প্রচুর গ্যাস বা অনেক দিন ধরে পেটব্যথা? কোলোরেক্টাল ক্যান্সার নয়তো
কোলোরেক্টাল ক্যান্সার - ছবি সংগৃহীত
প্রচুর গ্যাস হচ্ছে কিংবা অনেক ধরে পেটব্যথায় ভুগছেন আপনি? সমস্যা যদি এমনই হয়, তবে আপনার উচিত হবে নতুন করে চিন্তা করা। গ্যাসের বা পেটব্যথার চিকিৎসা না করে কোলোরেস্টাল ক্যান্সার কিনা তা জানার চেষ্টা করতে পারেন।
পেটে অসহ্য ব্যথা শুরু হলে কোলোনোস্কপি করার সিদ্ধান্ত নেয়া উচিত। চিকিৎসকদের কথায়, ‘কোলোরেক্টাল ক্যান্সার' অনেক সময়েই উপসর্গহীন হয়৷
কোলোরেক্টাল ক্যান্সারের লক্ষণ প্রাথমিক পর্যায়ে খুব বেশি বোঝা যায় না। কিন্তু সময় যত এগোয় ততই প্রকট হয় সমস্যা।
প্রাথমিক পর্যায়ে এর চিকিৎসা নিলে রোগটি সম্পূর্ণ নিরাময় করা সম্ভব। যারা খুব চর্বিজাতীয়, উচ্চ প্রোটিন-জাতীয় খাবার খান এই সমস্যা তাদের বেশি দেখা যায়। প্রাথমিক পর্যায়ে মলত্যাগে সমস্যা, লুজ মোশান তো কখনো কোষ্ঠকাঠিন্য, রক্তআমাশা কিংবা গ্যাসের সমস্যা থাকলে এখনই চিকিৎসা করান।
পেটে অসহ্য ব্যথা শুরু হলে কোলোনোস্কপি করার সিদ্ধান্ত নেয়া উচিত। চিকিৎসকদের কথায়, ‘কোলোরেক্টাল ক্যান্সার অনেক সময়েই উপসর্গহীন হয়৷ যতক্ষণ ধরা পড়ে ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে যায়৷ অস্ত্রোপচার, কোমোথেরাপি সত্ত্বেও রোগ ছড়িয়ে পড়ে শরীরের বিভিন্ন অংশে৷’ চিকিৎসকদের পরামর্শ, পঞ্চাশের পর থেকেই কোলোন পরীক্ষা করে জানুন, পলিপ গজিয়েছে কিনা৷ আর যদি পরিবারে কোলোন ক্যান্সারের পূর্ব-ইতিহাস থাকে, তা হলে চল্লিশের পর থেকেই নিয়মিত নজরদারির মধ্যে থাকুন৷
কী কী ধরনের লক্ষণ প্রকাশ পায় ক্যান্সারে?
যেকোনো ক্যান্সারের প্রাথমিক পর্যায়ে খুব বেশি লক্ষণ দেখা যায় না। পলিপের ক্ষেত্রে যেটা হতে পারে সেটা হচ্ছে মলের সঙ্গে রক্ত যেতে পারে। এখানে আমাদের দেশের রোগীরা এবং অনেক চিকিৎসকও এটা মনে করেন যে তার পাইলস হয়েছে। পাইলস মনে করে বিভিন্ন ধরনের চিকিৎসা করেন তবে শেষ পর্যন্ত দেখা যায় এটা রেক্টাল পলিপ। পলিপটা থেকে যায় মাঝে মাঝে রক্ত যায় বা মাঝে মাঝে যায় না। তবে সেটা থেকে যাওয়ার কারণে ক্যান্সার হিসেবে রূপ নেয়।
রোগ নির্ণয় এবং চিকিত্সা
চিকিৎসার পরে রোগ নির্ণয়ের করেই কোনো রোগ নিরাময় নির্ধারণ করে। সুতরাং এই ধরনের পরিস্থিতিতে, প্রথম দিকে চিকিৎসা করলে ভালো। দেরি করলেই ফল মারাত্মক হতে পারে। ডায়াগনস্টিক পদ্ধতি সাধারণত কোলোনস্কোপি ও বায়োপসি– সবচেয়ে নির্ভুল, সিটি / এমআরআই / পিইটি স্ক্যান, এবং টিউমার মার্কার (সিইএ) পরীক্ষা করা হয়। একইভাবে, জনপ্রিয় স্ক্রিনিং পদ্ধতিগুলো হলো কোলনোস্কোপি / সিগমাইডোস্কোপি এবং এফওবিটি।
প্রসেসড ফুড ডেকে আনছে হার্টের রোগ, অল্প বয়সেই মৃত্যুর হাতছানি
আমরা তখন খাওয়া উচিত নয় জেনেও মুখরোচক খাবারের দিকে বেশি ঝুঁকে পড়ি। পছন্দসই খাবার আমাদের মানসিক তৃপ্তি দেয় ঠিকই, কিন্তু অনেক সময় শরীরে নানা সমস্যা তৈরি করে। যতই খেতে ইচ্ছে করুক, কোনো কোনো খাবার এই সময় এড়িয়ে যাওয়া প্রয়োজন। দেখা গেছে এইসব প্যাকেট জাত প্রসেসড ফুড খেলে হার্টের একাধিক সমস্যা দেখা দিচ্ছে। এমনকী অল্প বয়সেই ডেকে আনছে মৃত্যু।
প্রক্রিয়াজাত প্যাকেট করা খাবার এই সময় মোটেও খাওয়া উচিত নয়। এই ধরনের খাবারে প্রচুর সোডিয়াম, চিনি ও প্রিজারভেটিভস থাকে যেগুলি করোনা আক্রান্তের শরীরে গুরুতর সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।
এখন আগের চেয়ে আমাদের স্বাস্থ্যের প্রতি আমাদের মনোযোগ দেয়া দরকার। চিকিৎসকেরা জোর দিয়ে বলেন যে আমাদের কী খাওয়া এবং কীভাবে এটি খাওয়া উচিত সে সম্পর্কে আমাদের সচেতন হওয়া প্রয়োজন এখন। প্রক্রিয়াজাত খাবার স্বাস্থ্যের পক্ষে খারাপ এবং যথাসম্ভব এড়ানো উচিত। যদিও কিছু লোক এখনো পিজ্জা, বার্গার খেয়ে চলেন। যা অত্যন্ত হানিকারক।
আমেরিকান জার্নাল অফ ক্লিনিকাল নিউট্রিশনের প্রকাশিত গবেষণা অনুসারে। অতি প্রসেসড খাবার হৃদরোগ এবং এমনকি অকাল মৃত্যুর ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলতে পারে! ১০ থেকে ৩৫ বছর বয়সীদের মধ্যে এই সমীক্ষা হয়। দেখা গেছে যারা প্রচুর আল্ট্রা প্রক্রিয়াজাত খাবার খেয়েছিলেন তাদের হৃদরোগ সংক্রান্ত রোগ, হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোক থেকে মারা যাওয়ার ঝুঁকি বেশি।
সমবয়সীদের তুলনায় কার্ডিওভাসকুলার রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা ৫৮ শতাংশ বেশি ছিল যারা অতিরিক্ত প্রসেসড খাবার গ্রহণ করেন।
সূত্র : ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস