অস্ট্রেলিয়া সিরিজ : খেলার আগেই হেরে গেছে কোহলি ব্রিগেড!

অন্য এক দিগন্ত ডেস্ক | Nov 29, 2020 07:24 am
অস্ট্রেলিয়া সিরিজ : খেলার আগেই হেরে গেছে কোহলি ব্রিগেড!

অস্ট্রেলিয়া সিরিজ : খেলার আগেই হেরে গেছে কোহলি ব্রিগেড! - ছবি : সংগৃহীত

 

গা গরম হওয়ার আগেই সিরিজ বাঁচানোর মহাপরীক্ষার মুখে ভারতীয় ক্রিকেট দল। ভারতীয় ক্রিকেটের হালফিল ব্র্যান্ড লেবেলের সঙ্গে যা বড়ই বেমানান। তিন ম্যাচের ওয়ান ডে সিরিজে পর পর দু’টি হার মানেই তো কোহলি-ব্রিগেডের গতবার জেতা ট্রফিটা সদম্ভে ছিনিয়ে নেবে অস্ট্রেলিয়া। ফলে রোববার দ্বিতীয় একদিনের ম্যাচে নামার আগে প্রবল চাপে ভারত। অথচ ঘুরে দাঁড়ানোর মতো বলিষ্ঠ কোনো প্ল্যান ‘বি’ও নেই ক্যাপ্টেন কোহলির ঝাঁপিতে। প্রথম ম্যাচেই যা নির্দয়ভাবে প্রমাণ করে দিয়েছে অজি বাহিনী। বুমরাহ, চাহাল, সাইনিদের মেরে বলের সুতো খুলে দিয়েছেন ফিনচ, স্মিথরা। পাঁচ বোলার নিয়ে মাঠে নামার চরম খেসারত দিয়েছে ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্ট। কারণ হার্দিক পান্ডিয়া তো অলরাউন্ডার নয়, এই সফরে এসেছেন ব্যাটসম্যান হিসেবে। ৯০ রানের ইনিংস খেলার পর সদর্পে তিনি ঘোষণাও করে দিয়েছেন, স্বচ্ছন্দ বোধ না করলে হাত ঘোরানো থেকে বিরত থাকবেন। অর্থাৎ অস্ট্রেলিয়া সফরের মতো কঠিন মঞ্চে টিম ইন্ডিয়াকে খেলতে হবে পেসার অলরাউন্ডার ছাড়াই! টিম ম্যানেজমেন্ট এবং নির্বাচকদের বলিহারি ভাবনা বটে!

অস্ট্রেলিয়ার বাইশ গজ আর আগের মতো নেই। চরিত্র অনেকটাই বদলে গেছে ডন ব্র্যাডম্যানের দেশের উইকেটের। সেই গতি ও বাউন্স এখন দেখা যায় না। তবু যেটুকু আছে, সেটা ঠিকঠাক কাজে লাগাতে পারলে পেস বোলাররা ম্যাচের গতিপথ নির্ধারণ করে দিতে পারেন। এসসিজি’তে যেমনটা করেছেন জস হ্যাজলউড। মায়াঙ্ক, বিরাট ও শ্রেয়াসকে পরপর ফিরিয়ে ভারতের ব্যাটিং মেরুদণ্ডটাই ভেঙে দিয়েছিলেন এই অজি পেসার। পৌনে ৪০০ রান তাড়া করে জেতার স্বপ্ন কার্যত তখনই শেষ হয়ে গিয়েছিল।

