ছিনিয়ে নেয়া হবে ট্রাম্পের টুইটার অ্যাকাউন্ট!
ট্রাম্প - ছবি : সংগৃহীত
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারের পক্ষ থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২০ জানুয়ারি, যে দিন জো বাইডেন শপথ নেবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে, সে দিন থেকেই মার্কিন প্রেসিডেন্টের অফিসিয়াল টুইটার অ্যাকাউন্ট তুলে দেয়া হবে বাইডেনের হাতে। ট্রাম্প যা-ই বলুন, টুইটার স্পষ্ট ঘোষণা করে দিয়েছে, মার্কিন প্রেসিডেন্টের অ্যাকাউন্ট বাইডেনের হাতেই যাচ্ছে। শুধু প্রেসিডেন্টের অ্যাকাউন্ট নয়, ভাইস প্রেসিডেন্ট, হোয়াইট হাউস-সহ একাধিক টুইটার অ্যাকাউন্ট নবনির্বাচিত নির্দিষ্ট ব্যাক্তিদের হাতেই তুলে দেয়া হবে বলে জানিয়েছে টুইটার।
টুইটারের মুখপাত্র জানিয়েছেন, ‘‘টুইটার হোয়াইট হাউসের শাসক পরিবর্তনের সময় যাতে কোনো অসুবিধা না হয় সেই বিষযে খেয়াল রাখবে। ২০ জানুয়ারি, ২০২১ সালে টুইটার অ্যাকাউন্টগুলি নতুন প্রশাসনের হাতে তুলে দেওয়া হবে। ঠিক যে ভাবে ২০১৭ সালে করা হয়েছিল, সে ভাবেই এ বারেও করা হবে।’’
পাশাপাশি টুইটার এটিও জানিয়ে দিয়েছে যে, যদি ট্রাম্প এই নির্বাচনের ফল না মানেন, তা হলেও অ্যাকাউন্ট ট্রান্সফার করে দেয়া হবে। যদিও এখনো ট্রাম্পের থামার কোনো লক্ষণ নেই। ভোটে হেরেও তিনি ক্রমাগত ভোটে জিতেছেন বলে দাবি করে চলেছেন।
তবে ট্রাম্পের হাতে থাকছে তার নিজস্ব টুইটার অ্যাকাউন্ট। মার্কিন নির্বাচনের ফল প্রকাশিত হওয়ার পর থেকে ট্রাম্প একের পর এক টুইটে নির্বাচনী প্রক্রিয়ার সমালোচনা করে গিয়েছেন। তিনি ভোট গণনা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিলেন টুইটারে। যদিও ভোটের ফল না মানতে চাওয়া সেই সমস্ত টুইট বার বার ফ্ল্যাগ করেছে টুইটার। একের পর এক টুইট মুছে দেয়া হয়েছে।অভিযোগ উঠেছে, ফেক নিউজ ছড়াচ্ছেন ট্রাম্প।
মার্কিন প্রেসিডেন্টদের টুইটার অ্যাকাউন্টে ফলোয়ারের বিচারে সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছেন বারাক ওবামা। শুধু তাই নয়, সমগ্র টুইটারের বিচারের সর্বোচ্চ ফলোয়ার রয়েছে ওবামারই। ১২ কোটির বেশি ফলোয়ার রয়েছে তার।
বাইডেনের পক্ষে মিশিগানের ২ রিপাবলিকান
বিবিসি
প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত জো বাইডেনকে সমর্থন করছে মিশিগান। ফলে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ক্ষমতায় টিকে থাকার সুযোগ ক্রমে সঙ্কীর্ণ হচ্ছে। তিনি মিশিগান, জর্জিয়া, পেনসিলভানিয়ার ফল পাল্টে দেয়ার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু মিশিগানের দু’জন জাঁদরেল রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের পক্ষ অবলম্বন করেননি। তারা ইঙ্গিত দিয়েছেন, ওই রাজ্যে জো বাইডেনের বিজয় উল্টো দিতে চান না তারা। এই দুই রিপাবলিকান হলেন- মিশিগানের সিনেট সংখ্যাগরিষ্ঠ নেতা মাইক শিরকি এবং রাজ্যের হাউজের স্পিকার লি চ্যাটফিল্ড।
গত শুক্রবার বিকেলে তারা এ নিয়ে হোয়াইট হাউজে বৈঠক করেছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সাথে। এই রাজ্যে এক লাখ ৫৪ হাজার ভোট পেয়ে জো বাইডেন বিজয়ী হয়েছেন। এখানকার রিপাবলিকান দলের এই দুই আইনপ্রণেতা মিডিয়ার সামনে বলেছেন, তারা ট্রাম্পের সাথে করোনাভাইরাস নিয়ে আলোচনা করেছেন। ট্রাম্পের নির্বাচনের ফল পাল্টে দেয়ার চেষ্টা নিয়ে আলোচনা করেননি। এর আগে হোয়াইট হাউজ থেকে বলা হয়, এটা কোনো আদেশ দেয়ার মিটিং ছিল না। এটা ছিল সারা দেশের রাজ্যগুলোর আইনপ্রণেতাদের সাথে নিয়মিত বৈঠকের অংশ।
তবে বৈঠকের পর শিরকি এবং চ্যাটফিল্ড যৌথ বিবৃতিতে বলেছেন, মিশিগানের নির্বাচনের ফল পরিবর্তন করে দেয়ার বিষয়ে এখন পর্যন্ত আমাদের কাছে কোনো তথ্য নেই।