অসহ্য কাঁধের যন্ত্রণায় হাত নড়াতে কষ্ট : ফ্রোজেন শোল্ডার?
অসহ্য কাঁধের যন্ত্রণায় হাত নড়াতে কষ্ট : ফ্রোজেন শোল্ডার? - ছবি সংগৃহীত
অসহ্য কাঁধের যন্ত্রণা, হাত নড়াতে কষ্ট। হঠাৎ করেই এমন সমস্যা। সম্ভবত আপনার ফ্রোজেন শোল্ডার হয়েছে।
আমাদের কাঁধের সংযোগস্থল তিনটি হাড় নিয়ে তৈরি হিউমেরাস, স্ক্যাপুলা ও কলার বোন নামক এই তিনটে হাড়কে একত্রে ‘বল ও সফেট’ জয়েন্ট বলে। এই শোল্ডার জয়েন্টকে ঘিরে কিছু কোশ কলা দিয়ে ক্যাপসুল গঠন করে। সেই ক্যাপসুল যখন খুব শক্ত হয়ে যায় তখন আমাদের কাঁধ মুভ করতে কষ্ট হয়। যন্ত্রণা ক্রমশ বাড়তে থাকে। এই অবস্থাকে ফ্রোজেন শোল্ডার বলে।
কীভাবে বুঝবেন-
দীর্ঘদিন ধরে এক পাশের কাঁধের জয়েন্টে অথবা দুই পাশেই ব্যথা হয়।
কাঁধের যে পাশে সমস্যা হয় সেদিকে কাত হয়ে শুলে ওই হাত নাড়াতে কষ্ট হলে। রাতের দিকে তীব্র যন্ত্রণা।
কাঁধের জয়েন্টে শক্তভাব অনুভূত হয়।
সতর্ক হবেন-
১০-২০ শতাংশ ডায়াবেটিস রোগীদের ফ্রোজেন শোল্ডার হয়। তাই ডায়াবেটিস থাকলে সতর্ক হবেন।
হাইপোথাইরয়েডিসম, হাইপারথাইরয়েডিসম, কার্ডিও ভাসকুলার অসুখ, পার্কিনসন, স্ট্রোক হলে ফ্রোজেন শোল্ডার হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
প্রতিকার-
* প্রাথমিকভাবে ঠাণ্ডা গরম সেঁক দিতে পারেন।
* ডাক্তারের পরামর্শ মাফিক হালকা ব্যায়াম করতে হবে।
* উপসর্গ লক্ষ্য করলে অবহেলা করবেন না। সঠিক ডাক্তারের পরামর্শ মাফিক এক্সরে ও প্রয়োজনে * এমআরআই করিয়ে নিন। কারণ প্রাথমিক পর্যায়ে চিকিৎসা না করলে পরবর্তীকালে ব্যথা তীব্র হতে পারে।
ভ্রান্ত ধারণা-
আর্থারাইটিস থাকলেই ফ্রোজেন শোল্ডার হবেই তা নয়। যদিও আর্থারাইটিস, ডায়াবেটিস কিংবা হার্টের রোগ থাকলে ফ্রোজেন শোল্ডার হওয়ার আশঙ্কা থাকে। কারও যদি শুধুমাত্র ফ্রোজেন শোল্ডার থাকে তাহলে কোনো আলাদা ডায়েটের প্রয়োজন নেই। তবে ফ্রোজেন শোল্ডারের সঙ্গে অন্য কোনো অসুখ থাকলে ডাক্তারের পরামর্শ মাফিক খাওয়া-দাওয়া করতে হবে।
সূত্র : সংবাদ প্রতিদিন
গর্ভাবস্থায় চর্বি জাতীয় খাবারের ঝুঁকি
গর্ভবতী মায়েরা বেশি চর্বিযুক্ত খাবার খেলে শিশুর মস্তিষ্কের স্বাভাবিক বিকাশ ব্যাহত করতে পারে। শুধু তাই নয়, এ মায়েদের শিশুদের পরবর্তীতে মুটিয়ে যওয়ারও ঝুঁকি বাড়ে। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের ‘ইয়েল স্কুল অব মেডিসিনে’র একদল গবেষক ইঁদুরের ওপর গবেষণা চালিয়ে এ তথ্য জানিয়েছেন। গবেষকরা গর্ভবতী ইঁদুর নিয়ে গবেষণা করেন। গর্ভবতী ইঁদুরদের খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আনেন তারা। এ সময় ইদুরগুলোকে বেশি চর্বিযুক্ত খাবার সরবরাহ করা হয়। এতে দেখা যায় ইঁদুর ছানার মস্তিষ্কের কাঠামো পরিবর্তন হয়।
মস্তিষ্কের হাইপোথ্যালামাস নামক অংশ পরিবর্তিত হয়ে যায়। দেহের বিপাক বা বর্ধনে হাইপোথ্যালামাসের মূল ভূমিকা থাকে। এ ধরনের ইঁদুর ছানাগুলো অপেক্ষাকৃত বেশি ওজনের হয়ে থাকে। সাধারণ খাদ্যাভ্যাসে থাকা ইঁদুর ছানাদের চেয়ে এদের টাইপ-২ ডায়বেটিসের ঝুঁকি বেশি থাকে।
মানবদেহের সাথেও এর সাদৃশ্য বা সম্পর্ক রয়েছে। গর্ভবতী মায়েদের বেশি চর্বিযুক্ত খাবার কিংবা কম পুষ্টিকর খাবার না খেয়ে সুষম খাবার খাওয়াটাই এদিক থেকে ভালো। নতুন গবেষণা সে ইঙ্গিতই দিচ্ছে। এ গবেষণাটি সেল জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে।