কাতার কূটনৈতিক সঙ্কট : সত্যিই সমাধান হলো!
তামিম ও মোহাম্মদ - ছবি সংগৃহীত
তিন বছর আগে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার মধ্য দিয়ে কাতার ও সৌদি আরবের মধ্যে যে আনুষ্ঠানিক টানাপোড়েনের সূত্রপাত হয়, গত ৫ জানুয়ারি সৌদি আরবের আল-’উলায় ‘গালফ কো-অপারেশন কাউন্সিল’-এর শীর্ষ সম্মেলনে এক সংকল্প নিরূপনের মধ্য দিয়ে তার শেষ হলো। অবশ্য উপসাগরীয় এই দু’টি দেশের মধ্যকার এই দ্বন্দ্বের সূত্রপাত প্রায় ১৯ বছর আগে, আর গত ৫ জানুয়ারিতেই যে এর শেষ হয়েছে এমনটা মনে করার কোনো কারণ নেই, বলছেন বিশেষজ্ঞরা।
২০১৭ সালের ৫ জুন জিসিসি সদস্য সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন ও মিত্র দেশ মিসর আরেক জিসিসি সদস্য কাতারের সাথে সব ধরনের কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার ঘোষণা দেয়। পাশাপাশি কাতারের সাথে তাদের সীমান্ত অবরুদ্ধ করারও ঘোষণা দেয়। তাদের অভিযোগ, কাতার প্রতিবেশী দেশসহ বিশ্বব্যপী বিভিন্ন দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলাচ্ছে ও সন্ত্রাসবাদে মদদ দিচ্ছে ও ইন্ধন যোগাচ্ছে। কাতার এই অবরোধের তীব্র সমালোচনা করলেও এর বিপক্ষে পাল্টা কোনো ব্যবস্থা নেয়া থেকে বিরত থাকে। জিসিসি-ভুক্ত অপর দু’টি দেশ ওমান ও কুয়েত সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ থাকার সিদ্ধান্ত নেয এবং সংলাপের মাধ্যমে বিরোধ নিষ্পত্তি করার উদ্যোগ নেয়। সাড়ে তিন বছর পর অবশেষে ২০১৭ সালে ৫ জানুয়ারি কাতার ও সৌদি-আমিরাতি-বাহরাইনি-মিসরীয় জোট সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণে রাজি হয়।
কাতারের সাথে সম্পর্কচ্ছেদ ও অবরোধারোপের প্রধান উদ্যোক্তা ছিল প্রতি সৌদি আরবের কাতারের প্রতি রাগান্বিত হওয়ার কারণ অনেক গভীরে প্রোথিত। ১৯৯৫ সালে এক প্রাসাদ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসেন আমির হামাদ বিন খলিফা আল থানি। তিনি নিজ পিতা খলিফা বিন হামাদ আল থানিকে ক্ষমতাচ্যূত করেন। খলিফা এ সময় সুইজারল্যান্ড সফরে ব্যস্ত ছিলেন। ক্ষমতায় আসার পর হামাদ সংস্কারমুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করা শুরু করেন। তার বাবা খলিফা ছিলেন রক্ষণশীল। ১৯৭২ সালে এক অভ্যুত্থানে চাচাতো ভাই আহমাদ বিন আলি আল থানিকে সরিয়ে ক্ষমতায় বসার পর তিনি ক্ষমতা নিজ হাতে কেন্দ্রীভূত করেছিলেন। কিন্তু ছেলে হামাদ ক্ষমতায় এসে উদারীকরণের নীতি গ্রহণ করেন। সংবাদপত্রের স্বাধীনতা রক্ষা ও গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সংসদ প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেন তিনি। কিন্তু পরের বছরই অর্থমন্ত্রী হামাদ বিন জাসিম আল থানির যোগসাজশে এক পাল্টা অভ্যুত্থান সংঘটিত হয়। কিন্তু তা ব্যর্থ হয়। কাতার এর পিছনে মিশর, বাহরাইন, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও সর্বোপরি সৌদি আরবকে দায়ী করে। অবশ্য এই অভ্যুত্থান আয়োজনের পিছনে এই রাষ্ট্রগুলোর, বিশেষত সৌদি আরবের গুরুত্বপূর্ণ কারণ নিহিত ছিল।
