ইরফান সেলিমের কিছু কথা
ইরফান সেলিম - ছবি সংগৃহীত
এমপি হাজী সেলিমের পুত্র ইরফান সেলিমকে পুলিশ দুটি মামলা থেকে অব্যাহতি দিয়েছে। ইরফানের বিরুদ্ধে করা মামলা দুটির একটি অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ আইনে, অন্যটি মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে। ওই দুটি মামলায় পুলিশের চূড়ান্ত প্রতিবেদনের পর ঢাকার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ভাস্কর দেবনাথ ৫ জানুয়ারি তার জামিন মঞ্জুর করেন। তার বিরুদ্ধে আরো দুটি মামলা রয়েছে। ওই দুটির অভিযোগ থেকে মাফ পেলে তিনি মুক্তি পাবেন।
ইরফানের বিরুদ্ধে রাজধানীর চকবাজার থানায় দায়ের করা মামলায় র্যাবের কর্মকর্তা মো: কাইউম উল্লেখ করেন, চকবাজারের দেবীদাসঘাট লেনের ২৬ নম্বরে রয়েছে, ‘চান সর্দার দাদাবাড়ি’ ভবন। ওই ভবনে বিপুল মাদকদ্রব্যসহ কয়েকজন ব্যক্তি অবস্থান করছেন। এই খবরের সত্যতা যাচাই ও আইনগত ব্যবস্থা নিতে ২০২০ সালের ২৬ অক্টোবর র্যাবের ৮ থেকে ১০ জন সদস্য ঘটনাস্থলে যান। সেখানে অভিযান চালিয়ে র্যাব অস্ত্র-মাদকসহ গ্রেফতার করেন এলাকার ওয়ার্ড কাউন্সিলর ইরফান সেলিমকে।
গত বছরের ২৫ অক্টোবর রাতে ধানমন্ডি এলাকায় সন্ত্রাসী কায়দায় নৌবাহিনীর কর্মকর্তা ওয়াসিফ আহমেদ খানকে মারধর করা হয়। সামাজিক মাধ্যমে কান্নারত নৌবাহিনীর কর্মকর্তার ওপর হামলার ঘটনাটি ছড়িয়ে পড়ে। ওই সময় ইরফানের সাথে থাকা লোকেরা ওয়াসিফকে মেরে দাঁত ভেঙে দেয়। তিনি তার স্ত্রীর শ্লীলতাহানির অভিযোগও আনেন। সাধারণ মানুষের ক্যামেরায় ধরা পড়া চিত্রে দেখা যায়, ওয়াসিফ তার ওপর সন্ত্রাসীদের মারধরের বিরুদ্ধে প্রতিকার চাইছেন। সাধারণ মানুষ এগিয়ে আসায় ওই প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যক্তি ও তার সহযোগীরা তখন পিছু হটে যান। সশস্ত্র বাহিনীসহ সমাজের সবার থেকে তখন এ ধরনের সন্ত্রাসী ঘটনার বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ-নিন্দা দেখা যায়।
এর পরই র্যাবের পক্ষ থেকে অভিযান চালানো হয় ইরফানের বাড়িতে। ওই অভিযানের মধ্যে আসলে নৌবাহিনীর একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে মারার প্রতিক্রিয়া ছিল। পুরান ঢাকার সংসদ সদস্য হাজী সেলিম ও তার কাউন্সিলর ছেলের বিরুদ্ধে আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অভিযান চালাতে পারবে, সেটা কেউ ধারণাও করতে পারেনি। তিনি ওই এলাকায় দীর্ঘ দিন ধরে নানা বেআইনি কর্মকাণ্ড করে এলেও তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া যায়নি। প্রচলিত একটি ধারণা ছিল, সেলিম ও তার ছেলেরা আইন-আদালতের ধরাছোঁয়ার বাইরে।
সংবাদমাধ্যমের সূত্রে সারা বিশ্বের মানুষ দেখেছেন, আমাদের একজন এমপি ও তার কাউন্সিলর ছেলের ডেরার অবস্থাটা কেমন। অভিযান চালিয়ে দেখা গেল, তাদের বাসাবাড়ি রীতিমতো এক মাফিয়া সাম্রাজ্য। র্যাব তখন সংবাদ সম্মেলন করে জানিয়েছে, ওই অভিযানে সেখানে ৩৮টি ওয়াকিটকি পাওয়া গেছে। ইরফানের বাড়ি থেকে এগুলোর মাধ্যমে পুরো এলাকা নিয়ন্ত্রণ করা হতো। সেখানে পাওয়া গেছে পিস্তল, বন্দুক, হ্যান্ডকাফ ও ড্রোন। জনপ্রতিনিধিদের বাসায় এসব থাকবে কেন? এগুলো কোনো বৈধ বাহিনী ব্যবহার করে থাকে। অথবা ব্যবহার করে অবৈধ মাফিয়া চক্র। সাধারণত মানুষের ওপর দমন-নিপীড়ন চালানোর জন্য এগুলো ব্যবহার হয়।
