আবার সবচেয়ে ধনী দেশ কাতার, কততম স্থানে বাংলাদেশ?
কাতার - ছবি : সংগৃহীত
আবারো বিশ্বের সবচেয়ে ধনী দেশের শিরোপা পেল মধ্যপ্রাচ্যের কাতার। আমেরিকার নিউইয়র্ক থেকে প্রকাশিত ‘গ্লোবাল ফাইনান্স’ ম্যাগাজিন প্রতিবছর আইএমএফ বা আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের বিভিন্ন রিপোর্ট ও তথ্য-পরিসংখ্যান নিয়ে এই তালিকা তৈরি করে। তাতে ২০২০ সালেও বিশ্বের শীর্ষ ধনী দেশ হয়েছে কাতার। দীর্ঘ ২০ বছর ধরে আরব বিশ্বের এই ক্ষুদে দেশটি শীর্ষস্থান দখল করে রাখতে সক্ষম হয়েছে। জুন ২০১৭ এই দেশটিকে একযোগে সব দিক থেকে বয়কট ও কোণঠাসা করতে চেষ্টা করে আরবরা। পুঁচকে দেশটির সঙ্গে দ্বিপক্ষীয়, কূটনৈতিক, বাণিজ্যিক সব সম্পর্ক ছিন্ন করে সৌদি আরবসহ কয়েকটি আরব দেশ। তারপরও ধনীতম দেশের তালিকায় ১ নম্বরেই রয়ে গেছে দেশটি। কাতারের জনসংখ্যা মাত্র ২৯ লাখের মতো।
দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে চীনের অধীনস্থ প্রশাসনিক অঞ্চল ম্যাকাও। মাত্র ৬ লাখ জনসংখ্যার এই অঞ্চলের অর্থনীতি অনেকখানি নির্ভর করে ক্যাসিনো, পাব ইত্যাদির ওপর। তৃতীয় স্থানে রয়েছে ইউরোপের দেশ লুক্সেমবার্গ। এই ছোট দেশটির জনগণ খুব বিলাসবহুল জীবনযাপন করেন। তাদের বাজেটের সিংহভাগ ব্যয় হয় আবাসন, স্বাস্থ্য পরিষেবা, ও শিক্ষায়। ২০১৫ সালে প্রথমবার দেশটির মাথাপিছু আয় ১ লাখ ডলার পার করে। চতুর্থ স্থানে রয়েছে এশিয়ার দেশ সিঙ্গাপুর। ১৯৬৫ সালে মালয়েশীয় ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পৃথক দেশ হয় সিঙ্গাপুর। শূন্য থেকে শুরু করে খুব অল্প সময়ে এলিট দেশ হয়ে ওঠে। বিশ্বের অন্যতম পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন দেশের তকমাও পেয়েছে সিঙ্গাপুর। পঞ্চম ধনী দেশ আয়ারল্যান্ড।
ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে ব্রুনেই। এশিয়া মহাদেশে বোর্নিও দ্বীপের ক্ষুদ্রতম দেশ এটি। দেশটির পুরো নাম ব্রুনেই দারুস সালাম। জনসংখ্যা ৪ লাখ ৭০ হাজারের মতো। ৬৬ শতাংশ নাগরিক মালয়েশীয় বংশোদ্ভুত। তেলসহ বিপুল খনিজ ও প্রাকৃতিক সম্পদের ভাণ্ডার ব্রুনেই।
সপ্তম স্থানে রয়েছে নরওয়ে। উত্তর ইউরোপ এবং স্ক্যান্ডেনেভীয় দেশটিতে ১৯৬০ সালে খনিজ তেলের সন্ধান পাওয়া যায়। এই দেশটির জনগণের মধ্যে আয় বৈষম্য খুবই কম। অষ্টম ধনী দেশ হলো সংযুক্ত আরব আমিরাত। এদের অর্থনীতির মূল চালিকা শক্তি হলো খনিজ তেল।
এ ছাড়াও বাণিজ্য, নির্মাণ ও পর্যটন খাতে বিপুল আয় করে দেশটি। আরব বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে খোলামেলা ও পশ্চিমা সংস্কৃতিবাহী আধুনিক দেশ এটি। নবম স্থানে রয়েছে আরেক আরব দেশ কুয়েত। বিশ্বের মোট খনিজ তেলের ৬-৭ শতাংশ উৎপাদন হয় এই দেশটিতে। তাই এদের রফতানিকৃত পণ্যের ৯০ শতাংশই তেল। দশম স্থানে রয়েছে সুইজারল্যান্ড। মধ্য ইউরোপের এই দেশটির প্রতি ১ লাখ মানুষের মধ্যে সাড়ে ৯ হাজার জন কোটিপতি।
মোট ১৯১ দেশের অর্থনীতি, ডিজিপি এবং মাথাপিছু আয়ের নিরিখে তৈরি করা এই তালিকায় ১২৪তম স্থানে রয়েছে ভারত। পাকিস্তান-১৩৮ এবং বাংলাদেশ রয়েছে ১৪৩ র্যাঙ্কে।
সবচেয়ে গরিব দেশ হলো আফ্রিকার বুরুন্ডি। তার ওপরেই রয়েছে মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্র, কঙ্গো, ইরিত্রিয়া, নাইজার, মালাবি, মোজাম্বিক, দক্ষিণ সুদান, সিয়েরা লিওন প্রভৃতি দেশ।
সূত্র : পুবের কলম