চীন যেভাবে অর্থনৈতিক সুপার পাওয়ার হয়ে ওঠল
চীন যেভাবে অর্থনৈতিক সুপার পাওয়ার হয়ে ওঠল - ছবি সংগৃহীত
কয়েক বছরের মধ্যেই চীন অর্থনীতির দিক দিয়ে আমেরিকাকে ছাড়িয়ে যাবে। বলা হয়ে থাকে আগামীতে বিশ্বের নেতৃত্ব চীনই দেবে। বর্তমানে চীন পৃথিবীর বৃহৎ রফতানিনিকারকদের তালিকায় রয়েছে। ২০১৮ সালে গৃহস্থালি জিনিসপত্রের ১৮.৬ শতাংশ চীনে তৈরি হয়েছিলো। আন্তজার্তিক বাজারে ৪১ শতাংশ কম্পিউটার, ৩৪ শতাংশ এয়ার কন্ডিশনার এবং ৭০ শতাংশ মোবাইল ফোন চীন রফতানি করছে। চীন কীভাবে এত বড় শক্তি হয়ে ওঠল? এবং কীভাবে চীন এত উন্নতি করল? চলুন চীনের উন্নতির যাত্রা সম্পর্কে জানা যাক।
চীনের উন্নতির যাত্রা দু'ভাবে শুরু হয়েছিলো। প্রথমটি ১৯৪৯ সালে চীনের কমিউনিস্ট বিপ্লবের সময় এবং দ্বিতীয়টি ১৯৭৬ সালে মাও সে তুংয়ের মৃত্যুর পর শুরু হয় এবং সেটা এখনো পর্যন্ত চলছে। ১৯৪৯ সালে কমিউনিস্ট বিপ্লবের পর চীনা নেতা মাও সে তুং সারা পৃথিবী থেকে আলাদা হয়ে চীনকে পৃথিবীর সবচেয়ে শক্তিশালী ও উন্নত রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তোলার কাজ শুরু করেন। কারণ তৎকালীন সময়ে আমেরিকা ও ইউরোপ ক্যাপিটালিজম বা পুঁজিবাদী নীতি কাজে করতো (এখনো করে)। আর তা ছিলো চীনা নেতা মাও সে তুং এর কাছে লুটপাটের কারখানা। তাই মাও সে তুং চীনকে পরিপূর্ণ কমিউনিস্ট ব্যবস্থায় গড়ে তুলতে চেয়ে ছিলেন। মাও সে তুং চেয়েছিলেন চীন তার সকল প্রয়োজনীয় জিনিস স্বয়ং উৎপাদন করবে। কমিউনিজমে ব্যক্তিগত ব্যবসা ধারণার কোনো অস্তিত্ব ছিলো না। যেহেতু কমিউনিজমে সকল ব্যবসা ও শিল্পপ্রতিষ্ঠান সরকারের মালিকানাধীন তাই মাও সে তুং সরকারের মালিকাধীন অনেকগুলো শিল্প ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেন। চীন যেহেতু পৃথিবীর সবচেয়ে জনবহুল দেশ তাই মাও সে তুংয়ের বিশ্বাস ছিলো চীনের জনশক্তি অসম্ভবকেও সম্ভব করতে পারবে। মাও সে তুংয়ের সবচেয়ে বড় প্রকল্প ছিলো গ্রেট লিপ ফরোয়ার্ড (Great Leap Forward) বা সামনের দিকে লম্বা লাফ। যা ১৯৫০ সালে শুরু হয়েছিলো। গ্রেট লিপ ফরোয়ার্ডের উদ্দেশ্য ছিলো প্রচুর পরিমাণে স্টিল উৎপাদন। স্টিল মেশিন উৎপাদনে প্রচুর ব্যবহৃত হয়।
মাও সে তুং ভাবতেন, চীন যদি স্টিল উৎপাদনে স্বয়ং সম্পূর্ণ হয় তাহলে চীনে প্রচুর মেশিন তৈরি হবে। ওইসব মেশিন দিয়ে চীনে প্রচুর শিল্প কারখানা প্রতিষ্ঠিত হবে এবং চীন খুব দ্রুত উন্নতি করবে। সে জন্য চীনে খনি থেকে লোহা উত্তোলন করা হলো। অনেক জায়গায় স্টিলের কারখানা তৈরি হলো। চীনা সরকার জোরপূর্বক লোকদের দিয়ে সেসব কারখানায় কাজ করাতো।
