সুস্থ হওয়ার পর ফের কঠিনভাবে আক্রান্ত হতে পারেন করোনা রোগীরা!
সুস্থ হওয়ার পর ফের কঠিনভাবে আক্রান্ত হতে পারেন করোনা রোগীরা! - ছবি : সংগৃহীত
দুনিয়াজুড়ে লাখ লাখ মানুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছে। তার কিছু অংশের মৃত্যু হলেও বেশির ভাগই সুস্থ হয়ে উঠছে। সুস্থ হয়ে ফের আগের মতো দৈনন্দিন কাজকর্মে ব্যস্ত হয়ে পড়ছে সবাই। কিন্তু চিকিৎসা বিজ্ঞান কিন্তু এই অভূতপূর্ব ভাইরাস নিয়ে একের পর এক নতুন তথ্য সামনে আনছে। এবার জানা গেল, সুস্থ হওয়ার মাস খানেক পরও সম্পূর্ণ অন্য রকম উপসর্গ নিয়ে অসুস্থ হলে অবাক হওয়ার কিছু নেই।
জার্নাল অব আমেরিকান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনে প্রকাশিত এক অতি সাম্প্রতিক রিপোর্ট বলছে, শরীরের বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় বিঘ্নকারী এবং জ্বালাধরানো ভয়ানক এক অসুস্থতার সৃষ্টি হতে পারে সুস্থ হওয়া রোগীদের শরীরে। আগামী দিনে বিশ্বজুড়ে জনস্বাস্থ্য সম্পর্কিত সবথেকে দুশ্চিন্তার বিষয় সেটাই হতে চলেছে।
এই ভাইরাস মানব শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে দুর্বল করে দেয় তা এত দিনে সবার জানা। এর ফলেই সুস্থ হওয়ার পরও ভবিষ্যতে ফের মস্তিষ্ক, হৃদযন্ত্র ও ফুসুফুস বিকল হয়ে যেতে পারে, বলছে মার্কিন জার্নালটির রিপোর্ট।
জানানো হয়েছে, সার্স-কোভ-২ সংক্রমণ থেকে এক শিশু এবং প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে এক বিরল রোগ হতে পারে যা থেকে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গ এবং প্রক্রিয়া ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। এই অসুস্থতা আগের বারের থেকে আলাদা এবং আরও ভয়াবহ বলে জানিয়েছেন আটলান্টা, জর্জিয়ার সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোলের প্রধান ডঃ দেবলীনা দত্ত। তিনি জানিয়েছেন প্রথমবারে যাদের জ্বর, শ্বাসকষ্টের মতো লক্ষণ দেখা দিয়েছে, শুধু তারাই নয়, দ্বিতীয় দফায় অসুস্থ হতে পারেন লক্ষণহীন রোগীরাও।
কিমকে গোপনে ভ্যাকসিন দেয়া হয়েছে!
করোনা মহামারীর আতঙ্কে কাঁপছে উত্তর কোরিয়া। তার মধ্যেই জল্পনা উসকে এক মার্কিন বিশেষজ্ঞ দাবি করেছেন, কমিউনিস্ট দেশটির প্রেসিডেন্ট কিমকে গোপনে করোনার টিকা দিয়েছে চীন!
উত্তর কোরিয়া সম্পর্কে বিশেষজ্ঞ ও ওয়াশিংটনের সেন্টার ফর ন্যাশনাল ইন্টারেস্ট থিঙ্ক ট্যাঙ্কের বিশেষজ্ঞ হ্যারি ক্যাজিয়ানিস জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই কিম জং উন ও উত্তর কোরিয়ার বেশ কয়েকজন শীর্ষ আধিকারিককে করোনার ভ্যাকসিন দেয়া হয়েছে। তবে কোন সংস্থার তরফে এই ভ্যাকসিন দেয়া হয়েছে, তা এখনো জানা যায়নি। এই ভ্যাকসিনেশন আদৌ কতটা নিরাপদ বা কিম ও অন্যদের শরীরে ভ্যাকসিনটির কোনো প্রভাব পড়েছে কি না, সেই সম্পর্কেও এখনো কিছুই জানা যায়নি।
একটি অনলাইন পত্রিকায় ক্যাজিয়ানিস লেখেন, ‘বিগত দুই থেকে তিন সপ্তাহের মধ্যে কিম ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের করোনার টিকা দেয়া হয়েছে। ওই ভ্যাকসিনের জোগান দিয়েছে চীন। ইতিমধ্যেই চীনের মোট তিনটি সংস্থা করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিনের উপরে গবেষণা করছে। এগুলি হলো সিনোভ্যাক বায়োটেক লিমিটেড, ক্যানসিনোবায়ো ও সিনোফার্ম গ্রুপ।’
করোনা মহামারী সামলাতে উত্তর কোরিয়ার রাজধানী পিয়ংইয়ংয়ে লকডাউন জারি করা হয়েছে। বন্ধ করা হয়েছে সমুদ্র থেকে মাছ ধরা ও লবণ তৈরিও। বিদেশ থেকে পণ্য আমদানির উপরও কড়া নজর রাখছে সরকার। এর মধ্যেই জল্পনা উসকে দিলেন মার্কিন বিশেষজ্ঞ।
সূত্র : আজকাল