মিয়ানমার সেনাবাহিনীর ব্যবসায়িক সাম্রাজ্য

জান্নাত খাতুন | Feb 13, 2021 02:39 pm
সু চি

সু চি - ছবি সংগৃহীত

 

মিয়ানমার বা বার্মায় আশ্চর্য এক রীতি আছে। তা হলো এই যে যখন কারো সন্দেহ হয় যে তার ঘরে দুষ্টু ও খারাপ আত্মা ঢুকেছে। তখন তিনি এক অদ্ভূত কাজ করেন। তিনি জানলায় গিয়ে তার বাসনপত্রকে লাঠি বা অন্য কিছু দিয়ে আঘাত করে আওয়াজ সৃষ্টি করে। মিয়ানমারের লোকদের ধারণা, এভাবে সেই দুষ্টু ও খারাপ আত্মা ঘর থেকে বেরিয়ে যায়।

মিয়ানমারের লোকেরা এই পদ্ধতিটিই তাদের নতুন সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ হিসেবে ব্যবহার করছে। ২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারে সেনাবাহিনী ক্ষমতা গ্রহণ করে এবং তার পর দিন ২ ফেব্রুয়ারি রাত ৮ টায় বাসনপত্র বাঁজিয়ে প্রতিবাদ শুরু হয়ে যায়। মিয়ানমারের রাজধানী ইয়াঙ্গুনের অধিবাসীরা রাস্তায় না নামলেও তারা তাদের বাড়ির জানালায় বাসনপত্র বাজিয়ে প্রতিবাদ জানাতে থাকে। গাড়িচালক ও সাইকেল আরোহীরা হর্ণ ও বেল বাজিয়ে এই প্রতিবাদে অংশগ্রহণ করে। এর মাধ্যমে তারা মিয়ানমারের সামরিক জান্তাকে বার্তা দিতে চায় যে তারা মনে করে তাদের দেশে ভূত কব্জা করেছে। এছাড়াও সামরিক সরকারকে অসহযোগিতা করার ঘোষণাও দেয়া হয়েছে। ৭০টি হাসপাতালের সকল কর্মচারী কর্ম বিরতির ঘোষণা দিয়েছে। এখন পর্যন্ত অং সান সু চি ও পার্লামেন্ট সদস্যরাও গৃহবন্দী অবস্থায় আছে।

মিয়ানমার সেনাবাহিনীর দাবি ২০২০ সালে হওয়া নির্বাচনে অং সান সু চি কারচুপি করিয়েছিলেন। যার জন্য ক্ষমতা গ্রহণ জরুরি হয়ে পড়েছিলো। ২০২০ সালের নির্বাচন সূচির দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্র্যাসি বা এনএলডি ৮৩ শতাংশ আসন জিতে নেয়। সেনা-সমর্থিত দল ইউনিয়ন সলিডারিটি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ করলেও কোনো প্রমাণ পেশ করেনি। মিয়ানমারের নির্বাচন কমিশনও বলেছিলো যে নির্বাচনে বড় ধরণের কোনো কারচুপি হয়নি। যদিও ভোটার লিস্টে কিছুটা গড়মিল ছিল। এসব ছোটখাট সমস্যাকে পুঁজি করে মিয়ানমার সেনাবাহিনী ক্ষমতা গ্রহণ করে। ২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি নয়া সরকারের ক্ষমতা নেয়ার কথা থাকলেও ওই দিন সেনাবাহিনী ক্ষমতা গ্রহণ করে।

