হার্ট অ্যাটাকের এক মাস আগে জানান দেয় শরীর!
হার্ট অ্যাটাকের এক মাস আগে জানান দেয় শরীর! - ছবি সংগৃহীত
হঠাৎ হৃদরোগ বা হার্ট অ্যাটাক। আর তাতেই শেষ জীবন৷ এ ঘটনা ঘটছে আকছারই৷মনে রাখবেন, খাওয়া দাওয়া থেকে শুরু করে নানা কু-অভ্যাসের ফলেই নেমে আসে এই যবনিকা৷ তবে সত্যিই কি তা আকস্মিক? বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, তা কিন্তু নয়৷ অ্যাটাকের অন্তত এক মাস আগে থেকে শরীরই জানান দেয় যে কিছু একটা গড়বড় হচ্ছে৷
করোনারি আর্টারিতে রক্তপ্রবাহ কমে যাওয়ার দরুণই অ্যাটাকের আশঙ্কা দেখা যায়৷ তবে তা এক দিনে হয় না৷ ধীরে ধীরে সে লক্ষণ ফুটে উঠতে থাকে৷ কীরকম?
১) যদি অতিরিক্ত ক্লান্তিভাব গ্রাস করে, তবে তা অবহেলা করার কিছু নেই৷ কেননা এ ক্লান্তিই পরে হার্ট অ্যাটাকের আশঙ্কা জাগিয়ে তোলে৷ আসলে এই দুর্বলতা হলো রক্তপ্রবাহ কমে যাওয়ার ফল৷ আর্টারিগুলো সরু হয়ে যাওয়ার ফলে পেশি দুর্বল হয়ে পড়ে৷ এই ক্লান্তি তথা দুর্বলতা কিন্তু অ্যাটাকের অশনি সংকেত৷
২) ঝিমুনিকেও স্বাভাবিক ক্লান্তির কারণ ধরে নিয়ে অবজ্ঞা করা মারাত্মক ক্ষতির কারণ হতে পারে৷ কেননা পর্যাপ্ত রক্তপ্রবাহ না থাকার কারণে শরীরে ক্লান্তি, ঘাম ও অস্বস্তি দেখা দিতে পারে৷ এবং এসব বেশ কিছু দিন আগে থেকেই শুরু হয়৷
৩) যদি কাঁধে, হাতে ক্রমাগত ব্যাথা হতে থাকে তবে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত৷ আর বুকে ব্যথা বা বুকে চাপ ধরলে তো অবহেলা করা উচিতই নয়৷
৪) হার্ট অ্যাটাকের আগে বহু রোগীর ক্ষেত্রেই দেখা গেছে, তারা হালকা জ্বরে ভুগছেন৷ কেউবা ঠাণ্ডা লাগায় ভুগছেন৷ এরকম হতে থাকলে কিন্তু শারীরিক অবস্থা খতিয়ে দেখা উচিত৷
৫) যদি নিঃশ্বাসের সমস্যা দেখা যায়, দমবন্ধ লাগে, তবে মোটেও অবহেলা করা উচিত নয়৷ প্রতিটি অঙ্গই পর্যাপ্ত রক্ত ও অক্সিজেন চায়৷ কিন্তু হার্ট ক্ষতিগ্রস্ত হলে ফুসফুসও সমস্যায় পড়ে৷ তাই এই দমবন্ধ অবস্থা দেখা দেয়৷ এর সঙ্গে এসে জোরে বমি বমি ভাব, তলপেটে ব্যাথা ইত্যাদি উপসর্গ৷
সব মিলিয়ে বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, হার্টের ক্ষতি ধারাবাহিকভাবে হতে থাকে৷ রক্তপ্রবাহ কমতে থাকার লক্ষণ আগেভাগেই জানান দেয় শরীর৷ সেই মতো বুঝে গোড়াতেই চিকিৎসা করলে অনেক সময়ই অ্যাটাকের সম্ভাবনা এড়ানো যায়৷
সূত্র : সংবাদ প্রতিদিন
আঙুল ফাটালে ভয় নেই!
আপনি যখন আঙুল ফাটান, তখন ধারে-কাছে থাকা শুভানুধ্যায়ীরা কি বার বার সতর্ক করে দেন? বলেই যান, আঙুল ফাটাতে নেই, তার থেকে ভুগতে হতে পারে বাতের কষ্টে?
ঠিক এই ব্যাপারটাই লাগাতার পনেরো বছর ধরে হয়ে চলেছিল ক্যালিফোর্নিয়া ইউনিভার্সিটির রেডিওলজি বিভাগের নার্স তানিয়া জনসনের সঙ্গে। যখনই আঙুল ফাটাতে মহিলা, বারণ করতেন ডাক্তার রবার্ট জাডো। এক দিন আর থাকতে না পেরে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলেন তানিয়া! মুখের উপর বললেন, ”প্রমাণ করে দেখান কী ক্ষতি হয়!”
পরিণাম ৪০টি ব্যক্তিকে নিয়ে এক জোরদার সমীক্ষা! যারা মাঝে-মধ্যেই আঙুল ফাটিয়ে থাকেন! যাতে আঙুল ফাটানোর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কোনও ভাবেই নজর এড়িয়ে না যায়, সেই জন্য সমীক্ষায় ব্যবহার করা হয়েছিল আলট্রাসাউন্ড প্রযুক্তি। সেই সমীক্ষাতেই দেখা গেল, আঙুল ফাটানো কোনো ভাবেই শরীরে কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করে না। আর্থ্রাইটিসেরও কোনো আশঙ্কা নেই আঙুল ফাটানো থেকে!
তবে, এই সমীক্ষা করতে গিয়ে একটা অদ্ভুত ব্যাপারের সম্মুখীন হয়েছেন গবেষকরা। আঙুল ফাটালে ‘মট’ করে যে শব্দটা হয়, সেটা কোথা থেকে হচ্ছে আর কেনই বা হচ্ছে, তার কোনও হদিশ তাঁরা পাননি! সেই জন্যই সমীক্ষা এখনও চলছে, তা শেষ হয়ে যায়নি!
তা, ক্ষতি না-ই বা হলো, আঙুল ফাটালে কি শরীরের কোনো উপকার হয়?
সে প্রশ্নের জবাব এখন পর্যন্ত রয়ে গেছে অধরাই! ঠিক কী উপকার হয় আঙুল ফাটালে বা আদৌ হয় কি না- ওই সব নিয়েই আপাতত মাথা কুটছেন ক্যালিফোর্নিয়ার ওই গবেষক দল!
সূত্র : সংবাদ প্রতিদিন