ক্রোশিয়ার মুসলিমদের দুঃসময় শেষ হয়েছে!
ক্রোশিয়ার মুসলিম - ছবি সংগৃহীত
এড্রিয়াটিক সাগরের তীর ঘেঁষে গড়ে ওঠা ক্রোশিয়া ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দক্ষিণপূর্ব ইউরোপের একটি স্বাধীন ও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র। স্থলসীমান্তের চার পাশে রয়েছে স্লোভেনিয়া, হাঙ্গেরি, সার্বিয়া, বসনিয়া-হার্জেগোভিনা ও মন্টিনেগ্রো। ইতালির সাথে রয়েছে সমুদ্রসীমান্ত। এক সময় ক্রোশিয়া ছিল যুগোস্লাভ ফেডারেশনের অধীন। ৫৬ হাজার ৫৯৪ বর্গকিলোমিটার আয়তনের এ দেশে বর্তমানে ৪৫ লাখ মানুষ বসবাস করে। অধিকাংশ মানুষ খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বী এবং ক্যাথলিক চার্চের সাথে যুক্ত। মুসলমানের সংখ্যা মাত্র ১.৫ শতাংশ। বিভিন্ন নৃগোষ্ঠীর ৭০ হাজার মুসলমান ক্রোশিয়ায় বাস করে। এরা বিভিন্ন দেশ থেকে হিজরত করে এসে ক্রোশিয়ায় এসে থিতু হয়েছে। এর মধ্যে বসনিয়া-হার্জেগোভিনা থেকে আগত অভিবাসীর সংখ্য বেশি। এ ছাড়া ক্রোট, আলবেনিয়ান, রোমা, তুর্কি ও মেসিডোনিয়ান মুসলমানের সংখ্যাও কম নয়। পঞ্চদশ শতাব্দীতে তুরস্কের উসমানীয় খিলাফতের সময়ে এখানে ইসলামের আগমন ঘটে। ক্রোশিয়ার সাথে তুরস্কের অমøমধুর সম্পর্ক ছিল শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে। যুদ্ধও সংঘটিত হয়। ১৫৮৫ সালে Marco A. Pigaffetta নামের এক পরিব্রাজক লন্ডন থেকে প্রকাশিত তার Itinerario শীর্ষক ভ্রমণকাহিনীতে লিখেছেন যে, তুরস্কে ক্রোশীয় ভাষার প্রচলন ছিল। সরকারি কর্মকর্তা, বিশেষ করে সেনাসদস্যরা ক্রোশীয় ভাষা জানতো। এটা ছিল সে সময়ের রেওয়াজ। তুর্কি বংশোদ্ভূত জাফর বেগ নামক এক মুসলিম ১৯৪১ সালে স্বাধীন ক্রোশিয়ার ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
ক্রোশিয়ায় দৃষ্টিনন্দন মসজিদ ও ইসলামিক সেন্টার গড়ে উঠছে। নান্দনিক স্থাপত্যশৈলীতে নির্মিত মসজিদগুলোর বাহ্যিক ও অভ্যন্তরীণ অলঙ্করণ দর্শকদের নজর কাড়ে। ১৯৮৭ সালে ইউরোপের সর্ববৃহৎ মসজিদ গড়ে ওঠে রাজধানী জাগরিবে। ২০১৩ সালে ১০ হাজার ৮০০ মিটার এলাকাজুড়ে রিজেকা শহরে নির্মিত মিনার সংবলিত মসজিদটি বেশ আকর্ষণীয়। সে দেশের বিখ্যাত ভাস্কর দুশান ডিজামুঞ্জা, স্থপতি ডার্কো ভøাহোবি ও ব্রাঙ্কো ভুয়িনভি এর নকশা তৈরি করেন। সরকার অনুমোদিত বেশ ক’টি ইবাদতখানার পাশাপাশি বড় আকারের মসজিদ রয়েছে প্রায় ১১টি। মসজিদের সাথে রয়েছে কমপ্লেক্স। আছে কুরআন চর্চা, হাদিসের দরস, ওয়াজ-নসিহত ও সামাজিক গেট টুগেদারের ব্যবস্থা। দাওয়াতি কর্মকা- পরিচালনা, ঈদ ও কুরবানি আদায় এবং হিজাব ও পর্দা মেনে চলতে এ দেশে কোনো বাধা বা নিষেধাজ্ঞা নেই। শহরে বন্দরে হালাল ফুড শপ গড়ে উঠেছে। ১৯৩১ খ্রিস্টাব্দে ক্রোশিয়ায় মুসলমানদের সংখ্যা ছিল মাত্র চার হাজার, ২০১১ সালে দাঁড়ায় ৬৩ হাজারে। ২০২০ সালে ৭০ হাজারে উন্নীত হয়। ইতোমধ্যে Osejek, Sisak, Karlovac শহরে নতুন মসজিদ নির্মাণের পরিকল্পনা করা হয়েছে।
