কিসমিস না আঙুর, স্বাস্থ্যের জন্য কোনটা বেশি উপকারি?
কিসমিস না আঙুর - ছবি : সংগৃহীত
আঙুর থেকেই যে কিসমিস তৈরি হয়, এটা কারুরই অজানা নয়! আঙুল আমরা ফল হিসেবে খাই, আর কিসমিস হলো আঙুরেরই শুকনো রূপ। আঙুরকে রোদে বা হাওয়ায় শুকিয়ে কিসমিস বানানো হয়। বিভিন্ন রান্নায়ও ব্যবহৃত হয় কিসমিস, বিশেষ করে পিঠে-পায়েসে মাস্ট। কিসমিস এনার্জি বুস্টার হিসেবে পরিচিত এবং পটাশিয়াম, আয়রন এবং ক্যালসিয়ামের মতো পুষ্টিতে সমৃদ্ধ।
কিসমিস এবং আঙুর, উভয়ের পুষ্টিগুণ কিন্তু আলাদা হয়। তাই কারুর জন্য আঙুর ভালো, কারুর জন্য কিসমিস। অনেকের মনে প্রশ্ন জাগতেই পারে যে, এই দুইয়ের মধ্যে কোনটা স্বাস্থ্যের পক্ষে ভালো? আজকের এই আর্টিকেলে এ সম্পর্কেই বলব।
মিষ্টি
আঙুর শুকিয়ে এলে এতে চিনির পরিমাণ অনেক ঘন হয়ে যায়। তাই কিসমিসে আঙুরের চেয়ে বেশি চিনি থাকে। যারা ডায়াবেটিসে ভুগছেন তাদের জন্য এটি ক্ষতিকারক।
অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট
অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট, আমাদের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে এবং বিভিন্ন রোগ থেকে আমাদের দূরে রাখতে খুব গুরুত্বপূর্ণ। ফল শুকিয়ে গেলে, তার মধ্যে উপস্থিত যৌগটি ঘন হয়ে যায়। তাই কিসমিসে আঙুরের চেয়ে তিন গুণ বেশি অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকে।
ক্যালোরি
আঙুর এবং কিসমিসের মধ্যে বিচার করলে দেখা যায় যে কিসমিসে আঙুরের চেয়ে বেশি ক্যালোরি থাকে। কারণ কিসমিস আঙুরের চেয়ে বেশি শুকনো হয় যার ফলে ক্যালোরি ঘন হয়ে যায়। তাই, চিনির মতোই ক্যালোরির ক্ষেত্রেও কিসমিস অনেকটাই এগিয়ে আঙুরের চেয়ে।
ওজন কমাতে
যারা ওজন হ্রাস করার চেষ্টা করছেন, তাদের ক্ষেত্রে কিসমিস একটি ভাল বিকল্প হতে পারে। যদিও কিসমিসে ক্যালোরির মাত্রা বেশি থাকে, তাহলেও আঙুরের থেকে কিসমিস বেশি মাত্রায় মেদ ঝরাতে পারে!
কোনটা ভালো, কিসমিস না আঙুর?
উভয়ের মধ্যে কোনটা বেশি স্বাস্থ্যকর তা কোনো ব্যক্তির প্রয়োজনের ওপর নির্ভর করে। আপনি যদি অ্যান্টি-অক্সিডেন্টকে বেশি গুরুত্ব দিতে চান, তাহলে কিসমিস আপনার জন্য সবচেয়ে ভালো বিকল্প।
যদি চিনির মাত্রা বেড়ে যাওয়া নিয়ে সমস্যা থাকে, তাহলে আঙুর খান। এরপরও কোনো প্রশ্ন থাকলে চিকিৎসক বা পুষ্টিবিদের পরামর্শ নিন।
সূত্র : বোল্ডস্কাই
কোলেস্টেরল কমায় তরমুজ
প্রতিদিন এক টুকরো তরমুজ খেলে শরীরে ক্ষতিকারক কোলেস্টেরল বা চর্বিগঠনে বাধাগ্রস্ত হয়। ফলে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে। এ ছাড়া ওজন নিয়ন্ত্রণেও তরমুজ বিশেষভাবে সাহায্য করে। আমেরিকার একদল গবেষক এমনটাই দাবি করেছেন। ডেইলি মেইলের রিপোর্টে জানা যায়, বিষয়টি নিয়ে গবেষকরা কিছু ইঁদুরের ওপর পরীক্ষা চালান। এ সময় ইঁদুরগুলোকে অতিরিক্ত চর্বিযুক্ত খাবার ও তরমুজ খেতে দেয়া হয়। পরে দেখা যায়, অতিরিক্ত চর্বিযুক্ত খাবার গ্রহণের পরও ইঁদুরগুলোর রক্তে ক্ষতিকারক লিপোপ্রোটিন বা এলডিএলের পরিমাণ কম হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। রক্তে এলডিএল চর্বির ফলে ধমনিতে পানি জমে।
ফলে মানুষ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়। আমেরিকার পারডু বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা জানান, পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়, নিয়মিত তরমুজ খেলে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং রক্তে ক্ষতিকারক চর্বি রোধে তা বিশেষ ভূমিকা পালন করে। তরমুজের রসের মধ্যে যে রাসায়নিক উপাদান রয়েছে তার সাহায্যে এটি সম্ভব বলে তারা জানান।