যে বার্তা দিতে চাচ্ছেন বাইডেন
বাইডেন - ছবি সংগৃহীত
আমাদের সামাজিক প্রবাদ বলে, ‘শেষটা ভালোভাবে হলেই সবটা ভালোই হয়েছে’। তাদের মূল পরিচয় রিপাবলিকান হলেও তারা আসলে হোয়াইট সুপ্রিমিসিস্ট রিপাবলিকান; আর এদের হুমকিতে আমেরিকার দীর্ঘ প্রায় আড়াইশ’ বছরের রাজনৈতিক সিস্টেমে ক্ষমতা হস্তান্তর প্রথমবারের মতো হুমকিতে পড়ে ভণ্ডুল হয়ে যেতে লেগেছিল। শেষে অন্তত, যা কিছু হয়েছিল, খচখচে কাঁটাসহ সবকিছু পিছনে ফেলে আপাতত মাটিচাপা দেয়া গেছে। বাইডেনের শপথ অনুষ্ঠান ন্যূনতম কোনো অঘটন ছাড়াই শেষ হতে পেরেছে। কাজেই মিডিয়া জগতে এখন আমরা গ্লোবাল পারস্পেকটিভে বিজনেস আগের মতোই আর তা ব্যবহারিক যার যার স্বার্থের দিক থেকে দুনিয়া কেমন হতে যাচ্ছে, সম্ভাবনা কী কী তৈরি হচ্ছে সেসব দিকে মনোযোগ ফিরাতে পারি।
বাংলাদেশের দিক থেকে, আমাদের তিনটা স্তরে তিন দিক থেকে আগামী চার বছরের দুনিয়ায় যখন বাইডেন প্রেসিডেন্ট থাকবেন তখন তা দেখতে কেমন হবে এর ছবিটা জানার ব্যাপারে আমাদের জাতির নিজস্ব স্বার্থ ও আগ্রহ মেলে ধরতে পারি। এর প্রথম স্তরটা হলো, গ্লোবাল যা মুখ্যত চীন-আমেরিকার সম্পর্ক কোথায় কোন পয়েন্টে গিয়ে শেষে থিতু হচ্ছে এবং কেন এমন হবে সেটা জানা বুঝার চেষ্টা করা। এটা আমাদের দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ এজন্য যে, এই প্রভাব বাইরের হলেও তা আমাদের ওপরও পড়বে। আর দ্বিতীয় স্তরটা হলো জোনাল। অর্থাৎ এশিয়ার নাট্যশালায় যা আমাদের ডানে-বাঁয়ে চীন ও ভারতের স্ব স্ব স্বার্থাবস্থানের দিকে আমাদের নিয়ে টানাটানির হবে, সাথে বাইডেন প্রশাসনের ওপর প্রভাব তো থাকবেই। আর তা আমাদের জন্য যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ এজন্য যে, চীন হতে যাচ্ছে ‘নতুন নেতা’। এ ছাড়া তৃতীয় স্তরেরটা হলো সরাসরি বাংলাদেশ-আমেরিকা সম্পর্ক।
এই তৃতীয় স্তরেরটা এবার আমাদের কল্পনারও বাইরে চলে যাওয়ার প্রবল সম্ভাবনা। এর মূল কারণ, চলতি শতকের শুরু থেকেই গত ২০ বছর ধরে আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়ায় বিশেষত বাংলাদেশে এসেছিল ভারতকে সাথে নিয়ে আমেরিকার চীন ঠেকানোর কাজে ভারতকে ‘ঠিকা দিতে’। এবার বিরাট ফারাকটা হবে এখানেই। কী সেটা?
