তুরস্কের দারুণ সাফল্য : হেলিকপ্টারকে ড্রোনে রূপান্তর
তুরস্কের দারুণ সাফল্য : হেলিকপ্টারকে ড্রোনে রূপান্তর - ছবি সংগৃহীত
তুরস্কের এক প্রযুক্তি সংস্থা প্রথমবারের মতো একটি হেলিকপ্টারকে মনুষ্যবিহীন উড়ন্ত যানে (ড্রোন) রূপান্তরিত করেছে। অধিক ধারণক্ষমতার নতুন এই যান সাধারণ ড্রোনের তুলনায় আরো বেশি সময় আকাশে উড়তে সক্ষম এবং এটি সামরিক-বেসামরিক সব প্রয়োজনেই ব্যবহার করা যাবে।
টিটরা টেকনলজি নামের প্রতিষ্ঠানটির শীর্ষ এক কর্মকর্তা সালমান দোনমাজ আনাদোলু এজেন্সির কাছে জানান, এই প্রকল্পের মূল প্রযুক্তি হলো মানুষের সরাসরি সংযোগের প্রয়োজনীয়তা হ্রাস করা।
তিনি আরো জানান, বেলারুশিয়ান এক প্রকৌশল সংস্থার সহযোগিতায় এই প্রকল্পের কাজ করা হয়েছে।
১৬০ কেজি (৩৫৩ পাউন্ড)ধারণক্ষমতার রূপান্তরিত মনুষ্যবিহীন এই হেলিকপ্টারটি ৪৫৭২ মিটার (১৫,০০০ ফুট) উচ্চতায় ৮০০-৮৫০ কিলোমিটার (৪৯৭-৫২৮ মাইল) পর্যন্ত পথ অতিক্রম করতে পারবে বলে জানান তিনি।
দোনমাজ বলেন, সংস্থাটি ধীরে ধীরে নতুন এই ড্রোনের আঞ্চলিক উৎপাদনের দিকে জোর দেবে।
তিনি বলেন,আমাদের লক্ষ্য ২০২১ সালের শেষে এর গণউৎপাদন শুরু করা।
তিনি আরো জানান, জরুরি মুহূর্তে ও দুর্যোগে এটি যোগাযোগের কাজে ব্যবহার করা যাবে এবং অধিক ধারণক্ষমতার কারণে লজিস্টিক সহায়তাও দিতে পারবে।
এছাড়া সামরিক অভিযানে এই ড্রোন ব্যবহার করে গোলাবারুদ সরবরাহ ও অন্যান্য সহায়তায়ও ব্যবহার করা যাবে বলে জানান দোনমাজ।
সূত্র : ইয়েনিসাফাক
মার্কিন নিষেধাজ্ঞা তুর্কি সার্বভৌমত্বের উপর ‘নির্লজ্জ আক্রমণ’ : এরদোগান
এ সপ্তাহে ঘোষিত মার্কিন নিষেধাজ্ঞাকে তুর্কি সার্বভৌমত্বের উপর ‘নির্লজ্জ আক্রমণ’ বলে ঘোষণা করেছে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোগান।
তুরস্কের উপর এই ধরণের নিষেধাজ্ঞা চাপিয়ে দেওয়ার দ্বী-মুখী নীতির প্রতি ইঙ্গিত করে এরদোগান বুধবার একটি হাইওয়ের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বলেন, তুরস্ক হলো প্রথম ন্যাটোভুক্ত দেশ যারা এমন নিষেধাজ্ঞার সম্মুখীন।
এরদোগান বলেন, নিষেধাজ্ঞাগুলো দেশের প্রতিরক্ষা শিল্পকে নির্ভরশীল করতে চায়, তবে তুরস্ক তার শিল্পকে শীর্ষে উন্নীত করতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।
‘তুরস্ক হতাশ হবে না। বরং প্রতিরক্ষা খাতকে আরো উন্নত করতে এবং এটিকে পুরোপুরি স্বনির্ভর করার জন্য দ্বিগুণ কঠোর পরিশ্রম করবে,’ এরদোগান প্রতিজ্ঞা করেন।
গত সোমবার যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়ার এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কেনার ব্যাপারে তুরস্কের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।
‘নিষিদ্ধকরণ আইনের মাধ্যমে আমেরিকার বিরোধীদের দমন (সিএএটিএসএ)’ এর আওতায় মার্কিন নিষেধাজ্ঞাগুলোর টার্গেট হলো তুরস্কের প্রেসিডেন্সি অফ ডিফেন্স ইন্ডাস্ট্রিজ (এসএসবি) এবং এর প্রধান ইসমাইল দেমিরসহ তিন কর্মকর্তা।
মার্কিন আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কেনার দীর্ঘ প্রচেষ্টা ব্যর্থ হলে ২০১৭ সালের এপ্রিলে রাশিয়ার এস-৪০০ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাটি লাভের জন্য দেশটির সাথে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করে তুরস্ক।
তবে মার্কিন কর্মকর্তারা এর বিরোধিতা করছেন এই বলে যে, এগুলো ন্যাটো ব্যবস্থাপনার সাথে বেমানান হবে এবং এফ-৩৫ জঙ্গিবিমানের অনেককিছুই রাশিয়ার হাতে চলে যাবে।
তুরস্ক অবশ্য জোর দিয়ে বলেছে, এস-৪০০ ন্যাটো ব্যবস্থায় একীভূত হবে না এবং জোট বা তার অস্ত্রশস্ত্রের জন্য কোনো হুমকি তৈরী করবে না।
প্রযুক্তিগত সামঞ্জস্যতার বিষয়টি পরীক্ষা করার জন্য তুর্কী কর্মকর্তারা বরাবরই একটি ওয়ার্কিং গ্রুপের প্রস্তাব দিয়ে আসছেন।
সূত্র : আনাদোলু এজেন্সি