কিন্তু এখানে একটি সমস্যা ছিলো। চীনা সরকার স্টিল উৎপাদনে সবচেয়ে গুরুত্ব দিয়ে কৃষিখাতকে অবমূল্যায়ন করে। শুধু তাই না অনেক কৃষককে দিয়ে জোরপূর্বক স্টিল কারখানায় কাজ করানো হতো। ফলে কম চাষাবাদ ও বৃষ্টি না হওয়ার কারণে চীনে খাদ্য উৎপাদন অনেক কমে যায়। চীনে খাদ্য উৎপাদন কম হওয়ার ফলে চীনা নাগরিকরা খাবার অভাবে প্রাণ হারাতে লাগলো। যারা সরকারি গুদাম থেকে খাদ্য চুরি করত তাদের হত্যা করা হতো। এভাবে কয়েক বছরের মধ্যে অনেক চীনা নাগরিক প্রাণ হারালো। তারপর এই প্রকল্প বন্ধ করতে হলো।
এই ব্যর্থ প্রকল্পের ফলে চীনা জনগণের মনে প্রচুর ক্ষোভ জমতে লাগলো এবং কিছু দিনের মধ্যে চীনে কমিউনিজমবিরোধী আন্দোলন শুরু হলো। এই আন্দোলনের ফলে মাও সে তুংয়ের ক্ষমতাও কমতে লাগলো। ১৯৬০-এর দশকে মাও সে তুং আবারো তার কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে চীনে সংস্কৃতিক বিপ্লব শুরু করেন। সংস্কৃতিক বিপ্লবের নামে মাও সে তুংয়ের লাল ফৌজ কমিউনিজমের বিরোধীদের হত্যা করে কিংবা কঠোর শাস্তি দেয়। সাংস্কৃতিক বিপ্লবের ফলে চীন সারা পৃথিবী থেকে সম্পূর্ণভাবে বিছিন্ন হয়ে গেল। চীনের জনগণ এবং কমিউনিস্ট পার্টির অনেক শীর্ষ নেতাও বুঝতে পারছিলেন যে উন্নতির জন্য ব্যক্তি মালিকানাধীন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান প্রয়োজন। তাই ধীরে ধীরে চীন পুঁজিবাদী ব্যবস্থার দিকে এগিয়ে যাচ্ছিলো। কিন্তু এক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছিলো আমেরিকা ও ইউরোপের সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিক করা। অবশেষে পাকিস্তানের সহযোগিতায় চীন আমেরিকার সাথে সম্পর্ক ভালো করতে সফল হলো। ১৯৭১ সালে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেনরি কিসিঞ্জার পাকিস্তান থেকে গোপন সফরে চীন পৌঁছান। তারপর ১৯৭২ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সন চীন সফরে যান। এর ফলে চীন ও আমেরিকার সম্পর্ক ভালো হতে শুরু করে। এর মাধ্যমে চীন তাঁর উন্নতির পথে চলা শুরু করলো।
