হরমুজ প্রণালীতে যুক্তরাষ্ট্রের পরমাণু সাবমেরিন, কী করবে ইরান!
হরমুজ প্রণালীতে যুক্তরাষ্ট্রের পরমাণু সাবমেরিন - ছবি সংগৃহীত
এবার হরমুজ প্রণালী পাড়ি দিলো মার্কিন পরমাণু সাবমেরিন। যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে উত্তেজনা বাড়তে থাকার প্রেক্ষাপটে ঘোষণা দিয়েই কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ এই প্রণালীতে সাবমেরিনের উপস্থিতি ঘটাল যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার মেয়াদ শেষ করার আগ দিয়ে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা বাড়ছে। এর আগে ইসরাইল এক ইরানি পরমাণু বিজ্ঞানীকে হত্যা করে। এ নিয়েও ওই এলাকায় উত্তেজনা বেড়ে যায়। এখন ইরান কী করবে, তাই দেখার বিষয়।
সোমবার ৫ম নৌবহরের এক বিবৃতিতে বলা হয়, গাইডেড মিসাইল সজ্জিত ওহিও ক্লাস সাবমেরিন ইউএসএস জর্জিয়া আরো দু’টি যুদ্ধজাহাজের সাথে একত্রে হরমুজ প্রণালী পাড়ি দেয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, মার্কিন নৌবাহিনীর আঞ্চলিক সহযোগী ও সমুদ্রপথের সুরক্ষার অঙ্গীকার থেকে সতর্ক সংকেতের অংশ হিসেবে বিরল এই পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
১৫৪টি টমাহক ক্ষেপণাস্ত্রে সজ্জিত ইউএসএস জর্জিয়া একসাথে ৬৬ সৈন্য বহন করতে পারে।
পারস্য উপসাগরের মাঝে হরমুজ প্রণালী দিয়ে বিশ্বের মোট জ্বালানি তেলের এক-পঞ্চমাংশ সরবরাহ করা হয়।
নভেম্বরে ইরানের পরমাণু বিজ্ঞানী ড. মহসিন ফখরিজাদেহর হত্যার পরপরই মার্কিন নৌবাহিনীর বিরল এ পদক্ষেপকে এ অঞ্চলে মার্কিন সামরিক শক্তির প্রভাব প্রদর্শনের অংশ হিসেবে মনে করা হচ্ছে।
অপরদিকে ইরানের প্রভাবশালী ‘আল-কুদস’ ফোর্সের সাবেক প্রধান, মেজর জেনারেল কাসেম সুলাইমানির হত্যাকাণ্ডের দু’সপ্তাহ আগে যুক্তরাষ্ট্র এই অগ্রগতির মাধ্যমে ইরানকে সতর্ক করেছে।
বাহরাইনকে কেন্দ্র করে মার্কিন নৌবাহিনীর ৫ম নৌবহর পারস্য উপসাগর, ওমান উপসাগর এবং ভারত মহাসাগরের কিছু অংশসহ মোট ২.৫ মিলিয়ন বর্গমাইলের (৬.৫ মিলিয়ন বর্গ কিলোমিটার) সমুদ্রভাগ পর্যন্ত বিস্তৃত তাদের এলাকা।
সূত্র : ডেইলি সাবাহ
বিরাট ভুল’ থেকে আমেরিকাকে দ্রুত ফিরে আসার আহ্বান তুরস্কের
রাশিয়া থেকে ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এস-৪০০ কেনার জন্য তুরস্কের ওপর আমেরিকা যে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে তার জবাব দেয়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছে তুর্কি সরকার। মার্কিন নিষেধাজ্ঞাকে আঙ্কারা ‘বিরাট ভুল’ বলেও অভিহিত করেছে।
মার্কিন সরকার সোমবার তুরস্কের প্রতিরক্ষা শিল্পের চেয়ারম্যান ইসমাইল দেমির এবং এই শিল্পের আরো তিন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, নিষেধাজ্ঞার আওতায় আসা তুরস্কের খাতগুলোর জন্য আমেরিকা থেকে কোনোকিছু আমদানি করা যাবে না এবং আমেরিকায় থাকা এসব খাতের সম্পদ জব্দ করা হবে।
মার্কিন পররাষ্ট্র মাইক পম্পেও বলেন, বহুবার আমেরিকার সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে তুরস্ককে বলা হয়েছে, রাশিয়া থেকে এস-৪০০ কেনা হলে তাতে আমেরিকার সামরিক প্রযুক্তি ও সেনাদের নিরাপত্তা বিপদের মুখে পড়বে। পাশাপাশি এস-৪০০ কিনে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা খাতকে তহবিল যোগান দেয়া হলো।
নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা ও নিরস্ত্রীকরণ বিষয়ক মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ক্রিস্টোফার ফোর্ড সাংবাদিকদের ব্রিফ করার সময় বলেন, ওয়াশিংটন সমস্যার সমাধান চেয়েছিল কিন্তু তুরস্ক তার সবই প্রত্যাখ্যান করেছে। তিনি দাবি করেন, ওয়াশিংটন ‘হঠাৎ করে কিংবা হাল্কা’ কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি।
এসব বক্তব্যের জবাবে তুর্কি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, মার্কিন সরকারের সিদ্ধান্তের কোনো ব্যাখ্যা নেই। আঙ্কারা বহুবার সমস্যা সমাধানের জন্য জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ প্রতিষ্ঠার কথা বলেছে কিন্তু সে প্রস্তাবকে পরিপূর্ণভাবে ব্যবহার করা হয়নি।
তুর্কি মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘এ বিরাট ভুল থেকে আমরা ওয়াশিংটনকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ফিরে আসার আহ্বান জানাই।’
বিবৃতিতে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে, ‘মার্কিন নিষেধাজ্ঞা নিশ্চিতভাবে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। আমরা আমাদের দেশের সুরক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় সব ধরনের পদক্ষেপ নেয়া অব্যাহত রাখব।’
সূত্র : পার্সটুডে