মুহিউদ্দিনকে যেভাবে রক্ষা করছেন মালয়েশিয়ার রাজা
মুহিউদ্দিনকে যেভাবে রক্ষা করছেন মালয়েশিয়ার রাজা - ছবি সংগৃহীত
মালয়েশিয়ার সুলতান আবদুল্লাহ আহমদ শাহ রাজনীতিবিদদের কৌশলী চালের জবাবে এ বছর অনেক সিদ্ধান্ত দিয়ে রাজনীতিতে নিজের একটি স্থান করে নিয়েছেন। অনেকে মনে করছেন, তার প্রাসাদ-বক্তব্য অনেকাংশে পরস্পরবিরোধী এবং সংবিধান রাজাকে যে সীমারেখা টেনে দিয়েছে তা তিনি অতিক্রম করেছেন। সুলতান মনে করেন, দেশের রাজনৈতিক শান্তিপূর্ণ স্থায়িত্ব ও কলহ যেকোনোভাবে বন্ধ করতে রাজারও বড় ভূমিকা থাকা দরকার।
সাম্প্রতিক মাসগুলোতে মালয়েশিয়ার রাজনৈতিক পরিস্থিতি এতই উষ্ণ যে, কোভিডের আক্রমণ, অর্থনৈতিক সমস্যা এবং বোর্নিও ও সাবাহ নিয়ে আন্তর্জাতিক বিরোধ এসবকে ছাড়িয়ে গেছে। দেশের নেতারা রাজনৈতিক স্থায়িত্বের জন্য অধৈর্য হয়ে পড়ে নানা মন্তব্য করছেন। এ রকম এক রাজনৈতিক অরাজক পরিস্থিতিতে সুলতান মনে করছেন বিধিবদ্ধ দায়িত্ব ছাড়াও দেশের সংহতির জন্য তার আরো অনেক কিছু করা দরকার।
বিভিন্ন অনুষ্ঠানে সুলতান-পরবর্তী বাজেটকে অনুমোদন ও সমর্থন দেয়ার কথা বলছেন যা নিয়ে আগে কোনো সুলতান মাথা ঘামাননি। তিনি চাচ্ছেন বাজেট নিয়ে যেন কোনো রাজনৈতিক গ্রুপিং-লবিং শুরু হয়ে দলগুলো পরস্পর মুখোমুখি না দাঁড়ায়। কিন্তু রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা দেখছেন, রাজা তাকে দেয়া সাংবিধানিক দায়িত্ব লঙ্ঘন করছেন যা অদূর ভবিষ্যতে উদাহরণ হয়ে থাকবে এবং আরো সাংবিধানিক সঙ্কটের জন্ম দেবে। অনেক বিশ্লেষক মনে করেন যে, প্রধানমন্ত্রী মুহিউদ্দিন ইয়াসিনের প্রায় অবরুদ্ধ প্রশাসনকে সুলতান সাপোর্ট দিচ্ছেন এবং রাজনীতিতে নিজের জন্য জায়গা করে নিচ্ছেন! সুলতান আবদুল্লাহকে গত বছরের জানুয়ারিতে মনোনীত করা হয়। এর আগে কেলানতানের বিতর্কিত সুলতান মুহাম্মদ-৫ রাজত্ব করেন। তিনি দুই বছর অধিককাল রাজা হিসেবে কাজ করেছিলেন। মালয়েশিয়ার রাজা সাংবিধানিক সম্রাটও। তাই সম্রাটকে প্রায়ই আলঙ্কারিক দায়দায়িত্ব পালন করতে হয়। তিনি ৯ জন সুলতানের মধ্য থেকে নির্বাচিত হন। এদের কনফারেন্স অব রুলার্স হিসেবে অভিহিত করা হয়। মালয়েশিয়ার সংবিধান অনুসারে রাজা বা সুলতানের উল্লেখযোগ্য কোনো ক্ষমতা নেই। রাজা ঊর্ধ্বতন কিছু কর্মকর্তা নিয়োগ দেন; এর মধ্যে প্রধানমন্ত্রী ও কেবিনেট মন্ত্রী রয়েছেন। রাজা নিজ উপদেষ্টামণ্ডলী, কনফারেন্স অব রুলারস এবং প্রধানমন্ত্রীর সুপারিশে বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নেন।
সুলতান আবদুল্লাহর রাজত্বের শুরু থেকে রাজকীয় সুবিধার কারণে বেশ কিছু মৌলিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এর মধ্যে বহুল আলোচিত হলো, মুহিউদ্দিনকে গত মার্চে প্রধানমন্ত্রী বানানো। রাজনৈতিক ক্যুর কারণে কিংবদন্তি প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদকে ইস্তফা দিতে হয়েছে। দেশে ইমার্জেন্সি ঘোষণা করার উদ্যোগ নেয়া হলে তাও সংসদ সদস্য, মাহাথির সদস্যরাও অস্বীকার করেন। প্রখ্যাত রাজনৈতিক নেতা আনোয়ার ইব্রাহিম আদালতে যাবেন বলে হুমকি দেন। আনোয়ার সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে রাজার সহায়তা চান। কিন্তু রাজার দফতর থেকে বলা হয় যে, আনোয়ার ইব্রাহিম সংখ্যাগরিষ্ঠতার সংখ্যা জানিয়েছেন, এমপিদের নাম দেননি। আনোয়ারকে যারা সমর্থন করেন সেসব এমপি নামধাম আগে জানিয়ে দেয়া কোনো গোপন বিষয় প্রকাশ করার মতো। আনোয়ার সেটা করেননি এবং রাজা এমন একটি নাজুক বিষয়ের তালিকা চাইতে পারেন না।
তাহলে সংসদে কোনো ভোটাভুটির প্রয়োজন পড়বে না। বরং নিরপেক্ষরা চিহ্নিত হবেন এবং সংসদ প্রকাশ্য দলাদলির স্থানে পরিণত হবে। কেন আগেভাগে রাজাকে তিনি নাম দেবেন সেটি বোধগম্য নয়। সুলতান বিশেষ সভা ডেকে সংখ্যগরিষ্ঠতা প্রমাণের সুযোগ দিতে পারতেন। আনোয়ার ইব্রাহিমের সংখ্যাগরিষ্ঠতার বিষয়ে মাহাথির মোহাম্মদও আগ্রহ দেখাননি। কোভিড পরিস্থিতির কারণ দেখিয়ে সুলতান বড় ধরনের কোনো জমায়েতের প্রস্তাব বাতিল করে দেন। সংসদও কোভিডের কারণে বসছে না। প্রধানমন্ত্রী মুহিউদ্দিন বাজেট নিয়ে আসলেন, সুলতান বারবার মুহিউদ্দিনের বাজেট পাস করতে বা সমর্থন জানাতে এমপিদের অনুরোধ করছেন এবং এই বিষয়ে তিনটি বিবৃতি দিয়েছেন। তার মতে, দেশে যেন আর কোনো রাজনৈতিক সঙ্কট শুরু না হয় সে জন্য বাজেট পাস করা সবার কর্তব্য। আগেই বলা হয়েছে, এসব বিষয় সুলতানের বিধিবদ্ধ দায়িত্বের ভেতর পড়ে না। সুলতানের পাবলিক বক্তব্য বা জনগণের প্রতি আকুল আবেদন অনেককে অবাক করেছে। অনেকে বলছেন, সুলতান ট্রাডিশন ভঙ্গ করেছেন। আসলে গত জানুয়ারিতে মাহাথির মোহাম্মদ
ইস্তফা দেয়ার পর থেকে যে রাজনৈতিক অচলাবস্থা শুরু হয় তা দূরীভূত করার জন্য ‘দেশের স্থায়িত্বের’ জন্য রাজা বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছেন বলে জানানো হয়। ১৯৫৭ সালে দেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে ইউনাইটেড মালয় ন্যাশনাল অর্গানাইজেশন দল (আমনো) ৬১ বছর ধরে দেশ পরিচালনা করে আসছে। ২০১৮ সালে তারা পাকাতান হারাপান জোটের কাছে পরাজিত হন। এই কোয়ালিশন জনাব মাহাথির ও জনাব আনোয়ার গঠন করেছেন। কোয়ালিশনে ফাটল দেখা দিলে মুহিউদ্দিন প্রধানমন্ত্রিত্ব পান। ওই সময় মুহিউদ্দিনকে পারিকাতান নাশিওনাল অ্যালায়েন্স গঠন করতে হয়। এর সংখ্যাগরিষ্ঠতা এত সামান্য ছিল যে, সংখ্যগরিষ্ঠতাকে সমালোচকরা razor-thin parliamentary majority বলে থাকেন।
রাজনৈতিক দল ইউএমএনও, ইসলামী দলের জোট ‘পাস’ এবং সোশ্যালিস্ট পার্টি অব মালয়েশিয়া- এদের পরিষ্কার রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে। আমনো বা ইউএমএনও-এর অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক কর্মসূচি মালয়ীদের চাওয়া-পাওয়া ও দাবির বিষয় বলা যায়। এই দলের রাজনৈতিক ওজন ও মান এত বেশি যে, অন্য যেসব দল মালয় সম্প্রদায়ের স্বার্থের কথা বলে তারা এই দলের লক্ষ্যকে হিসাব করে কথাবার্তা বলে থাকে। মালয় জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা যেন এই দলের ওপর নির্ভরশীল। তাই অন্যান্য দলকে সংশ্লিষ্ট সংযত হয়ে বিষয় জনগণের সামনে উপস্থাপন করতে হয়। ডেমোক্র্যাটিক অ্যাকশন