নাসুমকে মারতে যাওয়া : কতটুকু দায়ী মুশফিক?
নাসুমকে মারতে যাওয়া : কতটুকু দায়ী মুশফিক? - ছবি : সংগৃহীত
খেলার উত্তেজনা ও কঠিন মুহূর্তে কখনো কখনো আবেগ নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায় খেলোয়াড়দের। এমন দৃশ্য আজ আবারো দেখা গিয়েছে মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে। রোববার বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপের এলিমিনেটর ম্যাচে ফরচুন বরিশাল ও বেক্সিমকো ঢাকার ম্যাচে ঘটল এমন ঘটনা।
১৩তম ওভারে একবার, ১৭তম ওভারে আরেকবার। এক ম্যাচে পর পর দুবার আবেগ ধরে রাখতে পারলেন না মুশফিকুর রহিম। সতীর্থ নাসুম আহমেদের দিকে দু'বার বল দিয়ে তেড়ে গেলেন। মারতে উদ্যত হলেন মাঠের মধ্যেই।
১৫১ রান তাড়া করতে থাকা বরিশালকে এগিয়ে নিচ্ছিলেন আফিফ হোসেন। ম্যাচে রোমাঞ্চ, উত্তেজনার আভাস দেখা যাচ্ছিল।
১৩তম ওভারে বল করতে আসা নাসুম আফিফের হাতে খান এক ছক্কা। পরের বলে মিড উইকেটে ঠেলে সিঙ্গেল নিতে গেলে রান আটকাতে দৌড় দেন বোলার নাসুম ও কিপার মুশফিক দুজনেই। একসাথে দুজন জড়ো হওয়ায় ব্যাটসম্যানদের রান আউটের সুযোগ তৈরি করা যায়নি। মুশফিক তখন বল ধরে নাসুমের দিকেই থ্রো করতে উদ্যত হন।
পরের ঘটনা ১৭তম ওভারে। তখন খেলায় অনেকটা নিয়ন্ত্রণ বেক্সিমকো ঢাকার। শফিকুলের বলে ফিফটি করা আফিফের ম্যাচ যায় উইকেটের পেছনে সেই ক্যাচ হাতে জমান মুশফিক। শর্ট ফাইন লেগে থাকা নাসুমও চলে আসেন ক্যাচ নিতে। দু'জনের ধাক্কা প্রায় লেগেই যাচ্ছিল। এবারও আবেগ নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায় তার। বল হাতে থাকা অবস্থায় নাসুমকে প্রায় ঘুষি মারতে উদ্যত হতে দেখা যায় তাকে।
খেলার মাঠে উত্তেজনার মুহূর্তে প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়দের সঙ্গে অনেক ঘটনাই ঘটে। তবে এক ম্যাচ নিজ দলের খেলোয়াড়দের মধ্যে এমন দৃশ্য বিরল। তবে অভিজ্ঞ মুশফিক যা বুঝেছেন, হয়তবা নবীন নাসুম সেটি বুঝতে পারেননি। নিজের জায়গা ছেড়ে দৌড়ে আসা তা হয়তো ভালোভাবে ননেনি ঢাকার অধিনায়ক।
নাসুমের সাথে এমন আচরনে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মুশফিককে নিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছে।
ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে নাসুমের সঙ্গে বিবাদের ব্যাপারে মুশফিক বলেন, ‘সবকিছু ঠিক আছে। জয়ের মধ্যে থাকলেও ব্যক্তি ও দল হিসেবে আমাদের উন্নতির জায়গা আছে আরও। আগামীকাল আরেকটি ম্যাচ আছে, আশা করি জিতবো, দেখা যাক। আশা করি দল হিসেবে খেলতে পারব।’
ম্যাচ শেষে নাসুমের সাথে মুশফিককে আনন্দের সাথে কথা বলতে দেখা গেছে।
তামিমের করোনা নেগেটিভ
বেক্সিমকো ঢাকার বিপক্ষে লিগ পর্বের শেষ ম্যাচে ব্যাটিং শেষে আর মাঠে নামেননি তামিম। ঐ ম্যাচে ৩ উইকেটে ১৯৩ রান করেছিলো বরিশাল। তামিম ফিল্ডিং করতে না নামায় বরিশালকে নেতৃত্ব দেন স্পিনার মেহেদি হাসান মিরাজ। পরে ২ রানে ম্যাচ জিতে শেষ দল হিসেবে প্লে-অফ নিশ্চিত করে বরিশাল।
ব্যাটিং শেষে ফিরে যাবার পর শারীরিকভাবে দুর্বল অনুভব লাগার কথা ফেসবুকে পোস্ট করে বলেছিলেন তামিম।
তিনি লিখেন, ‘শুক্রবার থেকেই আমি ভালো অনুভব করছিলাম না। ড্রেসিংরুমে ফিরে আসার পর আরও খারাপ অনুভব করছিলাম। আমি অনেক দুর্বল অনুভব করছিলাম। বিসিবির মেডিকেল টিম, তখনই আমাকে হোটেলে ফিরে যাবার পরামর্শ দেয়। আমি আউট হবার, কিছুক্ষনের মধ্যে স্টেডিয়াম ত্যাগ করি। আগামীকালই সকল পরীক্ষা করবো। সকলে দোয়া চাইছি। যদি আমি ভালো অনুভব করি, তবে এলিমিনেটর ম্যাচ খেলবো।’