১৯৭৬ সালের মাও সে তুংয়ের মৃত্যুর পর চীনের সুপ্রিম লিডার হন দেং জিয়াও পিং। দেং জিয়াও পিং পুঁজিবাদী ব্যবস্থায় চীনকে পরিচালানা করতে প্রস্তুত ছিলেন। দেং জিয়াও পিং ক্ষমতায় আসার সাথে সাথে তিনি চীনে পূঁজিবাদী ব্যবস্থায় অর্থনৈতিক উন্নয়নের কাজ শুরু করেন। ১৯৭৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে ডেং জিয়াও পিং আমেরিকা সফরে যান। এটিই ছিলো কমিউনিস্ট বিপ্লবের পর কোন চীনা নেতার প্রথম আমেরিকা সফর। এই সফরের ফলে চীন কমিউনিজম ত্যাগ করবে এরকম বার্তা সারা দুনিয়ায় ছড়িয়ে গেল। দেং জিয়াও পিং আমেরিকা সফর থেকে ফিরে চীনে ব্যক্তিগত ব্যবসা প্রতিষ্ঠার অনুমোদন দেন। বিদেশী বিনিয়োগকারীদের জন্য চীনকে খানিকটা উন্মুক্ত করেন। চীনে ৪টি অর্থনৈতিক জোন প্রতিষ্ঠা করেন। এসব অর্থনৈতিক জোনের মধ্যে হাজার হাজার কারখানা প্রতিষ্ঠা করা হয়। যাদের পশ্চিমা দেশগুলোতে পণ্য রফতানির অনুমতি ছিলো। চীনের অর্থনৈতিক জোনের এসব কারখানা ব্যক্তি মালিকানাধীন ছিলো এবং ট্যাক্সও কম ছিলো। চীন যখন এসব পণ্য আন্তজার্তিক বাজারে ছাড়লো তখন এসব পণ্য খুব দ্রুত বিক্রি হয়ে গেল। কারণ চীনা পণ্যের দাম অন্যান্য দেশের পণ্যের চেয়ে কম ছিলো। এভাবে আন্তর্জাতিক বাজারে চীনা পণ্যের চাহিদা তৈরি হলো এবং চীন প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করতে লাগলো।
১৯৮০ সালে চীনের জিডিপি ছিলো মাত্র ১৯১.১ বিলিয়ন ডলার। যা ১৯৯০ সালে ৩৬০ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়। দেং জিয়াও পিংয়ের অর্থনৈতিক জোনের প্রকল্প মাও সে তুংয়ের প্রকল্পের চাইতে অনেক সফল হয় এবং চীনকে অর্থনৈতিক উন্নতি দিতে থাকে। যেসব জায়গায় অর্থনৈতিক জোন প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিলো সেসব জায়গা খুব দ্রুত আধুনিক শহরে পরিণত হলো। চীনের সেনজেন নামক গ্রাম যার জনসংখ্যা ১৯৮০ সালে মাত্র ৫৯ হাজার ছিলো, আজ সেই গ্রাম এক অত্যাধুনিক শহর এবং যার জনসংখ্যা ১ কোটিরও বেশি। এভাবে চীন ধীরে ধীরে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন করছিলো। এত কিছুর পরেও চীনা সরকার পুরো চীনে পূঁজিবাদী অর্থনীতি চালু করেনি। কিন্তু ১৯৮৯ সালের একটি ঘটনার কারণে চীনা সরকার পুরো চীনেই অর্থনৈতিক জোনের অনুমোদন দেয়। ১৯৮৯ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন আফগানিস্তানে পরাজিত হয় ফলে আংশিক কমিউনিস্ট দেশ চীনে গণতন্ত্রের জন্য আন্দোলন শুরু হয়। বেইজিংয়ের তিয়ানমিন স্কয়ারে কয়েক লাখ মানুষ গণতন্ত্রের জন্য আন্দোলন করতে থাকে। চীনা সরকার চীনা সেনাবাহিনীকে আন্দোলন দমনের নির্দেশ দেয়। চীনা সেনাবাহিনী ট্যাংক দিয়ে আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা করে। লাখো আন্দোলনকারীকে তিয়ানমিন স্কয়ারে হত্যা করা হয়। এভাবে চীনে গণতন্ত্রের আন্দোলন ব্যর্থ হয়।
