চীনের সুপার ড্যাম নিয়ে চিন্তায় ভারত

ক্রিস্টিন হুয়াঙ | Nov 30, 2020 05:32 pm
চীনের সুপার ড্যাম

চীনের সুপার ড্যাম - ছবি সংগৃহীত

 

ভারতের দুশ্চিন্তা বাড়িয়ে এবার নিজেদের অংশে ব্রহ্মপুত্র নদের উপরে সুপার ড্যাম বা বাঁধ তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছে চীন৷ ইতিমধ্যেই যার প্রাথমিক কাজকর্ম শুরুও হয়ে গেছে বলে জানা গেছে৷ স্বশাসিত তিব্বত থেকে উৎপত্তি হওয়া ব্রহ্মপুত্র নদ অরুণাচল প্রদেশ, আসাম হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে৷ফলে এই ড্যাম নিয়ে ভারত ও বাংলাদেশের চিন্তা করারই কথা।

তিব্বতে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার খুব কাছেই ইয়ারলুং জাংবো নদীর উপরে এই বাঁধ তৈরির পরিকল্পনা নিয়েছে চীন৷ এর ফলে উত্তর পূর্ব ভারতের জল নিরাপত্তার উপরে বড়সড় প্রভাব পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা৷ ইয়ারলুং জাংবো নদী অরুণাচল প্রদেশে প্রবেশ করার পর তার নাম হয় সিয়াং৷ আর আসামে সেটাই ব্রহ্মপুত্র নদ৷

স্বশাসিত তিব্বতের মেডগ কাউন্টির কাছে এই বাঁধ তৈরির কথা জানানো হয়েছে চীনের সংবাদমাধ্যমে৷ এই এলাকা থেকে অরুণাচল প্রদেশের দূরত্ব খুব বেশি নয়৷ প্রস্তাবিত এই বাঁধকে কেন্দ্র করে নিজেদের সবচেয়ে বড় জলবিদ্যুৎ প্রকল্প গড়ে তোলার পরিকল্পনা নিয়েছে চীন৷ বর্তমানে পৃথিবীর সর্ববৃহৎ জলবিদ্যুৎ প্রকল্প রয়েছে চীনেই৷ ইয়ারলুং জাংবো নদীর উপরে এই সুপার ড্যামের ক্ষমতা তার তিন গুণ হবে বলে দাবি করা হয়েছে চীনের সরকারি সংবাদমাধ্যমে৷

২০৬০ সালের মধ্যে কার্বন নিঃসরণ শূন্যতে নামিয়ে আনার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে চীন৷ নতুন এই জল বিদ্যুৎ প্রকল্প তাদের সেই লক্ষ্যপূরণে অনেকটাই সাহায্য করবে বলে দাবি করা হচ্ছে৷

দুই দেশের মধ্যে বয়ে চলা নদীগুলো নিয়ে ভারত এবং চীনের মধ্যে একাধিক চুক্তি রয়েছে৷ সেই চুক্তি অনুযায়ী নদীগুলোর জলস্তর সব বিভিন্ন তথ্য ভারতকে জানানোর কথা বেইজিং-এর৷ ব্রহ্মপুত্র নদের পানির স্তর নিয়েও বর্ষা মওশুমে ১৫ মে থেকে ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত তথ্য ভাগ করে নেয়ার কথা চীনের৷ উত্তর ভারতের বেশ কিছু নদীর ক্ষেত্রেও এই ধরনের তথ্য ভারতকে জানায় চীন৷

সিন্ধু, গঙ্গা, ব্রহ্মপুত্র, ইরাবতি, সালফউইন, ইয়াংগটজে ও মেকং- তিব্বতে উৎস থাকা এ রকম সাতটি নদীর নিয়ন্ত্রণ রয়েছে চীনের হাতে৷ কারণ এই নদীগুলোর উৎপত্তি তিব্বতের একই জায়গা থেকে হয়েছে৷ এই নদীগুলো নিচের দিকে নেমে এসে ভারত, পাকিস্তান, মিয়ানমার, লাওস, ভিয়েতনামের মতো বিভিন্ন দেশে প্রবেশ করেছে৷ সব মিলিয়ে এই নদীগুলোর ৪৮ শতাংশ পানি ভারতে প্রবেশ করে৷ লোউয়ি ইনস্টিটিউট-এর এক রিপোর্টে এ কথা বলা হয়।

এতে আরো আশঙ্কা করা হয়েছে, সম্প্রতি ভারত ও চীন সীমান্ত সংঘাতের পরিস্থিতিতে এই নদীগুলোর পানি নিয়ন্ত্রণ করে ভারতীয় অর্থনীতিকে চাপে ফেলতে পারে চীন৷ যদিও চীনের তরফে দাবি করা হয়েছে ব্রহ্মপুত্র নদের উপরে প্রস্তাবিত এই বাঁধ নির্মাণ করলে ভারত ও বাংলাদেশও উপকৃত হবে৷


সূত্র : সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট


 

ko cuce /div>

দৈনিক নয়াদিগন্তের মাসিক প্রকাশনা

সম্পাদক: আলমগীর মহিউদ্দিন
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সালাহউদ্দিন বাবর
বার্তা সম্পাদক: মাসুমুর রহমান খলিলী


Email: online@dailynayadiganta.com

যোগাযোগ

১ আর. কে মিশন রোড, (মানিক মিয়া ফাউন্ডেশন), ঢাকা-১২০৩।  ফোন: ৫৭১৬৫২৬১-৯

Follow Us