কেমন আছে রাশিয়ার মুসলিমরা!

মুসা আল হাফিজ | Jan 04, 2021 04:24 pm
কেমন আছে রাশিয়ার মুসলিমরা!

কেমন আছে রাশিয়ার মুসলিমরা! - ছবি সংগৃহীত

 

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ’র ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্স কাউন্সিলের ভাইস-চেয়ারম্যান ছিলেন গ্রাহাম ই ফুলার। কানাডার ব্রিটিশ কলম্বিয়ার ভ্যাংকুভার শহরে সাইমন ফ্রেজার বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি ইতিহাসের অধ্যাপক। তার বিখ্যাত বই আ ওয়ার্ল্ড উইদাউট ইসলাম। মানে, এমন এক পৃথিবী, যেখানে ইসলাম নেই! বইটি প্রথম প্রকাশিত হয় ২০১০ সালে। অবশ্য এর আগে ইউরোপ ও উত্তর আমেরিকায় বহুল প্রচারিত Foreign Policy পত্রিকায় ২০০৮ সালের জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি সংখ্যায় প্রকাশিত হয় এর সারসংক্ষেপ। প্রকাশের পর আলোড়ন তৈরি হয় চার দিকে।

নিবন্ধটির শিরোনামে ছিল চমক। ইসলামকে সন্ত্রাস-সহিংসতার সাথে যুক্ত করা হচ্ছে এবং ইসলামী ফ্যাসিজমের ধুন্দুমার প্রচারণা চলছে। ফুলার প্রশ্ন তুলেছেন, পৃথিবীতে যদি না থাকত ইসলাম, সন্ত্রাস-সহিংসতা কি থাকত না? তিনি যুক্তিভিত্তিক পর্যালোচনার মাধ্যমে দেখান, ইসলামবিহীন পৃথিবীতে সন্ত্রাস থাকত এবং থাকত স্বৈরিতা, গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব, আত্মঘাতী হামলা, নিরাপত্তাহীনতা, জাতিগত ঘৃণা। কারণ, এগুলোর উৎস ইসলামে নয়, অন্যত্র।

ফুলার দেখান, ইসলামকে ধ্বংস ও বিনাশের সাথে যুক্ত করে দিয়ে যেসব প্রচারণা চলছে, তার মূলে আছে ক্রুসেডীয় মন ও চোখ, যা যেকোনো উপায়ে ইসলামকে অপর ও প্রতিপক্ষ হিসেবে দেখতে ও দেখাতে চায়।
পশ্চিমের এই ‘ইসলাম দেখা’য় রাশিয়াকে তিনি ব্যতিক্রমী কিছু বৈশিষ্ট্যে চিত্রায়িত করেছেন। কয়েকটি অধ্যায়ে এ আলোচনা বিস্তৃত। ইতিহাসের ধারায় রাশিয়া ইসলামকে কিভাবে দেখেছে ও বিচার করেছে, ফুলার দেন এর বিবরণী। তার চোখে, ‘রাশিয়া তার মুসলিম জনগোষ্ঠীকে একেক সময়ে একেকভাবে দেখেছে। পয়লা দেখেছে দুশমন হিসেবে, তারপর দেখেছে জার সাম্রাজ্যের বুনিয়াদ হিসেবে কিংবা রুশ সাম্রাজ্যের অনুগত সদস্য হিসেবে কিংবা প্রাচ্যে কমিউনিস্টদের সাম্রাজ্যবাদী নীতির নেতৃত্বদানকারী সম্ভাব্য শত্রু হিসেবে কিংবা পশ্চিমা সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে আদর্শিক মিত্র হিসেবে কিংবা অবিশ্বস্ত জাতীয়তাবাদী, বিপজ্জনক বিচ্ছিন্নতাবাদী বা সন্ত্রাসী হিসেবে কিংবা আরো একবার যুক্তরাষ্ট্রের সাম্রাজ্যবাদী শক্তির বিরুদ্ধে সম্ভাব্য মিত্র হিসেবে।’