কিন্তু এই আন্দোলন চীনা সরকারকে বুঝিয়ে দেয় যে, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা রুখতে হলে জনগণকে দারিদ্র থেকে মুক্তি দিতে হবে জনগণকে ধনী করতে হবে। তাই চীনা সরকার পুরো চীনা ব্যক্তি মালিকাধীন ব্যবসা প্রতিষ্ঠার অনুমোদন দেয় এবং চীনকে বিদেশী বিনিয়োগকারীদের জন্য উন্মুক্ত করে। চীন সাংহাই সিকিউরিটি এক্সচেঞ্জও উন্মুক্ত করে।
বিদেশী বিনিয়োগকারীরা সস্তা শ্রমিকের লোভে চীনে প্রচুর বিনিয়োগ করে এবং চীনের উন্নতির গতি দ্বিগুণ হয়ে যায়। কিন্তু তাও হয়তো চীন বর্তমানের এত উন্নতি করতে পারতো না যদি না চীন Counterfeit Products বা নকল পণ্য তৈরি করতো। আন্তজার্তিক বাজারের ৮৫ শতাংশ নকল পণ্য চীনে তৈরি হয়। বিখ্যাত ব্র্যান্ডের নকল পণ্য তৈরিতে চীন ওস্তাদ। চীনা বাজারের ২০ শতাংশ পণ্যও নকল। ২০০৮ সালে Ferrero নামক ইটালিয়ান চকলেট কোম্পানি একটি চীনা কোম্পানির বিরুদ্ধে নকল পণ্য উৎপাদন করার মামলাও জিতে। এভাবে চীন নকল কিন্তু সস্তা পণ্য দিয়ে আন্তজার্তিক বাজারে চীনা পণ্যের বিক্রি বাড়িয়ে চীনের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি দ্রুত থেকে দ্রুততর করে। নকল পণ্য বানানোর জন্য চীনকে আন্তজার্তিক অবরোধের কবলে পড়তে হয় নি। বরং ১৯৯৮ সালে চীন যখন বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থায় সদস্যপদের আবেদন করে, তখন আমেরিকা চীনকে সমর্থন করে। কারণ তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন মনে করতেন এর ফলে পশ্চিমা বিনিয়োগকারীরা অনেক সুবিধা পাবে এবং চীন তার অর্থনীতি শক্তিশালী করার সুযোগ পাবে। তখন আমেরিকা চীনকে হুমকি মনে করতো না। কারণ তখন আমেরিকার জিডিপি ছিলো ৯ ট্রিলিয়ন ডলার এবং চীনের জিডিপি ছিলো ১ ট্রিলিয়ন ডলার। দু'দেশের জিডিপির বেশ বড় পার্থক্য ছিলো।
কিন্তু চীন বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার সদস্য হওয়ার পর চীন আরও দ্রুত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে লাগলো। চীন পৃথিবীর সবচেয়ে জনবহুল দেশ হওয়ায় বিদেশী বিনিয়োগকারীরা সস্তা শ্রম ছাড়াও আরেকটি কারণে চীনে বিনিয়োগ করেন। কারণটি হলো যদি কোন ব্যবসা চীনে শুরু করা হয় তাহলে ১৪৪ কোটি ক্রেতা তারা চীনের ভিতরেই পাবে। যা ব্যবসায়িক লাভ তোলার জন্য যথেষ্ট। এভাবেই চীনের বিশাল জনসংখ্যা চীনের অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রধান হাতিয়ার। ২০০৮ সালে যখন বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দা শুরু