প্রেসিডেন্ট বাইডেনের দলে কাশ্মীরের মেয়ে
আয়েশা শাহ - ছবি সংগৃহীত
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন হোয়াইট হাউসের ডিজিটাল স্ট্র্যাটেজি টিম ঘোষণা করেছেন সোমবার। সেখানে জায়গা পেয়েছেন কাশ্মীরী বংশোদ্ভূত এক নারী।
বাইডেনের হোয়াইট হাউসের ডিজিটাল টিমে গুরুত্বপূর্ণ পদে জায়গা পেলেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত নারী আয়েশা শাহ। এর আগে স্মিথসোনিয়ান ইনস্টিটিউট, জন এফ কেনেডি ফান্ডে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব সামলেছেন তিনি। আয়েশা বড় হয়েছেন অ্যামেরিকার লুসিয়ানায়। তবে তার পূর্বপুরুষ কাশ্মীরের।
দীর্ঘ দিন ধরেই জো বাইডেন এবং কমলা হ্যারিসের সঙ্গে কাজ করছেন আয়েশা। এখনো স্মিথসোনিয়ান ইনস্টিটিউটে কাজ করেন তিনি। তবে নির্বাচন পর্বে তিনি বাইডেন-হ্যারিসের ডিজিটাল স্ট্র্যাটেজি টিমে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব সামলেছেন। সূত্র জানাচ্ছে, কমলা হ্যারিসের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ আয়েশা। সোমবার বাইডেন হোয়াইট হাউসে তার ডিজিটাল স্ট্র্যাটেজি টিম ঘোষণা করেছেন। সেখানে আয়েশাকে দেয়া হয়েছে পার্টনারশিপস ম্যানেজারের কাজ।
কাশ্মীর পরিস্থিতি নিয়ে এর আগে একাধিকবার উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন কমলা হ্যারিস। বাইডেনের প্রশাসন কাশ্মীর নিয়ে বিশেষ কোনো নীতি নিতে পারেন বলেও কোনো কোনো কূটনীতিক মনে করছেন। কারণ, হ্যারিস বিষয়টিকে দীর্ঘদিন ধরেই গুরুত্ব দিয়ে দেখছেন। সেই পরিস্থিতিতে ডিজিটাল স্ট্র্যাটেজি টিমে একজন কাশ্মীরী বংশোদ্ভূতকে রাখা নিয়ে বিভিন্ন মহলে জল্পনা শুরু হয়েছে।
আয়েশার কাজের সঙ্গে অবশ্য কাশ্মীরের কোনো সম্পর্ক নেই। কাশ্মীর নিয়ে আয়েশা কখনো সরবও হননি। ফলে বিষয়টি নেহাতই কাকতালীয় বলেও কোনো কোনো মহলের দাবি।
আয়েশা ছাড়াও বাইডেনেরডিজিটাল স্ট্র্যাটেজি টিমে নানা বর্ণ এবং নানা দেশের বংশোদ্ভূতরা রয়েছেন। টিম ঘোষণার সময়েই বাইডেনের অফিস জানিয়েছে, সব ধরনের মানুষের প্রতিনিধিত্ব যাতে এই দলে থাকে, সে দিকে বিশেষ নজর দেয়া হয়েছে।
ট্রাম্পকে সতর্ক করলেন বাইডেন
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিয়োগ এনে তাকে সতর্ক করে দিলেন প্রেসিডেন্ট ইলেক্ট বাইডেন। তার দাবি, ট্রাম্পের বাধায় তিনি এখনো সরকারি সব তথ্য পাচ্ছেন না।
যে কোনো গণতন্ত্রে সরকার পরিবর্তন সাধারণত মসৃণভাবেই হয়। বিশেষ করে অ্যামেরিকার মতো দেশে তো বটেই। কিন্তু প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প গোড়া থেকেই বলে আসছেন, তাকে জালিয়াতি করে হারানো হয়েছে। তিনিই ক্ষমতায় থাকবেন। যখন বাইডেনকে জয়ী বলে ঘোষণা করা হয়েছে, আগামী ২০ জানুয়ারি তিনি দায়িত্ব নেবেন, তখনো ট্রাম্প ও তার প্রশাসন সমানে ওই মসৃণভাবে পালা পরিবর্তনের পথে বাধা দিচ্ছে বলে অভিযোগ প্রেসিডেন্ট ইলেক্টের। বাইডেন বলেছেন, ট্রাম্পের আমলে নিরাপত্তা এজেন্সিগুলি পুরো ফাঁপা হয়ে গেছে। আর তার টিমকে অনেক তথ্যই দেয়া হচ্ছে না।
বাইডেনের সরাসরি অভিযোগ, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়, বাজেট ও অফিস অফ ম্যানেজমেন্টের রাজনৈতিক নেতৃত্বের বিরুদ্ধে। তিনি বলেছেন, তারাই মসৃণ হস্তান্তরের পথে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছেন। তার পররাষ্ট্র বিষয়ক টিমের সঙ্গে বৈঠক সেরে এই অভিযোগ করেন বাইডেন। তিনি বলেন, ''এখনো আমরা সব তথ্য পাচ্ছি না। অথচ, ওই তথ্যগুলো আমাদের দরকার। বিশেষ করে জাতীয় সুরক্ষা নিয়ে তথ্য দেয়া হচ্ছে না। বর্তমান প্রশাসন দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণ করছে।''
বাইডেনের দাবি, ক্ষমতার হস্তান্তরের জন্য জরুরি তথ্যগুলি তাঁর টিমকে দেয়া হচ্ছে না। আর এটা ব্লক করছে রাজনৈতিক নেতৃত্ব। অর্থাৎ, ট্রাম্প ও তাঁর সহযোগীরা। বাইডেনের বক্তব্য, বাজেট প্রক্রিয়া নিয়ে, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিষয়ে তাঁর কাছে পুরো তথ্য থাকা দরকার। না হলে বিরোধীরা এর সুযোগ নিতে পারে। বিশ্বের অন্য জায়গায় সেনাদের নিয়োগ নিয়ে তাঁর পুরো তথ্য চাই বলেও বাইডেন জানিয়েছেন।
বাইডেনের টিমকে জাতীয় সুরক্ষা ও প্রতিরক্ষা পরামর্শদাতারা ব্রিফ করার পর বাইডেন এই অভিযোগ করেছেন। তার অভিযোগ, ''আমার টিম দেখেছে যে, ট্রাম্পের আমলে নিরাপত্তা সংস্থাগুলোর প্রবল ক্ষতি হয়েছে।'' তবে কী ক্ষতি হয়েছে তা বিস্তারে জানাননি তিনি।
সূত্র : ডয়চে ভেলে