সেনাবাহিনী বলছে, এক বছরের মধ্যে নতুন নির্বাচন করে নতুন সরকারের হাতে ক্ষমতা তুলে দেয়া হবে। তো এখন স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠে, মিয়ানমার সেনাবাহিনী কেন বারবার ক্ষমতা দখল করে এবং সু চি সরকার মেনে নিতে তাদের অসুবিধা কোথায়? এর আগের নির্বাচন তথা ২০১৬ সালের নির্বাচন মিয়ানমারের ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। কারণ এর আগে ১৯৬২ সাল থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত টানা ৪৯ বছর সামরিক সরকার মিয়ানমারের ক্ষমতায় ছিলে। ২০১১ সালে রাজনৈতিক সরকার এলেও তা মিয়ানমার সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত অফিসারই পরিচালনা করত। ১৯৬২ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত ৫৪ বছর মিয়ানমার শাসিত হয়েছে সেনা সরকার।

সু চি মিয়ানমারের জনপ্রিয় নেত্রী। তার বাবা অং সান ১৯৪৭ সালে মিয়ানমারের স্বাধীনতার জন্য প্রাণ দিয়েছিলেন। যার ছয় মাস আগে মিয়ানমার স্বাধীন হয়। এজন্য মিয়ানমারের মানুষ সু চি ও তার বাবাকে প্রচণ্ড সম্মান করে। ১৯৯০ সালে হওয়া সাধারণ নির্বাচনে সু চির দল জয়ী হয়। তাও মিয়ানমার সেনাবাহিনী কারচুপির অভিযোগ করে ফলাফল বাতিল করে, সু চিকে গৃহবন্দী করে। ২০ বছর ধরে সু চি কিছু দিন পর পর গৃহবন্দী হতে থাকেন। ২০১০ সাল থেকে সু চি ও সেনাবাহিনীর ভিতর গুপ্ত দরজা দিয়ে আলোচনা হতে থাকে। মিয়ানমার সেনাবাহিনী বুঝতে পারছিলো, আজ না হয় কাল সু চিকে ক্ষমতায় বসানো লাগবেই। কিন্তু সেনাবাহিনী সকল ক্ষমতা তাদের হাতে রেখেই তা করবে। তাই সেনাবাহিনী সু চির সামনে বেশ কয়েকটি শর্ত রাখলো। সু চি সেনাবাহিনীর এসব শর্ত মেনে নেয়। এই শর্তগুলোর মধ্যে প্রথম ছিলো সংসদের আসনে ২৫ শতাংশ থাকবে সেনাবাহিনীর। দ্বিতীয় হলো গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয় যেমন- প্রতিরক্ষা, স্বরাষ্ট্র, অর্থ মন্ত্রালয় সেনাবাহিনীর কাছে থাকবে। তৃতীয় ছিলো, সেনাবাহিনী সরকারের নিয়ন্ত্রণ থেকে স্বাধীন থাকবে। এই তিনটি শর্তই সু চি মেনে নেয়। এছাড়াও সেনাবাহিনী আরো একটি শর্ত দেয়। আর তা হলো যেহেতু সু চির স্বামী ও সন্তানও ব্রিটিশ নাগরিক। তাই তিনি মিয়ানমারের প্রেসিডেন্ট হতে পারবে না, যা ২০০৮ সালের সংবিধানে সেনাবাহিনী যুক্ত করে। সু চির বিয়ে ১৯৭২ সালে হয়, তার স্বামী মাইকেল হ্যারিস ছিলেন ব্রিটিশ নাগরিক। ১৯৯৯ সালে সু চির স্বামী মারা গেলেও তার সন্তানের ব্রিটিশ নাগরিকত্ব থেকে যান। সেনাবাহিনী এই অজুহাতে সু চির প্রেসিডেন্ট হওয়া রোধ করে। সূচির বদলে তার দলের অন্য কাউকে প্রেসিডেন্ট বানানো হয় এবং তার জন্য নতুন পদ স্টেট কাউন্সিলর বানানো হয়। সু চি এই শর্তও মেনে নেন।

