জার্মানি-ইতালির সাথে তুমুল উত্তেজনা : তুরস্কের ওই জাহাজে কী ছিল?
জার্মানি-ইতালির সাথে তুমুল উত্তেজনা : তুরস্কের ওই জাহাজে কী ছিল? - ছবি সংগৃহীত
লিবিয়া অভিমুখে এগিয়ে যাওয়া তুরস্কের এক পণ্যবাহী জাহাজে তল্লাশি চালানোকে কেন্দ্র করে জার্মানি, ইতালি ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে কূটনৈতিক উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। পূর্ব ভূমধ্যসাগরে থাকা জাহাজটিতে অকারণ তল্লাশির প্রতিবাদে জার্মানি, ইতালি ও ইইউ-এর রাষ্ট্রদূতকে তলব করেছে তুরস্ক। জানা যায়, সোমবার জার্মান নৌবাহিনীর জওয়ানরা তুরস্কের বাণিজ্যিক জাহাজ ‘রোসেলিন’-এর ভিতর অবৈধভাবে প্রবেশ করে তল্লাশি চালায়। তারা সন্দেহ করেছিল, তুরস্কের পক্ষ থেকে লিবিয়ার যুযুধান কোনো পক্ষকে অস্ত্র পাঠানো হচ্ছিল। জাহাজটি তখন গ্রিসের পেলোপনিস উপত্যকার কাছে ছিল। পরে অবশ্য ইউরোপীয় ইউনিয়ন জানায়, সন্দেহের বশে তল্লাশি চালানো হলেও তুর্কি জাহাজে আপত্তিজনক বা অবৈধ কিছু পাওয়া যায়নি।
উল্লেখ্য, ‘রোসেলিন’ নাম জাহাজটিতে ছিল খাদ্য ও ত্রাণ সামগ্রী। আঙ্কারা প্রশাসনের কাছে এই চাঞ্চল্যকর খবর পৌঁছনোর ঘন্টা দুয়েক পরেই রাষ্ট্রদূতদের জরুরি তলব করে তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তুরস্কের বক্তব্য, আন্তর্জাতিক পানি সীমায় থাকা কোনো জাহাজে তল্লাশি চালানোর এক্তিয়ার কারো নেই। তুর্কি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হামিদ আকসয় অভিযোগ করেছেন, জার্মানির যুদ্ধজাহাজে টহলরত নৌসেনারা তুর্কি পণ্যবাহী জাহাজে অনুপ্রবেশ করে ক্যাপ্টেনসহ নাবিকের মাথায় অস্ত্র ঠেকিয়ে পণবন্দি করে।
এ খবর পেয়েই জার্মানির ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অভিযোগ জানালে তল্লাশিরত অবস্থাতেই তারা তুর্কি জাহাজ ছেড়ে চলে যান। জার্মানির দাবি, যুদ্ধ কবলিত লিবিয়া অভিমুখে কোনো দেশের তরফে অস্ত্র সরবরাহ করা হচ্ছে কি-না, তা জানার জন্যই তল্লাশি চালানো হয় তুর্কি জাহাজটিতে। এই তল্লাশির জন্য তাদের কাছে আন্তর্জাতিক আইনি বৈধতা আছে। তাছাড়া লিবিয়াকে অস্ত্র সাহায্য দেয়াকে নিষিদ্ধ করেছে জাতিসঙ্ঘ।
উল্লেখ্য, কথিত সন্ত্রাস বিরোধী সামরিক অভিযানের নাম করে লিবিয়ায় একতরফা যুদ্ধ চাপিয়ে দেয় মার্কিন নেতৃত্বে ন্যাটোবাহিনী। ২০১১ সালে প্রেসিডেন্ট মুয়াম্মর গাদ্দাফিকে ক্ষমতাচু্যত করা হয়। তারপর গুপ্তহত্যার শিকার হন গাদ্দাফি। এর পর থেকেই লিবিয়া অশান্ত হয়ে আছে। দেশটি শান্ত করতে কোনো চেষ্টাই এখন পর্যন্ত ফলপ্রসূ হয়নি।
সূত্র : পুবের কলম
তুর্কি পণ্যে অনানুষ্ঠানিক নিষেধাজ্ঞা সৌদির
বিবিসি
তুরস্কের পণ্য আমদানির ওপর ‘অনানুষ্ঠানিক নিষেধাজ্ঞা’ চাপিয়েছে সৌদি আরব। যদিও মিডিয়ার প্রশ্নের মুখে সৌদি সরকার এখনো বলে যাচ্ছে যে-তুরস্ক থেকে পণ্য আমদানির ওপর রাষ্ট্রীয়ভাবে কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই, সাংবাদিক, পর্যবেক্ষক এবং তুরস্কের ব্যবসায়ী মহল অবশ্য নিশ্চিত যে তুর্কি পণ্য বয়কটের যে ক্যাম্পেইনের পেছনে রয়েছে দেশটির সরকার।
সৌদি সরকারের ইচ্ছাতেই যে এই বয়কট ক্যাম্পেইন চলছে, তার প্রথম ইঙ্গিত পাওয়া যায় গত সপ্তাহে, যখন সৌদি খাদ্য এবং ওষুধ নিয়ন্ত্রণ বিভাগ (এসএফডিএ) তুরস্ক থেকে সব ধরনের গোশত, মাছ, ডিম এবং দুধ ও দুগ্ধজাত পণ্য আমদানি স্থগিত করার সিদ্ধান্ত জানায়। তুরস্কের ইংরেজি সংবাদমাধ্যম ডেইলি সাবাহ এবং আরো কিছু মিডিয়া জানিয়েছে যে, তুর্কি বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সৌদি এই সিদ্ধান্তের কথা নিশ্চিত করেছে।