আপনার রোগ প্রতিরোধ শক্তি বিগড়ে গেলে দেখা দেবে ৫টি উপসর্গ
আপনার রোগ প্রতিরোধ শক্তি বিগড়ে গেলে দেখা দেবে ৫টি উপসর্গ - ছবি সংগৃহীত
করোনাভাইরাস যখন থেকে তার দাপট দেখানো শুরু করেছে, তবে থেকে ডাক্তার ও নিউট্রিশনিস্টদের পরামর্শে প্রত্যেকেই আমরা শরীরের ইমিউনিটি বাড়ানোর চেষ্টা করেছি। যার জন্য ভিটামিন সি খাওয়া শুরু করা থেকে, সঠিক পরিমাণে ঘুমানো, ব্যায়াম করা, সবকিছুতেই মনোযোগ দিয়েছিল একাংশ। কিন্তু আপনার শরীরের ইমুইন সিস্টেম তথা রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা কতটা সঠিকভাবে কাজ করছে তা জানা খুব দরকার। কারণ প্রতিরোধ ব্যবস্থা বিগড়ে গেলে বড়সড় রোগ হওয়ার আশঙ্কা প্রকট হয়ে ওঠে।
নিউট্রিশানিস্টে মতে, প্রতিরোধ ব্যবস্থা রক্তে শ্বেত কণিকা তৈরি করে। পাশাপাশি অ্যান্টিবডি, লিম্ফ নোড তৈরি করে। পাশাপাশি বহির্ভূত কোনও ইনফেকশন থেকে রক্ষা করে।
সুতরাং আপনার প্রতিরোধ ব্যবস্থা ঠিক কতটা ভালো অবস্থায় রয়েছে তা জানা দরকার। নিচে উল্লেখ্য, ৫টি উপসর্গ জানিয়ে দেবে কেমন আছে আপনার প্রতিরোধ ব্যবস্থা।
উপসর্গ
দুর্বল প্রতিরোধ ব্যবস্থা-এর প্রথম লক্ষণীয় উপসর্গ হয় High levels of stress। Stress Level কে অবহেলা করা দীর্ঘমেয়াদে ইমিউন সিস্টেমের কার্যকারিতা হ্রাস করে।
নিউমোনিয়া, কানের ইনফেকশন, পেটের সমস্যা যদি লেগেই থাকে। তবে বুঝবেন প্রতিরোধ ব্যবস্থা ভালো নেই।
রাতে পর্যাপ্ত ঘুম হলেও ক্লান্তিভাব দূর হয় না। দিনের বেশ কিছু সময় ঘুম চলে আসে। এটি ভারী কাজ না করা সত্ত্বেও শরীর ক্লান্ত থাকে। হাতে পায়ে তেমন শক্তি থাকছে না বলে মনে হতে থাকে।
কবজিতে ব্যাথা বোধ হওয়া। কিছু কাজ করতে গেলে হাতে জোর না পাওয়া প্রতিরোধ ব্যবস্থা ভালো না থাকার অন্যতম উপসর্গ।
ক্ষতস্থান যদি ধীরে ধীরে ঠিক তাহলেও বুঝতে হবে আপনার শরীরে প্রতিরোধ ব্যবস্থা ভালো নেই। শরীরের দুর্বল প্রতিরোধ ব্যবস্থা দ্রুত নতুন কোষ তৈরি করতে পারে না, ফলে ক্ষতগুলো ধীরে ধীরে পুনরুদ্ধার হয়।
সূত্র : জি নিউজ
গায়ে দুর্গন্ধ কেন হয়?
গায়ে দুর্গন্ধ! সুগন্ধি সাবান দিয়ে গোসল করেও লাভ হচ্ছে না। কড়া গন্ধের ডিওড্রেন্ট একমাত্র ভরসা। কোথাও বেরোলে ব্যাগে মোবাইল, হেডফোনের পাশাপাশি পকেট ডিও রাখা মাস্ট হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু কেন এত দুর্গন্ধ হচ্ছে? জানার চেষ্টা করেছেন? এই প্রতিবেদন গায়ে দুর্গন্ধ হওয়ার মতো সমস্যার সমাধান করবে।
কেন গায়ে দুর্গন্ধ হয়?
