আমিরের রাগ, ক্ষোভ, যন্ত্রণা
আমির - ছবি : সংগৃহীত
জাতীয় টিম ম্যানেজমেন্টের বেশ কয়েকজন মানসিকভাবে হেনস্তা করায় আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দিলেন পাকিস্তানের বাঁ-হাতি পেসার মোহাম্মদ আমির।
বর্তমানে নিউজিল্যান্ড সফরে রয়েছে পাকিস্তান। ৩৫ জনের সেই দলে জায়গা হয়নি আমিরের। তাই ক্ষোভে, হতাশায় আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ছেড়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আমির।
তিনি বলেন, ‘দলের ভেতরের পরিবেশ একদমই ভাল নয়। নিউজিল্যান্ড সফরে ৩৫ জন সদস্যের মধ্যেও যখন আমাকে রাখা হয়নি। তখনই বুঝতে পেরেছিলাম, এই ম্যানেজমেন্টের অধীনে আমার পক্ষে খেলা সম্ভব নয়। আমার মনে হয়, এখন ক্রিকেট থেকে সরে দাঁড়ানোই সবচেয়ে ভালো। আমাকে মানসিক ভাবে অত্যাচার করা হয়েছে।’
আমির আরো বলেন, ‘পিসিবি আমাকে বহু যন্ত্রণা দিয়েছে। আমার উপরে অত্যাচার করেছে। তবুও পিসিবির দু’জনকে আমি ভাল বলব। পাঁচ বছর নির্বাসনের পরে আমি ফিরে আসি। সে জন্য সাহাব ও শাহিদ আফ্রিদিকে আমি চিরকাল ধন্যবাদ দিবো। কঠিন সময়ে এই দু’জন আমাকে যথেষ্ট সাহায্য করেছেন। দলের বাকি সদস্যরা বলেছিল, আমার সাথে খেলতে চায় না তারা।’
আমির অবসরের ঘোষণার পর পিসিবির পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘আমিরের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অবসরের ঘোষণার পর বোর্ডের প্রধান নির্বাহী ওয়াসিম খান বুধবার বিকেলে তার সাথে কথা বলেছেন। প্রধান নির্বাহীকে আমির বলেছেন, আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলার কোনো আগ্রহ বা ইচ্ছা নেই। ভবিষ্যতে আন্তর্জাতিক ম্যাচের জন্য যেন তাকে বিবেচনা না করা হয়। এটি আমিরের সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। তার সিদ্বান্তকে পিসিবি সম্মান করে এবং এ ব্যাপারে আর কোনো মন্তব্য এখন করবে না।’
২০০৯ সালে মাত্র ১৭ বছর বয়সে পাকিস্তানের হয়ে অভিষেক হয় আমিরের। ঐ বছরই লর্ডস টেস্টে ফিক্সিং করে পাঁচ বছর নিষিদ্ধ হন তিনি। নিষেধাজ্ঞা শেষে মাঠে ফিরে দুর্দান্ত পারফরমেন্স করেন আমির। কিন্তু দলে নিজের জায়গা পাকাপোক্ত করতে পারেননি।
গত বছর টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসর নেন আমির। সীমিত ওভারের ক্রিকেট থেকেও বাদ পড়েন তিনি। এবার নিউজিল্যান্ডের সফরে টি-টুয়েন্টি দলে জায়গা না হওয়ায়, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় বললেন ২৮ বছর বয়সী আমির।
পাকিস্তানের হয়ে ৩৬ টেস্টে ১১৯টি, ৬১টি ওয়ানডেতে ৮১টি ও ৫০টি টি-টুয়েন্টিতে ৫৯টি উইকেট শিকার করেছেন আমির।
বাংলাদেশের ক্রিকেটারের নামে ইংল্যান্ডের দ্য ওভাল স্টেডিয়াম
প্রাণঘাতি করোনাভাইরাসে কারনে লকডাউনের সময় বাচ্চাদের সক্রিয় থাকতে সাহায্য করায় বিশেষ সম্মান জানিয়ে ইংল্যান্ডের ঐতিহ্যবাহী কেনিংটন ওভাল স্টেডিয়ামের নাম বদলে বাংলাদেশের সাবেক ক্রিকেটার শহীদুল আলম রতনের নামে রাখা হয়েছে। এটি এখন ‘কেআইএ শহীদুল আলম রতন ওভাল’। যা ২৪ ঘণ্টা বহাল থাকবে। বর্তমানে লন্ডন ক্যাপিট্যাল কিডস ক্রিকেট চ্যারিটির নেতৃত্বে রয়েছেন শহীদুল আলম রতন। ক্যাপিট্যাল কিডস ক্রিকেট মূলত একটি চ্যারিটেবল প্রতিষ্ঠান।
করোনা মহামারীর সময় তৃণমূলের ক্রীড়া কর্মী এবং স্বেচ্ছাসেবকদের সম্মানিত করতে নানান উদ্যোগ নিয়েছে ইংল্যান্ডের কেনিংটন ওভাল স্টেডিয়াম। সেই সম্মানের তালিকাতে নাম আছে রতনেরও।
লকডাউন চলাকালীন বাচ্চাদের সক্রিয় রাখতে একটি ডিজিটাল এক্টিভিটি জোন তৈরি করেছিল ক্যাপিট্যাল কিডস ক্রিকেট। এসব কাজের দায়িত্বে ছিলেন রতন। সবকিছু দেখভাল করেছিলেন তিনি। লন্ডনের পিছিয়ে পড়া এলাকার সুবিধাবঞ্চিতদের শারীরিক, মানসিকভাবে বিপর্যস্ত শিশুদের নিয়ে ভার্চুয়াল সেশন, পারিবারিক পরামর্শের ব্যবস্থাও করেছিলেন রতন।
বাংলাদেশের টেস্ট পূর্ববর্তী যুগে ৮০ ও ৯০’র দশকে উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান ছিলেন রতন। ঢাকার ক্রিকেটে মোহামেডান-ওয়ারির হয়ে খেলেছেন তিনি।
সূত্র : বাসস