চীনা প্রতিশোধে কঠিন বিপদে পড়বে মার্কিন প্রতিরক্ষা শিল্প!
এফ -১৫ -
চীন বিরল খনিজ মৃত্তিকা রফতানি বন্ধের কথা বিবেচনা করছে। এই খনিজসম্পদ যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা ঠিকাদারের জন্য এফ-৩৫ যুদ্ধ বিমান ও অত্যাধুনিক অস্ত্রশস্ত্র সজ্জিত লকেড মরটিন কর্প নির্মাণে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মঙ্গলবার দ্য ফিন্যানশিয়াল টাইমসের (এফটি) রিপোর্টে এ কথা বলা হয়।
চীনা সরকারের এক উপদেষ্টাকে উদ্ধৃত করে এফটি রিপোর্টে বলা হয়েছে, `সরকার জানতে চাচ্ছে, যদি চীন রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা দেয় তাহলে যুক্তরাষ্ট্র এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান তৈরিতে সমস্যায় পড়বে।'
চীনা শিল্প ও তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক মন্ত্রণালয় গত মাসে খসড়া প্রস্তাব করেছিল ১৭ বিরল খনিজ মৃত্তিকা উৎপাদন ও রফতানি নিয়ন্ত্রণের, যা বিশ্বে সরবরাহের ৮০ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ করে চীন।
যুদ্ধ বিমান যেমন এফ-৩৫, লকেড মারটিন উড়োজাহাজ নির্মাণে খুব বেশি নির্ভর করতে হয় বিরল খনিজ মৃত্তিকার ওপর। ইলেক্ট্রিক্যাল শক্তি ও ম্যাগনেট সিস্টেমের জন্য এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কংগ্রেশনাল রিসার্স সার্ভিসের রিপোর্টে বলা হয়েছে, প্রত্যেক এফ-৩৫ নির্মাণে বিরল খনিজ মৃত্তিকার ৪১৭ কেজি উপকরণ প্রয়োজন।
রফতানি বন্ধে চীনা পদক্ষেপটি চীন-যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক ও দেশ দু'টি একটি উদীয়মান যুদ্ধ প্রযুক্তির অবনতি সৃষ্টি করছে।
প্রকাশিত তথ্য বলছে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তির জন্য স্পর্শকাতর উপকরণ চীনা কোম্পানির থেকে আমদানি করতে ট্রাম্প প্রশাসন কঠোর প্রচেষ্টা চালিয়েছে। বাইডেন প্রশাসনও শঙ্কেত দিয়েছে যে এর রফতানি সীমিত ও নিশ্চিত করবে। কিন্তু মিত্রদের সাথে আরো নিবিড়ভাবে কাজ করবে।
সূত্র : জিও নিউজ।
বিদেশি দূতদের কাশ্মির পরিদর্শন `ধুম্রজাল' : পাকিস্তান
পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কোরেশি বলেছেন, বিতর্কিত অঞ্চলে মানবাধিকার লঙ্ঘনে অভিযুক্ত ভারত, বিশ্বের দৃষ্টি ভিন্ন দিকে ফেরাতে বিদেশি রাষ্ট্রদূতদের সংগঠিত করতে যাচ্ছে কাশ্মির পরিদর্শনের নামে ধুম্রজাল সৃষ্টির জন্য।
সোমবার এক বিবৃতিতে আরো বলা হয়, ভ্রমণ পরিচালনার মাধ্যমে হিমালয় উপত্যকায় স্বাভাবিক পরিস্থিতির একটি ভুল চিত্র দিতে চায় ভারত। যেখানে আংশিকভাবে নিয়ন্ত্রণ করছে ভারত ও পাকিস্তান। কিন্তু উভয় দেশই পুরো অঞ্চল দাবি করছে।
পারমাণবিক শক্তিধর প্রতিদ্বন্দ্বীরা মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ কাশ্মির রাজ্য নিয়ে এ পর্যন্ত দু'টি যুদ্ধ করেছে। ২০১৯ সালের ৫ আগস্ট নয়াদিল্লি ওই অঞ্চলের শায়ত্তশাসন বিলুপ্ত করে, সন্ত্রাসের অভিযোগে এটি ভেঙ্গে আলাদা দু'টি এলাকা করে কেন্দ্রীয় শাসন চাপিয়ে দেয়।
একই সাথে ওই অঞ্চল লকড ডাউন, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দসহ হাজার হাজার জনগণকে কারারুদ্ধ করা, আন্দোলনে নিষেধাজ্ঞা আরোপ এবং জোরপূর্বক সব ধরনের যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ করে দেয়া হয়। তবে ১৮ মাস পর চলতি মাসের শুরুতে ৪জি মোবাইল ইন্টারনেট সেবা পুন:রায় সচল করা হয়েছে।
পাকিস্তানের মুখপাত্র বলেন, প্রতিবেদন অনুযায়ী আসন্ন বিশ্ব প্রতিনিধিদের কাশ্মির পরিদর্শনের কোনো মানে নেই, যদি না তাদের অধিকার থাকে পুরো এলাকা পরিদর্শন ও সম্ভব না হয় মুক্তভাবে কাশ্মিরি জনগণের সাথে মিলিত হওয়ার এবং ভয় মুক্ত পরিবেশে সুশীল সমাজসহ বিচ্ছিন্নতাকামী নেতাদের সাথে বৈঠক করার।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, ‘বিশ্ববাসী পরিষ্কারভাবে দেখতে পাচ্ছে যে ১৮ মাস ধরে অব্যাহত কাশ্মির অঞ্চলে অমানবিক সামরিক অবৈধ অবরোধ।' `কাশ্মিরে বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ডকে মিথ্যা ইনকাউন্টার বলে মঞ্চস্থ করতে কর্ডন ও অনুস্ন্ধান অভিযান ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি করা হয়েছে, ইচ্ছেমতো গ্রেফতার, জোর করে গৃহবন্দি এবং বন্দিদের শারীরিক নির্যাতন বেড়েছে। কাশ্মিরি নেতৃবৃন্দ, সাংবাদিক, মানবাধিকারকর্মীরা কারারুদ্ধ। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা (আইএইচআরও) হয়রানির শিকার। এমন পরিস্থিতিতে কাশ্মিরিরা মৌলিক অধিকারসহ তারা নিজেদের অধিকারের কথা বলেও অস্বীকার করছে।
রাজ্যটির বিশেষ মর্যাদা তুলে নেয়ার পর ভারত অন্তত একই ধরনের দু'টি ভ্রমণের আয়োজন করেছে।
ভারতে প্রতি পাকিস্তানের আহ্বান, বর্তমান ভেতরগত পরিস্থিতি মূল্যায়নে কাশ্মির পরিদর্শনে অন্যান্যদের মধ্যে হিউম্যান রাইটস হাই কমিশন অফিস, জাতিসঙ্ঘ পর্যবেক্ষক, ওআইসি'র স্বাধীন সংসদীয় মানবাধিকার কমিশন, আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমকেও গ্রহণ করার।
সূত্র : ইয়েনি শাফাক