কী হচ্ছে ইথিওপিয়ায়!
কী হচ্ছে ইথিওপিয়ায়! - ছবি সংগৃহীত
ইথিওপিয়া বাংলাদেশ থেকে ভৌগোলিকভাবে দূরবর্তী রাষ্ট্র হলেও বিনিয়োগ ও শিল্প প্রতিষ্ঠার সূত্রে দেশটি কাছে আসছে আমাদের। মধ্যযুগে শতবর্ষব্যাপী বঙ্গদেশ শাসন করেছেন ওই দেশের বংশোদ্ভূত কালো মানুষেরা। তদুপরি, ইথিওপিয়ার বিতর্কিত বিরাট বাঁধের কারণে সুদীর্ঘ নীলনদের পানি প্রবাহের বঞ্চনা নিয়ে বিশেষত মিসরের সাথে দেশটির ক্রমবর্ধমান বিরোধ পুরো মুসলিম বিশ্বের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু হয়ে যেতে পারে। এ ছাড়া সম্প্রতি দেশটির তিগ্রে অঞ্চলের প্রচণ্ড গৃহযুদ্ধ এবং শরণার্থী সঙ্কটের দরুন মিডিয়ায় বারবার এসেছে ইথিওপিয়া রাষ্ট্রের খবর। এসব মিলিয়ে দেশটি বর্তমান বিশ্বের অন্যতম প্রধান আলোচ্য বিষয়। যে দেশের মন্দ পরিচিতি ছিল খরা, দুর্ভিক্ষ, দারিদ্র্যের কারণে, সেই ইথিওপিয়া নিকট অতীত থেকে ‘বিশ্বের বিস্ময়’ হয়ে উঠেছে তার দ্রুত প্রবৃদ্ধি তথা অর্থনৈতিক উন্নয়নের কারণে। তবে দেশটিতে ‘সম্রাট’ আর না থাকলেও পরবর্তীকালের কথিত প্রগতিবাদী ও গণতন্ত্রী শাসকরাও সম্রাটের মতো একনায়কসুলভ ও স্বৈরতান্ত্রিক প্রশাসন চাপিয়ে দিয়েছেন বলে ব্যাপক অভিযোগ আছে। গোঁড়া খ্রিষ্টান শাসকদের মুসলিমবিদ্বেষও ইথিওপিয়ার কলঙ্কতিলক হয়ে আছে।
মুগল-পূর্ব আমলে বর্তমান ইথিওপিয়ার কৃষ্ণাঙ্গ লোকেরা শুধু বাংলাদেশে নয়, দিল্লি থেকেও ভারত শাসন করেছেন। বঙ্গদেশের হাবশী শাসনের কথা অনেকেই জানেন। শিল্পী মুর্তজা বশীর এ বিষয়ে গবেষণা করে লিখেছিলেন। জানা গেছে, পর্তুগিজরা এবং এ উপমহাদেশের কোনো কোনো শাসক ইথিওপীয় বংশো™ভূত কালো মানুষদের ভারতবর্ষে এনেছিলেন ক্রীতদাসরূপে। পরে স্থানীয় গৃহবিবাদ এবং রাষ্ট্রীয় নেতৃত্বে শূন্যতার সুবাদে এই দাসদের বংশধররা শাসন ক্ষমতা করায়ত্ত করেছিলেন। অবশ্য সুশাসন তারা উপহার দিতে ব্যর্থ হন।
বাংলাদেশের সাথে ইথিওপিয়ার আগে যোগসূত্র ছিল না। এখন আমাদের দেশে ইথিওপিয়ার কূটনৈতিক প্রতিনিধি ছাড়া অন্যরাও আসা যাওয়া করছেন। এর কারণ হলো, বাংলাদেশ ও ইথিওপিয়া দু’দেশেরই গুরুত্ব বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাংলাদেশের মতো ইথিওপিয়ার অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি প্রশংসনীয়। আফ্রিকান ইউনিয়নে (সাবেক আফ্রিকা ঐক্য সংস্থা) দেশটির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছাড়াও মুসলিম বিশ্বে এর গুরুত্ব বাড়ছে মুসলিম দেশ সুদান, সোমালিয়া, ইরিত্রিয়া, জিবুতি প্রভৃতির সংলগ্নতা বা নৈকট্যের কারণে। এ ক্ষেত্রে ইথিওপিয়ার ইতিবাচক ও নেতিবাচক উভয় বিষয় বিদ্যমান।
মোট কথা, বাংলাদেশসহ মুসলিম বিশ্ব এবং দক্ষিণ এশীয় অঞ্চল অন্তত অর্থনৈতিক কারণে আর ইথিওপিয়াকে অবমূল্যায়ন ও উপেক্ষা করার কথা নয়।
