কত দান করেন বিশ্বের সবচেয়ে বড় দাতা?

অন্য এক দিগন্ত ডেস্ক | Jan 05, 2021 07:15 pm
জেফ বেজোস

জেফ বেজোস - ছবি : সংগৃহীত

 

অ্যামাজনের মালিক জেফ বেজোস পৃথিবীর ধনীতম মানুষ। আর তিনিই ফেলে আসা বছরে দান করার বিষয়েও ছিলেন সবচেয়ে এগিয়ে। একটি সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশ পেয়েছে, পৃথিবীর সর্বোচ্চ দাতাদের তালিকায় সবার উপরে আছেন বেজোস। তিনি ২০২০ সালে দান করেছেন এক হাজার কোটি মার্কিন ডলার।

সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, পরিবেশ রক্ষার কাজ করছেন যারা, তাদের জন্য বেজোস এই দান করেছেন। বেজোসের মোট সম্পত্তির পরিমাণ ১৮ হাজার ৮০০ কোটি মার্কিন ডলার। তিনি বেজোস আর্থ ফাউন্ডেশনের জন্য বিপুল অর্থ দান করেছেন শেষ বছরে। এ ছাড়াও প্রায় ১৬টি স্বেচ্ছাসেবী পরিবেশরক্ষা সংগঠনকে তিনি দান করেছেন বিপুল পরিমাণ অর্থ।

বেজোস বাদে তালিকার প্রথম দশে আর যারা রয়েছেন, তাদের সম্মিলিত দানের পরিমাণ মোটে ২৬০ কোটি টাকা। সেখানে একাই বেজোস প্রথম স্থানে থেকে দিয়েছেন ১ হাজার কোটি। যে হারে সম্পদের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে পৃথিবীর ধনকুবেরদের, তার তুলনায় দানের পরিমাণ সত্যই বৃদ্ধি পেয়েছে কম।

শেষ বছরে বেজোসের সম্পদের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে প্রায় ৬০ শতাংশের কাছাকাছি। তালিকায় বেজোসের পরেই রয়েছেন ফিল নাইট ও তার স্ত্রী। তারা দ্বিতীয় ও তৃতীয় সর্বোচ্চ অর্থ দান করেছেন। তাদের দানের পরিমাণ ৯০ কোটি মার্কিন ডলার।

তারপরে রয়েছেন ফ্রেড ক্যুউমার ও তার স্ত্রী। তারা দান করেছেন প্রায় ৩০ কোটি মার্কিন ডলার। মিসৌরি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিজ্ঞান ও তথ্য প্রযুক্তি বিভাগের উন্নতিকল্পে তারা এই অর্থ দান করেছেন।

তালিকায় এরপর রয়েছেন ফেসবুকে মালিক মার্ক জাকারবার্গ। তিনি ও তার স্ত্রী দান করেছেন প্রায় ২৫ কোটি মার্কিন ডলার। সেন্টার ফর টেক অ্যান্ড সিভিক লাইফ প্রতিষ্ঠানে তারা এই অর্থ দান করেছেন। প্রতিষ্ঠান কাজ করেছে যাতে মার্কিন নির্বাচনে নিরাপত্তার দিক থেকে কোনো সমস্যা না থাকে, সেই স্বার্থে।


বিশ্বের দু'নম্বর ধনীর তিন স্ত্রী, এক প্রেমিকা, ৭ সন্তান!
টেসলা কর্ণধার এলন মাস্ক। সম্পদের নিরিখে ‘মাইক্রোসফ্‌ট’ সংস্থার কর্ণধার বিল গেটসকে টপকে সম্প্রতি বিশ্বের ধনীতম ব্যক্তিদের তালিকায় দু’নম্বরে জায়গা পাকা করে নিয়েছেন তিনি।

ফি বছর বিশ্বের কোটিপতিদের তালিকা তৈরি করে যারা সেই ‘ব্লুমবার্গ বিলিওনেয়ার ইনডেক্স’ সম্প্রতি এই খবর দিয়েছে। চলতি বছরে বিশ্বের ৫০০ জন কোটিপতির মধ্যে দু’নম্বরে চলে এসেছেন তিনি।

বছরের শুরুতে তিনি ছিলেন তালিকার ৩৫ নম্বরে। ২ নম্বরে উঠে আসতে তাকে সাহায্য করেছে স‌ংস্থার উত্তরোত্তর ঊর্ধ্বমুখী শেয়ারের দাম।

হু হু করে টেসলা মোটরের শেয়ারের দাম চড়ে যাওয়ায় এলনের মোট সম্পদের পরিমাণ বেড়ে হয়েছে ১২ হাজার ৭৯০ কোটি ডলার। একটু পিছিয়ে পড়ে গেটসের সম্পদের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১২ হাজার ৭৭০ কোটি ডলারে।

এলনের জন্ম ১৯৭১ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রিটোরিয়ায়। বাবা ছিলেন এক জন বড় মাপের ইঞ্জিনিয়র। মা ছিলেন এক জন জনপ্রিয় কানাডিয়ান মডেল। আজ যে খ্যাতি, যে প্রতিপত্তি এলনের, তার ভিত পোঁতা ছিল তার শৈশবেই।

