাউয়ের দুটি ছোট দ্বীপ। দুই দ্বীপের মাঝে রয়েছে কোটাই, যা খুব গুরুত্বপূর্ণ এলাকা। উন্নয়নের সব কাজ এখানেই সম্পন্ন হয়। এই শহরে প্রথম ১৯৬২ সালে জুয়া বৈধ করা হয়ছিল। চীনের মূল ভূখণ্ড ও হংকং থেকে প্রচুর পর্যটক এখানে আসে, পুরো ম্যাকাউ ঘুরে বেড়ায়। জনসংখ্যা মাত্র ছয় লাখ ৬৭ হাজার। ২০১৮ সালে ৩১ মিলিয়ন পর্যটক ম্যাকাউ ভ্রমণ করেছিল। ২০১৯ সালে ম্যাকাউর জিডিপি ৮১ হাজার ডলারে দাঁড়ায়। বেশির ভাগ পর্যটক হংকং থেকে বাস বা ফেরি করে ম্যাকাউ আসে। বাসে যাতায়াত সস্তা। ২০১৮ সালে ৫১ কিলোমিটার লম্বা ব্রিজ চালু করা হয় যার ৬.৭ কিলোমিটার পানির নিচের টানেলে যুক্ত হয়েছে। হংকং জুহাই-ম্যাকাউ নামে ব্রিজটি নন্দিত হিসেবে বিশ্বে পরিচিতি পেয়েছে।
ম্যাকাউতে ৩৮টি ক্যাসিনো আছে। দ্য ভেনিসিয়ান ম্যাকাউ বিশ্বের সবচেয়ে বড় ক্যাসিনো। এই ক্যাসিনোর কৃত্রিম খাল দিয়ে গন্ডোলা নিয়ে যাতাযাত করা যায়। ক্যাসিনো লিসবোয়া বিখ্যাত একটি ক্যাসিনো। এখানে রয়েছে জুয়ার মিউজিয়াম। বিশ্বের নামকরা বাদকরা এসে বাদ্য বাজায়। লাস ভেগাসে মানুষ যায় বেড়াতে। সেখানে জুয়া খেলা অপশনাল। আর ম্যাকাউতে আসে জুয়া খেলতে এবং বেড়ানোটা অপশনাল।
ম্যাকাউ থেকে ৬০ কিলোমিটার দূরে হংকং। কাউলুন পেনিনসুলা, হংকং আইল্যান্ড, লেনটাউ আইল্যান্ড ও নিউ টেরিটরিজ ও ২০০ ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র আইল্যান্ড নিয়ে হংকং। হংকং ১৮৪২ সাল থেকে ব্রিটিশ কলোনি ছিল। নিউ টেরিটরিজ ৯৯ বছরের জন্য ব্রিটিশরা লিজ নেয়। লোকসংখ্যা ৭.৪ মিলিয়ন এখন।
বিশ্ব ব্যাংকের হিসাবে, গড় আয়ের দেশ হিসেবে ম্যাকাউ বিশ্বে দ্বিতীয় প্রধান ধনী এলাকা। ম্যাকাউতে ন্যাশনাল সিকিউরিটি আইন রয়েছে। এই রকমই একটি আইন হংকংয়ে প্রয়োগ করা হচ্ছে। হংকংয়ের গণতন্ত্রপন্থীরা আইনের বিরোধিতা করলেও ম্যাকাউয়ের বাসিন্দারা এসব নিয়ে মাথা ঘামায় না। তাদের দরকার প্রচুর কারেন্সি। চীন ও ম্যাকাউয়ের একত্রীকরণের পরবর্তী সময় শান্তিপূর্ণ। হংকং ও ম্যাকাউ দুটিই চীনের অংশ হলেও এ দুটি অঞ্চল অনেক সার্বভৌম ক্ষমতা ভোগ করে। চীনের ‘এক দেশ দুই সিস্টেম’ পলিসির কারণে দেশ দুটি উচ্চ অটোনমি ভোগ করছে। এভাবে ম্যাকাউ চীনের ‘বিশেষ এক প্রশাসনিক অঞ্চল।’ এই দুটি বিশেষ অঞ্চল পৃথক প্রশাসনিক ও অর্থনৈতিক সিস্টেমে পরিচালিত, যা এখানে ব্যাখ্যা করা হয়েছে। ম্যাকাউ নিজে অর্থনীতির চালিকাশক্তি ও নিয়ন্ত্রক; তাছাড়া আইন ও ইমিগ্রেশন নিয়ন্ত্রণও ম্যাকাউ সরকারের হাতে। এক সময়ের পর্তুগিজ কলোনি ম্যাকাউয়ের আয়তনও কম; মাত্র ৩১ বর্গকিলোমিটার।