আগের আমেরিকার আচরণ ও তৎপরতা দেখে আমরা প্রায় ভুলতে বসেছিলাম, দক্ষিণ এশিয়ায় চীন ঠেকানোটাই আমেরিকার একমাত্র কাজ নয়। কিন্তু বেকায়দায় অবস্থাতে পড়ে আমেরিকা এসেছিল যেন চীন ঠেকানো ছাড়া তার আর কোনো স্বার্থ নেই, এমন ভাব ধরে। আমেরিকার অন্য মুখ্য স্বার্থ তখনো ছিল, এখনো আছে- বঙ্গোপসাগরে সেভেনথ ফ্লিটকে যদি নোঙর করাতে পারে। কিন্তু তার মনের কথা মনে রয়ে যায়, এ বিষয়ে ভারত একদম বিরোধী। তাই আমেরিকা এতদিন এই স্বার্থ লুকিয়ে রেখেছিল যাতে চীন ঠেকানোর ঠিকাগ্রহিতা ভারতের সার্ভিসটা সে পেতে পারে। আজ এটা সবপক্ষের কাছেই পরিষ্কার, আমেরিকার সব স্বার্থ পানিতে গেছে। চীনের অবজেকটিভ বা বৈষয়িক-অর্থনৈতিক শক্তি হয়ে উত্থান সামরিক উত্থান নয় যে, তা ঠেকানো সম্ভব। তাই ভারতের ‘মুই কী হনু রে’- এই মিথ্যা ঘাড় ফোলানো দেখা ছাড়া কারো কোনো কাজে লাগেনি। অতএব এবার এশিয়ায় আমেরিকার আগমন যদি ঘটে তা হওয়ার অনেক বেশি সম্ভাবনা থাকবে একান্ত নিজ স্বার্থ ডমিনেটিং রেখে মানে, তা ততটাই ভারতবিরোধী হয়ে।
এটা বলার অপেক্ষা রাখে না যে, বাইডেনের আমেরিকার সাথে চীনের সম্পর্ক বিশেষত বাণিজ্য সম্পর্ক কোথায় গিয়ে ঠেকে, কিভাবে তা সেখানে পৌঁছাবে; জট খুলবে না, সঙ্ঘাত চরমপথ নেবে ইত্যাদি শুধু তাদের দু-রাষ্ট্রেরই নয়, এটা আমাদের গ্লোবাল রাষ্ট্রব্যবস্থা, এই অর্ডারে অদল-বদল ঘটিয়ে দেয়ার মতো পটেনশিয়াল ক্ষমতা রাখে। বাইডেন প্রশাসনের আমলে কী হতে যাচ্ছে সেটা ততটুকু প্রকাশিত যতটুকু বাইডেন তার স্টাফ-উপদেষ্টা হিসাবে কাদের নিয়োগ দিচ্ছেন, তাদের চিন্তাভাবনা অভিমুখ-দিশা কেমন বা ব্যাকগ্রাউন্ড ও কাজকর্মের অভিজ্ঞতা কেমন, তা দেখে যা অনুমান করা যায়।
হংকংভিত্তিক এশিয়া টাইমস পত্রিকা খবর দিচ্ছে, চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে রেগুলার ব্রিফিংয়ে মুখপাত্র বলেছেন, চীন আশা করে চার বছর আগে তাঁদের সম্পর্ক যেমন ছিল তেমনটাই ফিরে আসবে- ইংরেজি শব্দটা ছিল সম্পর্ক যেন ‘ব্যাক অন ট্র্যাক’ হয়।
ওদিকে বাইডেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, তিনি মনে করেন বিভিন্ন ইস্যুতে ট্রাম্পের চীনকে ডিল করার যে ধরন (ওয়ে অব ডিলিং)তা তার পছন্দ নয় যদিও তার অনেক শক্ত অ্যাপ্রোচ সঠিক ছিল। এটাকে অনেক কূটনীতিক ব্যাখ্যা করেছেন, শুরুতেই নতুন প্রশাসন চীনের প্রতি ভীষণ উদার বা ‘ট্রাম্পের সবই ভুল ছিল’ এমন বলার ইমেজ নিয়ে শুরু করতে চাইছেন না; যদিও এতে এটাও ইঙ্গিত দিচ্ছে যে, চীন ইস্যুতে তারা ট্রাম্পের পথে আগাবেন না।
ওদিকে ট্রাম্পের ক্ষমতা ছাড়ার মাত্র এক সপ্তাহ আগে এক প্রতিহিংসাপূর্ণ সিদ্ধান্ত ও কিছু কাজ করে গেছেন একনিষ্ঠ পররাষ্ট্রমন্ত্রী পম্পেও। ওয়াশিংটন পোস্ট এ নিয়ে শিরোনাম ব্যবহার করেছে ‘কূটনৈতিক তাণ্ডবলীলা’ বলে। গত ১৯৪৯ সালের মাওয়ের বিপ্লবের পর থেকে চীন নিরবচ্ছিন্ন অবস্থান হলো, এক চায়না পলিসি। কথাটার মানে হলো, তাইওয়ান কোনো আলাদা রাষ্ট্র নয়, চীনেরই অংশ। তাই অন্য যেকোনো দেশ চীনের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক করতে চাইলে তাকে ‘একচীন পলিসি’ মানতে প্রতিশ্রুতি দিতে হয় আগে। এ প্রসঙ্গে একমত না হলে চীন সে রাষ্ট্রের সাথে সম্পর্ক করে না। তাই আমেরিকার ক্ষেত্রেও ১৯৭৯ সালে ১ জানুয়ারি চীন-আমেরিকা প্রথম পরস্পরকে কূটনৈতিক স্বীকৃতি বিনিময় করার সময় আমেরিকাকে তাইওয়ানের হাত ছেড়ে মূলভূখণ্ড চীনকে জানাতে হয়েছিল একচীন পলিসির প্রতি আমেরিকান সম্মতির কথা।