হ্যাজলউডের মত বাউন্স যদি ভারতীয় পেসাররা কাজে লাগাতে পারতেন তাহলে অস্ট্রেলিয়ার স্কোরবোর্ডে ৩৭৪ রানই উঠত না। ভারতের সেরা অস্ত্র বুমরাহকে শুরু থেকেই আক্রমণের লক্ষ্য স্থির করে বাকিদের মনোবল ভেঙে দেওয়ার কৌশল নিয়েছিল অজি ব্যাটসম্যানরা। বাকিটা স্রেফ রানের বন্যা। নবদীপ সাইনি ও যুজবেন্দ্র চাহাল মিলে ২০ ওভারে খরচ করেছেন ১৭২ রান। অথচ তাদের পুরো ১০ ওভার বোলিং করানো ছাড়া উপায় ছিল না কোহলির। হাতে ষষ্ঠ কোনও বোলারই যে নেই! অলরাউন্ডার হার্দিক ব্যাট হাতে বড় রানের ইনিংস খেললেও এক ওভারের জন্য বল করেননি। টিমে তার অর্ধ-উপস্থিতিই ভারতীয় শিবিরে এখন সবচেয়ে বড় উইক-লিঙ্ক। রিজার্ভ বেঞ্চে বিকল্প কোনো পেসার অলরাউন্ডারও নেই। যার পূর্ণ সদ্ব্যবহার করে দুর্দান্ত দাপটে সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন ফিনচ ও স্মিথ। রোববার তাদের দ্রুত ফেরাতে না পারলে একই হাল হবে। খেলাটাও যে সেই একই মাঠে! অগত্যা প্রথম ম্যাচে আলগা হয়ে পড়া প্ল্যান ‘এ’কে জোড়াতালি দিয়েই সিরিজ বাঁচানোর লড়াইয়ে নামতে হবে টিম ইন্ডিয়াকে। বড়জোর চোট পাওয়া (নাকি মুখ লুকোতে চোটের ভান করে মাঠ ছাড়া?) চাহাল ও সাইনির পরিবর্তে প্রথম একাদশে আসতে পারেন কুলদীপ যাদব এবং শার্দুল ঠাকুর।

টেনশনের এখানেই শেষ নয়। ব্যাটিংয়েও গুরুতর রোগের লক্ষণ নজরে পড়েছে। হ্যাজলউডের আপাত নিরীহ গতি ও বাউন্সে শ্রেয়াস এবং মায়াঙ্ক যেভাবে চোখে সর্ষে ফুল দেখার ভঙ্গিতে আউট হলেন, তা সত্যিই উদ্বেগজনক। এই ভীতি দ্রুত ঝেড়ে ফেলতে না পারলে তাদের কপালে আরো দুঃখ আছে। তরুণ ব্যাটসম্যানদের বুকে সাহস জোগানোর দায়িত্বটা কোহলিকেই পালন করতে হবে। আর সেটা স্রেফ ক্যাপ্টেনের বুলি আউড়ে নয়, দলের সেরা ব্যাটসম্যান হিসেবে বড় রানের ইনিংস খেলে। ঠিক যেমনটা ২০১৮-১৯ সফরে তিনি করে দেখিয়েছিলেন। কিন্তু আইপিএলের সময় থেকেই যে ‘ভিকে’র ব্যাটে রানের খরা চলছে! এই পরিস্থিতিতে ভারত অধিনায়কের তেতে ওঠার রসদ হতে পারে গত ম্যাচে স্টিভ স্মিথের সেঞ্চুরি। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর চোখে চোখ রেখে জ্বলে ওঠার বিরাট প্রবণতাই হতে পারে অস্তিত্বের ম্যাচে ভারতের আশার সলতে।

সূত্র : বর্তমান

 


 

ko cuce /div>

দৈনিক নয়াদিগন্তের মাসিক প্রকাশনা

সম্পাদক: আলমগীর মহিউদ্দিন
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সালাহউদ্দিন বাবর
বার্তা সম্পাদক: মাসুমুর রহমান খলিলী


Email: online@dailynayadiganta.com

যোগাযোগ

১ আর. কে মিশন রোড, (মানিক মিয়া ফাউন্ডেশন), ঢাকা-১২০৩।  ফোন: ৫৭১৬৫২৬১-৯

Follow Us