ম্যাকাউয়ের রাজনৈতিক অবস্থান বা স্ট্যাটাস হংকংয়ের মতো। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বেশ ভালো। বিশ্বের সেরা ১০টি অপরাধ প্রবণ এলাকার মধ্যে ম্যাকাউয়ের নাম নেই। জুয়া ও নেশার শহরে ‘ক্রাইম রেট’ কম থাকা প্রশাসনিক বড় সাফল্য।
ম্যাকাউকে প্রায়ই হংকংয়ের রাজনৈতিক মডেলের ‘এক দেশ দুই সিস্টেমের’ সাথে তুলনা করা হয়। চীন ম্যাকাউকে খুব উচ্চ পর্যায়ের নিরাপত্তা ও স্বায়ত্তশাসন দিয়ে আসছে। বিগত ৫০ বছর ধরে ম্যাকাউ বিশেষ সুবিধা ভোগ করছে। হংকংয়ে চীন শুধু প্রতিরক্ষা ও পররাষ্ট্র বিষয়াদি নিয়ন্ত্রণ করে। তবে কয়েক মাস ধরে বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে সেখানে। গণতন্ত্রপন্থীদের রাজনৈতিক দল চীনের সাথে সংযুক্তি চায় না। কিন্তু ম্যাকাউ শান্ত থাকায় চীন ম্যাকাউ প্রশাসনের প্রশংসা করেছে এবং উন্নয়ন ও আধুনিক সুযোগসুবিধার বিষয়গুলো হংকংবাসীদের বুঝিয়ে দেখানো হচ্ছে। একই সাথে তাইওয়ানের জন্যও ম্যাকাউ একটি উদাহরণ হয়ে দেখা দিয়েছে। সেখানে এক দেশ দুই সিস্টেম কত সুন্দরভাবে কাজ করছে, সেই সিস্টেম তাইওয়ানেও সমান প্রযোজ্য। চীনা প্রেসিডেন্ট শিজিনপিং বলেছেন, ম্যাকাউ-জনগণের এই প্রবৃদ্ধি, উন্নয়ন ও শান্তির প্রয়াসকে যেকোনো মূল্যে রক্ষা করা হবে। তিনি হুঁশিয়ার উচ্চারণ করেন যে, হংকংয়ের বিরোধিতা সহ্য করা হবে না এবং বিদেশীদের অপতৎপরতা কঠোর হাতে বন্ধ করা হবে। হংকংয়ের সমস্যা চীনের সমস্যা, চীন সেটি সমাধান করতে জানে।’
চীনের দক্ষিণ উপকূলের ছোট্ট ও গুরুত্বপূর্ণ এই বন্দর হংকং থেকে মাত্র ৬০ কিলোমিটার দূরে। ১৫৫৭ সালে ম্যাকাউ পর্তুগালকে লিজ দেয়া হয়েছিল। পর্তুগিজ কলোনি হলেও তখন ম্যাকাউয়ে চীনের মূল ভূখণ্ড থেকে সব খাবারদাবার আসত। পর্তুগিজরা চীনের সাথে সবসময় সুসম্পর্ক রেখে চলেছিল। ১৯৮৭ সালে চীন-পর্তুগিজ যৌথ চুক্তির ভিত্তিতে ২০ ডিসেম্বর ১৯৯৯ সালে চীনের কাছে ম্যাকাউ হস্তান্তরিত হয়েছে। ম্যাকাউর নিজস্ব সরকার, আইন ও অর্থনীতি, নিজস্ব মুদ্রা, নিজের জুয়া আইন রয়েছে। এতদঞ্চলের নেতা ও প্রধান নির্বাহীকে বেইজিং কর্তৃক অনুমোদিত ৪০০ জনের আইনজ্ঞ, রাজনীতিবিদ ও ব্যবসায়ীর কমিটি নির্ধারণ করে। সাধারণ মানুষ প্রধান নির্বাহী নিয়োগের বিষয়ে কিছু বলে না। হংকংয়েও এই নিয়ম প্রচলিত। বাস্তব অবস্থা দেখে মনে হয়, হংকংয়ের চেয়ে ম্যাকাউতে এক দেশ দুই সিস্টেম অধিক কার্যকর। এই পদ্ধতিতে ম্যাকাউ অর্থনীতি ও লেখাপড়ায় প্রভূত উন্নতি সাধন করেছে। কম লোকের বসতি ম্যাকাউ মাথাপিছু জিডিপিতে বিশ্বে তৃতীয় স্থানে, লুক্সেমবার্গ ও সুইজারল্যান্ডের পরই। গত বছর ম্যাকাউ সরকার সম্পদ-ভাগাভাগি কর্মসূচির অধীনে ১২৪৬ ডলার করে স্থায়ী রেসিডেন্টদের দিয়েছে। চীন বিশ্বের জুয়াড়ি ও আমেরিকান ব্যবসায়ীদের জন্য ম্যাকাউ জুয়া ইন্ডাস্ট্রিকে উন্মুক্ত করে একে আন্তর্জাতিক জুয়ার কেন্দ্রে পরিণত করেছে। ‘পশ্চিমে না গিয়ে পূর্বে আসুন’ নীতির জন্য চীন সব আয়োজন সম্পন্ন করছে। তাতে ম্যাকাউর অর্থনীতি ফুলে উঠেছে। ম্যাকাউর অর্ধেক অধিবাসী চীন থেকে অভিবাসী হয়ে স্থায়ী হয়েছে। হংকং ও তাইওয়ানের জন্য ম্যাকাউ যেন ‘পোস্টার বয়’।