কিন্তু এখানেই শেষ নয়। সেনাবাহিনী আরো শর্ত দেয় যে সু চি সবসময় আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সেনাবাহিনীকে সমর্থন করবে। কারণ মিয়ানমারের সেনাবাহিনী মিয়ানমারের সংখ্যালঘু গোষ্ঠীর ওপর দমন পীড়ন করছিলো। বিশেষ করে রোহিঙ্গা মুসলিমদের ওপর। সেনাবাহিনী চাইত, সু চি যেন এই কাজগুলোর সাফাই গান। সু চি এই শর্তও মেনে নেন। এই জন্যেই যখন সু চি ক্ষমতা পাওয়ার ব্যাপারে অনেকটা এগিয়ে যান, তখন তিনি রোহিঙ্গা গণহত্যা ও তাড়ানোর পক্ষে অবস্থান নেন। আর সু চির এই কাজের ধারার একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা হয় ২০১৩ সালে। সু চি বিবিসিতে একটি ইন্টারভিউ দিচ্ছিলেন। ইন্টারভিউর উপস্থাপক মিশেল হোসেন সু চিকে রোহিঙ্গা নিপীড়নের ব্যাপারে প্রশ্ন করেন। এসব প্রশ্নের উত্তরে সু চি রোহিঙ্গা নিপীড়নের পক্ষে সাফাই গাইতে থাকেন। ইন্টারভিউ শেষ হওয়ার পর সু চি বলেন, আমাকে আগে বলা হয়নি যে আমার ইন্টারভিউ এক মুসলিম নারী নেবে। সু চি এই বক্তব্যের কারণে সমালোচিত হন। কিন্তু সু চির জন্য আরো বড় সমস্যা অপেক্ষা করছিল। ২০১৫ সালের নির্বাচনে সু চির দল ৭০ শতাংশেরও বেশি ভোট পায়। ২০১৬ সালে সু চির হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করা হয়। সু চি হন মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সিলর। যার কাছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ আরো কিছু মন্ত্রণালয় দেয়া হয়। ক্ষমতা পাওয়ার পর সু চি সব জায়গায় সেনাবাহিনীর সমর্থনে বক্তৃতা দিতে থাকেন।

২০১৯ সালে যখন হেগের আন্তর্জাতিক আদালতে রোহিঙ্গা গণহত্যার জন্য মামলা করা হয় মিয়ানমার সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে। তখন সু চি তা প্রত্যাখান করেন এবং নিজে একটি দলসহ আন্তর্জাতিক আদালতে পৌঁছান। সেখানে সু চি বলেন মিয়ানমারের পরিস্থিতি অনেক জটিল। একে কোনোভাবেই গণহত্যা বলা যায়। শুধু এতটুকুই না সু চি সংঘর্ষ শুরু হওয়ার দায়ও রোহিঙ্গা মুসলিমদের ওপর চাপিয়ে দেন। সু চি বলেন, প্রথমে আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি সেনাবাহিনীর ওপর হামলা করে। তারপর মিয়ানমার সেনাবাহিনী তাদের আক্রমণ করে। সু চির এই বক্তব্যে আন্তজার্তিক মহলের সকলকে অবাক করে দেয়। সু চির নোবেল পুরস্কার ফিরিয়ে নেয়ার জন্য দাবি উঠতে থাকে।

সু চির ভাগ্য ভালো যে নোবেল পুরস্কার একবার দেয়ার পর ফিরিয়ে নেয়ার নিয়ম নেই। তাই সু চির নোবেল পুরস্কার সু চির কাছে থেকে যায়। যদিও সিটি অফ লন্ডন কর্পারেশনের পক্ষ থেকে দেয়া সম্মাননা ফিরিয়ে নেয়া হয়। কিন্তু এত কিছুর পরও সু চির শেষ রক্ষা হলো না। ৫ বছর ক্ষমতা থেকে কাগজে কলমে বাইরে থাকার পর সেনাবাহিনী আবার ক্ষমতায় ফিরে আসে। তো এখন প্রশ্ন হলো সু চি এত সমালোচনা সহ্য করে সেনাবাহিনীর এত কিছু করার পরও ক্ষমতায় থাকতে পারলো না কেন?

