যেভাবে ভণ্ডুল হলো ট্রাম্পের খায়েশ
ডোনাল্ড ট্রাম্প - ছবি সংগৃহীত
আমেরিকার বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বিপুল অর্থ ব্যয় করে যাচ্ছেন নির্বাচন বাতিলের ষড়যন্ত্রে। কিন্তু শিক্ষিত জনগোষ্ঠী, সাংবাদিক, সুশীল সমাজ ও কোর্ট-আদালত নির্বাচনের প্রশ্নে কঠিন অবস্থানে আছেন। শুধু ট্রাম্প নিজে নন তার দলের উগ্রপন্থীরাও চেষ্টা কম করেননি। কোর্টসমূহ একের পর এক নির্বাচন কারচুপির আবেদন প্রত্যাখ্যান করেছে। ট্রাম্প শেষ সময়ে সুপ্রিম কোর্টের একজন বিচারককে বিপুল বাধার মুখে নিয়োগ দিয়েছিলেন এ আশায় যে, তিনি সুপ্রিম কোর্টে তার সমর্থন পাবেন। সবাই মিলেই ঐকমত্যের ভিত্তিতে সুপ্রিম কোর্ট তার মামলা খারিজ করেছেন। তার নিজের মন্ত্রিসভা ও উপদেষ্টাদের কেউ কেউ তার ভয়-ভীতির তোয়াক্কা না করে নীতির প্রশ্নে পদত্যাগ করেছেন।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নিয়মবহির্ভূত হস্তক্ষেপের পরিপ্রেক্ষিতে একজন শীর্ষস্থানীয় জেনারেল মার্ক এ মিলে ডিফেন্স সেক্রেটারির উপস্থিতিতে বলেন, আমরা কোনো রানী, বাদশার কাছ থেকে শপথ নেইনি। আমরা কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর প্রতি অনুগত নই। আমাদের শপথ শাসনতন্ত্র মেনে চলার। তারা যেকোনো মূল্যে শাসনতন্ত্রকে টিকিয়ে রাখা ও রক্ষা করার দায়িত্ব পালন করবেন।
নির্বাচন কমিশনের ওপর চাপ সৃষ্টি করেও নির্বাচনের ফলাফল বিতর্কিত করতে ট্রাম্প ও তার সমর্থকরা সক্ষম হননি। বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প কিন্তু জনগণের যথেষ্ট ভোট পেয়েছিলেন। তারপরও জো বাইডেন প্রচুর ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হয়েছেন। এখন বলা হচ্ছে, ট্রাম্প যে শুধু ক্ষমতা পাগল তাই নয়, ক্ষমতায় না থাকলে দুর্নীতির মামলায় তার জেলও হতে পারে। তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির তদন্ত শুরু হয়েছে।
ডিসেম্বর মাস চলছে। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের বিজয় নিয়ে অনেক বীরত্বের গল্প-কাহিনী শুনানো হবে। আমাদের বিজয় উৎসব করার কিছু দেখি না। আমাদের বিজয় হবে মানুষের মুক্তির বিজয়, গণতন্ত্রের বিজয়। গোলামির বিজয় এ দেশের জনগণের হতে পারে না। আমাদের মুক্তিযুদ্ধকে ভারতের সামরিক যুদ্ধের সাথে এক করে দেখার কোনো সুযোগ নেই। গণতন্ত্র, ব্যক্তিস্বাধীনতার জন্য আমাদের লাখ লাখ লোকের জীবন বৃথাই গেল। কিন্তু ভোট একেবারে না পেয়েও সুবিধাবাদী শিক্ষিত লোকদের সহযোগিতায় বিপুল ভোটে বিজয় লাভের ঘোষণা দিতে আমাদের নির্বাচন কমিশনের মোটেও অসুবিধা হয় না। ভোট কারসাজির দায়িত্ব এখন সম্পূর্ণভাবে রাষ্ট্রীয় যন্ত্রের হাতে। শিক্ষিত লোকদের মধ্যে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকার না থাকা পর্যন্ত গণতন্ত্রের সঙ্কট দূর হবে না। কোনো দেশে গণতন্ত্র না থাকাটা শিক্ষিতজনদের জন্য লজ্জার বিষয়। কারণ শিক্ষিত লোকদেরই জানার কথা যে, সুশাসনের জন্য জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার সংরক্ষণ করা কত জরুরি। ব্যর্থ ও দুর্নীতির সরকার শিক্ষিত চাকরিজীবীদের ওপর নির্ভর করতে গিয়ে অনির্বাচিত সরকারের ভাবমূর্তি নিয়ে চলতে হচ্ছে, এটা কোনো গর্বের বিষয় নয়। জনগণকে অধিকারহীন করে তাদের ভয়-ভীতির মধ্যে রাখা কোনো মর্যাদার বিষয় নয়।
