মাঝ রাতে ঘুম ভেঙে যায়?
মাঝ রাতে ঘুম ভেঙে যায়? - ছবি সংগৃহীত
সারা দিনের খাটাখাটনির পর রাতে বালিশে মাথা ঠেকানো মাত্রই ঘুমের দেশে পাড়ি দেন অনেকেই৷ কিন্তু আচমকাই মধ্য রাতে ভেঙে গেল ঘুম৷ তারপর থেকে বিছানায় এপাশ আর ওপাশ, অস্থিরতা৷ঘুমের জন্য হাহাজার। কিন্তু ঘুম এলো কই? বরং ঘড়ি দেখতে দেখতেই কেটে গেল গোটা রাত৷ কাকের ডাকও শুনে ফেললেন৷ কিন্তু ঘুম আর সম্পূর্ণ হলো না৷ আর ঘুম না আসার অর্থই হলো দিনভর ক্লান্তি, খিটখিটে মেজাজ আপনার সঙ্গী৷ এ তো আর অবহেলা করলে চলবে না৷ তার চেয়ে বরং জেনে নিন কেন এমন মাঝ রাতে ঘুম ভেঙে যাচ্ছে আপনার৷
জানেন কি পরিবেশের উপর আপনার ভালো ঘুম কতটা নির্ভরশীল৷ তাই ঘুমাতে যাওয়ার আগে ঘরে উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করুন৷ মাঝ রাতে ঘুম ভেঙে যাওয়ার অভ্যাস থাকলে ঘর অন্ধকার করে দিন৷ এসি চালালেও তা খুব বেশি ঠান্ডা যেন না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখুন৷ আপনার ঘুমের সময় ঘরের দরজা-জানালা খোলা, বন্ধ করে যাতে কেউ সমস্যা না তৈরি করে সে দিকে নজর রাখুন৷ তা না হলে মধ্য রাতে ঘুম ভেঙে যাওয়ার মতো সমস্যা দূর করা সত্যিই কঠিন৷
আপনার কি অহেতুক দুশ্চিন্তা করার সমস্যা রয়েছে? তাহলে আপনার মধ্য রাতে ঘুম ভেঙে যাওয়ার মতো সমস্যা হওয়া স্বাভাবিক৷ তাই ঘুমাতে যাওয়ার আগে দুশ্চিন্তাকে সরিয়ে রাখুন৷ নইলে অপর্যাপ্ত ঘুমের হাত ধরেই আপনার শরীরে বাসা বাঁধতে পারে নানা ভয়ঙ্কর রোগ৷
থাইরয়েডে আক্রান্ত লোকদের ঘুমের সমস্যা তৈরি হয়৷ তাই অপর্যাপ্ত ঘুমের সমস্যা থেকে বাঁচতে খাওয়া দাওয়া করুন নিয়ম মেনে৷ নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করুন থাইরয়েড৷এ ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ অবশ্যই লাগবে।
আপনি কি সারা দিন প্রচুর হাঁটা চলা করেন? রাতে ঘুমোতে যাওয়ার সময় কি আপনার পায়ে যন্ত্রণা হয়? তবে আপনার মধ্য রাতে ঘুম ভেঙে যাওয়ার সমস্যা হতেই পারে৷ কারণ, বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মাঝ রাতে পায়ের যন্ত্রণা বাড়ে৷ কখনো কখনো তা অসহ্য হয়ে ওঠে৷ তাই ঘুম ভেঙে যায় অনেকের৷ তাই এই সমস্যা থেকে বাঁচতে ঘরোয়া টোটকা হিসেবে হালকা গরম পানিতে গোসল করুন৷ প্রয়োজনে নিন চিকিৎসকের পরামর্শ৷
ঘুমাতে ঘুমাতে কি আপনার নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হয়? তাহলে তা মাঝ রাতে ঘুম ভেঙে যাওয়ার একটা কারণ হতেই পারে৷ এই সমস্যা কিন্তু অবহেলা করবেন না৷ বরং যত তাড়াতাড়ি সম্ভব চিকিৎসকের পরামর্শ নিন৷
মাঝ রাতে ঘুম ভাঙার সমস্যা থেকে দূরে থাকতে চাইলে শোওয়ার ঘরে স্মার্টফোন এবং টিভির প্রবেশ নিষেধ হওয়াই বাঞ্ছনীয়৷ সুস্থ থাকতে চাইলে এই টিপস অবশ্যই মেনে চলুন৷ নইলে বিপদ হতে বেশি সময় লাগবে না৷
সূত্র : সংবাদ প্রতিদিন