এর উত্তর হলো মিয়ানমার সেনাবাহিনীর স্বার্থের সুরক্ষার জন্য মিয়ানমার সেনাবাহিনী বেসামরিক লোকদের ক্ষমতায় বেশি সময় থাকতে দেয় না। বেসামরিক নেতৃবৃন্দ যতই সমঝোতা করুক না কেন সেনাবাহিনীর সন্তুষ্ট হবে না। তো সেনাবাহিনীর স্বার্থগুলো কী? এই স্বার্থ হলো মিয়ানমার সেনাবাহিনীর ব্যবসায়িক স্বার্থ। মিয়ানমারের জ্বালানি তেলের ব্যবসা, চিনিকল ও আবাসন খাতের ব্যবসা সেনাবাহিনী নিজেরাই করে কিংবা অংশীদারিত্বে করে। মিয়ানমার সেনাবাহিনী এমন দুটি প্রতিষ্ঠানের মালিক যারা মিয়ানমারের ১০৮টি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করে। এই প্রতিষ্ঠান সকল প্রয়োজনীয় পণ্য মিয়ানমারে উৎপাদন করে ও বিক্রি করে। এছাড়া মিয়ানমারের সকল বন্দর ও টেলিফোন সিস্টেম মিয়ানমার সেনাবাহিনী নিয়ন্ত্রণ করে প্রতিরক্ষার অজুহাতে। বিদেশী সরকার ও প্রতিষ্ঠানগুলো বলে থাকে এসব ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান দুর্নীতির আঁতুড়ঘর। এসব ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর প্রত্যেক সদস্য প্রচুর সম্পদ গড়ছে। এসব ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর অফিসারদের শেয়ার রয়েছে। মিয়ানমার সেনাবাহিনীর বর্তমান প্রধান মিন অং লাই এসব ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের মালিকদের একজন। মিয়ানমারের অর্থনীতি সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণে। মিয়ানমার সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত অফিসাররাও ব্যবসার শেয়ার হোল্ডার। মিয়ানমারে ব্যবসা করতে হলে সেনাবাহিনীর অনুমতি প্রয়োজন হয়।

শুধু বৈধ ব্যবসাই না বেআইনি ব্যবসাও মিয়ানমারের সেনাবাহিনী করে থাকে। মিয়ানমারের সেনাবাহিনী মিয়ানমার থেকে মাদক দ্রব্যের চোরাচালান করে। আর সীমান্ত তো তাদের নিয়ন্ত্রণেই থাকে। মিয়ানমার আফগানিস্তানের পর পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহৎ আফিম উৎপাদনকারী দেশ। মিয়ানমার সেনাবাহিনী প্রতি বছর ৬০ বিলিয়ন ডলারের আফিম, হেরোইনসহ অন্যান্য মাদকদ্রব্য অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান ও অন্যান্য দেশে বিক্রি করে। মিয়ানমার, লাওস ও থাইল্যন্ডের মিলিত সীমান্তকে গোল্ডেন ট্রাইএঙ্গেল বলা হয়। এখান দিয়ে বেশির ভাগ মাদক প্রকাশ্যে চোরাচালান করা হয়। মিয়ানমার সেনাবাহিনী-সমর্থিত মিলিশিয়ারা আফিম চাষ করে থাকে। মিয়ানমার সেনাবাহিনী ও বর্ডার পুলিশ এসব মাদক বিক্রি করে টাকার কামাচ্ছে, তাদের প্রতিপক্ষকে নেশায় ডুবিয়ে দুর্বলও করছে। যদিও মিয়ানমারের কিছু সংগঠন এসবের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে। কিন্তু তা মিয়ানমার সেনাবাহিনীর কোনো ক্ষতি করতে পারে না। মিয়ানমার সেনাবাহিনী এভাবে যে অর্থ উপার্জন করে তা দিয়ে তারা বিরোধী মত দমন করে। এসব ব্যবসার কারণে আমেরিকার অবরোধও তেমন কোনো সমস্যার সৃষ্টি করে না। এসব অবরোধে সাধারণ জনগণ ক্ষতিগ্রস্ত হলেও মিয়ানমার সেনাবাহিনীর কিছুই হয় না। তারা টাকা কামায় এবং নিশ্চিন্তে রোহিঙ্গা মুসলিমসহ অন্যান্য গোষ্ঠীর ওপর নির্যাতন চালায়। তাই এসব কারণে মিয়ানমার সেনাবাহিনী তাদের বিস্তৃত ব্যবসায় কাউকে হস্তক্ষেপ করতে দেয় না। যদি বেসামরিক সরকার ক্ষমতায় সব সময় থাকে তাহলে তা কোনো না কোনো সময় সেনাবাহিনীর ব্যবসায় হস্তক্ষেপ করবে। তাই সেনাবাহিনী বেশি দিন বেসামরিক সরকারকে ক্ষমতায় থাকতে দেয় না।