আরো জানা গেছে, সেখানে মানুষের হাড়গোড় পাওয়া যাওয়ার খবর। ছিল টর্চার চেম্বার। বিরোধী মতের মানুষকে শায়েস্তা করার জন্যই কি এ ব্যবস্থা নয়? পাওয়া গিয়েছিল মদ। পুলিশের রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে, ইরফানের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদকের অভিযোগ থেকে তিনি মুক্তি পেয়েছেন।
সরকারি গুরুত্বপূর্ণ একজন ব্যক্তির মার খাওয়া ছিল কাকতালীয় ঘটনা। এমনটা না ঘটলে র্যাবের পরের অভিযানটি হতো না। বাংলাদেশে এমন আরো মাফিয়া সাম্রাজ্য যে রয়েছে, তাতে সন্দেহ থাকার কথা নয়। সামরিক বাহিনীর আরেক সাবেক কর্মকর্তা সিনহা মোহাম্মদ রাশেদকে হত্যার পর সুযোগ পাওয়া গেল টেকনাফের ওসি প্রদীপ কুমার দাসের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের। সেখানেও দেখা গেল, তিনি তার থানা এবং এর আশপাশে মাফিয়া সাম্রাজ্য বানিয়ে নিয়েছেন। এ সাম্রাজ্যে শত শত মানুষ খুন গুম ধর্ষণ ও পৈশাচিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। পরিস্থিতির যে বিবরণ জাতির সামনে উন্মোচিত হয়েছে, তাতে এ ব্যাপারটা বুঝতে অসুবিধা হয় না- সিনহা হত্যার শিকার না হলে প্রদীপের সাম্রাজ্যে টোকা দেয়ার উপায় কারো ছিল না। একইভাবে, নৌবাহিনীর একজন কর্মকর্তার গায়ে হাত দেয়ার কারণেই এমনভাবে অভিযান চালানো সম্ভব হয়েছিল ইরফানদের বাসাবাড়িতে। তাহলে প্রশ্ন, অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য রাশেদ হত্যার মতো ঘটনা ঘটতে হবে, নৌবাহিনীর কর্মকর্তা ওয়াসিফকে মার খেতে হবে? অন্যথায়, বাংলাদেশের বড় অপরাধীরা তাদের অপরাধ সাম্রাজ্য চালিয়ে যাওয়ার বৈধতা পেয়েই যাবে?
আমাদের আশঙ্কা, বাংলাদেশে আরো শত শত এমন সাম্রাজ্য রয়েছে। ওইসব এলাকা নিয়ন্ত্রণ করছেন ক্ষমতার চাদর ব্যবহার করে মাফিয়ারা। নৌবাহিনীর একজন কর্মকর্তা মার খাওয়ার কারণে জানা গেল, ইরফানের বাসা থেকে ওয়াকিটকি দিয়ে পুরান ঢাকা নিয়ন্ত্রণ করা হয়। সেখানে টর্চার চেম্বার রয়েছে। সিনহা রাশেদের প্রাণদানের পর জানা গেল, স্বাধীন দেশের মানুষরা খুন, গুম, ক্রসফায়ার, ধর্ষণের ও পৈশাচিকতার শিকার হওয়ার পরও বিচার পাওয়ার সুযোগ হয় না। কেন একটি ভয়াবহ ঘটনা ঘটা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে বিচার পাওয়ার জন্য? স্বাধীন দেশে মানুষ মুক্ত হয়ে সমাজে বসবাস করার কথা। এ স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে সরকারের পক্ষ থেকে। পুরান ঢাকা ও টেকনাফের পরিস্থিতি থেকে আমরা জানতে পারছি, দেশের কিছু এলাকায় মানুষের স্বাধীনতা নেই।