পার্টি, ডিএপি বা ড্যাপ ইউএমএনও-এর কোনো বিকল্প নয় বরং ‘মিরর ইমেজ’। ড্যাপে চীনা বংশোদ্ভূত মালয়েশিয়ানদের চিন্তাধারার সংমিশ্রণ হয়েছে। ড্যাপ ৫০ বছর আগে রাজনৈতিক মঞ্চে আসে, বিভিন্ন চিন্তাধারার লোকদের নিয়ে এবং সব জাতিসত্তার ও নৃতাত্ত্বিক দলকে এখানে আসার জন্য স্বাগত জানানো হয় সব সময়। কিন্তু লোকজন এই দলকে ‘চীনা পার্টি বলে সম্বোধন করে থাকে। দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন দিন ও ইভেন্ট নিয়ে ড্যাপ যে কর্মসূচির আয়োজন করে, অন্যান্য দল তেমন করে না। ফলে ড্যাপে স্থবিরতার কোনো কিছু লক্ষ করা যায় না। এই দলে প্রচুর ‘জীবনী শক্তি’ দেখা যায়।
সাম্প্রতিক অন্যান্য দল যেমন পিপলস জাস্টিস পার্টি যেটি আনোয়ার ইব্রাহিম দুই দশক ধরে পরিচালনা করছেন সেটি এবং মুহিউদ্দিনের বারসাতু ২০১৬ সালে যাত্রা করে। আনোয়ার ‘জাতিগত লাইন’ তুলে ফেলায় দলের জনপ্রিয়তা খুব বেড়ে যায়। আনোয়ার ইব্রাহিম ইউএমএনও-এর সাথে জোট বাঁধার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। উদ্দেশ্য- মালয় প্রাধন্যের সরকার গঠন করা এবং ইয়াসিনকে ক্ষমতাচ্যুত করা। আনোয়ার ইব্রাহিমের এই চিন্তাচেতনা ইউএমএনও সংসদ সদস্যদের অনেকে বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে দেখছেন এবং পক্ষে-বিপক্ষে মতামত দিচ্ছেন। এসব সংবাদপত্রের মাধ্যমে জনগণের কাছে হটকেকের মতো পৌঁছে যাচ্ছে; মত-অমতের দোলাচল রাজনীতির মঞ্চে ঝড়ের ঢেউয়ের মতো আছড়ে পড়ছে। এখন মালয়েশিয়ার নতুন প্রজন্মের নেতারা এগিয়ে আসছেন। সব দলে কথা উঠেছে পুরনো নেতাদের বদলে নতুনদের সুযোগ দেয়া হোক। সব দলের তরুণ নেতারা এই মতকে সমানে পুশ করছেন। তারা সুলতানের কাছেও পুরনো নেতৃত্বের বদলে নতুনদের দিয়ে দল ও দেশ চালানোর দাবি জানিয়েছেন। এমন এক শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতি রাজার জন্য যেন এক সুযোগ। তিনিও রাজনৈতিক নেতৃত্ব পরিবর্তন করার পক্ষে বলে মনে করা হচ্ছে।
মালয় সম্প্রদায়ের অভিভাবক হিসেবে যে ইউএমএনও-এর পরিচিতি সেটি হঠাৎ করে যেন কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়েছে, একই রাজনীতির ধারক হিসেবে অনেকেই নিজেকে জাহির করছেন, অনেক দল ‘মালয় ইস্যুকে’ ব্যবহার করছে। মালয়রা এটি পছন্দ করছেন না। পাতি নেতা আর বিভিন্ন দলে ভিড়ে যাওয়া ব্যক্তিদের কারণে এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। রক্ষণশীলরা বলছেন, এটি মালয় ঐতিহ্যের পরিপন্থী। রাজকীয় পরিবারের সদস্যরা চান না তারা ইমেজ সঙ্কটে পড়ুক, রাজপরিবারের সদস্যরা যে সম্মান পেয়ে থাকেন সেগুলো প্রশ্নের মুখে পড়ুক। উল্লেখ্য, রাজকীয় সুবিধাকে চ্যালেঞ্জ করা শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