দেশের সাধারণ মানুষ গণতন্ত্রের জন্য রক্ত দিলে কী হবে, নিজেদের শিক্ষিত শ্রেণীর লোকদের মধ্যে যত দিন পর্যন্ত তাদের ব্যক্তিস্বার্থই প্রাধান্য পাবে তত দিন তারা যেকোনো গণবিরোধী সরকারের সহযোগী হয়ে ক্ষমতার বাহাদুরি দেখাবেন, আরাম-আয়েশে থাকবেন। সব দেশেই গণতন্ত্রের ব্যর্থতার মূলে রয়েছে শিক্ষিত লোকদের সুবিধাবাদী কর্মতৎপরতা। দু-একজনের সাহসী ভূমিকা গণতন্ত্র তথা সুশাসন প্রতিষ্ঠায় কোনো কাজে আসেনি। সরকার চালানোর মেশিনারি তো শিক্ষিত আমলাদের হাতে। গণবিরোধী সরকার জনগণের ভোট না পেলেও অসুবিধা নেই। আমলারা পক্ষে থাকলেই হলো।
আওয়ামী লীগকে একটি গণতান্ত্রিক সংগ্রামী দল হিসেবে গড়ে তুলতে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, মওলানা ভাসানী, মানিক মিয়াসহ শত শত নেতা ও কর্মী বছরের পর বছর অপরিসীম নির্যাতন ও ত্যাগ স্বীকার করেছেন। বঙ্গবন্ধু নিজেও অল্প বয়স থেকেই সে সংগ্রামের অংশীদার ছিলেন।
বাংলাদেশ স্বাধীন করার মূল লক্ষ্য ছিল, গণতন্ত্র সুরক্ষিত করা। সেই আওয়ামী লীগের হাতেই বাংলাদেশে গণতন্ত্রের চরম বিপর্যয় ঘটেছে। দোষ আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতার নয়। সুবিধাবাদী শিক্ষিত লোকদের সমর্থন ও সহযোগিতায় স্বৈরশাসনের জন্ম হয়। সাহস পান স্বৈরশাসকরা। সুবিধাবাদীরা তাদের নিজেদের স্বার্থেই জনবিরোধী সরকার চেয়ে থাকেন।
সাধারণ মানুষ সংগ্রাম করবে, গণতন্ত্রের জন্য জীবন দেবে, আর রাজনৈতিক নেতারা ক্ষমতায় থাকার জন্য গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে জনগণের সাথে প্রতারণা করবেন। রাজনৈতিক নেতাদের সাথে শিক্ষিত শ্রেণীর লোকও একযোগে এই ষড়যন্ত্রে শামিল হন। কারণ, তাদের কাছে গণতন্ত্রের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে ব্যক্তিগত সুযোগ-সুবিধা। স্বৈরতন্ত্রের অধীনে শাসকশ্রেণী হচ্ছে প্রভু এবং শাসিতজনরা হচ্ছে ভৃত্য। এই প্রভু-ভৃত্যের সম্পর্কের ব্যাপারে যত দিন না শিক্ষিত লোকদের মধ্যে ঘৃণাবোধ জাগ্রত হবে ততদিন তারা গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে ব্যবহৃত হতে লজ্জাবোধ করবেন না। শিক্ষার নীতি-মূল্যবোধ তাদের কাছে মূল্যহীন হয়ে থাকবে। অত্যন্ত দুর্ভাগ্যের বিষয়, আমাদের শিক্ষিত লোকেরা জনস্বার্থ রক্ষায় খুব কমই অবদান রেখেছেন।
১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর এরশাদের স্বৈরশাসনের পতন ঘটলে রাজনৈতিক নেতারা গণতন্ত্রের অনুকূলে কাজ করার জন্য একটি যৌথ অঙ্গীকার করেন। কিন্তু তারা ক্ষমতা ও বিত্তের লোভে সহজেই গণতন্ত্র রক্ষার কথা ভুলে যান। স্বৈরশাসন প্রতিষ্ঠায় তারা জেনারেল এরশাদকে ছাড়িয়ে গেছেন। জনস্বার্থ রক্ষা করা যেন তাদের দায়িত্ব নয়। জীবন দিলেন ডা: মিলন ও নূর হোসেন। এ দেশের সুবিধাবাদী শিক্ষিত শ্রেণী অগণতান্ত্রিক সরকারকে সেবাদানের জন্য উদগ্রীব হয়ে ওঠে। জনস্বার্থ রক্ষার দায়িত্ব সরকারি কর্মচারীদেরও যেন নয়। তাদের ‘দায়িত্ব’ সরকারের প্রতি অনুগত থাকা।