সম্প্রতি সে দেশে যে ভয়াবহ গৃহযুদ্ধ ঘটে গেছে, এর ধাক্কা লেগেছে সুদূর ঢাকাতেও। কারণ, আলোচ্য লড়াইয়ের পাদপীঠ যে তিগ্রে অঞ্চল (ইথিওপিয়ার উত্তরাংশের একটি রাজ্য), সেখানে বিনিয়োগের প্রয়োজনে বাংলাদেশী উদ্যোক্তাদের নজর পড়েছিল। এমন একজন উদ্যোক্তার গার্মেন্টস ফ্যাক্টরি এবার গৃহযুদ্ধে বন্ধ হয়ে গেছে এবং সেখানকার শ্রমিকরা বাড়িতে প্রত্যাবর্তন করেছেন। ওই কারখানায় বাংলাদেশী নাগরিকদের সাথে শ্রীলঙ্কার কর্মীও ছিলেন। এর মালিকের স্বপ্ন ছিল সম্ভাবনাময় ইথিওপিয়ার তিগ্রে এলাকায় শিল্প পার্ক স্থাপনের। কিছু দিন আগে গৃহযুদ্ধের তাণ্ডবে আপাতত তা বানচাল হয়ে গেছে। এই উদ্যোক্তা সে দেশের সরকার বা বিদ্রোহী, কারো লোক নন। তবুও তাকে সব গুটিয়ে দেশে ফিরতে হলো। কয়েকটি সংস্থা তার শ্রমিকদের ফিরে আসায় সাহায্য করেছে। তারা প্রথমে তিগ্রে থেকে রাজধানী আদ্দিস আবাবায় যান এবং সেখান থেকে ঢাকায় আসেন। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আবার কারখানায় উৎপাদন শুরু হবে। গরিষ্ঠ জনগণ মুসলমান হলেও দেশটার খ্রিষ্টান ইমেজ তৈরি করার অভিযোগ সে দেশের শাসক মহলের বিরুদ্ধে। প্রধানমন্ত্রীর নাম (আবি আহমদ) মুসলমানের হলেও (সুন্দর শ্মশ্রুমণ্ডিত) তিনি একজন সাবেক মুসলমানের সন্তান এবং নিজে ইসলামবিদ্বেষী বলেও অভিযোগ রয়েছে। ইথিওপিয়ায় খ্রিষ্টান ধর্ম প্রাচীনকালেও ছিল।
সম্রাট নাজ্জাশীর মতো কেউ কেউ খ্রিষ্ট ধর্মাবলম্বী পিতার সন্তান হয়েও মুসলমানদের আনুকূল্য প্রদান করেছেন এবং তাদের আশ্রয়দাতা ও বন্ধুর ভূমিকায় ছিলেন। এটা দেখা গেছে মহানবী সা:-এর আমলেও। তখন আরবে মুসলমানরা নির্যাতিত হয়ে অনেকেই লোহিত সাগর পাড়ি দিয়ে তদানীন্তন আবিসিনিয়ায় (অর্থাৎ বর্তমান ইথিওপিয়া) হিজরত করে সাহায্য পেয়েছিলেন শাসকের। সে দেশে আধুনিককালেও খ্রিষ্টান সম্রাট ‘মুসলিম বৈরী’ হিসেবে কুখ্যাতি পেয়েছেন। অথচ ইথিওপিয়া দেশটি প্রায় চার দিকে মুসলিমগরিষ্ঠ দেশগুলো দ্বারা পরিবেষ্টিত। ইথিওপিয়া কয়েক দশক আগে আলোচনায় এসেছিল ইরিত্রিয়ার সশস্ত্র স্বাধীনতা সংগ্রাম দমনের চেষ্টা করে। তবে দীর্ঘ দিন প্রচেষ্টা চালিয়েও তারা পারেননি মুসলিম অধ্যুষিত ইরিত্রিয়া অঞ্চলের বিচ্ছিন্নতা রোধ করতে। বর্তমানে স্বাধীন, দেশটির রাজধানী আসমারার নাম বাংলাদেশেরও অনেকে শুনেছেন।
