লাল কলায় অনেক উপকার

অন্য এক দিগন্ত | Jan 30, 2021 07:52 am
লাল কলা

লাল কলা - ছবি : সংগৃহীত

 

কলা বলতে আমরা সাধারণত হলুদ পাকা কলা ও কাঁচা সবুজ কলাই বুঝে থাকি। কাঁচা কলা বা পাকা কলা আমরা সবাই খেয়েছি। আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য কলা খুবই উপকারি, চাই অনেক ডাক্তারও কলা খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। কিন্তু কখনো লাল কলা খেয়েছেন? যদিও বাজারে এই কলার দেখাও খুব একটা মেলে না। লাল কলা উপমহাদেশে তেমন জনপ্রিয় নয়, কিন্তু এতে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি পাওয়া যায়।

লাল কলা হলুদ কলার তুলনায় অনেক মিষ্টি হয়, পাশাপাশি অনেক বেশি পুষ্টিকর। লাল কলা রক্তে শর্করার মাত্রা হ্রাস করে, অনাক্রম্যতা বাড়ায় এবং হজমে সহায়তা করে। এর আরো অনেক সুবিধা রয়েছে, আসুন জেনে নেয়া যাক লাল কলা সম্পর্কিত অন্যান্য উপকারিতা সম্পর্কে।

পুষ্টিতে পরিপূর্ণ
একটি লাল কলা প্রায় ১০০ গ্রাম হয়, এতে খুব অল্প পরিমাণে ফ্যাট থাকে এবং প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে। লাল কলা কার্বোহাইড্রেটের একটি ভাল উৎস। এটি এনার্জি প্রদান করে এবং রক্ত ​​প্রবাহকে বাড়িয়ে তোলে। এছাড়াও, লাল কলাতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, থিয়ামিন, ভিটামিন বি-৬ ও ফোলেট থাকে।
রক্তচাপ কমায়
নিয়মিত লাল কলা খেলে এটি আপনার রক্তচাপ বাড়তে বাধা দেয় এবং এটি নিয়ন্ত্রণে কাজ করে। লাল কলাতে প্রচুর পরিমাণে পটাসিয়াম থাকে। হৃদরোগের ঝুঁকি হ্রাসে পটাসিয়ামের ভূমিকা দারুণ।

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে
লাল কলা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে কাজ করে। একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে, লাল কলার কম গ্লাইসেমিক প্রতিক্রিয়া ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য উপকারি হতে পারে।

লাল কলা চোখের জন্য উপকারি
লাল কলাতে এমন উপাদান পাওয়া যায় যা আমাদের চোখের জন্য খুব ভালো এবং এগুলো আমাদের চোখের দৃষ্টিশক্তি বাড়াতেও কাজ করে।

কিডনিতে স্টোন হওয়া থেকে বাঁচায়
লাল কলাতে প্রচুর পরিমাণে পটাসিয়াম থাকে, যা কিডনিতে পাথর গঠনে বাধা দেয়।

এছাড়াও, এটি হার্টের রোগ এবং ক্যান্সারের বিরুদ্ধেও সুরক্ষা দেয়। এর নিয়মিত গ্রহণের ফলে হাড়ও মজবুত হয়।

অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান রয়েছে লাল কলাতে
প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-সি রয়েছে, পাশাপাশি এটিতে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদানও রয়েছে যা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুব উপকারি।

সূত্র : বোল্ডস্কাই

সাপে কাটলে
নিরাময় প্রতিবেদক
বিষহীন সাপে কাটলে ভয়ের কিছু নেই তবে বিষধর সাপে কাটলে রোগীকে বাড়িতে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে হাসপাতালে নিতে হবে। যদি সাপে কাটা স্থানে দু’টি বা একটি ক্ষত চিহ্ন দেখা যায় সেই সাথে সাপে কাটা স্থানে তীব্র ব্যথা বা জ্বালা করা, স্থানটি ফুলে লাল হয়ে গেলে, রক্তিম রস ক্ষরণ হলে, ঘুম ঘুম ভাব, মাথাব্যথা ও মাথা ঝিম ঝিম করা, বমি বমি ভাব ও বমি হওয়া, রক্তবমি, দুর্বলতা, একটি জিনিস দু’টি দেখা, শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে বুঝতে হবে বিষধর সাপে কেটেছে। কিন্তু যদি ছোট ছোট অস্পষ্টভাবে অনেকগুলো দাঁতের চিহ্ন দেখা যায় তাহলে বুঝতে হবে সাপটি বিষহীন। প্রথমে সাপে কাটা রোগীকে বোঝাতে হবে ভয়ের কিছু নেই। সেই সাথে সাহস জোগাতে হবে। রোগীকে হাসপাতালে নেয়ার জন্য ব্যবস্থা করতে থাকুন আর কেউ একজন প্রাথমিক সেবা প্রদান করুন। রোগীকে শুইয়ে দিয়ে যে অঙ্গে সাপ দংশন করেছে সে অঙ্গটি নড়াচড়া সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করে দিতে হবে।

হাড় ভেঙে গেলে যেভাবে বাঁশের কঞ্চি বা সোজা লাঠি দিয়ে ব্যান্ডেজ করা হয় সেভাবে বাঁধুন। হাত-পায়ে দংশনের ক্ষেত্রে একটি মোটা কাপড় বা গামছা দিয়ে পুরো হাত-পা পেঁচিয়ে দিন বা দংশিত স্থানের ওপরে খুব শক্ত না হয় এমন করে গিঁট দিন। অসংখ্য শক্ত গিঁট দেবেন না। এতে করে দংশিত অঙ্গে পচন ধরতে পারে। দংশিত স্থান ভিজা কাপড় দিয়ে মুছে পরিষ্কার ব্যান্ডেজ বা কাপড় দিয়ে আবৃত করে রাখুন। দংশিত স্থানের আশপাশে কাটাকাটি করবেন না, সুই ফোটাবেন না, রক্ত চুষে বের করবেন না, বিভিন্ন গাছ-লতাপাতার রস, গোবর লাগাবেন না। যদি কথা বলতে বা গিলতে সমস্যা দেখা দেয় তবে কোনো কিছু খাওয়ানোর চেষ্টা করবেন না। ওঝা-বৈদ্যের কাছে সময় নষ্ট না করে রোগীকে হাসপাতালে দ্রুত স্থানান্তর করুন। হাসপাতালে রোগীকে অ্যান্টিভেনাম, টিটিনাস প্রতিষেধক দিতে হবে।


 

ko cuce /div>

দৈনিক নয়াদিগন্তের মাসিক প্রকাশনা

সম্পাদক: আলমগীর মহিউদ্দিন
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সালাহউদ্দিন বাবর
বার্তা সম্পাদক: মাসুমুর রহমান খলিলী


Email: online@dailynayadiganta.com

যোগাযোগ

১ আর. কে মিশন রোড, (মানিক মিয়া ফাউন্ডেশন), ঢাকা-১২০৩।  ফোন: ৫৭১৬৫২৬১-৯

Follow Us