আরব উপদ্বীপ তথা মধ্যপ্রাচ্যের বৃহত্তম রাষ্ট্র সৌদি আরব। ৯৫% মরুময় এই বিশাল দেশটির প্রতি বর্গ কি.মি.-তে মাত্র ১৫ জনের বাস। ১৯৩২ সালে রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠার পর থেকেই সৌদি আরব নিজেকে এই অঞ্চলের পরাশক্তি হিসেবে দেখতে শুরু করে। বিশেষত ইসলাম ও আরব বিশ্বের কেন্দ্রবিন্দু হওয়ায় সৌদি রাজ পরিবার নিজেদের মুসলিম ও আরবদের নেতৃত্ব উত্তরাধিকার সূত্রে ভোগ করার মানসিক পোষন করা শুরু করে। কিন্তু আধুনিক যুগে দেশটির প্রধান অর্থনৈতিক শক্তি হলো এর অফুরন্ত তেল সম্পদ। ১৯৩৮-এ পশ্চিমাদের সহায়তায় পশ্চিম প্রদেশে তেলক্ষেত্র আবিষ্কার হওয়ার পর থেকেই সৌদি রাজ পরিবার নিজেদের দেশকে এই অঞ্চলে পশ্চিমাদের তল্পিবাহক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে। শুধু তাই নয়, ক্রমে তারা বিশ্বজুড়ে ইসলামবাদ প্রচারে গুরুদায়িত্ব কাঁধে নেয়। তাদের উপসাগরীয় প্রতিবেশী দেশগুলোও তেল-গ্যাসে সমৃদ্ধ। কিন্তু তা হলেও আয়তনে অনেক ছোট ও তেমন জনবহুল না হওয়ায় তারা সৌদি কর্তৃত্ব মেনে চলতে বাধ্য হয়।
হামাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তটি অবশ্য ছিল কাতারকে সৌদি প্রভাবমুক্ত করা। এ জন্য তিনি দু’টি পদক্ষেপ নেন – কাতারকে সৌদি প্রভাববলয় থেকে সরিয়ে এনে ভিন্ন কূটনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তোলা এবং রাষ্ট্রীয় তত্ত্বাবধানে কাতারের নিজস্ব প্রচার মাধ্যম গড়ে তোলা। এরই ফলশ্রুতিতে কাতার একই সাথে ইরানের সাথে নতুন করে কূটনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তোলে। আর একই সময়ে চালু হয় আল-জাজিরা, আরবীভাষী বৈশ্বিক সংবাদ মাধ্যম, যার অর্থায়ন করা হয় কাতার সরকারের মাধ্যমে। সৌদি আরবের সাথে কাতারে দ্বন্দ্বের শুরুটাও এখানেই।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর বিশ্বজুড়ে সামাজ্যবাদের পতন ও তৃতীয় বিশ্বের স্বাধীনতা আন্দোলন চূড়ান্ত রূপ লাভ করে। অন্য দিকে সাম্যবাদী শক্তি ও পুঁজিবাদী শক্তির মধ্যে শীতল যুদ্ধ শুরু হয়। ফলে দুর্বল রাষ্ট্রগুলো স্বেচ্ছায় বা অনিচ্ছায় বাম বা ডান কোনো এক শিবিরে নাম লেখায়। মধ্যপ্রাচ্য ও ইসলামের কেন্দ্রবিন্দু সৌদিরা মার্কিন পক্ষ বেছে নেয়। মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য রাজতান্ত্রিক দেশগুলোও মোটের উপর একই পন্থা অবলম্বন করে। কিন্তু ১৯৫২ সালে মিশরে পশ্চিমা সমর্থক রাজতন্ত্রের পতনের মাধ্যমে এক বামপন্থী আরববাদী রাষ্ট্রের সৃষ্টি হয়। ক্রমে ইরাক, সিরিয়া, দক্ষিণ ইয়েমেন, লিবিয়া, সুদান, আলজেরিয়া, ফিলিস্তিনসহ বিভিন্ন দেশ একই পথ অনুসরণ করে। ক্রমে সোভিয়েত সহায়তা সম্প্রসারিত হয় তাদের দিকে। তখন এই রাজনৈতিক পরিবর্তনের ঢেউ ঠেকাতে সৌদি শিবির থেকে ইসলামবাদ প্রচার-প্রসার শুরু হয়। ফলে শুরু হয় বামপন্থী আরববাদ ও ডানপন্থী ইসলামবাদের এক আঞ্চলিক শীতল যুদ্ধ। কিন্তু ইরানে ইসলামী বিপ্লবের