ক্রোশিয়ায় ইসলাম ক্রমবিকাশমান ধর্ম। মুসলমানগণ বৃহত্তর জনগোষ্ঠী খ্রিষ্টানদের সাথে সম্প্রীতির সম্পর্ক বজায় রেখে আসছেন। সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে সম্মিলিত অংশগ্রহণ এবং বার্নিং ইস্যুগুলোতে বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর সাথে মুসলমানদের একযোগে কাজ করার মানসিকতা সহিষ্ণুতার ভিত্তি তৈরি করে। ফলে পারস্পরিক শ্রদ্ধা, বন্ধুত্ব, প্রীতি ও সহাবস্থানের একটি বাতাবরণ তৈরি হয়। ধর্মচর্চা, ধর্ম অনুশীলন ও ধর্মশিক্ষার প্রচলন সাংবিধানিকভাবে স্বীকৃত। ধর্মীয় সম্প্রদায়গুলোর সাথে পরামর্শ করে সরকারি স্কুলে নিজ নিজ ধর্মশিক্ষার সরকারি উদ্যোগ বেশ প্রশংসনীয়। রমজান, ঈদ ও কুরবান উপলক্ষে রাষ্ট্রীয় ছুটি রয়েছে। প্রতিটি ধর্মের অনুসারী স্বীয় ধর্মীয় বিধান মতে বিয়ে সম্পন্ন করার অধিকার রয়েছে। তবে সব বিয়ে নিবন্ধন বাধ্যতামূলক। মুসলিম দেশগুলোর সাথে বহুপক্ষীয় সম্পর্ক স্থাপনে ক্রোশিয়ার উদ্যোগ ও প্রয়াস বেশ লক্ষণীয়।
ক্রোশীয় সরকার বিভিন্ন ধর্ম ও জাতিগোষ্ঠীর সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখার এবং আইনের শাসন ও রাষ্ট্র পরিচালনায় সবার সহযোগিতা কামনা করে। বর্ণবাদী ও উগ্রজাতীয়তাবাদী দু-চারটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা বাদ দিলে ক্রোশিয়ায় সন্ত্রাসী ও অপরাধ সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে। গত বছর রাজধানী জাগরিবে মক্কাভিত্তিক মুসলিম ওয়ার্ল্ড লীগের উদ্যোগে ‘Human Fraternity to Promote Security and Peace’ শীর্ষক এক আন্তর্জাতিক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। প্রেসিডেন্ট, প্রধানমন্ত্রী, স্পিকার, মন্ত্রিবর্গ, ইউরোপীয় ইউনিয়নের ভাইস প্রেসিডেন্ট, পার্লামেন্ট মেম্বার, মেয়র, সেনাকর্মকর্তা, সরকারি কর্মকর্তাবৃন্দ, ক্যাথলিক বিশপ, ভ্যাটিক্যানের প্রতিনিধি, রাজনৈতিক ও ধর্মীয় নেতৃবর্গ এতে অংশ নেন। বলকান অঞ্চলের বিভিন্ন ধর্মীয় নেতৃবৃন্দ সেমিনারে প্রতিনিধিত্ব করেন। বিশ্বে শান্তি ও সামাজিক সম্প্রীতির পরিবেশ তৈরির লক্ষ্যে মানবিক মূল্যবোধ ও সবমানুষের ঐক্য গড়ার ওপর সবিশেষ গুরুত্বারোপ ছিল সেমিনারের মূল প্রতিপাদ্য বিষয়। জাগরিবভিত্তিক বৈশ্বিক একটি কেন্দ্র স্থাপনের বিষয়ে সেমিনারে ব্যাপক আলোচনা হয়। এ কেন্দ্র মানবজাতির বিভিন্ন ধর্মীয় সম্প্রদায়, ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র নৃতাত্ত্বিকগোষ্ঠী ও উপজাতির মধ্যে মানবিক ও সামাজিক মূল্যবোধ গড়ে তোলার ক্ষেত্রে কাজ করে যাবে।