রাশিয়া অর্থোডক্স খ্রিষ্টপ্রধান দেশ। ক্যাথলিক ও ইভানজেলিক পশ্চিমারা একে ভালো নজরে দেখেনি। রাশিয়াও ভালোভাবে নেয়নি তাদেরকে। ফলে রুশ-মার্কিন বিরোধ কেবল রাজনৈতিক নয়, অর্থোডক্স-ল্যাতিন খ্রিষ্টবাদের বিরোধও বটে! বিগত শতকে সোভিয়েত ইউনিয়নের ভাঙনের পরে রাশিয়ায় ক্যাথলিক প্রচারকদের উপস্থিতি বাড়তে থাকে। রাশিয়া এতে শঙ্কিত হয় এবং ২০০১ সালে আইন করে বিদেশী যেকোনো ধর্মপ্রচারকে কঠিন করে তোলে। কারণ, ক্যাথলিক প্রচারণা ছিল রাশিয়ার নিজস্ব সংস্কৃতি ও পরিচয়ের জন্য হুমকি! যে হুমকি তৈরি করছে বিদেশ থেকে আগত ধর্ম। কিন্তু রাশিয়ায় ইসলাম সে অর্থে বিদেশী ধর্ম নয়। ১৯৯৭ সালে রুশ সংবিধানে খ্রিষ্ট ধর্মের পাশাপাশি ইসলাম ধর্মকেও রাশিয়ার ‘সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যে’র অংশ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে। সাথে ছিল বৌদ্ধ ও ইহুদিধর্ম। ইসলাম এখন রাশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তর এবং সবচেয়ে বিকাশমান ধর্ম। দেশটির মোট জনসংখ্যার প্রায় ১৫% ইসলাম ধর্মাবলম্বী।

যদিও রাশিয়ায় মুসলিমদের প্রতি ঘৃণা রোগ কম নয়। এই সেদিন জনপ্রিয় চ্যানেল ওয়ান টিভিতে সম্প্রচারিত এক প্রোগ্রামে বিখ্যাত এক আইন প্রণেতা বললেন, মুসলিমপ্রধান উত্তর ককেশাসে জন্মহার কমাতে হবে এবং ওই অঞ্চলের লোকজনের চলাচলের ওপর কড়াকড়ি আরোপ করতে হবে। টিভি প্রোগ্রাম চলাকালে চালানো জরিপে এই অভিমতের পক্ষে ভোট দেন এক লাখ ৪০ হাজার দর্শক। মানবাধিকার গ্রুপ লেভাদা সেন্টার জানায়, মস্কোর ৪৯ শতাংশ বাসিন্দা ককেশাস অঞ্চলের মুসলমানদের প্রতি নেতিবাচক মনোভাব পোষণ করে। এরকম লোকদের হাতে আক্রান্ত হন অনেক মুসলিম। পিটার্সবার্গে খুরশেদা সুলতানভ নামের ৯ বছরের এক তাজিক বালিকাকে হত্যা করে এক উগ্রজাতীয়তাবাদী। রাশিয়ার নাৎসি পার্টির প্রকাশ করা এক ভিডিওতে দেখা যায় এক তাজিক ও দাগোস্তানি তরুণের মাথা শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন করা হচ্ছে। এমনতরো ঘৃণা রোগে আক্রান্তদের সংখ্যা অনেক। যাদের মধ্যে আছেন সের্গেই সোবিয়ানিনের মতো জনপ্রতিনিধিরা। মস্কোতে প্রায় ২০ লাখ মুসলমান বসবাস করে। মসজিদ আছে কেবল চারটি। এতে নামাজে বড়জোর ১০ হাজার মুসলির স্থান সঙ্কুলান হয়। কিন্তু সোবিয়ানিন একেই অধিক মনে করেন। তিনি আর কোনো মসজিদ মস্কোয় সহ্য করতে রাজি নন।

