চোখ ওঠা : যেসব কাজ কোনোভাবেই করবেন না

ডা: হুমায়ুন কবীর সরকার | Nov 24, 2020 03:40 pm
চোখ ওঠা

চোখ ওঠা - ছবি সংগৃহীত

 

চোখ ওঠেনি এমন কাউকে কি পাওয়া যাবে? চোখ উঠলে চোখ লাল হয়ে যায়, কিছুটা ব্যথা ও খচখচ ভাব থাকে। এর সাথে থাকে চোখ দিয়ে পানি পড়ার সমস্যা। চোখ ওঠা হতে পারে ব্যাকটেরিয়া দিয়ে, এ ছাড়া ভাইরাস আক্রমণের কারণেও চোখ ওঠার সমস্যা হতে পারে। বেশির ভাগ সময়ই ভাইরাসে চোখ ওঠে। মাঝে মধ্যে দেশব্যাপী চোখ ওঠা দেখা দেয়। পরিবারের কেউ বাদ যান না হয়তো সে সময়।

সাধারণত এ ধরনের চোখ ওঠায় অ্যান্টিভাইরাল কাজ করে না। ভাইরাসের আক্রমণ সাত-আট দিন পর আপনাআপনি ভালো হয়ে যায়। আক্রান্ত চোখে নোংরা পানি লাগানো যাবে না। ধুলাবালু, দূষিত বাতাস যেন চোখে প্রবেশ না করে, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

বাইরে বের হলে সানগ্লাস পরতে হবে। এটি রোদে চোখ জ্বলা কমাবে। অনেকে চোখে বারবার পানি দিয়ে পরিষ্কার করেন বা চোখে পানির ঝাপটা দেন, এটাও ঠিক নয়।

কোনো কোনো ক্ষেত্রে ভাইরাসের আক্রমণের পর ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ ঘটে। এ জন্য দিনে তিন থেকে চারবার চোখের অ্যান্টিবায়োটিক ড্রপ ক্লোরামফেনিকল ব্যবহার করতে হবে। ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ না হলেও সেকেন্ডারি ইনফেকশন প্রতিরোধ করার জন্য এটি ব্যবহার করা যায়। চোখে চুলকানি থাকলে অ্যান্টিহিস্টামিন সেবন করতে হবে। কিন্তু অ্যান্টিবায়োটিক সেবনের প্রয়োজন নেই। তবে যেকোনো ওষুধ সেবন করবেন চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী।

চোখ ওঠায় আক্রান্ত হলে যে পাশের চোখ উঠবে, সে পাশেই কাত হয়ে শুতে হবে। না হলে আক্রান্ত চোখ থেকে অন্য চোখে সংক্রমণ হতে পারে। এতে যদি ভালো না হয় বা যদি চোখে জটিলতা, যেমনÑ দৃষ্টি ঝাপসা হলে, চোখ খুব বেশি লাল হলে, খুব বেশি চুলকালে বা অতিরিক্ত ফুলে গেলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।

চোখ ওঠা সংক্রামক। এ জন্য যাদের চোখ ওঠেনি, তাদের সচেতন থাকতে হবে। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে। যাদের চোখ উঠেছে, তাদের সংস্পর্শ পরিহার করতে হবে। তাদের ব্যবহার করা রুমাল, কাপড়চোপড়, তোয়ালে ব্যবহার করা যাবে না। এমনকি হ্যান্ডশেকের মাধ্যমেও অন্যরা আক্রান্ত হতে পারেন। এ জন্য হাত তাড়াতাড়ি ধুয়ে ফেলতে হবে। নোংরা হাত চোখে লাগানো যাবে না।

ডায়রিয়া
পানিশূন্যতা পূরণে বড় শিশুরা বা বয়স্করা প্রতিবার পাতলা পায়খানার পর যত ইচ্ছা খেতে পারেন। ২ বছরের কম শিশুকে প্রতি ১-২ মিনিটে ১ চামচ করে খাবার স্যালাইন খাওয়ান। যদি শিশু বমি তরে তবে ১০ মিনিট ধরে অপেক্ষা করুন ও আবার স্যালাইন খাওয়ানো শুরু করুন। এবার ২-৩ মিনিটে ১ চামচ করে দিন। সেই সাথে বুকের দুধ খেলে বারবার বুকের দুধ খেতে দিন। আর পানিশূন্যতা যদি খুব বেশি হয় তবে শিরাপথে স্যালাইন দিতে হবে। রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করে স্যালাইন দিতে হবে। কলেরার ক্ষেত্রে টেট্রাসাইক্লিন, ইরাইথ্রোমাইসিন অ্যান্টিবায়োটিক সেবন করতে হবে। তবে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক খাবেন না। রোগীকে মেট্রোনিডাজল বা লোপিরামাইড ওষুধ খাওয়াবেন না। প্যাকেটের ফলের জুস খাওয়াবেন না। আমাশয়, টাইফয়েড ও হেপাটাইটিস হলে চিকিৎসকের পরামর্শমতো চিকিৎসা নিতে হবে।

পানি বিশুদ্ধকরণ : একটি পরিষ্কার পাত্রে পানি সংগ্রহ করে প্রথমেই কিছুক্ষণের জন্য রেখে দিন। তলানি পড়লে উপরের পরিষ্কার পানি আলাদা পাত্রে ঢেলে নিয়ে ফুটান। পানি ফুটতে শুরু করলে আরো ১০ মিনিট পর্যন্ত ফুটায়ে পান করুন। তবে ছোট্ট শিশু ও গর্ভবতী মায়েদের এ পানি পান না করাই ভালো। তাদের জন্য বোতলজাত পানি পান করতে হবে। ফুটানো সম্ভব না হলে ক্লোরিনের মাধ্যমে পানি বিশুদ্ধ করা যায়।

এ ক্ষেত্রে ১ গ্যালন পানিতে ১ কাপের চতুর্থাংশ ব্লিচিং পাউডার বা ফিটকিরি (৪-৬ শতাংশ ক্লোরিনযুক্ত) দিয়ে ভালোভাবে মেশানোর পর ৩০ মিনিট ধরে অপেক্ষা করতে হবে। তলানি পড়লে ওপরের পরিষ্কার পানি পান করতে হবে। এ ছাড়াও ট্যাবলেটের মাধ্যমেও পানি বিশুদ্ধ করা যায় একটি হ্যালোট্যাব ২০ লিটার পানিতে দিয়ে ৩০ মিনিট ধরে অপেক্ষা করার পর পানি পান করতে পারেন।

 


 

ko cuce /div>

দৈনিক নয়াদিগন্তের মাসিক প্রকাশনা

সম্পাদক: আলমগীর মহিউদ্দিন
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সালাহউদ্দিন বাবর
বার্তা সম্পাদক: মাসুমুর রহমান খলিলী


Email: online@dailynayadiganta.com

যোগাযোগ

১ আর. কে মিশন রোড, (মানিক মিয়া ফাউন্ডেশন), ঢাকা-১২০৩।  ফোন: ৫৭১৬৫২৬১-৯

Follow Us