মুসলিম ওয়ার্ল্ড লীগের মহাসচিব ড. মুহাম্মদ বিন আবদুল করিম আল ঈসা বিশেষ অতিথির ভাষণে আন্তঃধর্মীয় সংলাপ, সহিষ্ণুতা ও বন্ধুত্বপূর্ণ সহাবস্থানের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, সহিংসতা, বর্ণবাদ ও উগ্রজাতীয়তা শান্তি প্রতিষ্ঠার পথে অন্তরায়। ক্রোশিয়ার প্রেসিডেন্ট মিসেস কোলিন্দা গ্রাভার কিতারোভিচ তার ভাষণে বলেন, ‘মানবিক ভ্রাতৃত্ববোধ শীর্ষক এ সেমিনারের আয়োজন করতে পেরে আমি সম্মানিত বোধ করছি। এ সেমিনার পুরো দুনিয়ায় শান্তি ও সহিষ্ণুতার উন্নয়নে তাৎপর্যপূর্ণ উদ্যোগ হিসেবে বিবেচিত হবে। প্রেসিডেন্ট বলেন, পৃথিবীর সব মানুষ আল্লাহর সৃষ্ট; মানবজাতিকে তিনি বৈচিত্র্য দান করেন। যাতে বিভিন্ন বংশ, সংস্কৃতি ও ধর্মের মানুষ একে অপরকে মানবতার সেবায় সহযোগিতা করতে পারেন। ব্যক্তির দুর্দশা ও যাতনা সমগ্র পৃথিবীর মানবম-লীর দুঃখ হিসেবে আল্লাহর কাছে বিবেচিত’।
ইউরোপের ৫০টি দেশে বসবাসরত মুসলমানগণ সে দেশের সংবিধান, আইন ও রেওয়াজ মেনে নিজেদের ধর্মচর্চা ও অনুশীলনে অভ্যস্ত। মুসলিম জনগোষ্ঠী বহুত্ববাদী সমাজে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের নীতিতে বিশ্বাসী। এতদসত্ত্বেও বর্ণবাদী ও উগ্র জাতীয়তাবাদী বিভিন্ন গ্রুপ নানা সময়ে মুসলমানদের বাড়িঘর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও মসজিদে হামলা চালায়। পুরো ইউরোপ জুড়ে সৃষ্টি হয়েছে ইসলামোফোবিয়ার শঙ্কা। ইউরোপের দেশে দেশে ইসলাম ধর্মের বিকাশ ও বিস্তৃতিতে বিদ্বিষ্ট হয়ে একশ্রেণীর বর্ণবাদীগোষ্ঠী পরিকল্পিতভাবে আতঙ্ক ও হিংসার আগুন ছড়াচ্ছে। ফ্রান্স, জার্মানি ও ডেনমার্ক ধর্মীয় বিদ্বেষ ও ঘৃণাপ্রচারে এগিয়ে রয়েছে। চরমপন্থা প্রচারের কল্পিত অভিযোগে ইতোমধ্যে ফরাসি সরকার দেশজুড়ে বিস্তৃত ৮০টি মসজিদ বন্ধ করে দিয়েছে। শার্লি এবদোতে প্রকাশিত মহানবী সা:-এর ব্যঙ্গচিত্র রাষ্ট্রীয়ভাবে সরকারি দফতরগুলোতে টাঙিয়ে দেয়া হয়।
এতে সঙ্ঘাত বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকগণ মনে করেন, মসজিদ বন্ধ করে দেয়া সমাধান নয়। কারণ মুসলমানগণ নামাজ আদায় করতে মসজিদে যাবেন। বরং সরকার ইমাম ও খতিবদের সাথে যোগাযোগ রেখে একটা গাইডলাইন দিলে এবং মসজিদের খুতবায় কী বলা হচ্ছে তা মনিটরিং করলে আস্থার সঙ্কট কেটে যেত। ফ্রান্সে মুসলমানগণ বিরাট শক্তি। ৬০ লাখ মুসলমান আছে ফ্রান্সে। মসজিদের সংখ্যা প্রায় দুই হাজার ৮০০। এ ছাড়া মুসলিম বিশ্বের সাথে ফ্রান্সের কোটি কোটি ইউরোর বাণিজ্য রয়েছে। পারস্য উপসাগরীয় আরব দেশগুলোতে ফ্রান্সের টোটাল পেট্রোলিয়াম কোম্পানি তেল-গ্যাস অনুসন্ধান, উত্তোলন ও পরিশোধনে নিয়োজিত। মুসলিম বিশ্বকে বাদ দিয়ে ফ্রান্স বেশিদূর এগোতে পারবে না।