ইথিওপিয়ার সাম্প্রতিক গৃহযুদ্ধের খবর অনেকের জানা। তবে কয়েক দশক আগেই যে এর সূচনা, তা অনেকেরই অজানা। ইথিওপিয়ার কেন্দ্রীয় সরকার ইরিত্রিয়ার স্বাধীনতাকে বিচ্ছিন্নতা মনে করে সেখানকার মুসলিম বিদ্রোহীদের দমনের প্রয়াস চালিয়ে গেছে ১৯৭৪ থেকে, ’৯১ সাল পর্যন্ত প্রায় ১৭ বছর। তবে শেষাবধি এতে বিদ্রোহীদের বিজয় ঘটে। ফলে ইথিওপিয়া সরকার প্রচণ্ড ধাক্কা খায়। তা ছাড়া ’৯৩ সালে ইরিত্রিয়া স্বাধীন দেশ হিসেবে আবির্ভূত হয় এবং এর পর থেকে ইথিওপিয়া পর্যবসিত হয়েছে ভূমিবেষ্টিত একটি দেশে। বর্তমান তিগ্রে অঞ্চলের শোষিত ও বঞ্চিত মানুষও বহু বছর ধরে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে লড়ে আসছে। স্মর্তব্য, অধুনালুপ্ত সোভিয়েত ইউনিয়নের নেতৃত্বে কয়েক দেশের কমিউনিস্ট শক্তি মিলেও অতীতে ইথিওপিয়ার সমাজতন্ত্রী সরকারকে টিকিয়ে রাখতে পারেনি। ১৯৭৪ সালে রাজতন্ত্রের পতন ঘটিয়ে সমাজতন্ত্রের নামে কার্যত আরেক স্বৈরাচার কায়েম করা হয়েছিল সে দেশে। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিলেন মেঞ্জিস্তু মরিয়ম।
বর্তমান ইথিওপিয়ার সবচেয়ে বড় ইস্যু হলো, বিশ্বের অন্যতম দীর্ঘ নদী, নীলের প্রবাহ রোধ করে ‘গ্রান্ড ইথিওপিয়ান রেনেসাঁ ড্যাম’ (এঊজউ) নির্মাণ করা। যদিও প্রধানত মিসরের আপত্তির কারণে এটি চালু করতে বিলম্ব ঘটছে, তবে শীগগিরই এ বাঁধ চালু হয়ে নতুন সমস্যার জন্ম দিতে পারে। এটা সুদানের প্রায় গা ঘেঁষে তৈরি করা হয়েছে এবং খার্তুম সরকার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে। উদ্বেগজনক হলো, বাঁধের ব্যাপারে ইথিওপিয়া, সুদান, মিসর- এই তিন দেশের সর্বশেষ বৈঠকও ব্যর্থ হয়েছে। এর কারণ, ইথিওপিয়া বাঁধটি চালু করায় দৃঢ়প্রতিজ্ঞ আর মিসর মনে করে, বাঁধ চালু হলে তার মূল প্রবাহ নীলনদ শুকিয়ে যাবে।
সেচ ছাড়াও বিদ্যুৎসঙ্কট মোচনের জন্য রেনেসাঁ বাঁধ ইথিওপিয়ার কাছে ‘অপরিহার্য’। কিন্তু প্রতিবেশী সুদান ছাড়াও বৃহৎ মিসরের শঙ্কা, বাঁধটি তাদের বঞ্চিত করবে পানি থেকে। এ বাঁধের পরিবেশগত এবং সামাজিক নেতিবাচক প্রভাব সুদান ও মিসরের ওপরেও পড়বে বলে জানা যায়। বাঁধের দরুণ ব্যাপকভাবে পলি পড়া ও বাষ্পীভবনের আশঙ্কাও কম নয়। বলা হচ্ছে, প্রকৌশলগত ত্রুটি ছাড়াও এ বাঁধ প্রয়োজনের অতিরিক্ত বড় হয়ে গেছে। এ সবকিছুর মাশুল দিতে হতে পারে নীলনদের ওপর নির্ভরশীল, পূর্বোক্ত দেশ তিনটিকে। কথিত রেনেসাঁ বাঁধটির অবস্থান ‘ব্লু নাইল’ নদীর ওপর। বাঁধের উচ্চতা ১৪৫ মিটার, দৈর্ঘ্য ১৭৮০ মি. সর্বাধিক উচ্চতা ৬৫৫ মি., আয়তন ১ কোটি ২ লাখ ঘনমিটার এবং এর নির্মাণ ব্যয় ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। বাঁধটির রিজার্ভারের নাম ‘সহস্রাব্দ রিজার্ভার’। তার পুরো ক্যাপাসিটি হলো ৬০ কোটি একর-ফুট। এর অববাহিকার পরিসর ১,৭২,২৫০ বর্গকিলোমিটার। রিজার্ভারের সর্বাধিক গভীরতা ১৪০ মিটার এবং উচ্চতা ৬৪০ মি.।