তাইওয়ানের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করতে হয়েছিল। তবে চীন তাইওয়ানের সাথে যেকোনো রাষ্ট্রের বাণিজ্যিক সম্পর্ক রক্ষার ব্যাপারে, ট্রেড রিলেশন অফিস খুলতে আপত্তি করে না। এমনকি চীনের নিজেরই তাইওয়ানের সাথে সেসব সম্পর্কই আছে। আর এই সূত্রে সেই থেকে আমেরিকান ফরেন অফিসে অভ্যন্তরীণভাবে বিভিন্ন আইনি সার্কুলার জারি করা ছিল যে, কূটনীতিকরা ‘একচীন পলিসি’ মেনে চলতে কী কী করবেন আর কী কী কখনো করবেন না। কিন্তু পম্পেও গত ১০ জানুয়ারি ঘোষণা করেন, তিনি চীনের একচীন নীতি মানার জন্য আমেরিকা স্বেচ্ছায় যেসব শর্ত মানতে অভ্যন্তরীণ সার্কুলার দিয়ে ছিল সেসব সার্কুলার তিনি প্রত্যাহার করে নিচ্ছেন। এটা কূটনীতিক বিষয় নিয়ে এক ধরনের ফাজলামো করা। যেখানে চীন-আমেরিকা কূটনৈতিক সম্পর্ক শুরু করার এটা ছিল উভয়ের মেনে নেয়া একটা শর্ত সেখানে এই শর্তপালনের জন্য আমেরিকার অভ্যন্তরীণ সার্কুলার যেটা ঠিক কোনো চুক্তির অংশ নয়, প্রত্যাহারের কথা কেন আসবে?
তবে সম্পর্ক-চুক্তি মেনে চলার জন্য অভ্যন্তরীণ সার্কুলার বাতিল করে দেয়াটা একটা অকূটনীতিক আচরণ। কারণ পম্পেও সাহস করে অর্থপূর্ণ কিছু করতে চাইলে তার ঘোষণা করে দেয়া দরকার ছিল যে, ‘চীনের সাথে আমাদের সম্পর্ক আমরা ছিন্ন করছি।’ এটা অনেকটা ‘গরুর মাংস খাবো না কিন্তু ঝোল খাবো’ বলা। অভ্যন্তরীণ প্রশাসনের মধ্যে সার্কুলার প্রত্যাহার করার মানে, চীনকে উসকানি দেয়া যে, তাইওয়ান যে চীনের অংশ, সে কথা মানলাম না। কিন্তু আবার ট্রাম্প-পম্পেওর সেই মুরোদ নেই যে, সে কথা মুখের ওপর চীনকে বলে জানায়। তাহলে এর উদ্দেশ্য কী? এতে পম্পেও কী অর্জন করলেন? অন্যের বাসায় ঢিল মেরে পালিয়ে গেলেন যাতে বাড়ির মালিক বাইরে এসে বাইডেনকে দেখে মনে করেন তিনিই ঢিলটা মেরেছেন। অথবা অন্য ভাষায় বললে এটা হলো, অন্যকে কষ্ট দিয়ে নিজে সুখ পাওয়া। অন্যের আসা যাওয়ার পথে কাঁটা বিছিয়ে রেখে তার ক্ষতি করার ‘সুখ’ নেয়া।
যেমন এরই আরেক অংশ হলো, পম্পেও ঘোষণা দিলেন ‘বাংলাদেশে আল -কায়েদা আছে।’ অথচ ট্রাম্প-পম্পেও আর ক্ষমতা থাকবেন না। তাহলে এমন কথা বলে তার কী লাভ হলো? লাভ হলো, বাইডেন প্রশাসনের সাথে আগেই হাসিনা সরকারের সম্পর্কটা তিতা করার চরমে নেয়া। হাসিনা আমেরিকার প্রশাসনকে ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন’ বলে কড়া বিবৃতি দিয়েছেন। এর রেশ ও প্রভাব এখন শপথ নিয়ে ক্ষমতায় এসে যাওয়া বাইডেন প্রশাসনের ওপরও পড়বে। একই অভিযোগ তিনি করেছেন ইরানের বেলায়ও। এর আরেক মানে তাহলে পম্পেও চেয়েছেন- তিনি এমন কিছু ঘটিয়ে দিলে এতে তার অনুমান হলো, বাইডেনের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ক ভালো যাবে না। তাই এটাই তার ভালো পছন্দ যে, এটাকে এদের মধ্যে অভিযোগ-পাল্টাঅভিযোগে ফেলে দিলে ঝগড়াটা বেশি তিতা হবে। তাই তিনি এটা করেছেন।
এ তো গেল যেটা চলে গেছে সেই ট্রাম্প প্রশাসনের আলাপ। কিন্তু যেভাবেই হোক ঐ পর্ব এখন মৃত। চার দিকে জল্পনা কল্পনা হলো, বাইডেন কী করতে যাচ্ছেন? যেমন চীন প্রসঙ্গে বাইডেনের বিদেশনীতি মূল ধারা যেটা সামনে আসছে তা খবরের শিরোনামের ভাষায় হলো, ‘প্রতিযোগিতা ভালোভাবেই চলবে কিন্তু (কোনো যুদ্ধের) বিপর্যয় ঘটানো যাবে না।’ এটা নিরস্ত্র লড়াই করে রাখতে হবে। নিজ নিজ স্বার্থে স্ট্রাটেজিক আর কূটনীতিতে লড়াই চালাতে হবে।
যেমন, শপথের দিন বাইডেন বলছেন- তিনি তার শাসনের প্রথম এক শ’ দিনের মধ্যে এমন কিছু করতে চান যা দেশ-বিদেশে মানুষের কাছে বার্তা দেবে যে আমেরিকা ফিরে এসেছে- ‘আমেরিকা ইজ ব্যাক’!