কিন্তু এর মধ্যেও রাশিয়ায় ইসলাম প্রশ্নে ঘৃণার বাইরে অবস্থান করে বস্তুনিষ্ঠ মানসিকতার চর্চা অনুপস্থিত নয়। রাষ্ট্র ইসলামহেইটকে শক্তি জোগাচ্ছে না। সম্প্রতি চাচ্ছে, মুসলিমদের শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান। সিভিল সোসাইটির বড় একটি অংশ ইসলামকে বুঝার প্রশ্নে শোনা কথায় কান দিতে রাজি নন।

ডেরজাভিন গ্যাভরিল রোমানোভিচ (১৭৪৩-১৮১৬), পাভেল ক্যাটেনিন (১৭৯২-১৮৫৩), আলেকজান্ডার গ্রিবিওডভ (১৭৯৫-১৮২৯), পাইওটর ভাইজেমস্কি (১৭৯২-১৮৭৮), মুরায়েভ (১৭৯৪-১৮৬৬), ওবস্টুজেভ মারলিনস্কি (১৭৯৭-১৮৩৭) ও পোলেয়াজেভ (১৮০৫-১৮৩৮), মিখাইল লেরমন্তভকে (১৮১৪-১৮৪১), ভ্লাদিমির সোলোভিয়েভ (১৮৫৩-১৯০০), আলেকজান্ডার পুশকিন (১৭৯৯-১৮৩৭), নিকোলাই গোগল (১৮০৯-১৮৫২), আলেক্সি নিকোলভিচ তলস্তয় (১৮৮২-১৯৪৫) এই ধারার বরেণ্য নাম। আমরা বিশেষভাবে পুশকিনের কথা বলতে পারি। তিনি আধুনিক রুশ সাহিত্যের স্থপতি। শুধু রুশ ভাষা নয়, গোটা বিশ্বসাহিত্যে তিনি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কবি, যদিও তার মৃত্যু হয়েছিল ৩৮ বছর বয়সেই। তার পিতামহ ছিলেন আফ্রিকার রাজপুত্র আব্রাহাম পেট্রোভিচ গ্যানিবল। অল্প বয়সে গ্যানিবালকে কনস্ট্যান্টিনোপলের তুর্কি আদালতে বন্দী করে রাখা হয়েছিল, কিন্তু পরে একজন রাশিয়ান কূটনীতিক তাকে মুক্তি দিয়ে সেন্ট পিটার্সবার্গে নিয়ে যান যেখানে জার, পিটার দ্য গ্রেট তাকে রাশিয়ান অর্থোডক্স বিশ্বাসে দীক্ষা দিয়েছিলেন। গ্যানিবল ছিলেন পিটারের একান্ত নিকটজন। পুশকিনের বহু পূর্ব পুরুষ রাশিয়ায় পালন করেন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। কিন্তু পুশকিনের ভূমিকা সবার উপরে। তিনি রুশ সাহিত্যে বিকাশ ঘটান রোমান্টিসিজমের। এর সাথে বাস্তববাদের যোগ ঘটিয়ে আনেন অভিনব মাত্রা। মহাকাব্যের পাশাপাশি লিখেছেন নাটক, গল্প, উপন্যাস। ‘ইয়েভেজেনি ওনেজিন’-এর মতো উপন্যাস কিংবা ‘ম্যাসেজ অব ইউরোপ’ এবং ‘রুসলাম অ্যান্ড লুদমান’ কাব্যগ্রন্থ বিশ্বসাহিত্যে তার অনবদ্য দান। সাংবাদিকতা করেছেন প্রভাব ও শৈলীর সমন্বয় ঘটিয়ে। অ্যান্তন চেখভের পরে তিনিই রুশ ভাষার সবচেয়ে সমাদৃত নাট্যকার।

সবকিছুর উপরে তিনি ছিলেন প্রেমিক। মানুষের প্রেমের ভাষা হয়ে ওঠে তার কবিতা। অসংখ্য পঙ্ক্তি দিয়ে তিনি রুশ তারুণ্যের মনের উচ্চারণে পরিণত হন। তার একটি কবিতা বলে, ‘আমি তোমাকে ভালোবাসতাম, সম্ভবত এখনো ভালোবাসি।’ ভালোবাসার দীপশিখা তিনি নিভাতে চান না। দূরে সরে যাওয়ার পরেও। সেটা জ্বালিয়ে রাখেন নিজের ভেতরে, শান্তভাবে, নীরবে। সে ভালোবাসা কাউকে বিব্রত করে না, প্রতিদান চায় না। যাকে হারিয়েছে, তার কল্যাণ কামনায় ব্যাকুল এই ভালোবাসা। সে খুব নিষ্ঠাবান, নিগুড়তাগামী।