প্রসঙ্গক্রমে, থাইল্যান্ডে গণতন্ত্রপন্থী যুবকদের বিক্ষোভ-সমাবেশে রাজতন্ত্র দিশেহারা এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনীকে নামাতে হয়েছে রাস্তায়। এর প্রভাব মালয়েশিয়াসহ অন্যান্য দেশে পড়বে না, তা হলফ করে বলা যায় না। মালয়েশিয়ার সুলতান চান দেশ ও জনগণ যেন নিরাপদ ও সুখে থাকে। মূলত, রাজার ঐতিহ্য অনুসারে এবং সংবিধান মতে, একজন রাজা মালয়দের ও ইসলামের রক্ষক। তবে পুরো দেশে অনেক অ-মালয় সম্প্রদায়ের লোক রয়েছে। সাংবিধানিক রাজতন্ত্রের জন্য এটি অনেকটা জটিল বিষয়। তবে মালয়ীরা এটিকে জটিলতার মারপ্যাঁচে ফেলতে চান না। সুলতান নিরপেক্ষ অবস্থান থেকে সব বিষয় সমাধান করার ইচ্ছা ব্যক্ত করেছেন।
ডিসেম্বরের ১৫ তারিখ ৭৯ বিলিয়ন ডলারের বাজেটে এমপিরা সম্মতি দিয়েছেন। বিরোধীপক্ষ এতে কোনো বাধার সৃষ্টি করেনি। মুহিউদ্দিন ভাগ্যক্রমে বেঁচে গেলেন। কেননা আনোয়ারেরও অনেক সাপোর্ট রয়েছে। কিছু সংসদ সদস্য রাজার অনুরোধ রক্ষা করেছেন বিধায় মুহিউদ্দিন উতরে গেছেন। বাজেট নিয়ে ভোটাভুটির আগে সুলতান আবদুল্লাহ এমপিদের লক্ষ করে দেশের খাতিরে বাজেট অনুমোদনের আকুতি জানান। বাজেট ২০২১ বিলে ১১১ জন পারিকাতান নাশিওনাল তথা সরকারি এমপি পক্ষে ভোট দিয়েছেন এবং বিরোধী দলে ১০৮টি ভোট পড়েছে। মাত্র তিন ভোটের পার্থক্য। একজন ভোটদানে বিরত ছিলেন। এই ভোট আনোয়ারের ‘বিপুল সমর্থনের’ বিষয়টির সত্যতা প্রমাণ করে। তিনি ইতঃপূর্বে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণের যে চেষ্টা করেছিলেন তা না করলে বর্তমান বাজেট অনুমোদনের সময় ভালো ফল পেতেন বলে মনে করা হচ্ছে। সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণের বিষয়টি নিয়ে নয়া দিগন্তে ‘প্রধানমন্ত্রিত্ব নিয়ে থানা-পুলিশ’ কলামটি প্রকাশিত হয়েছিল। পাঠকরা সেটি দেখে নিতে পারেন। যা হোক, বিরোধীপক্ষে কে নেতৃত্ব দেবেন সেটিও এক প্রশ্ন আনোয়ার ইব্রাহিম, শফি আবদেল, গোবিন্দ সিংহ, সাইফুদ্দিন বা তরুণদের কেউ, তার কোনো সঠিক জবাব পাওয়া যাচ্ছে না।
রাজা নিজ উদ্যোগে বিল সাপোর্ট করার জন্য যে অনুরোধ জানিয়েছেন, সেটি কাজ না করলে রাজনৈতিক গতিপথ ভিন্ন পথে যাত্রা করত। বাস্তবতা প্রত্যক্ষ করে প্রধানমন্ত্রী মুহিউদ্দিন বলেছেন, মহামারী পর নির্বাচন দেবেন। কিন্তু মহামারী কত দিন স্থায়ী হবে? বিশ্বের বিভিন্ন দেশে স্বাস্থ্যবিধি পালন করে নির্বাচন হচ্ছে, গণজমায়েত হচ্ছে, বিক্ষোভ হচ্ছে। মিয়ানমারে নির্বাচন হলো; অং সান সু চি বলেছেন, ‘কোভিডের চেয়ে নির্বাচন বড়।’ মালয়েশিয়ার নেতারা কত দিন অপেক্ষা করবেন? মনে হচ্ছে মুহিউদ্দিন মহামারীর কারণ দেখিয়ে অসময়ে প্রস্থানকে ঠেকিয়ে রাখার চেষ্টা করছেন। ও দিকে আজ এতজন মারা গেল, ওখানে এতজন সংক্রমিত হলো, এসব তথ্য পত্রিকার প্রথম পাতায় ফলাও করে প্রকাশ করছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
মালয়েশিয়ার সিস্টেমে সরকার ও রাজতন্ত্র পাশাপাশি চলার ইতিহাস থাকলেও, এবার হাত ধরাধরি করে চলার উদাহরণ-উপকরণ সৃষ্টি হয়েছে। রাজপরিবারের সদস্যরা আড়ালে থেকে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক বিষয় সুরাহা করতে সচেষ্ট থাকলেও রাজা জনপছন্দের বিষয় নিয়ে কোনো বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়তে চান না। রাজা যদি এবার ‘মঙ্গল কামনা’ না করতেন, তবে মুহিউদ্দিনের ক্ষমতায় থাকা সম্ভব হতো না।
লেখক : অবসরপ্রাপ্ত যুগ্মসচিব