নির্জন দ্বীপে বিশ্বের নির্জনতম বাড়ি
নির্জন দ্বীপে বিশ্বের নির্জনতম বাড়ি - ছবি : সংগৃহীত
নির্জন দ্বীপে একাকি দাঁড়িয়ে রয়েছে একটি সুন্দর, সাদা বাড়ি। ছবির মতো সুন্দর তার চারপাশ। সম্প্রতি এমনই ছবি ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়াতে। আর তাই নিয়েই চলছে নানা রকম জল্পনা-কল্পনা। কার এই বাড়ি? এমন সুন্দর বাড়ির নাম দেয়া হয়েছে, বিশ্বের নির্জনতম বাড়ি। এমনও মনে করা হচ্ছে, হয়তো কোনো প্রকৃতিপ্রেমী স্বপ্নের ঘর বুনেছিলেন এখানে। গত সপ্তাহেই ইন্সটাগ্রামে পোস্ট করা হয়েছিল এই অসাধারণ বাড়ির ছবি। এরপরই সোশ্যাল মিডিয়াতে ঘুরতে থাকে এই ছবি। ছবিগুলোতে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে, ছবির মতো সুন্দর প্রকৃতির মাঝে দাঁড়িয়ে রয়েছে একটি মাত্র বাড়ি। চারদিকে থই থই করছে নীল সমুদ্র। সবুজে ঘেরা পাহাড়ের উপর রয়েছে বাড়িটি।
দ্য মিরর-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, দক্ষিণ আইসল্যান্ডের একটি নির্জন দ্বীপ এলিডি-তে অবস্থিত এই বাড়ি। খবর মিলেছে, আজ এই দ্বীপ নির্জন হলেও, এক সময় সেখানে বাস করত পাঁচটি পরিবার। ১৯৩০ সালে, এখানকার বাসিন্দারা চলে যান অন্য কোথাও, আর সেই থেকেই ফাঁকা রয়েছে এই সুন্দর দ্বীপ। এই প্রত্যন্ত দ্বীপ আর নির্জন বাড়িটি নিয়ে শোনা যাচ্ছে অনেক গুজব। মানুষের মনে প্রশ্নও উঠছে নানা রকম। এই বাড়ি নিয়ে এমনও গুজব রয়েছে, এটি নাকি তৈরি করেছিলেন এক বিলিয়নিয়র। উদ্দেশ্য ছিল, একে জম্বিল্যান্ড হিসেবে ব্যবহার করা। অন্য একদল বলছেন, এই বাড়ি নাকি আইসল্যান্ডের এক গায়ক বিজর্ক-এর অথবা কোনো তপস্বীর। ছবি দেখে কেউ কেউ আবার বলেছেন, বাড়িটির আদৌ কোনো অস্তিত্ব নেই, বরং ফটোশপ করে বসানো হয়েছে। তবে আসলে এলিডি আইল্যান্ডের এই বাড়িটির মালিকানা রয়েছে এলিডি হান্টিং অ্যাসোসিয়েশনের হাতে।
সূত্র : নিউজ ১৮
জীবাশ্ম ভেবে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের গ্রেনেড ঘরে এনেছিলেন মা-মেয়ে, প্রাণ বাঁচল ভাগ্যজোরে
রান্নাঘর জুড়ে বারুদের গন্ধ। সিঙ্কের ঠিক উপরটায় এখনও টাটকা ক্ষত। জানালার কাচেও পোড়া দাগ। এদিক-ওদিক ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে বাসনপত্র। আতঙ্কে চোখ মুখ সিঁটিয়ে গিয়েছিল মা জোডি ক্রিউস ও তার আট বছরের মেয়ে ইসাবেলের। খবর পেয়েই সাইরেন বাজিয়ে ছুটে আসে দমকল। গোটা বাড়ি ঘিরে ধরে উর্দিধারীরা। তবে রক্ষে, কারো কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। ঘটনাটি ব্রিটেনের কেন্টে।
আসলে জীবাশ্ম বা পুরনো হাড় ভেবে এক টুকরো পাথর তুলে এনেছিলেন জোডি ও তার মেয়ে ইসাবেল। সেটাই যে তাদের সাক্ষাত্ মৃত্যুর মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দেবে, তা স্বপ্নেও ভাবেননি। তবে যখন বুঝলেন, তখন অনেকটাই দেরি হয়ে গেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মোটেই জীবাশ্ম বা পুরনো হাড় তুলে আনেননি মা-মেয়ে। যা এনেছিলেন, সেটি আসলে একটি আস্ত গ্রেনেড। তাও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়কার। এত দিন সুপ্ত আগ্নেয়গিরির মতো পড়ে ছিল। প্রায় ৮০ বছর পর গরম সুচের খোঁচা খেয়ে জেগে উঠেছিল ওই গ্রেনেড। ভয়াবহতা কাটিয়ে ওঠার পরই গোটা বিষয়টি সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখেন ৩৮ বছরের জোডি।
তিনি জানান, সম্প্রতি আট বছরের মেয়ে ইসাবেলকে নিয়ে ডেলের এক সমুদ্র সৈকতে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে কোনো কিছু না ভেবেই অদ্ভূত-দর্শন পিণ্ডটিকে তুলে আনেন তারা। জোডি লিখেছেন, আমরা ভেবেছিলাম ওটা জীবাশ্ম। তাই বিভিন্ন আরকিওলজিক্যাল সাইটে এর ছবি শেয়ার করেছিলাম। অনেকে অনেক মতামত দিলেও এটা যে গ্রেনেড হতে পারে তার ইঙ্গিতও কেউ দেয়নি।
একজন বলেছিলেন, এটা তিমির বমিও হতে পারে। তবে তা পরীক্ষা করার জন্য একটা গরম সুচ দিয়ে খণ্ডটি খোঁচানোর পরামর্শ পান জোডি। সেই কথা শুনেই বিপদ ডেকে এনেছিলেন মা-মেয়ে। গরম সুচের খোঁচা খেয়েই গ্রেনেডটি আগুনের গোলায় পরিণত হয়। ভয় পেয়ে ছুটে অন্য ঘরে পালিয়ে যায় ইসাবেল। গরমে লাল হয়ে যাওয়া গ্রেনেড কোনো মতে রান্নাঘরের সিঙ্কে ফেলে দেন জোডি। এরপর একটা ভেজা তোয়ালে এনে তাতে চাপা দিয়ে দেন। বড় বিস্ফোরণ না ঘটলেও, গ্রেনেডের ওই তাপেই গলে যায় সিঙ্ক। পুড়ে যায় জানালার একাংশ। তড়িঘড়ি মেয়ে ও পোষা প্রাণীদের বাড়ির বাইরে বের করে আনেন জোডি। প্রতিবেশীরাই জোডির বাড়ি থেকে ধোঁয়া বেরতে দেখে ফায়ার সার্ভিসে খবর দেন।
সূত্র : বর্তমান