পর থেকে সৌদি আরবের সুন্নি ইসলামবাদের প্রতিদ্বন্দ্বী মতাদর্শ শিয়া ইসলামবাদের উৎপত্তি হয়। ফলে সৌদিরা নতুন করে ছায়াযুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে। বিশেষত: ইরানের প্রভাব ছিল সৌদি আরবের নিজের উপসাগরীয় অঞ্চলে। কুয়েতের ৪০%, বাহরাইনের ৭০%, কাতারের ১০%, সংযুক্ত আরব আমিরাতের ১৫%, ওমানের ৫% এবং খোদ সৌদি আরবের ১৫% শিয়া। এছাড়া ইরাকের ৬৫%, সিরিয়ার ১৫%, ইয়েমেনের ৪৫% শিয়া। পাশাপাশি ওমানের ৭৫% ইবাদি। ফলে ইরানের জন্য যেমন শিয়া সম্প্রদায়কে ব্যবহার করে সৌদি বিরোধিতা সহজ হয়ে ওঠে, তেমনি নিজ প্রভাব বলয়ের মধ্যে এই বিপুল সংখ্যক সংখ্যালঘু/সংখ্যাগুরু শিয়া সম্প্রদায় সৌদি রাজপরিবারের মাথাব্যথার কারণ হয়ে ওঠে। ইরানের চক্রান্ত বানচাল করতে সৌদিরা একই বছর গঠন করে ‘গাল্ফ কো-অপারেশন কাউন্সিল’ (জিসিসি)। এর উদ্দেশ্য ছিল তেল-গ্যাস সমৃদ্ধ উপসাগরীয় অঞ্চলকে অন্তত সম্পূর্ণ ইরান ও শিয়া প্রভাবমুক্ত রাখা।
সৌদি আরব চায়নি অন্তত উপসাগরীয় অঞ্চলে তার প্রভাব ক্ষুণ্ন না হোক। কিন্তু হামাদ ক্ষমতায় আসার পর কাতারের ভোল পাল্টে যায়। হামাদ চাচ্ছিলেন সৌদি প্রভাবকে উপেক্ষা করে কাতারকে তাঁবেদারি রাষ্ট্র থেকে প্রতিদ্বন্দ্বী রাষ্ট্রে পরিণত করতে। এরই ফলে ইরানের সাথে সম্পর্ক পুনরায় স্থাপন ও আল-জাজিরা চালু করার সিদ্ধান্ত নেয় কাতার। এতে সৌদি আরব চরম ক্ষুব্ধ হয়। কাতারের উপর চাপ প্রয়োগ করতে ২০০২ সালে সৌদি আরব কাতার থেকে রাষ্ট্রদূত প্রত্যহার করে। ২০০৮ পর্যন্ত এমন অবস্থা চলে। তাতে অবশ্য কাতারের রাজনৈতিক উচ্চাভিলাষের কোন নড়চড় হয়নি।
কিন্তু কাতার-সৌদি দ্বন্দ্বে আসলে চরমে ওঠে মুসলিম ব্রাদারহুডকে ঘিরে। ১৯২৮ সালে প্রতিষ্ঠিত এই ইসলামবাদী সংগঠনটিকে পশ্চিমারা বৈশ্বিক সাম্যবাদকে ঠেকাতে ও বিশেষত সৌদি আরব বৈশ্বিক ইসলামবাদ প্রচারে ব্যবহার করেছে বহু বছর। কিন্তু আরব বসন্ত শুরুর পর মুসলিম ব্রাদারহুড নিজ জন্মভূমি মিশরসহ অন্যান্য দেশে সৌদি-সমর্থিত স্বৈরাচারী সরকারগুলোর প্রকাশ্য বিরোধিতা শুরু করলে সৌদিদের টনক নড়ে। তারা ব্রাদারহুডের সাথে সব সম্পর্ক ছিন্ন করে এবং নিজ দেশসহ সর্বত্র তাকে দমন করার চেষ্টায় লিপ্ত হয়। সৌদিদের এই প্রচেষ্টার প্রধান বাধা ছিল কাতার। সৌদি প্রভাববলয়ে থাকার সময় কাতার মুসলিম ব্রাদারহুডের সহায়কের ভূমিকা পালন করে। কিন্তু হামাদের সৌদি প্রভাব মুক্তকরণ নীতির পরও কাতার ব্রাদারহুডকে পরিত্যাগ তো করেইনি, বরং নিজ পৃষ্ঠপোষকতায় নিয়ে এসেছে। তাই ব্রাদারহুডের পক্ষেও প্রকাশ্যে সৌদি বিরোধিতা করা সম্ভব হয়েছে। আর কাতারি সহযোগিতায় তুরস্ক ও মিসরসহ অনেক দেশে, বিশেষ করে আরব বসন্তের পর পটপরিবর্তনের সময় প্রধান খেলোয়াড় হিসেবে আভির্ভূত হয় ব্রাদারহুড। অন্য দিকে মধ্যপ্রাচ্যে সৌদি প্রভাব খর্ব করতে ইরান মদদ দেয় আরব বসন্ত এবং মুসলিম ব্রাদারহুডসহ একনায়কতন্ত্র বিরোধী গোষ্ঠীগুলোকে। আর তাতেই সৌদিদের চক্ষুশূলে পরিণত হয় কাতার।
