উচ্চ রক্তচাপ প্রতিরোধে কী করবেন
উচ্চ রক্তচাপ প্রতিরোধে কী করবেন - ছবি সংগৃহীত
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রতি ৪ জনে একজন উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত হন। বাংলাদেশে সঠিক পরিসংখ্যান জানা না থাকলেও পরিসংখ্যান থেকে জানা যায়, বাংলাদেশের ১০ থেকে ২০ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তি উচ্চ রক্তচাপে ভুগছে। অর্থাৎ এ দেশে উচ্চ রক্তচাপের রোগী দেড় কোটিরও বেশি। দেশে চিকিৎসা পাচ্ছেন বা ওষুধ ঠিকমতো খাচ্ছেন এমন লোকের সংখ্যা কিন্তু খুবই কম। এতে দেখা দিচ্ছে হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক, হৃদরোগ, কিডনি ফেইলুর, এমনকি অন্ধত্ব। বলা হলে থাকে যে উচ্চ রক্তচাপ এক নম্বর প্রতিরোধযোগ্য প্রাণহারী ব্যাধি। এতই যখন ভয়াবহ রোগ এটি, তা প্রতিরোধ করা যায় কিভাবে? যদিও এর মাত্র ৫ ভাগ কারণ জানা যায়। তাই কোন কোন কাজ করলে এটি প্রতিরোধ করা যাবে তা নিশ্চিত করে বলা যায় না। তবে কিছু কিছু কাজ করলে এটি প্রতিরোধ করা যায় বলে গবেষণায় প্রকাশিত হয়েছে।
এখানে সেগুলো নিয়ে এ আলোচনা :
ওজন হোক নিয়ন্ত্রিত : অতিরিক্ত ওজনের কারণে উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্তের হার বাড়ে ২-৬ গুণ। ওজন কমালে উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্তের হার কমে, এমনকি কমানো ওজন অল্প পরিমাণে হলেও।
নিয়মিত ব্যায়াম করুন : যারা নিয়মিত পরিশ্রম করে তারা অ-পরিশ্রমীদের চেয়ে ২০-৫০ ভাগ কম উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত হন। এ জন্য আপনাকে ম্যারাথনে যোগ দিতে হবে না। প্রতিদিন ৩০-৪৫ মিনিটের ব্যায়াম যেমন হাঁটা-চলা, সাইকেল চালানো যথেষ্ট।
লবণ কমান : গবেষণায় দেখা গেছে উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্তরা লবণের পরিমাণ কমিয়ে রক্তচাপ কমিয়েছেন। তাই খাবারে লবণের পরিমাণ কমান। শুধু খাবারে লবণের পরিমাণ কমালেই হবে না লবণযুক্ত বাইরের খাবারও কমাতে হবে। এমন খাবারগুলো হলো : চানাচুর, সিঙ্গারা-সমুচা, বিভিন্ন ধরনের ফাস্টফুড যেমন- কেক, পুডিং, বার্গার, স্যান্ডউইচ।
মাদককে না বলুন : বিড়ি-সিগারেট, অ্যালকোহলকে না বলুন। এটি উচ্চ রক্তচাপ প্রতিরোধের অন্যতম উপায়।
দুচিন্তা : দুচিন্তা রক্তচাপ বাড়ায়। দীর্ঘমেয়াদি দুচিন্তায় দেখা দেয় উচ্চ রক্তচাপ। তাই কোনো বিষয়ে বেশি দুশ্চিন্তা করবেন না। দুশ্চিন্তা এড়িয়ে চলার চেষ্টা করুন।
খাবার হোক স্বাস্থ্যসম্মত : কোলেস্টরেল ও চর্বিসমৃদ্ধ খাবার যেমন : ডিমের কুসুম, কলিজা, মাছের ডিম, খাসি বা গরুর চর্বিযুক্ত গোশত, হাঁস-মুরগির চামড়া, হাড়ের মজ্জা, ঘি, মাখন, ডালডা, চিংড়ি, পাম অয়েল, নারিকেল পরিহার করতে হবে। বেশি বেশি খেতে হবে আঁশযুক্ত খাবার যেমন সব রকমের ডাল, শাকসবজি, ফল বিশেষ করে খোসাসহ ফল-পেয়ারা, জাম্বুরা আমলকী, বিভিন্ন ধরনের মাছ যেমন : সামুদ্রিক মাছ, ছোট মাছ, মাছের তেল। এ ছাড়া উদ্ভিজ্জ তেল যেমন কর্ন অয়েল, সানফ্লাওয়ার অয়েল, অলিভ অয়েল, সয়াবিন তেল, সরিষা তেল বেশি করে খান।