সাধারণ মানুষ দেশের জন্য রক্ত দেবে, দুঃখ-দুর্ভোগ সহ্য করবে, কিন্তু দেশের হর্তাকর্তা হবেন রাজনীতিক ও আমলারা। রাজনৈতিক নেতাদের দেশের মালিক হিসেবে কোনো শিক্ষিত-সচেতন মানুষের দেশে দেখা হয় না। দেশের মালিক জনগণ। নির্বাচিত রাজনীতিবিদরা জনগণের প্রতিনিধি। তাদের দায়িত্ব জনগণকে সেবা দান করা।
শিক্ষিত লোকেরা চাকরিজীবী হিসেবে সুযোগ-সুবিধা পেলেই খুশি। জাতি হিসেবে আমরা সবাই কতটা অধিকার এবং মর্যাদা নিয়ে বাস করছি তা ভেবে দেখা হচ্ছে না। শিক্ষিত সরকারি চাকরিজীবীরা নিজেদের জনগণের অংশ হিসেবে দেখেন না। জনগণের ওপর ক্ষমতার বাহাদুরি দেখাতেই তারা দীর্ঘদিন ধরে অনেক বেশি অভ্যস্ত হয়ে পড়েছেন। শিক্ষিত লোকদের দেশ ও জাতির প্রতি কোনো দায়িত্ববোধ না থাকা গণতন্ত্রের জন্য বড় বিপদ। লজ্জার বিষয় তো বটেই।
সরকারি কর্মকর্তাদের নিজেদের অধিকার নিয়ে ভাবতে হয় না। কারণ, তারাই তো রাষ্ট্রীয় শক্তির প্রয়োগকারী। শিক্ষিত লোকেরা ভীতু ও কাপুরুষ না হলে এবং জনগণের স্বার্থের বিরুদ্ধে যাওয়ার সুযোগ না খুঁজলে দেশের দৃশ্যপট অন্যরকম হতো। শিক্ষিত শ্রেণীর কাছ থেকে সহজ আনুগত্য পাওয়ার কারণে গণবিরোধী রাজনীতিকদের ক্ষমতায় টিকে থাকতে জনসমর্থনের কথা ভাবতে হয় না। ক্ষমতা এখন সহজ কেনা-বেচার ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। এটাই বোধ হয় আমাদের জাতীয় চরিত্র!
স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশে শিক্ষিত লোকদের ভূমিকা বিবেচনা করলে জনসাধারণের গর্ব করার মতো কিছু থাকে না। দেশে যে শিক্ষিত-সচেতন লোকদের কোনো অস্তিত্ব আছে তা মনে হচ্ছে না। গোলামির মানসিকতা শিক্ষিত লোকদের মর্যাদার ব্যাপার হতে পারে না। বাংলাদেশে তারই বাড়াবাড়ি দেখা যাচ্ছে। তা না হলে রাজনীতিবিদরা মিথ্যার ওপর নির্ভর করে এত সাহস দেখাতে পারতেন না। অল্প কথায় বলতে গেলে বলতে হয়, শিক্ষিত লোকদের গোলামির মানসিকতা স্বাধীনতাকামী জনগণের জন্য অধিকার নিয়ে বেঁচে থাকার পথে প্রধান প্রতিবন্ধকতা। প্রকৃত সত্য যে শিক্ষিত লোকদের জানা নেই তা নয়। ১৯৭১ সালে বাক্যবীররা দেশত্যাগ করে নিরাপদ থেকে যান। পাকবাহিনী যখন আক্রমণে বের হয় তখন তারা জনগণের সাথে থাকেননি। বীর বাঙালি সেজে স্বাধীন বাংলার পতাকা উড়াতে দেখেছি। সবাইকে অস্ত্রের মুখে ঠেলে দিয়ে মুহূর্তের মধ্যে দেশ ছেড়ে ভারতে যেতেও দেখেছি। বড় নেতাদের কাউকেই দেশে পাওয়া যায়নি। ভারতের সাহায্যে পরাজিত পাকিস্তানি সমর নেতাদের বিচার করার সাহস দেখাতেও কেউ এগিয়ে আসেননি।
এই দেশটির শিক্ষিতজনেরা যদি মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গীকার সম্পর্কে দৃঢ় প্রত্যয় দেখাত তাহলে গণতন্ত্রের মৃত্যু ঘটানো এত সহজ হতো না। সাংবাদিকতার পেশাগত দায়িত্বের কথা ভুলে সাংবাদিকরাও গণতন্ত্রের নিধনযজ্ঞে শামিল হন। গণতন্ত্রকে সমূলে উৎপাটিত করার সাহস ও শক্তি জোগানো হয়। এই সাহস জোগান তারাও যারা বঙ্গবন্ধুকে রাজনৈতিকভাবে নিঃস্ব দেখতে চেয়েছেন।