‘ইউরোপের উগ্রপন্থীদের এ ধৃষ্টতা ও ঔদ্ধত্যের জন্য খোদ সেখানকার সরকারগুলোই দায়ী। গত বছর ডিসেম্বর আঙ্কারাভিত্তিক সংস্থা ফাউন্ডেশন ফর পলিটিক্যাল, ইকোনমিক অ্যান্ড সোশ্যাল রিসার্চ সংক্ষেপে এসআইটিএ’র প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয় ইউরোপের বিভিন্ন দেশে উগ্র ডানপন্থীদের তৎপরতা বেড়ে যাওয়ায় সেখানে ইসলাম আতঙ্ক ব্যাপক বৃদ্ধি পেয়েছে যার ফলে ওই মহাদেশটির নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা হুমকির সম্মুখীন। বিশিষ্ট রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ নুসরাতুল্লাহ তাজিক মনে করেন, পরিস্থিতি এমন দিকে যাচ্ছে যে ইউরোপের মুসলমানরা এখন আর নিরাপদ বোধ করছে না বরং প্রচণ্ড আতঙ্ক ও চাপের মুখে রয়েছে। ইউরোপের বেশ কয়েকটি দেশ বিশেষ করে ফ্রান্স, জার্মানি, গ্রিস, ব্রিটেন, সুইডেন, হল্যান্ড ও ডেনমার্কে অভিবাসীদের বিরুদ্ধে উগ্র ডানপন্থী দলগুলোর প্রভাব ও তৎপরতা দিন দিন বাড়তে থাকায় সেখানে মুসলমানদের মধ্যে আতঙ্ক বেড়েই চলেছে। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট অবমাননাকর কার্টুন প্রকাশকে বাকস্বাধীনতা বলে অভিহিত করেছেন। অথচ এ দেশটি কথিত ইহুদি নিধনযজ্ঞ হলোকাস্টের বিরুদ্ধে কথা বলাকে সহ্য করে না।
ইউরোপে ইসলামের শেকড় গভীরে প্রোথিত। একটানে উপড়ে ফেলা অসম্ভব। ২০১৮ সালের পরিসংখ্যান মতে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত ২৮টি দেশসহ গোটা ইউরোপের জনসংখ্যা ৭৫ কোটি। এর মধ্যে মুসলমানদের সংখ্যা চার কোটি। ইউরোপের প্রতিটি বড় বড় শহরে দৃষ্টিনন্দন মসজিদ কমপ্লেক্স গড়ে উঠেছে। ওয়াশিংটনভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান Pew Research Centre-এর মতে আগামী কয়েক দশকের মধ্যে ইউরোপে মুসলমানদের সংখ্যা বর্তমানের চেয়ে দ্বিগুণ হয়ে যাবে। জন্মহার, অভিবাসন ও ধর্মপরিবর্তন মুসলিম জনসংখ্যা বৃদ্ধির অন্যতম কারণ বলে বিবেচিত হয়।
ইহুদিবাদী গোষ্ঠী ও সাম্রাজ্যবাদী সরকারগুলোর ইসলামবিরোধী কঠোর নীতির কারণে মাঝে মধ্যে বিচ্ছিন্ন বিদ্বেষী ঘটনা ঘটছে। তবে কোনো মুসলিম কোনো অপরাধ করে থাকলে সেটাকে ব্যক্তির অপরাধ হিসেবে না দেখে সম্প্রদায়কে দায়ী করা হয়। ইসলামের বিরুদ্ধে মিডিয়ায় অপপ্রচার চালানো হয় পরিকল্পিতভাবে। ইউরোপের অনেক রাষ্ট্রপ্রধান বা সরকার প্রধান বা রাজনীতিবিদের মানস ও চেতনায় ক্রুসেডের ভূত চেপে বসেছে। এই পরিস্থিতিতে ক্রোশিয়ার মানববন্ধনা, সহিষ্ণুতা, ভ্রাতৃত্বের পয়গাম ও মুসলিম রাষ্ট্রগুলোর সাথে সম্পর্কোন্নয়নের প্রয়াস ইউরোপে নতুন আবেদন তৈরিতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে বলে তথ্যাভিজ্ঞ মহলের আশাবাদ। পারমাণবিক হুমকির মুখে পৃথিবীকে বাসযোগ্য রাখতে হলে নানা ধর্ম, বর্ণ, জাতি ও নৃগোষ্ঠীর মাঝে সম্প্রীতি, বন্ধুত্ব ও সহিষ্ণুতার বিকল্প নেই।
লেখক : অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক ও গবেষক।