কাতারের বিরুদ্ধে অবরোধের আন্তর্জাতিক দিকটিও হেলাফেলার নয়। আরব ও মুসলিম বিশ্বে সৌদিদের প্রভাব এখনও ব্যপক। তাই সৌদিদের এই সিদ্ধান্তকে মেনে নিয়ে জর্দান, মৌরিতানিয়া, চাদ, নাইজার, জিবুতি, কমোরোস, সেনেগাল, গ্যাবন ও মালদ্বীপ কাতারের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করে। সেনেগাল, চাদ ও জর্দান অবশ্য পরে নিজে থেকেই সম্পর্ক পুনর্স্থাপন করে। সেই সাথে যোগ দেয় লিবিয়ার তবরুক-ভিত্তিক সরকারও। অন্য দিকে কাতারের পক্ষ নিয়েছিল প্রধানত দু’টি রাষ্ট্র – তুরস্ক ও ইরান, যা মোটেও বিস্ময়কর নয়। অবশ্য ইরান কাতারকে নিজ দলে ভেড়ানোর চেয়ে কাতারকে সৌদি আরব থেকে দূরে সরাতেই বেশি আগ্রহী ছিল।
অন্য দিকে ২০০২ সাল থেকে মুসলিম ব্রাদারহুডের স্থানীয় শাখা ‘জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি’ (তুর্কি ভাষায় একেপি) তুরস্কে ক্ষমতায় আছে। কাতারের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ মিত্র তাই তুরস্কই। পাশাপাশি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সৌদি আরব ও কাতার দু’দেশের সাথেই ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত। মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় সেনাঘাঁটি হল কাতারের আল উদেইদ বিমান ঘাঁটি। তাই কাতার-সৌদি মধ্যকার এই দ্বন্দ্ব যুক্তরাষ্ট্রের জন্য খুব সুখকর ছিল না। যদি দেশটির জন্য কোনো পক্ষকেই সমর্থন দেয়ার কথা না, কিন্তু তৎকালীন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রাথমিকভাবে কাতারের উপর অবরোধকে স্বাগত জানান। কাতারের ইরানের সাথে মাখামাখি যুক্তরা্ষ্ট্রে মনঃপূত ছিল না। মুসলিম ব্রাদারহুডের প্রতি কাতারের অকুন্ঠ সমর্থনও রিপাবকালীন দলীয় ট্রাম্পসহ পশ্চিমা রক্ষণশীল রাজনীতিবিদদের কাছে অগ্রহণযোগ্য।
অন্য দিকে ইইউসহ অন্যান্য পরাশক্তি নিরপেক্ষ অবস্থান বজায় রাখলেও তারা আসলে সৌদিদের কাছ থেকে ক্রমশ সরে আসছে। মুসলিম ব্রাদারহুড ও ইরান মধ্যপ্রাচ্যে তাদের নতুন মিত্র। ডানপন্থী ইসলামবাদীদের মদদ ও ইন্ধন দিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে নতুন নকশা তৈরিই পশ্চিমের উদারনৈতিকদের নতুন পরিকল্পনা। কিন্তু পুরনো সৌদি আরব নয়, নতুন কাতারই এখন এ ক্ষেত্রে তাদের হাতিয়ার। তাই পশ্চিমা বিশ্বে যুক্তরাষ্ট্রই এখন সৌদিদের একমাত্র সত্যিকার মিত্র হিসেবে অবশিষ্ট রয়েছে। যদিও ডেমোক্র্যাট দলীয় জো বাইডেনের নির্বাচিত হওয়ার পর সেই মিত্রতাও প্রশ্নের মুখে। বিশেষত বাইডেনের ক্ষমতা গ্রহণের পরপরই সৌদি ও আমিরাতিদের কাছে অস্ত্র বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা জ্ঞাপন করার ঘোষণা এসেছে। এর আগেই অবশ্য সৌদি-কাতার সমস্যার আপাত মীমাংসা হয়ে গেছে।
এত কিছুর পর অবশ্য সৌদি আরব ও কাতারের মধ্যে দ্বন্দ্ব আসলেই মিটমাট হয়েছে, এমনটা বলা বোকামি হবে। বিশেষত দুই দেশের কোনোটিই নিজ নিজ অবস্থান থেকে সরে আসেনি এক চুলও। তাই এই আপাত সমঝোতা মোটেও কার্যকর হবে কি না, সে প্রশ্ন রয়েই গেল সবার মনে।