যে ৫ দেশে কোনো বিমানবন্দরই নেই

অন্য এক দিগন্ত ডেস্ক | Nov 21, 2020 09:36 am
মোনাকো

মোনাকো - ছবি : সংগৃহীত

 

করোনাভাইরাসের আবহে এখনো খুব খারাপ অবস্থায় পর্যটন শিল্প। বহু জায়গায় নতুন করে শুরু হয়েছে লকডাউন। তবে করোনাভাইরাস দূর হলেই ভ্রমণপিপাসুরা ফের একবার হয়তো বেরিয়ে পড়বেন বিদেশ বিভুঁইয়ে। নতুন দেশ, নতুন নতুন জায়গা ঘুরে দেখবেন। কেউ হয়তো বিদেশে নিজের পছন্দের জায়গায় যাবেন। সেক্ষেত্রে বিমানই যাতায়াতের প্রধান ভরসা।

কিন্তু জানেন কি, বিশ্বে এমন পাঁচটি দেশ আছে, যেখানে নেই কোনও বিমানবন্দর? শুনতে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি। ওই দেশগুলোতে বিমান ওঠানামার কোনো সুযোগ নেই। কারণ অবশ্যই সেই দেশগুলোর আয়তন। এই প্রতিবেদনে জেনে নিন সেই দেশগুলো সম্পর্কে।

১। মোনাকো (Monaco) :‌ পশ্চিম ইউরোপের ছোট এই দেশটি ফ্রান্স এবং ইতালির মাঝে অবস্থিত। এটি বিশ্বের দ্বিতীয় ক্ষুদ্রতম দেশ। এটির সীমানা কেবল ৬ কিলোমিটার। বাস করেন মাত্র ৪০ হাজার মানুষ। দেশে বসবাসকারীদের মধ্যে অনেকেই ধনী হলেও, এখানে একটিও বিমানবন্দর নেই। বিমানে যাতায়াতের একমাত্র ভরসা পার্শ্ববর্তী ফ্রান্সের নিস বিমানবন্দর। মূলত রেলই এখানকার মানুষের যাতায়াতের অন্যতম ভরসা।

২। অ্যান্ডোরা (Andorra) :‌ আকারে বিশ্বের ক্ষুদ্রতম দেশগুলোর তালিকায় ১৬ নম্বরে রয়েছে অ্যান্ডোরার নাম। সবমিলিয়ে বাস ৮৫ হাজার মানুষের। তিনটি ব্যক্তিগত হেলিপ্যাড থাকলেও গোটা দেশে কোনো বিমানবন্দর নেই। নিকটবর্তী বিমানবন্দর ১২ কিলোমিটার দূরে স্পেনে অবস্থিত। তা সত্ত্বেও প্রতিবছর বিপুলসংখ্যক মানুষ আসেন এখানে।

৩। লিচেনস্টেইন (Liechtenstein) :‌ অস্ট্রিয়া এবং সুইৎজ্যারল্যান্ডের মধ্যে অবস্থিত ছোট্ট এই দেশটিতেও নেই কোনো বিমানবন্দর। গোটা দেশে বসবাস করেন মাত্র ৪০ হাজার মানুষ। একটি ব্যক্তিগত হেলিপ্যাড থাকলেও সাধারণ মানুষকে বিমানে যাতায়াত করতে ১২০ কিলোমিটার দূরে জুরিখ বিমানবন্দরে যেতে হয়। জায়গার অভাবেই এখানেও কোনো বিমানবন্দর তৈরি করা যায়নি। তবে এখানে প্রাচীন যুগের সভ্যতার অনেক নিদর্শনও পাওয়া যায়।

৪। সান মারিনো (San Marino) :‌ পৃথিবীর প্রাচীনতম দেশটি পুরোটাই ইতালি দ্বারা ঘেরা। না নিজস্ব কোনো বন্দর না এয়ারপোর্ট রয়েছে দেশটির। পরিসীমা কেবল ৪০ কিলোমিটার। যাতায়াতের জন্য সাধারণ মানুষকে নির্ভর করতে হয় ১৬ কিলোমিটার দূরের ইতালির রিমিনি বিমানবন্দরের উপর। এছাড়াও বোলোগনা, পিসা, ভেনিস শহরের বিমানবন্দরও এখান থেকে বেশি দূরে নয়।


