অন্ধ্রপ্রদেশে মুরগির গোশতের কেজি ২০০০ রুপি!

অন্য এক দিগন্ত | Jan 16, 2021 07:32 am
অন্ধ্রপ্রদেশে মুরগির গোশতের কেজি ২০০০ রুপি!

অন্ধ্রপ্রদেশে মুরগির গোশতের কেজি ২০০০ রুপি! - ছবি : সংগৃহীত

 

করোনাভাইরাসের ভয়াবহতার মধ্যেই ভারতে এখন নতুন আতঙ্ক ছড়িয়েছে বার্ড ফ্লু নিয়ে। ইতিমধ্যেই দেশটির ১০ রাজ্যে বার্ড ফ্লু হওয়ার ঘটনা নজরে এসেছে। অন্যান্য স্থানেও রোগটি ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। ভারতের বিভিন্ন স্থানে পোলট্রি এবং পোলট্রি জাতীয় পণ্যের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। যার ফলে মুরগির দাম মারাত্মক ভাবে হ্রাস পেয়েছে। কোনো কোনো স্থানে মুরগির দাম প্রতি কেজি ১০০ রুপিতে পৌঁছেছে। তবে অন্ধ্রপ্রদেশে মুরগির দামে কোনো হেরফের ঘটেনি। উল্টা মুরগির দাম বেড়ে গিয়ে দাঁড়িয়েছে প্রতি কেজি ১০০০ রুপি থেকে ২০০০ রুপি পর্যন্ত। এ ছাড়াও মোরগের দাম প্রতি কেজি ৩০০০ রুপি।

অবাক হলেও এই ঘটনা সত্যি! মকর সংক্রান্তির পরেই মেলায় মেলায় বসে যায় 'মোরগের লড়াই'। অন্ধ্রপ্রদেশেও করোনার মধ্যেও এই ঐতিহ্যের বিরূপ হয়নি। রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় এখন চলছে জোড়া মোরগের লড়াই। এ ছাড়াও গুন্টুর, কৃষ্ণ,পূর্ব ও পশ্চিম গোদাবরী জেলায় চড়া দামে বিক্রি করা হচ্ছে মুরগির গোশত। প্রতি বছর সংক্রান্তির সময় মোরগের লড়াই এখনো বিলুপ্ত হয়নি। বহু কাল ধরেই এই রীতি ঐতিহ্য বহন করে চলেছে মোরগ মালিকেরা।

'মোরগ লড়াই'য়ের সময় দু’টি মোরগের মধ্যে চলে রক্তারক্তি কাণ্ড । সংক্রান্তির পরের দিন এ খেলা দেখতে ভিন্ন প্রান্তের মানুষ উপস্থিত হয় মাঠে মাঠে। লড়াইয়ের হিসাব সহজ। যার মোরগ জিতবে, ঘায়েল মোরগও তার। ফলে মালিকেরা ওই ঘায়েল মোরগকে বিক্রি করে দেয় কেজি দরে। এ ছাড়াও যে মোরগ জিতবে সেগুলোকে বিক্রি করা হয় ৮ থেকে ১০ হাজার রুপিতে।

গোশত বিক্রেতা প্রসাদ ভীমাবরমের কথায়, "ঘায়েল মোরগের শরীর লড়াইয়ের পড়ে এক্কেবারে ক্ষতবিক্ষত হয়ে পড়ে। তার সেরে উঠতে অনেক দিন সময় লেগে যায়। তাই সেই মোরগের পিছনে অর্থ নষ্ট না করে বিক্রি করে দেয়া হয়। যাতে মানুষ খেতে পারেন"। তিনি আরো উল্লেখ করেছিলেন যে লড়াই করার জন্য যে মোরগগুলোকে ব্যবহার করা হয় সেগুলোর জাত অনেক উন্নত। এবং জন্মানোর পরে আলাদাভাবে যত্ন নেওয়া হয় ওই মোরগগুলির।

খাম্মাম জেলার মোরগ মালিক উদয় ভাস্কর কনকামেডালা জানিয়েছেন, "ভালো জাতের মোরগকে আমরা খুব যত্ন নিয়ে লালন-পালন করি। কারণ ওকে লড়াই করতে হবে। প্রতিযোগিতায় সাফল্য পাওয়ার জন্য আমরা মোরগকে জন্মের পর থেকেই প্রশিক্ষণ দিতে শুরু করি। তিনি আরো বলেন, প্রতিযোগিতায় কেবল একটি মোরগ জিতবে, অপরটি হারবে। তাই জয়ী মোরগকে অনেক সময় ১৫ হাজার রুপি থেকে ২ লাখ রুপিতেও বিক্রি করা হয়। অপর ঘায়েল মোরগকে খাওয়ার জন্য বিক্রি করা হয়, কারণ এতে পুষ্টির পরিমাণ পর্যাপ্ত রয়েছে"।

সূত্র : নিউজ ১৮

 


 

ko cuce /div>

দৈনিক নয়াদিগন্তের মাসিক প্রকাশনা

সম্পাদক: আলমগীর মহিউদ্দিন
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সালাহউদ্দিন বাবর
বার্তা সম্পাদক: মাসুমুর রহমান খলিলী


Email: online@dailynayadiganta.com

যোগাযোগ

১ আর. কে মিশন রোড, (মানিক মিয়া ফাউন্ডেশন), ঢাকা-১২০৩।  ফোন: ৫৭১৬৫২৬১-৯

Follow Us