বলা হয়ে থাকে, আমেরিকান প্রেসিডেন্টরা প্রথম ১০০ দিনের মধ্যে কী কী করে দেখাতে পারেন তা দেখেই বুঝা যায় তার আমলটা কেমন যাবে। আর এটা প্রথমবারের মতো চালু হয়েছিল আমেরিকার টানা চার বারের প্রেসিডেন্ট রুজভেল্টের (১৯৩৩-৪৫) আমল থেকে। এই বিচারে বলা যায়, বাইডেনের প্রথম ১০০ দিনের আলাপ তোলার শুরু। তবে এটা মূলত অভ্যন্তরীণ ইস্যু আর তাতে অর্জন কী কী করা হয় বা যায় সেই বিষয়। কিন্তু লক্ষ করার বিষয় হলো- বাইডেন কথাটা বলেছেন, ‘এটা করা হবে দুনিয়াকে দেখানোর জন্য’। আবার বলা হচ্ছে দুনিয়া দেখবে না যে ‘আমেরিকা ফিরে এসেছে’। কিন্তু কোথায় চলে গিয়েছিল আমেরিকা, ট্রাম্পের হাত ধরে? আর কোথায়ইবা সে ফিরতে চায়?
এর জবাব হলো, আমেরিকা মূলত যে গত ৭৫ বছর ধরে এক গ্লোবাল সিস্টেমের নেতা ছিল। কিন্তু তা সত্ত্বেও সে সবকিছু ভুলে ট্রাম্পের হাত ধরে জাতিবাদী হয়ে যায়। সেখান থেকে সে গ্লোবাল নেতৃত্বে ফিরতে পারুক আর না পারুক; কিন্তু সে গ্লোবাল সিস্টেমে ফিরতে চায়, প্লেয়ার হতে চায়, গ্লোবাল পরিপ্রেক্ষিতে নিজের করণীয় ও ভূমিকা নিতে চায়। এই মেসেজটাই বাইডেন বারবার দিতে চাইছেন। এর বিপরীতে চীনা বিদেশ মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ২০ জানুয়ারি জো বাইডেনের কাছে আবেদন করে বলেছেন, চীনের সাথে আমেরিকা যেন যুক্তিবুদ্ধি খাটিয়ে আচরণ (মানে রাগ বা বিদ্বেষে নয়) করে, বিশেষত দ্বিতীয়-বৃহত্তম অর্থনীতির একটা দেশ যেমন আশা করে। আরো আছে। চীন বলছে চার বছর আগে যেমন চীন-আমেরিকা আমরা ছিলাম তেমন জায়গায় (ব্যাক অন ট্র্যাক) ফিরে যেতে।
মজার কথা হলো, এই শেষ বাক্যে এসে দেখা যাচ্ছে, চীন ও আমেরিকার মন্তব্যের মধ্যে এক বিশাল মিল দেখা যাচ্ছে। এ যেন প্রেমের প্রস্তাবের আগেই কোনো পক্ষ যে প্রত্যাখ্যাত হবেন না তা নিশ্চিত হতে চাচ্ছেন।
শপথের দিনের মহড়া দেখে মনে হয়েছে তারা এক রাস্তা ধরেই আগাচ্ছেন হয়তো! যদিও পথে অনেক বাধাও আছে। আর তা কি হয়, দেখার জন্য অন্তত ছয় মাস পর্যন্ত আমাদেরকে অপেক্ষা মনে হচ্ছে লাগবেই। কারণ কাজটা একেবারেই সহজ নয়। দেখা যাক!
লেখক : রাজনৈতিক বিশ্লেষক
goutamdas1958@hotmail.com