গণতান্ত্রিক অধিকার নিয়ে সম্মানজনকভাবে বেঁচে থাকার উপলব্ধি যত দিন পর্যন্ত শিক্ষিত লোকদের মধ্যে দৃশ্যমান না হবে ততদিন গণতন্ত্রের কোনো ভবিষ্যৎ নেই। শিক্ষিত লোকদের ছোট করার জন্য এসব কষ্টের কথা বলছি না। তারা নিজেরাই ছোট হয়ে আছেন। আমাদের শিক্ষিত লোকদের মান-মর্যাদার চিন্তায় ঘাটতি আজকের নয়। ভেবেছি, তাদের মন-মানসিকতায় পরিবর্তন আনতে হবে। তাদের সাধারণ মানুষের অংশ হতে হবে। দাসত্বের প্রতিভূ হওয়াটা আমাদের জাতীয় পরিচয় হতে পারে না।
পাকিস্তানের পতাকা আমরাই পোড়ালাম। শুধু পতাকার পরিবর্তন কোনো অহঙ্কার নয়, পতাকার মর্যাদা রক্ষায় আমাদের সাফল্য কোথায়? জনগণ থেকে দূরে থেকে ভালো থাকার মানসিকতা, ঔপনিবেশিক মানসিকতা থেকে সৃষ্ট। শিক্ষিত লোকদের এ হীন মানসিকতা বর্জন করতে হবে। স্বাধীন দেশের স্বাধীন জনগণ হিসেবে মর্যাদা ও অধিকার নিয়ে বাঁচতে শিখতে হবে। শুধু সরকারি কর্মচারীদের মধ্যেই স্বাধীনচেতা মানসিকতার অভাব তা নয়। সাধারণভাবে শিক্ষিত লোকদের মধ্যেই কমবেশি এই মানসিকতা কাজ করছে যে, গণতন্ত্র জনগণের ও রাজনীতিকদের ব্যাপার। তা শিক্ষিত লোকদের দেখার ব্যাপার নয়- এ ধরনের চিন্তা-ভাবনা কোনো স্বাধীন জাতির হতে পারে না। গণতন্ত্র বা ব্যক্তির অধিকার রক্ষার রাষ্ট্র গঠনের দায়িত্ব শুধু রাজনীতিবিদ বা গণআন্দোলনের বিষয় হতে পারে না। শিক্ষিত লোকদের সক্রিয় অবদান থাকলে আমাদের মুক্তিযুদ্ধে হাজার হাজার লোককে অসহায়ভাবে মৃত্যুবরণ করতে হতো না। আমাদের শিক্ষিত সচেতন ব্যক্তিরা নিশ্চিতভাবে জানতেন, বাংলাদেশের জন্ম নিয়ে কী ভয়াবহ ষড়যন্ত্র চলছিল। তারা বিদ্যা-বুদ্ধি নিয়ে মুখ খুললেন না। একটি অপ্রস্তুত জাতিকে যুদ্ধের কথা শুনালেন ছাত্র নেতারা।
গত ৬ ডিসেম্বর রোববার বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এবং সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘গণতন্ত্র দিবস’ পালন উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচিতে কথা বলা হয়েছে। জনগণকে ব্যবহার করে ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য আর গণতন্ত্রের জন্য জনগণকে সংগ্রামের কথা শুনাবেন না। এ ব্যাপারে কিছু লজ্জাশরম থাকা প্রয়োজন। এরশাদের পতনের পর ক্ষমতাসীন সরকারগুলো গণতন্ত্রপূজারী সরকার ছিল না। পরবর্তী পর্যায়েও একই ধারা বলবৎ থাকে। ফলে সরকার এবং বিরোধী রাজনীতিতেও যারা উচ্চ অবস্থানে ছিলেন তাদের পক্ষেও গণতান্ত্রিক দায়দায়িত্ব পালনে সচেতনতা দেখানো সম্ভব হয়নি। এরশাদের সহযোগিতা নিয়ে রাজনীতি করতে কারো অসুবিধা হয়নি।
আগামী দিনে জাতিকে নির্মাণ করার নতুন প্রজন্মের নেতৃত্ব অবশ্যই আসবে এবং আমরা সেই আশা এবং প্রার্থনা করছি। তাদের বুঝতে হবে, সত্যের দাবি না মেনে অসত্যের মাধ্যমে নিজেদের বিত্তশালী করা কোনো সম্মানজনক রাজনীতি নয়। রাজনীতির ভিত্তি হতে হবে সততা ও আদর্শ।
লেখক : বিশিষ্ট আইনজীবী, বাংলাদেশ
সুপ্রিম কোর্ট