জনপ্রিয় নেত্রী বা নেতাকে বেশি দিন সরিয়ে রাখা সম্ভব নয়, কাজটি সহজও নয়। তাকে সরানোর জন্য দরকার এমন অজুহাত- যার কিছুটা সত্যও হতে হবে। আর তা মিয়ানমার সেনাবাহিনীর কাছে আছে। সেটি হলো জাতীয় নিরাপত্তা। এই অজুহাতেই মিয়ানমার সেনাবাহিনী বারবার ক্ষমতা গ্রহণ করে, এই অজুহাতেই সেনাবাহিনী নিজেদের রাজনৈতিক দল ইউনিয়ন সলিডারিটি ডেভেলপমেন্ট পার্টি গঠন করেছিল। এই দলের জন-সমর্থন না থাকলেও সেনা-সমর্থন আছে। তাই এই দল হেরে যাওয়ায় মিয়ানমার সেনাবাহিনী ক্ষমতা দখল করেছে। মিয়ানমারের জনগণ সেনা-সরকারের বিরুদ্ধে ছোটখাট প্রতিবাদ করছে। যদি বড় প্রতিবাদও করে, তাহলেও তা সেনাবাহিনীর জন্য নতুন কিছু নয়। ১৯৮৮ সালে এরকমই আন্দোলনকে মিয়ানমার সেনাবাহিনী কঠোরভাবে দমন করেছে। সেনাবাহিনী হাজারো মানুষকে হত্যা ও গ্রেফতার করেছিল। সব মিলিয়ে মিয়ানমার সেনাবাহিনী তাদের ব্যবসায়িক স্বার্থ রক্ষার জন্য এসব সবসময়ই করবে। এতে কোনো সন্দেহ নেই। আর আমেরিকাও চীনের সাথে প্রত্যক্ষ সংঘর্ষ ছাড়া এটার সমাধান হয়তো করতে পারবে না।

তথ্যসূত্র : আল জাজিরা, ভিওএক্স, রয়টার্স, বিবিসি

লেখক : সাবেক শিক্ষার্থী, আঙ্কারা বিশ্ববিদ্যালয়, তুরস্ক


 

ko cuce /div>

দৈনিক নয়াদিগন্তের মাসিক প্রকাশনা

সম্পাদক: আলমগীর মহিউদ্দিন
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সালাহউদ্দিন বাবর
বার্তা সম্পাদক: মাসুমুর রহমান খলিলী


Email: online@dailynayadiganta.com

যোগাযোগ

১ আর. কে মিশন রোড, (মানিক মিয়া ফাউন্ডেশন), ঢাকা-১২০৩।  ফোন: ৫৭১৬৫২৬১-৯

Follow Us