নিষ্ঠা ও নিগুড়তাসন্ধান পুশকিনের সৃষ্টিকে দেয় আলাদা মাত্রা। এর ছাপ দেখা যাবে তার ইসলাম দৃষ্টিতে। ফিওডর দস্তয়েভস্কি ঠিকই বলতেন, ‘প্রাচ্য সভ্যতার প্রকৃত মর্ম বোঝার অসাধারণ ক্ষমতা ছিল পুশকিনের।’ তিনি ইসলামকে পড়তে শুরু করেন রাশিয়ার মুসলিমদের সাথে ব্যক্তিগত মিথষ্ক্রিয়া থেকে। এরই ফসল মুদ্রিত আছে তার নানা কাব্যে ১৮২০-২১ সালে তিনি লেখেন The Prisoner of the Caucasus কাব্যগ্রন্থ। প্রকাশিত হয় ১৮২২ সালে। ১৮২১ থেকে ১৮২৩ সালের মধ্যে রচনা করেন Fountain of Bakhchisarai এসব রচনায় মুসলিম জীবন ও সংস্কৃতির প্রতি মুগ্ধ ও শ্রদ্ধাসিক্ত এক দ্রষ্টাকে পাওয়া যায়।
কিন্তু পুশকিনের ইসলামপাঠ মুসলিম জীবনের দৃশ্যপাঠ হয়ে থাকে না। তাকে তিনি নিয়ে যান অন্তরতলে। তিনি নিমজ্জিত হন আল কুরআনে। তিনি বিচরণ করেন হেরাগুহায়, যখন মহামানবের বক্ষ প্রশস্ত হচ্ছিল। Podrazhanyya Quran তার এক অনবদ্য কবিতা সঙ্কলন। Ants Oras-এর অনুবাদে ইংরেজিতে তা প্রকাশিত হয় imitations of the koran নামে। এতে আল কুরআনের ভাষা ধার করে কথা বলেছে তার কবিতা। যেমন-

শপথ সেসব কিছুর যা জোড় ও বেজোড়/শপথ কঠোর যুদ্ধের দিনের তরবারির/শপথ সন্ধ্যার গোধূলি লগ্নের তারকা ও প্রভাতের/তোমাকে কখনো একাকী ছেড়ে দেইনি/তোমাকে করেছি মানুষের ত্রাণকর্তা/তোমাকে দূরে রেখেছি মন্দ চোখ হতে, পরিয়েছি প্রশান্তির জামা /সে রাতে তোমার ঠোঁটগুলো ছিল তৃষ্ণার্ত, সবচেয়ে মরুময় ভূমিগুলোও হল ঝর্ণা/তোমাকে বাণী দান করেছি খুবই পরিপূর্ণ/যা অচেতন বা প্রজ্ঞাহীনদের কেটে দেয় ব্লেড বা ক্ষুরের মতো!
পুশকিন আরো লেখেন :

রুখে দাঁড়াও ও বীরের মতো যুদ্ধ করো/এসো সত্যের পথকে সুগম কর /আমার ইয়াতিমদের স্নেহ করো/আমার কুরআনের দিকে ডাক বিশ্বকে/যাদের বিশ্বাস উইলো গাছের মতো নড়বড়ে কম্পমান/তাদের আহ্বান কর সত্যের পথে।

এ কাব্যে ইসলামে তার নিমজ্জন এত তীব্রভাবে হাজির হয় যে, এর ওপর উদ্বেগ প্রকাশ করেন দস্তয়েভস্কি। তিনি লেখেন, ‘পুশকিনের এ কাব্যে কি আমরা একজন প্রকৃত মুসলিমকে দেখতে পাই না? কুরআন, তরবারি ও একটি দৃঢ়বিশ্বাসের শক্তি ও মহিমা দেখতে পাই না?’

