মহামারি : দেড় বছর সূর্যের আলো দেখতে পায়নি পৃথিবীর মানুষ

অন্য এক দিগন্ত ডেস্ক | Dec 21, 2020 07:10 pm
মহামারি

মহামারি - ছবি : সংগৃহীত

 

গ্লোবাল মহামারি করোনাভাইরাস এখন পর্যন্ত ১৭ লাখ মানুষের প্রাণ কেড়েছে, ৭ কোটি ৭২ মানুষ আক্রান্ত। কিন্তু বৈজ্ঞানিকদের মতে পৃথিবীর মানুষদের আরও খারাপ সময় দেখতে হবে। এর আগে এমনও একটা সময় ছিল যখন ১৮ মাস মানুষ আকাশ দেখতি পায়নি। এমন হওয়ার কারণ কী ছিল?

মহামারি করোনা ভাইরাস ২০২০ সালকে বিশ্ব মানব ইতিহাসে কালো বছর হিসেবে স্মরণ করবে। এর আগে ১৯১৮ সালে স্প্যানিশ ফ্লু-এর কারণে মহামারী ছড়িয়ে ছিল। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মৃত্যু এবং আক্রান্তের খবর পাওয়া যাচ্ছিল। এই মহামারী থেকে কোনও দেশ রক্ষা পায়নি। প্রায় বিশ্বের সব দেশের মানুষই এই মহামারীর শিকার হয়েছিল। পরিসংখ্যান অনুসারে এই রোগে প্রায় ৫ কোটি মানুষ প্রাণ হারিয়েছিলেন। এই সময় মানুষ একে-অপরের সঙ্গে দেখা করতেও ভয় পেতেন। মাসের পর মাস মানুষ গৃহবন্দি হয়ে থাকত।

১৯১৮ সালে এই মহামারীর পর বিশ্বে আরও কোনও সংক্রমণের কথা শোনা যায়নি। কিন্তু ২০২০তে আবার ওই অবস্থারই পুনরাবৃত্তি হল। ঠিক ১৯১৮-র মতোই বিশ্বের অধিকাংশ দেশেই সম্পূর্ণ লকডাউন করা হয়।

মানুষ মাসের পর মাস ঘরেই আবদ্ধ ছিলেন। এই ভাইরাসে বিশ্বে ৭ কোটি ৭২ লাখের বেশি মানুষ প্রভাবিত হয়েছে। মৃতের সংখ্যা প্রায় ১৭ লাখ।

এই বছরটি সারা বিশ্বে মৃত্যুর আতঙ্কে ফেলেছে। মানুষ ভাবছে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বছরটি শেষ হয়ে যাক। বৈজ্ঞানিকদের মত এখনও বিশ্বের সবচেয়ে খারাপ সময় দেখা বাকি। বৈজ্ঞানিকরা জানান, আমাদের আগে মানুষ এ রচেয়ে অনেক বেশি দুর্দিন দেখেছেন। একটা সময় ছিল যখন মানুষ প্রায় ১৮ মাস সূর্যের মুূখ দেখতে পায়নি।

হার্ভার্ডের ইতিহাসবিদ এবং পুরাতত্ত্ববিদ মাইকেল ম্যাককার্মিক জানান, ৫৩৬ খ্রিষ্টাব্দে রহস্যময় কুয়াশা পৃথিবীর একটি বড় অংশকে ঢেকে ফেলে।তখন এই কুয়াশার কারণে ১৮ মাস মানুষ আকাশ দেখতে পায়নি। এই সময়টাই মানবসভ্যতার ইতিহাসে সবচেয়ে খারাপ সময় বলে অভিহিত করা হয়েছে। এ সময় বহু মানুষ প্রাণ হারান।

এই সময়টায় কুয়াশায় ঢাকা পৃথিবী থেকে সূর্যকে দেখতে যেন পূর্ণিমার চাঁদ। সূর্যের উত্তাপ পৃথিবী পর্যন্ত পৌঁছাত না। বাইজেন্টাইন ইতিহাসবিদ প্রোকোপিয়স লিখেছেন সূর্য ওই সময়টা পূর্ণিমার চাঁদের মতো ছিল, যাতে কিরণ আর শীতলতা ছিল। এই সময় গরমেও সর্বাধিক তাপমাত্রা হত ১.৫ ডিগ্রি থেকে ২.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে। গত ২৩০০ বছরে এটাই সবচেয়ে ঠাণ্ডা দশক ছিল। ইতিহাসবিদদের দাবি, এই সময় চীনে গরমের সময়ও বরফ পড়ত। ৫৩৬ সালের প্রভাব অনেক কাল পর্যন্ত উত্তর গোলার্ধে ছিল।

৫৩৬ সালে আসলে কী হয়েছিল? এ নিয়ে এক গবেষণায় জানা যায়, সম্ভবত এই সময় উত্তর আমেরিকা বা আইসল্যান্ডে কোনো বড় আগ্নেয়গিরি বিস্ফোরণ হয়। এই আগ্নেয়গিরি থেকে নির্গত ধোঁয়া এবং ছাইয়ের কারণেই উত্তর গোলার্ধে কুয়াশা নেমে আসে। সম্ভবত এ কারণেই সমগ্র বিশ্বে এই ভয়ানক দৃশ্য দেখা গিয়েছিল।

সূত্র : পুবের কলম


 

ko cuce /div>

দৈনিক নয়াদিগন্তের মাসিক প্রকাশনা

সম্পাদক: আলমগীর মহিউদ্দিন
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সালাহউদ্দিন বাবর
বার্তা সম্পাদক: মাসুমুর রহমান খলিলী


Email: online@dailynayadiganta.com

যোগাযোগ

১ আর. কে মিশন রোড, (মানিক মিয়া ফাউন্ডেশন), ঢাকা-১২০৩।  ফোন: ৫৭১৬৫২৬১-৯

Follow Us