ত্বক বিশেষজ্ঞরা বলেন, গায়ে গন্ধ তৈরি হওয়া, বিশেষ করে বগলে গন্ধ হওয়া একটা শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়া। এটি পিউবার্টির (প্রজনন চক্রে প্রবেশের সময়) সময় শুরু হয়, চলে আজীবন। তবে অতিরিক্ত দুর্গন্ধ হওয়াটা নিঃসন্দেহে একটা সমস্যা। শরীরে দুর্গেন্ধের জন্য দায়ী হচ্ছে বিও এনজাইম। এই বিও এনজাইম এক ধরনের বিশেষ ব্যাকটেরিয়ার মধ্যে থাকে। আর এই ব্যাকটিরিয়া বাসা বাঁধে আমাদের বাহুমূলে। সে কারণে দুর্গন্ধের সৃষ্টি হয়।
নানা রকম পারফিউম বা ডিওডোরেন্ট ব্যবহার করেও মেলে না মুক্তি। তাতে হয়তো সাময়িকভাবে গন্ধ দূর হয়, কিন্তু কয়েক ঘণ্টা পরেই আবার আগের রূপে ফিরে আসে।
তাহলে কী করলে গায়ে দুর্গন্ধ ফিরে আসবে না?
মনে রাখবেন, যে খাবার খাচ্ছেন, সমস্যা তাতেই রয়েছে। চিকিৎসকেরা বলেন আপনি যা খাচ্ছেন সেখান থেকে যৌগ ভেঙ্গে সরলীকরণ হয়, সেই পদ্ধতিতে সমস্যা থাকছে। খাবারে সালফারের পরিমাণ বেশি থাকলে অনেকের গায়ে দুর্গন্ধ হয়। রেড মিট, ডিম, পেঁয়াজ, ব্রকোলি, রসুন ইত্যাদি খবারে সালফারের পরিমাণ বেশি থাকে। সব খাবারে আলাদা আলাদা রকম ব্যাকটেরিয়া থাকে। এ সব খাবার খেলে নানা রকমের গন্ধ তৈরি হয়। ঘাম উৎপাদক সোয়েট গ্ল্যান্ডের ব্যাকটেরিয়াল ব্রেক ডাউনের ফলে দুর্গন্ধ হয়। তা বলে কী খাবেন না এই ধরণের খাবার! একদমই তা নয়। এই খাবার খাওয়ার পর খুব বেশি করে পানি খাওয়া উচিত।
বেশি অ্যালকোহল পান করছেন আপনি? যদি তাই হয় মনে রাখবেন, আপনার স্বেদ গ্রন্থি অ্যাসিডিক হয়ে যায়। এর ফলে গায়ে দুর্গন্ধ হয়। যাদের গায়ে দুর্গন্ধ বেশি হয়, তারা এই বিষয়টি খেয়াল রাখবেন।
মানসিক ভাবে উদ্বিগ্ন থাকলে দেহের অ্যাপোক্রিন গ্রন্থি সক্রিয় হয়ে ওঠে। আপনার সিমপ্যাথেটিক নার্ভাস সিস্টেমকে আরও উত্তেজিত করে তোলে এই গ্রন্থি। স্ট্রেস বা উদ্বেগ কিন্তু দুর্গন্ধের কারণ না, দুর্গন্ধ বাড়িয়ে দেয় শুধু। সুতরাং মানসিক চাপ বেশি নেবেন না।
বয়ঃসন্ধিতে অনেকেরই এই সমস্যা হয়। কিন্তু অনেক দিন পেরিয়ে গেলেও সমস্যা চলতে থাকলে বুঝতে হবে বড় কিছু শারীরিক সমস্যা রয়েছে। যাদের ডায়াবেটিস রয়েছে, তাদের অনেক সময় গায়ে দুর্গন্ধ হয়। স্নায়ুর অসুখ অথবা হাইপারথায়রইয়েডিসম থাকলেও সমস্যা বাড়তে পারে।
পেট ভরে খাওয়ার মানে কিন্তু পুষ্টির চাহিদা পূরণ নয়। বরং শরীরে পুষ্টির চাহিদা পূরণ করতে হলে প্রয়োজনীয় সব খাবার সঠিক পরিমাণ খাওয়া দরকার। শরীর পুষ্টিহীন হলে ঘামে দুর্গন্ধ হতে পারে। এছাড়া শরীরে ম্যাগনেসিয়ামের ঘাটতি হলে ঘাম থেকে বাজে গন্ধ হয়। তাই পুষ্টিপূর্ণ করার দিকে নজর দিন।
সূত্র : জি নিউজ