ছোট থেকেই এলন নিত্যনতুন জিনিস আবিষ্কারের কথা ভাবতেন। নানা কিছু দিয়ে পরীক্ষাও করতেন সব সময়। তার কল্পনার মাত্রা ছিল বাঁধনছাড়া। সব সময় এতটাই কল্পনাতে বুঁদ হয়ে থাকতেন যে কারো ডাকে সাড়াও দিতেন না।

এক বার তাকে চিকিৎসকের কাছেও নিয়ে যেতে হয়েছিল সে জন্য। অন্য শিশুদের মতো তার স্বাভাবিক আচরণ না থাকার জন্য চিকিৎসক তার ব্রেন থেরাপির পরামর্শও দেন। পরীক্ষা করিয়ে নিতে বলেছিলেন তার শ্রবণ শক্তিরও।

এলন যখন মাত্র ১০ বছরের, তার মা-বাবার বিচ্ছেদ হয়ে যায়। সে নিয়ে এতটুকু মাথাব্যথা ছিল না তার। বরং তখন তার মধ্যে কম্পিউটার নিয়ে অনেক বেশি কৌতূহল ছিল।

ওই ১০ বছরেই শিখে ফেলেছিলেন প্রোগ্রামিং। তার দু’বছরের মধ্যে নিজের তৈরি সফটওয়্যার গেম ‘ব্লাস্টার’ বিক্রি করেছিলেন। এটাই ছিল তাঁর জীবনের প্রথম উপার্জন।

কল্পনাপ্রবণ হওয়ায় স্কুলে তাঁর খুব একটা বন্ধু ছিল না। বেশির ভাগ সময় বই নিয়েই থাকতেন তিনি। তবে পরে অবশ্য কারাটে এবং কুস্তি শিখেছিলেন।

১৯৮৯ সালে উচ্চশিক্ষার জন্য এলন কানাডায় চলে যান। ওই বছরই তিনি কানাডার নাগরিকত্ব পান।

পরে ক্যালিফোর্নিয়ার স্ট্যান্ডফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ দেন পদার্থবিদ্যায় পিএইচডি করার জন্য। কিন্তু সেই পড়াশোনা মাঝপথেই থামিয়ে দেন।

মাত্র দু’দিন বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়েছিলেন তিনি। তার পরই নিজের প্রথম সফটওয়্যার কোম্পানি ‘জিপ ২’ খোলেন। সেটা ছিল ১৯৯৫ সাল। ‘জিপ ২’ ছিল অনলাইন সিটি গাইড কোম্পানি।

এখানেই থেমে থাকেননি। ১৯৯৯ সালে অনলাইন ফিনান্সিয়াল সার্ভিসেস কোম্পানি ‘পেপল’ গড়ে তোলেন।

তাঁর তৃতীয় কোম্পানি ‘স্পেসএক্স’। ২০০২ সালে এই কোম্পানি গড়ে তোলেন তিনি। তার ৬ বছরের মধ্যেই নাসার সঙ্গে যুক্ত হয়ে আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র পাঠাতে শুরু করে তাঁর সংস্থা। ২০০৪ সালে তিনি টেসলা মোটরের সিইও হন।

৩ স্ত্রী এবং এক প্রেমিকার থেকে মোট ৭ সন্তানের বাবা হয়েছেন এলন। তার মধ্যে স্পেসএক্স কর্ণধার নিজের এক ছেলের নাম রেখেছেন X AE A-12 মাস্ক।

নাম নিয়ে নেটদুনিয়ায় রসিকতাও হচ্ছে প্রচুর। কেউ বলছেন, ‘এ তো নাম নয়, পাসওয়ার্ড!’ এটা সত্যিকারের নাম না ‘কোডনেম’? তবে এ নাম উচ্চারণ করতে গিয়ে যে দাঁত ভেঙে যাওয়ার জোগাড় হবে— সে ব্যাপারে একমত নেটাগরিকরা।
৩ স্ত্রীয়ের সঙ্গেই বিচ্ছেদ হয়ে গেছে এলনের। তৃতীয় স্ত্রীয়ের সঙ্গে বিচ্ছেদ হয় ২০১৬ সালে। তার পর থেকে প্রেমিকা গ্রিমসের সঙ্গেই রয়েছেন তিনি। X AE A-12 মাস্ক প্রেমিকা গ্রিমসেরই ছেলে।

সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা


 

ko cuce /div>

দৈনিক নয়াদিগন্তের মাসিক প্রকাশনা

সম্পাদক: আলমগীর মহিউদ্দিন
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সালাহউদ্দিন বাবর
বার্তা সম্পাদক: মাসুমুর রহমান খলিলী


Email: online@dailynayadiganta.com

যোগাযোগ

১ আর. কে মিশন রোড, (মানিক মিয়া ফাউন্ডেশন), ঢাকা-১২০৩।  ফোন: ৫৭১৬৫২৬১-৯

Follow Us