হয় তখন চীনের রাষ্ট্রপতি হু জিন তাও শিল্প কারখানা ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের জন্য ৫৮৬ বিলিয়ন ডলারের প্রণোদনা প্রদান করেন। ফলে খুব দ্রুত চীন অর্থনৈতিক মন্দা থেকে বেরিয়ে আসে। চীনের বর্তমান প্রেসিডেন্ট শি জিন পিং জানতেন যে, অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য শিল্প কারখানায় পণ্য উৎপাদনই যথেষ্ট নয়। বরং পণ্য গ্রাহকদের কাছে পৌঁছে দেওয়াও প্রয়োজন। তাই চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিন পিং ২০১৩ সালে ওয়ান বেল্ট ওয়ান রোড প্রকল্প শুরু করে। এর মাধ্যমে চীন ৬০টিরও বেশি দেশে রাস্তা, রেল সংযোগ এবং বন্দর তৈরি করছে। চীন তার সীমান্তবর্তী শহর থেকে লন্ডন পর্যন্ত রেল লাইন বসিয়েছে পণ্য আমদানি রপ্তানির জন্য। যার দৈর্ঘ্য ১২ হাজার কিলোমিটার। ওয়ান বেল্ট ওয়ান রোড প্রকল্পের প্রধান অংশ হলো CPEC বা চীন পাকিস্তান ইকোনোমিক করিডোর। এছাড়াও চীন ১৮৩৩ কিলোমিটার লম্বা পাইপলাইন বসিয়ে তুর্কিমেনিস্তান থেকে গ্যাসও নিচ্ছে। ওয়ান বেল্ট ওয়ান রোড প্রকল্পের মাধ্যমে চীন ব্যবসায়িক লাভও তুলছে এবং ৬০টিরও বেশি দেশে চীন নিজের প্রভাব বাড়াচ্ছে। যা আমেরিকার মনে ভীতি ধরিয়ে দিয়েছে। ২০১৮ সালে চীনের জিডিপি ছিলো ১৩.৬১ ট্রিলিয়ন ডলার এবং আমেরিকার জিডিপি ছিলো ২০.৫৪ বিলিয়ন ডলার। বিশেষজ্ঞরা বলেন ২০২৫ সাল নাগাদ চীনের জিডিপি হবে ২২ ট্রিলিয়ন ডলার এবং আমেরিকার জিডিপি হবে ২১ ট্রিলিয়ন ডলার।
অর্থাৎ ২০২৫ সাল নাগাদ চীন পৃথিবীর সবচেয়ে বড় অর্থনীতি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে। বিশেষজ্ঞরা এটাও বলেন যে, চীন খুব দ্রুত সবচেয়ে বড় সামরিক শক্তি হিসেবে আত্নপ্রকাশ করবে। কিন্তু চীনে মত প্রকাশের স্বাধীনতা না থাকা, গণতন্ত্র না থাকা এবং ধনী গরিবের বিস্তর পার্থক্য চীনে নয়া গণ আন্দোলন শুরু করতে পারে। তাই বলা যায় চীন অবশ্যই অর্থনৈতিক সুপার পাওয়ার কিন্তু আমেরিকার সমতুল্য হতে চীনের এখনো অনেক পথ বাকী।
তথ্যসূত্র
হাউ চায়না বিক্যাম অ্যা ইকোনমিক সুপার পাওয়ার: বিএস, হিস্টরি অব চায়না: ডিএসজে, ওয়ান বেল্ট ওয়ান রোড: উইকিপিডিয়া, ইনভেস্টোপিডিয়া, জেনজিঙ্গা, রয়টার্স, ক্যাপিটালিজম উইথ চায়নিজ, ক্যারিকটারিস্টিকস: ইয়াশেঙ হাঙ, দি চায়নিজ ইকোনমি: ব্যারি নঙটন, রেড ক্যাপিটালিজম: কার্ল ওয়াল্টার অ্যান্ড ফ্রেসার হাউ, অ্যালাইসিং চায়নিজ গ্রে ইনকাম: ওয়াং জিয়ালু
লেখক : সাবেক শিক্ষার্থী, আঙ্কারা বিশ্ববিদ্যালয়, তুরস্ক