ইরফানের ওপর থেকে অভিযোগগুলো সরে যাওয়ায় মনে হতে পারে, পুরান ঢাকায় র্যাবের চালানো অভিযানটি সাজানো এবং সেখান থেকে যেসব অবৈধ জিনিসপত্র উদ্ধার হয়েছে সেগুলো ভুয়া ছিল। অন্ততপক্ষে, প্রকৃত ঘটনা নিয়ে মানুষের মধ্যে দ্বিধা দেখা দেবে। ইরফানের বিরুদ্ধে চারটি মামলাই তদন্ত করেন ডিএমপির চকবাজার থানার পরিদর্শক দেলোয়ার হোসেন। ইরফানের বাসায় পাওয়া অস্ত্র ও মাদকের জন্য ইরফান দায়ী নন। তিনি যেহেতু মামলা দুটি থেকে রেহাই পেয়ে গেছেন, এটাই এখন প্রমাণিত হচ্ছে আদালতে। তদন্তকারী কর্মকর্তার পক্ষ থেকে দেয়া অভিযোগপত্রে দোষী হিসেবে পাওয়া গেল তার দেহরক্ষী জাহিদুল মোল্লাকে। সংবাদ মাধ্যমের পক্ষ থেকে ওই কর্মকর্তাকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, তাহলে কি ইরফানের জিম্মায় অস্ত্র ও মাদক ছিল না? এর জবাবে তিনি জানান, এসব ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা কথা বলবেন। সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর থেকে বোঝা যাচ্ছে- র্যাবের অভিযানে ইরফানের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছিল, পুলিশের তদন্তে পাওয়া যাচ্ছে তার বিপরীত।
র্যাবের অভিযানের সময় ভ্রাম্যমাণ আদালত মাদক রাখার দায়ে ইরফানকে এক বছরের এবং অবৈধ ওয়াকিটকি রাখার জন্য ছয় মাসের কারাদণ্ড দেন। আমাদের বিচারব্যবস্থা নিয়ে মানুষের প্রশ্ন করার বহু সুযোগ রয়েছে। ভ্রাম্যমাণ আদালতের জনহিতৈষী কার্যক্রম দেখা গেছে। ভেজাল ও নকল পণ্যের বিরুদ্ধে তাদের অভিযানে সাধারণ মানুষ উপকৃত হয়েছে। অবৈধ দখলদারদের তাড়াতেও কিছু ভূমিকা এ আদালত রেখেছেন। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে প্রভাবশালী দখলদাররা হটে যাননি। এসব আদালতে অনেকে প্রতিহিংসার শিকার হয়েছেন, এমন অভিযোগ এসেছে। ইরফান যদি সত্যিই অবৈধ অস্ত্র ও মাদক না রেখে থাকেন তাহলে ভ্রাম্যমাণ আদালত যে দণ্ড দিয়েছেন সেটা সঠিক ছিল কিভাবে বলা যাবে?
আসামিদের দায় স্বীকার না করার একটা বড় সুযোগ আমরা দেখতে পাচ্ছি। অপরাধ করার পরও তারা দায় স্বীকার না করে থাকতে পারছেন। সবাই জানে, লিয়াকত উপর্যুপরি গুলি করেছেন সিনহা রাশেদকে। প্রদীপ এসে তার গলায় বুট দিয়ে চেপে ধরে মৃত্যু নিশ্চিত করেছেন। খবর প্রকাশ করা হচ্ছে, প্রদীপ তার অপরাধ স্বীকার করেননি। ঘটনাটি প্রকাশ্য দিবালোকে এই অপরাধীরা যৌথভাবে সংঘটিত করেছেন। সব অপরাধীকে একসাথে মুখোমুখি করলে প্রদীপ কিভাবে দায় অস্বীকার করবেন? সে ধরনের কোনো উদ্যোগ দেখা যায় না। অন্তত একজন সাধারণ বুদ্ধির মানুষের এটা বুঝতে অসুবিধা হয় না। পুলিশের পক্ষ থেকে জানা যায়, ইরফান নাকি তার অপরাধের দায় স্বীকার করেননি।
অপরাধের দায় স্বীকার নিয়ে কত ভুতুড়ে ঘটনা আমরা এদেশে দেখেছি, তার কোনো ইয়ত্তা নেই। এমন অপরাধের দায়ও কেউ কেউ স্বীকার করেছেন যা তারা আদৌ করেননি বা সেসব অপরাধের সাথে তাদের কোনো সম্পর্ক ছিল। আমাদের নিরাপত্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে অপরাধ স্বীকার করানো নিয়ে জনসাধারণের অভিযোগের অন্ত নেই। টর্চার সেলে বিভিন্ন থেরাপি প্রয়োগ করে এমন স্বীকারোক্তি আদায়ের কথা জানা যায়। রিমান্ডে নিলে সবকিছু সুড়সুড় করে বলে দেয়। দেখা যায়, আসামি রিমান্ডের পর আর চলতে ফিরতে পারছেন না। সুঠাম দেহের যুবকরা বৃদ্ধ হয়ে যেতে দেখা গেছে। তাদের নিত্যসঙ্গী হয়ে গেছে হুইলচেয়ার। রিমান্ডের পর তারা আদালতে আসছেন কারো কাঁধের ওপর ভর করে, কাউকে আনতে হচ্ছে স্ট্রেচারে করে। বাংলাদেশের ইতিহাসে বিগত এক দশকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দ্বারা এমন স্বীকারোক্তিমূলক কার্যক্রমের সুনামি বয়ে গেছে।
