আজারবাইজানের নিহত ২৮০২, আর্মেনিয়ার ১৪০০০
আজারবাইজানের নিহত ২৮০২, আর্মেনিয়ার ১৪০০০ - ছবি সংগৃহীত
সম্প্রতি শেষ হওয়া নাগরনো-কারাবাখ যুদ্ধে নিহত আজারবাইজানির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২,৮০২। যুদ্ধের সময় হারিয়ে যাওয়া আজারবাইজানি সৈন্যদের মাঝে কয়েকজনের লাশ উদ্ধার ও শনাক্তের পর নিহতের সংখ্যা নতুন করে বাড়ার কথা জানায় দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।
সোমবার আজারবাইজানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে এ খবর নিশ্চিত করা হয়।
এরআগে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় আর্মেনিয়ার সাথে সংঘর্ষে মোট ২,৭৮৩ আজারবাইজানির নিহত হওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলো। কর্তৃপক্ষ এখনো নিহত ৬০ জন সৈন্যকে শনাক্তের চেষ্টা করছে। অপরদিকে, নিখোঁজ আছেন প্রায় ৪০ সৈন্য।
১৯৯১ সালে সোভিয়েত রাশিয়ার পতনের প্রেক্ষিতে আজারবাইজান ও আর্মেনিয়ার স্বাধীনতার পর থেকে পার্বত্য নাগরনো-কারাবাখ অঞ্চল নিয়ে উভয় দেশের মাঝে উত্তেজনা চলে আসছে। আন্তর্জাতিকভাবে আজারবাইজানের অংশ হিসেবে স্বীকৃত নাগরনো-কারাবাখ ও এর নিকটের আরো সাতটি অঞ্চল ১৯৯৪ সালে আর্মেনিয়া দখল করে নিলে এই উত্তেজনা নতুন দিকে মোড় নেয়।
সম্প্রতি ২৭ সেপ্টেম্বর, নাগরনো-কারাবাখকে কেন্দ্র করে আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের মাঝে নতুন করে যুদ্ধ শুরু হয়। ছয় সপ্তাহের যুদ্ধের পর রাশিয়ার মধ্যস্থতায় উভয়দেশ যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়।
সাম্প্রতিক নাগরনো-কারাবাখ যুদ্ধে বাকু আর্মেনিয়ার দখলে থাকা বিভিন্ন কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ শহর এবং তিনশ’র বেশি গ্রাম ও বসতি মুক্ত করে।
এ যুদ্ধের আগে প্রায় তিন দশকের মতো আজারবাইজানের ২০ শতাংশ ভূখণ্ড আর্মেনিয়ার দখলে ছিলো।
সূত্র : ইয়েনি সাফাক
আর্মেনিয়ার ১৪,০০০ সৈন্য নিহত
নাগরনো-কারাবাখ অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে আজারবাইজানের সঙ্গে সাম্প্রতিক যুদ্ধে ভয়াবহ ক্ষয়ক্ষতির খবর জানিয়েছে আর্মেনিয়া। দেশটি বলেছে, ৪৪ দিনের ওই যুদ্ধে তাদের ১৪ হাজার ২৮৬ সেনাসদস্য নিহত ও ২২ হাজার ৪০০ জন আহত হয়েছে। এছাড়া, আরো প্রায় এক হাজার সেনার কোনো সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে না।
আর্মেনিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে ইয়েরেভান থেকে সেদেশের বার্তা সংস্থা আরান নিউজ রোববার এ খবর জানিয়েছে। এত দিন পর্যন্ত আর্মেনিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বা প্রেসিডেন্টের দপ্তর থেকে সাম্প্রতিক যুদ্ধের হতাহতদের সংখ্যা সম্পর্কে গড়পরতা তথ্য দেয়া হচ্ছিল।
সাম্প্রতিক যুদ্ধে নাগরনো-কারাবাখের কোন কোন অঞ্চল আজারবাইজানের নিয়ন্ত্রণে চলে গেছে সে সম্পর্কে আর্মেনিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে কোনো তথ্য জানানো হয়নি।
বিতর্কিত নাগরনো-কারাবাখ অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে গত ২৭ সেপ্টেম্বর আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ শুরু হয় এবং ৪৪ দিন ধরে চলা এই সংঘর্ষে দু’পক্ষের হাজার হাজার সৈন্য ও বেসামরিক নাগরিক হতাহত হয়। গত ১০ নভেম্বর রাশিয়ার মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠা করতে সম্মত হয় দু’দেশ; তবে তার আগে আজারবাইজান বেশ কিছু এলাকা নিজের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেয়। এই যুদ্ধে আজারবাইজান তার পক্ষের হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতি সম্পর্কে আনুষ্ঠানিক কোনো ঘোষণা দেয়নি।
সূত্র : পার্স টুডে