আমাদের দেশের প্রতিবেশী রাষ্ট্র যেমন ১৯৫১ সালে গঙ্গার ফারাক্কা বাঁধের পরিকল্পনা করে ১৯৭০ সালের মধ্যে এর নির্মাণকাজ শেষ করে ফেলেছিল, তেমনি ১৯৭৪ পর্যন্ত প্রায় দু’দশকের প্রস্তুতিপর্ব শেষ করে ইথিওপিয়া নীলনদের বাঁধের কাজ শুরু করে দিয়েছে বহু আগেই। পাশের মুসলিম অধ্যুষিত সুদান আর এ নদের ওপর সর্বাধিক নির্ভরশীল দেশ, মিসরের কোনো তোয়াক্কা না করেই ‘রেনেসাঁ বাঁধ’ নামের এ বিতর্কিত প্রকল্পের কাজ অনেকদূর এগিয়ে নেয়া হয়েছে।
এমনকি, বিরাট বাঁধটির বিশাল রিজার্ভার পানি দিয়ে ভরে ফেলার গুরুত্বপূর্ণ কাজটিও গত বছর জুলাইতে ইথিওপিয়া শুরু করেছে। আন্তর্জাতিক পরিস্থিতির বিশ্লেষকদের ধারণা, বিশ্বের অতীব প্রভাবশালী মহলের মদদ কিংবা অনুমোদন ব্যতিরেকে ইথিওপিয়ার পক্ষে এতদূর এগিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। অতিসাম্প্রতিককালে দেশটির অত্যন্ত শক্তিশালী তিগ্রে জনগোষ্ঠীর প্রচণ্ড বিদ্রোহ দৃশ্যত দমনের পেছনেও একই আন্তর্জাতিক মহলের জোরালো সমর্থন থাকার কথা। যদিও সংশ্লিষ্ট শরণার্থীদের জনস্রোত মানবিক সঙ্কট হিসেবে বিশ্বসংস্থারও নজরে এসেছে, তবে ইথিওপিয়ার ক্ষমতাসীন সরকারকে অন্তত রাজনৈতিক সঙ্কট থেকে বাঁচাতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় উদগ্রীব বলে প্রতীয়মান। কিন্তু তিগ্রে অঞ্চলের শোষণ-বঞ্চনার অবসান ব্যতিরেকে শুধু গায়ের জোরে কথিত বিদ্রোহীদের দমিয়ে রাখা যাবে বলে মনে করা যায় না। তাই গৃহযুদ্ধের স্থায়ী অবসান হয়েছে বলে মনে করার হেতু নেই। এত অশান্তির প্রেক্ষাপটেও প্রধানমন্ত্রী আবি আহমদ পেয়েছেন ‘নোবেল শান্তি পুরস্কার’। তবে এতে তার দেশের ইমেজের প্রত্যাশিত উন্নতি হয়নি। গৃহযুদ্ধ তথা বৈষম্য-নির্যাতন এবং প্রতিবেশীকে অভিন্ন নদের ‘পানি থেকে বঞ্চিত করার উদ্যোগ’ তার পুরস্কারপ্রাপ্তির আনন্দকে ম্লান করে দিয়েছে।
তদুপরি, ইথিওপিয়ার মানুষ দরিদ্র হলেও কষ্টসহিষ্ণু। বারবার খরা-দুর্ভিক্ষে তাদের কষ্টকর জীবন কাটাতে হয়। সুপ্রাচীন ঐতিহ্যের অধিকারী ইথিওপিয়ার সাধারণ মানুষের জীবনমানের উন্নয়নের বিকল্প নেই। এজন্য শোষণমুক্ত সমাজ এবং এর পূর্বশর্তরূপে বৈষম্যহীন ব্যবস্থা ও ন্যায়বিচারভিত্তিক বণ্টন নিশ্চিত করা চাই। অন্যথায়, আমেরিকার বিশেষ ছাড়প্রাপ্ত, ইথিওপিয়া বিশেষত গার্মেন্টস উৎপাদন ও রফতানি, বিনিয়োগ ও বিক্রির ক্ষেত্রে কোটি কোটি টাকা আয় করলেও তার সুফল গণমানুষের কাছে হয়তো পৌঁছবে না। তেমনি, ইথিওপীয় সরকারকে সুনজর দিতে হবে অভ্যন্তরীণ জনকল্যাণ এবং প্রতিবেশী ও কাছের দেশগুলোর সাথে সুসম্পর্ক প্রতিষ্ঠার দিকে। না হয়, তিগ্রের পরিস্থিতি আবার উত্তপ্ত হতে পারে এবং নীলনদ নিয়ে আন্তর্জাতিক সঙ্কটের সূচনাও হতে পারে। এমনিতেই, ইথিওপিয়া তার মুসলিম নাগরিকদের ওপর পীড়ন-নির্যাতন এবং বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর ইসলামবিদ্বেষের কারণে নিন্দিত। তাই সমালোচনার বোঝা আরো বাড়ানো উচিত হবে না।