পাকিস্তান, মালদ্বীপ, মালয়েশিয়া না অন্য কোনো দেশ : ইসরাইলের ৫ম টার্গেট কে?
ইসরাইলের ৫ম টার্গেট কে? - ছবি : সংগৃহীত
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বিদায় নেয়ার আগে আরো একটি মুসলিমপ্রধান দেশের সাথে সম্পর্ক স্থাপন করতে চায় ইসরাইল৷ সম্ভাব্য তালিকায় দুইটি নাম রয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটি৷
১৫ সেপ্টেম্বর ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গে ইসরাইলের কূটনৈতিক সম্পর্কের সূচনা হয়৷
ইতিমধ্যে মুসলিম বিশ্বের চারটি দেশের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনে সক্ষম হয়েছে ইসরাইল৷ পরবর্তী দেশ হিসেবে এশিয়ার কোন একটিকে বেছে নিতে চাইছে৷
তবে সম্পর্ক স্থাপনকারী সম্ভ্যাব্য দেশের তালিকায় এই মুহূর্তে মুসলিম বিশ্বের দুটি দেশের নাম রয়েছে বলে জানান ইসরাইলের আঞ্চলিক সহযোগিতামন্ত্রী ওফির আকুনিস৷
ইসরাইলের সংবাদমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে দেশ দুটির নাম উল্লেখ না করলেও আকুনিস জানান, সম্ভাব্য রাষ্ট্র দুটির একটি হতে পারে ওমান৷ তবে তালিকায় সৌদি আরব নেই বলে তিনি জানান৷
তালিকায় থাকা দ্বিতীয় রাষ্ট্রটি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার হতে পারে৷ তবে দক্ষিণ এশিয়ার দেশ পাকিস্তান এ তালিকায় নেই বলে জানান৷
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্ততায় ইতিমধ্যে মুসলিম বিশ্বের চারটি দেশের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করেছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশটি৷ জানুয়ারির ২০ তারিখে প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের মেয়াদ শেষ হবে৷
ট্রাম্পের সহায়তায় অর্থাৎ তার বিদায়ের আগেই পঞ্চম কোনো দেশের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের চেষ্টা চলছে বলে জানানো হয়৷
তবে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় অবস্থিত বিশ্বের বৃহত্তম মুসলিম দেশ ইন্দোনেশিয়া জানিয়েছে, স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত তারা ইসরাইলকে সমর্থন করবে না৷ একই কথা বলেছে এ অঞ্চলের আরেক মুসলিম দেশ মালয়েশিয়াও৷
দক্ষিণ এশিয়ার মুসলিম প্রধান দেশ বাংলাদেশ জানিয়েছে তারা ইসরাইলের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনে আগ্রহী নয়৷
সূত্র : ডয়চে ভেলে
ইসরাইলে নিযুক্ত রুশ রাষ্ট্রদূতের মন্তব্যকে পূর্ণ সমর্থন রাশিয়ার
আবিবে নিযুক্ত নিজেদের রাষ্ট্রদূতের প্রতি পূর্ণ সমর্থন ঘোষণা করেছে রাশিয়া। ইসরাইলের সমালোচনা করে বক্তব্য দেয়ার কারণে ওই রাষ্ট্রদূতকে তলব করেছে ইসলাইলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
রাশিয়া বলেছে, তাদের রাষ্ট্রদূত মস্কোর মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক নীতি অনুসরণ করেই ওই বক্তব্য রেখেছে।
গত ৮ ডিসেম্বর তেলআবিবে নিযুক্ত রুশ রাষ্ট্রদূত আনাতোলি বিক্তোরভ জেরুজালেম পোস্টকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন – ফিলিস্তিনি ও আরব দেশগুলোর সাথে ইসরাইলের সাংঘর্ষিক অবস্থান হচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যে অস্থিতিশীলতার মূল কারণ। এ অস্থিতিশীলতা সৃষ্টিতে ইরানের কোনো ভূমিকা নেই।
তিনি বলেন, মধ্যপ্রাচ্যের মূল সমস্যা ইরানের কার্যকলাপ নয়, বরং আরব-ইসরাইল ও ইসরাইল-ফিলিস্তিন সংঘর্ষ নিয়ে জাতিসঙ্ঘের প্রস্তাবগুলো উপলব্ধি করতে সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর ব্যর্থতার কারণেই মধ্যপ্রাচ্যে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি হয়েছে।
সিরিয়ায় বিমান হামলা চালিয়ে ইসরাইল মধ্যপ্রাচ্যে সহিংসতায় উস্কানি দিচ্ছে বলেও রুশ রাষ্ট্রদূত উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, ইসরাইল হিজবুল্লাহর ওপর হামলা চালাচ্ছে, হিজবুল্লাহ ইসরাইলে হামলা চালাচ্ছে না। জাতিসঙ্ঘের সদস্যভুক্ত স্বাধীন দেশগুলোতে হামলা চালানো ইসরাইলের উচিত নয়।
ওই সাক্ষাৎকার দেয়ার কারণে ইসরাইলি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিক্তোরভকে তলব করে তাকে ‘তীব্র ভাষায় তিরস্কার’ করে।
রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা বলেছেন, তার দেশের রাষ্ট্রদূতকে তলব করে ইসরাইল অতিমাত্রায় সংবেদনশীলতা দেখিয়েছে।
তিনি বলেন, রাশিয়া বিশ্বাস করে মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠা করতে হলে ফিলিস্তিনি সঙ্কটের সমাধান করতে হবে।
সূত্র: পার্সটুডে