চীনের সংবিধান বিশেষজ্ঞ লি ঝানসু বলেন, ম্যাকাউর অধিবাসীরা নিজের পরিচিতি দিতে গর্ববোধ করে এবং এক দেশ দুই সিস্টেমের প্রতি বিশ্বাসী। সরকারের মধ্যে ‘দেশপ্রেমিক’দের তিনি প্রশংসা করে বলেন, তারা সংবিধানে ২৩ ধারার নিরাপত্তা আইন সংযুক্ত করেছেন। যেমন, কেউ কেন্দ্রীয় সরকারের সাথে বা চীনের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা, রাষ্ট্রবিরোধী তৎপরতা অথবা বিছিন্নতাবাদ কর্মের সাথে সংযুক্ত হলে তাকে চরম মূল্য দিতে হবে। চীনা ভূখণ্ডের সাথে ম্যাকাউর সম্পর্ক আরো নিবিড় করার জন্য ম্যাকাউর জন্য চীনা মূল ভূখণ্ডে আরো কিছু স্থান দেয়া হবে যেখানে ম্যাকাউ সরকার শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবার আরো উন্নয়ন ঘটাতে আধুনিক কমপ্লেক্স নির্মাণ করবে। ম্যাকাউতে হংকংয়ের মতো কোনো বিক্ষোভ নেই গণতন্ত্র ও সমাজতন্ত্র নিয়ে তাইওয়ানের মতো কোনো ঝামেলা নেই। মিডিয়াও সেখানেও কোনো ব্যাপার নয়। ম্যাকাউ চীনের জন্য কোনো ঝামেলা নয়, কারণ, চীন যা বলছে সেটিই সানন্দে প্রতিপালিত হচ্ছে। ২০০৩ সালে বিধানটি হংকংয়ে বলবৎ করার চেষ্টা করা হয় তখন কয়েক লাখ লোক রাস্তায় বিক্ষোভ করতে নেমে আসে এবং এই নিয়ম প্রত্যাহারের জন্য সরকারের ওপর চাপ প্রয়োগ করে।
চীনের জন্য ম্যাকাউ, হংকং ও তাইওয়ান গুরুত্বপূর্ণ। তিনটি অঞ্চলকেই চীন তার বলে দাবি করে। এই তিনটি দেশে মূল ভূখণ্ডের প্রচুর চীনা নাগরিক রয়েছে। ম্যাকাউ নিয়ে চীনের কোনো ঝামেলা ও মাথাব্যথা না থাকলেও হংকং ও তাইওয়ান নিয়ে চীনকে সাবধানে পা ফেলতে হচ্ছে। চীনের অভ্যন্তরে ম্যাকাউয়ের জন্য যে বিশেষ ভূমি বরাদ্দ করে শিক্ষা ও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স করা হয়েছে; তেমন প্রস্তাব তাইওয়ানকেও দেয়া হয়েছিল। তাইওয়ান সেটি প্রত্যাখ্যান করেছে। আবার হংকংয়ে এ ধরনের পদক্ষেপ নেয়ার প্রয়োজন নেই। ভারত তাইওয়ানকে সহায়তা দিয়ে চীনের সাথে বিরোধের আরো একটি ফ্রন্ট খুলেছে। ভারত মেকং অববাহিকা নিয়েও চীনের বিরুদ্ধে ‘অফেনসিভ’ খেলতে চায়। চীনও ভারতবিরোধী সীমান্ত ইস্যুগুলোকে উত্তপ্ত রেখেছে। অথচ চীন সীমান্তগুলো রক্ষা ও মজবুত করা ভারতের অন্যতম প্রধান কাজ। চীনের হাত থেকে হংকং বেরিয়ে যাওয়া অসম্ভব। তাইওয়ানের ক্ষেত্রেও তাই। এ দুটি দেশ ম্যাকাউ ফর্মুলা গ্রহণ না করলে চীন পরবর্তী পদক্ষেপ নেবে যেগুলো মোটেই ঠিক হবে না।
লেখক : অবসরপ্রাপ্ত যুগ্মসচিব ও গ্রন্থকার