পুশকিনের বিখ্যাত এক কবিতা Ïðîðîê বা পয়গাম্বর। A.Z. Foremanসহ অনেকেই একে The Prophet নামে অনুবাদ করেছেন। এতে মহানবীর ওপর ওহি নাজিলের বিষয় ও তাঁর অন্তরালোকের বিষয়ে মহানবীর জবানীতে কথা বলে পুশকিনের কবিতা। জানায় মহানবীর সা: অভিজ্ঞতা-
‘তৃষিত দহিত হৃদয় নিয়ে মরুতে বিষণ্ন আমি দীনহীন জীবন কাটাচ্ছিলাম তখনি ষষ্ঠ পক্ষীয় দেবদূত সেরাকিম পথ সঙ্গিতে মম সমীপে আবির্ভূত হলো।

স্বরের মতো হালকা করস্পর্শে আমার নয়ন মণিতে তার ছোঁয়া লাগল; ভীত সন্ত্রস্ত বাজপাখির সচকিত চোখের মণির ন্যায় ঘুরে গিয়ে তৃতীয় নয়ন খুলে গেল আমার।

পরম প্রভু আমার কর্ণ-স্পর্শ করার পর, গভীর আওয়াজ আর তীব্র ধ্বনি চার পাশ থেকে আমার ভেতর প্রবেশ করল। আমি আকাশের ঘোরতর কাঁপুনি শুনতে পেলাম। দেখলাম সুদূর নীলিমায় দেবদূতদের উড্ডয়ন, সমুদ্রের তলদেশবিহারীদের বিচরণ আর সুদূরের সাধারণ দ্রাক্ষাকুঞ্জের শিহরণ।
আমার ওষ্ঠাধরে পশিল সে। পাপী, শঠ, হামবড়া জিভটাকে টেনে ছিঁড়ল। এবং আমার নিথর ওষ্ঠটাকে ছিঁড়েফুঁড়ে রক্তাক্ত করে সেখানে লাগাল জ্ঞানী সর্পের হুল।’ এবং তারপর

সে আমার বক্ষকে তার ছুরি দিয়ে বিদীর্ণ করল!
আমার কম্পমান হৃদপিণ্ডকে তার স্থান থেকে উপড়ে ফেলল
এবং আমার বিদীর্ণ বুকে প্রজ্বলিত অগ্নিশিখা বয়ন করল
আমি মরুভূমিতে পড়ে রইলাম মৃতদেহের মতো!
...সে সময় প্রভু একটি আওয়াজ আমার নিকট পাঠালেন।
ওঠ হে নবী! বৃষ্টি হলো এবং কথা শোনো,
আমার ইচ্ছা তুমি প্রতিফলিত করো।
সাগরগুলো ও ভূমিগুলো পার হয়ে যাও, মানুষের হৃদয়গুলোকে তোমার আহ্বানে
অগ্নিশিখার মতো প্রজ্বলিত করো! ....

ইসলামের উত্থান পুশকিনের কাছে ছিল আল্লাহর সাথে মানুষের যোগাযোগের ফসল। যে ফসল বৃষ্টির মতো নিখিলময় ছড়িয়েছে এবং হৃদয়গুলোতে করেছে প্রজ্বলিত আলোক শিখার চাষ।

লেখক : কবি, গবেষক

 


 

ko cuce /div>

দৈনিক নয়াদিগন্তের মাসিক প্রকাশনা

সম্পাদক: আলমগীর মহিউদ্দিন
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সালাহউদ্দিন বাবর
বার্তা সম্পাদক: মাসুমুর রহমান খলিলী


Email: online@dailynayadiganta.com

যোগাযোগ

১ আর. কে মিশন রোড, (মানিক মিয়া ফাউন্ডেশন), ঢাকা-১২০৩।  ফোন: ৫৭১৬৫২৬১-৯

Follow Us