মাত্র ৮৭ ঘণ্টায় সাতটি মহাদেশে ভ্রমণ! অবিশ্বাস্য বিশ্বরেকর্ড আমিরাকের তরুণীর

মনে পড়ে জুল ভের্নের ক্লাসিক কাহিনী ‘অ্যারাউন্ড দ্য ওয়ার্ল্ড ইন এইট্টি ডেজ’? ১৮৭২ সালে লেখা সেই চিরকালীন কাহিনির প্রকাশের পরে অনেক পানি গড়িয়ে গিয়েছে সারা পৃথিবীর সব নদী দিয়ে। যুগটা জেট গতির। আর সেটাই প্রমাণ করে দিলেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের এক তরুণী। সারা পৃথিবীর সাতটি মহাদেশে ঘুরতে তার লাগল ৮৭ ঘণ্টারও কম সময়! অর্থাৎ সাড়ে তিন দিনের সামান্য বেশি সময়।

গত ফেব্রুয়ারিতে খাওলা এইরোমেইথি নামের ওই তরুণী এই অনন্য কীর্তি গড়লেও অবশেষে বুধবার ‘গিনিস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে’র তরফে মিলল স্বীকৃতি। সারা পৃথিবী ঘুরতে তার সাকুল্যে লেগেছে ৩ দিন ১৪ ঘণ্টা ৪৬ মিনিট ৪৮ সেকেন্ড! যা বিশ্বরেকর্ড। স্বীকৃত, স্বীকৃতিহীন সব মিলিয়ে ২০৮টি দেশে গিয়েছেন তিনি। অবশেষে ১৩ ফেব্রুয়ারি সিডনিতে এসে শেষ হয় খাওলার বিশ্ব পরিভ্রমণ। তখনো করোনার প্রকোপ সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়েনি। তবে তার প্রাদুর্ভাব শুরু হয়ে গেছে।

কেন হঠাৎ এমন ভ্রমণের শখ হলো তার? তরুণী জানাচ্ছেন, ‘‘সংযুক্ত আরব আমিরাতে প্রায় ২০০ দেশের মানুষের বাস। আমি চেয়েছিলাম তাদের দেশে যেতে ও তাদের সংস্কৃতি, ঐতিহ্যকে বুঝতে।’’ কেমন ছিল এই সফর? খাওলার কথায়, ‘‘বেশ কঠিন ছিল ব্যাপারটা। বারবার বিমান বদল করতে হচ্ছিল। সত্যি বলতে কী অনেকবারই মনে হয়েছিল এখানেই থেমে যাই। বাড়ি ফিরি। কিন্তু পরক্ষণেই নিজেকে সামলে লক্ষ্যে পৌঁছনোর সংকল্পে অটল থেকেছি। অবশ্যই আমার পরিবার ও বন্ধুদের এজন্য বিরাট কৃতিত্ব প্রাপ্য। তারা নাগাড়ে সাহস না জুগিয়ে গেলে আমি সফল হতে পারতাম না।’’

সংযুক্ত আরব আমিরাত বহু বিশ্বরেকর্ড গড়েছে। পৃথিবীর উচ্চতম বাড়ি থেকে দ্রুততম পুলিশ যানের নজির তাদেরই। সেকথা মাথায় রেখেই নয়া এই রেকর্ড গড়তে চেয়েছিলেন খাওলা। তার কথায়, ‘‘আমি গোটা পৃথিবীকে দেখাতে চেয়েছিলাম অন্য সব দেশের মতো আমার দেশের মানুষও অভূতপূর্ব সব রেকর্ড গড়তে পারে।’’

সূত্র : সংবাদ প্রতিদিন


 

ko cuce /div>

দৈনিক নয়াদিগন্তের মাসিক প্রকাশনা

সম্পাদক: আলমগীর মহিউদ্দিন
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সালাহউদ্দিন বাবর
বার্তা সম্পাদক: মাসুমুর রহমান খলিলী


Email: online@dailynayadiganta.com

যোগাযোগ

১ আর. কে মিশন রোড, (মানিক মিয়া ফাউন্ডেশন), ঢাকা-১২০৩।  ফোন: ৫৭১৬৫২৬১-৯

Follow Us