ঘুমোনোর সময় গলা শুকিয়ে যায়! কঠিন রোগের লক্ষণ?
ঘুমোনোর সময় গলা শুকিয়ে যায়! কঠিন রোগের লক্ষণ? - ছবি : সংগৃহীত
প্রায় দিনই রাতে ঘুমোনোর সময় গলা শুকিয়ে কাঠ হয়ে যায় আপনার? যার ফলে ঘুম ভেঙে যায়? অথবা আগে-ভাগেই ঘুম ভাঙার কারণ পানি পিপাসা? খালি খালি গলা মুখ শুকিয়ে আসে? ঠোঁট শুকিয়ে যায়? যদি প্রত্যেক দিন আপনি এই সমস্যার সম্মুখীন হন, তাহলে শিগগিরই এর সমাধান করুন। খুঁজে বার করুন ঠিক কোন কারণে আপনার এই ধরণের সমস্যা হচ্ছে।
মনে রাখবেন, মূলত জেরোস্টোমিয়া নামক রোগের কারণে মুখে লালা কমে যায়। যার জন্য এই ধরণের সমস্যার সৃষ্টি হয়। চলুন জেনে নেয়া যাক ঠিক কোন কারণে মুখ শুকিয়ে যাওয়ার মতো সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়।
ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার কারণেও এই রোগ হতে পারে। রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে হতাশা, ব্যথা ও পেশি শিথিলতার জন্য যে যে ওষুধ খেতে হয়, তার ফলে মুখ শুষ্ক হয়ে আসতে পারে।
কিছু ক্ষেত্রে দেখা যায় আমরা অনেকে ঘুমানোর সময় মুখ দিয়ে শ্বাস নিয়ে থাকি। মূলত, হাইপোসালিভেশনের কারণে এমনটা হয়। ওই সময়ে মুখ শুকিয়ে যায়। নাক দিয়ে না শ্বাস নিয়ে মুখ দিয়ে শ্বাস নেওয়া একধরনের অভ্যাস বলেো মনে করেন অনেকে। তাই ইএনটি ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
যারা ধূমপান ও অ্যালকোহল পান করেন তাদেরও এই সমস্যা হতে পারে। জার্নাল অফ ডেন্টাল রিসার্চের পরীক্ষায় দেখা গেছে, যারা প্রতিদিন ধূমপান ও অ্যালকোহল ৩৯ শতাংশ মানুষের মুখের লালা উৎপাদন কমে গিয়েছে।
এছাড়া ডায়াবেটিস হলে মুখ শুকিয়ে আসতে পারে। তাই ঘুমিয়ে থাকা অবস্থায় মুখ শুকিয়ে এলে পরামর্শ নিন ডাক্তারের। আপনার শরীরে ডায়াবেটিসের প্রকোপ ঠিক কতটা তা না জানা থাকলে ডাক্তারের পরামর্শ নিন। কারণ, এই উপসর্গ কিছু ক্ষেত্রে জানান দেয় শরীরে ডায়াবেটিসের উপস্থিতি।
শীতের সকালে হার্ট অ্যাটাকের শঙ্কা!
শীতের সকালে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হওয়ার আশঙ্কা প্রবল। দেখা যায়, বেশির ভাগ ক্ষেত্রে সকালে বাথরুমে গিয়ে হার্ট অ্যাটাক হয়ে থাকে। শীতে যার প্রবণতা অনেকটা বেড়ে যায়। কিছু সতর্কতা মেনে চললে, এই বিপদের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যেতে পারে বলে পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
ঠিক কী কী সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে? ঘুম ভাঙার পর হঠাৎ করে দাঁড়িয়ে পরবেন না। শীতকাল সহ সারা বছরই এই নিয়ম মেনে চলা উচিত। ধীরে ধীরে উঠে, বিছানায় ৩০ সেকেন্ড বসার পর নামতে হবে। গরম ঢাকা গায়ে চাপিয়ে যেহেতু আমরা শুয়ে থাকি, তাই এই সময় ঘুম ভাঙার পর বিছানায় বসে থাকা অত্যন্ত জরুরি। শরীরে রক্ত প্রবাহ স্বাভাবিক হলেই বিছানা থেকে নামা উচিত।
হঠাৎ করে উঠে বিছানা থেকে নামলে আমাদের মস্তিষ্কে রক্ত প্রবাহ কমে যায়। যার ফলে অক্সিজেনের অভাবে হার্ট অ্যাটাক হতে পারে।
শীতের সময় একেবারেই ঠান্ডা লাগানো যাবে না। অফিসের তারা থাকলে ঘুম থেকে উঠে সটান বাথরুমে গিয়ে মাথায় ঠান্ডা পানি ঢালবেন না। অনেকেই আছেন যারা গরম পানিতে গোসল করতে পছন্দ করেন না। তারা বাথরুমে গিয়ে প্রথমে পায়ে জল ঢালবেন। তারপর, আসতে আসতে শরীরের উপরে পানি ঢালবেন। মূলত, বিশেষজ্ঞরা এই পরামর্শ তাদের জন্যই দিয়ে থাকেন।
এই সময় তাপমাত্রা কম থাকার জন্য হৃদযন্ত্রে অক্সিজেনের চাহিদা ও রক্ত সংবহনে পরিবর্তন হয়। হার্ট পর্যাপ্ত অক্সিজেন পায় না কিছু ক্ষেত্রে। এর পাশাপাশি রক্তচাপ, কোলেস্টেরলসহ একাধিক সমস্যাও মাথাচাড়া দেয়। তাই এই সময়ে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি থেকে বাঁচতে একটি সুস্থ ও নিয়ন্ত্রিত জীবনশৈলীর খুব প্রয়োজন।
হাই ব্লাড প্রেসার, হাই কোলেস্টেরল, ধূমপান, ওজন নিয়ন্ত্রণসহ একাধিক বিষয়ে নজর দিতে হবে। যাতে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে, অবসাদ কমাতে হবে। ভালো খাবার খেতে হবে। এই সময় ধূমপান ত্যাগ করাই যথাযথ। অবসাদ কমাতে হবে।
সূত্র : জি নিউজ