জঙ্গি নাশকতা সংক্রান্ত ব্যাপারে এমন ঘটনা বেশি পরিলক্ষিত হয়েছে। রাজনৈতিক বিরোধিতাকে কেন্দ্র করে এসব ঘটেছে। অনেকে পঙ্গু ও খোঁড়া হয়ে গেছেন। অনেকে জীবনী শক্তি হারিয়ে এখন মানবেতর জীবন যাপন করছেন। এই লোকেরা প্রকৃতপক্ষে কোনো ধরনের জঙ্গি নাশকতামূলক কাজ করেছেন কি না এ ব্যাপারে জনগণের সামনে প্রকাশ্যে কোনো সাক্ষী নেই। রিমান্ডে নেয়ার পর লোকেরা নাশকতা দায় স্বীকার করেছে। তবে এমনটা জনগণ বেশির ভাগ ক্ষেত্রে দেখতে পায়নি। জঙ্গি নাশকতার অভিযোগ ওইসব পুলিশের বয়ানই জাতির সামনে প্রকাশিত হয়েছে। ধৃত ব্যক্তিরা জনগণের জানমালের ক্ষতি করে নাশকতা করেছেন, এমনটা মানুষ খুব কমই প্রত্যক্ষ করেছেন। তার পরেও এসব রাজনীতি সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের অপরাধ স্বীকার করানোর ক্ষেত্রে পুলিশের কোনো অসুবিধা হয়নি।
এমন ঘটনাও আমরা দেখেছি, কারো হত্যার ব্যাপারে কাউকে অভিযুক্ত করে পুলিশ প্রতিবেদন দিয়েছে। ওই প্রতিবেদনে অপরাধীরা নিশ্চিতভাবে দোষী বলে চিহ্নিত হয়ে গেছেন। পরে দেখা গেল, সেই ‘মৃত’ ব্যক্তি ফিরে এসেছে। আমাদের পুলিশনির্ভর বিচার ব্যবস্থার এই করুণ অবস্থা সবার জানা। একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি আমরা মেনে নিয়েছি। সাধারণ মানুষকে মেনে নিতে হচ্ছে পুলিশের একচেটিয়া ভাষ্য। দুঃখজনক হচ্ছে, বড় অপরাধীদের অপরাধ যখন প্রকাশ্য দিবালোকে সংঘটিত হচ্ছে, তাদের কাছ থেকে আমাদের পুলিশ কোনো স্বীকারোক্তি আদায় করতে পারছে না।
প্রদীপের অপরাধের বিপুল রেকর্ড প্রকাশিত হয়েছে। সিনহাকে হত্যায় তার পরিকল্পনা ও অভিযানে অংশগ্রহণ এখন সবার জানা। তার আরো শত শত অপরাধ এখন মানুষের মুখে মুখে। মানুষের খুন, গুম ও ধর্ষণ হয়ে যাওয়া ভুক্তভোগীরা রয়েছেন। তার দ্বারা টর্চারের চিহ্ন শত শত লোক বয়ে চলেছেন। আমরা জানতে পারছি, সিনহা হত্যায় দায় স্বীকার করেননি প্রদীপ।
প্রদীপ ও ইরফানদের বিভিন্ন থেরাপি দিয়ে অপরাধের দায় স্বীকার করানো হোক, এমনটা বিবেকবান মানুষেরা চান না। সবচেয়ে ঘৃণ্য অপরাধীকেও অন্যায়ভাবে শাস্তি দেয়া হোক- এমনটা বাংলাদেশের মানুষ চান না; যদিও দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিরাপরাধ মানুষের ওপর এমন নির্যাতন করেছেন। তার ভূরি ভূরি প্রমাণ রয়েছে। জনসাধারণ চান, ঘটনার সুষ্ঠু বিচার। ইরফান এবং তার সাথীরা দেশপ্রেমিক সামরিক বাহিনীর এক সদস্যকে মেরেছেন এটা তো প্রকাশ্যে জানা গেছে। আর মানুষের ওপর অবৈধভাবে নজরদারি তিনি বাসা থেকে করেছেন। টর্চার চেম্বার, অস্ত্র ও মাদক রাখার কথা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মানুষকে জানিয়েছে। অভিযানের সময় সেটা প্রকাশ্যে দেখা গেছে। এখন ‘এসবের সাথে তিনি জড়িত নন’ এই একটি কথায় তিনি ‘নির্দোষ’ হয়ে যান কি না সেটা দেখার অপেক্ষায় রয়েছে দেশের মানুষ।
jjshim146@yahoo.com