ভারত সীমান্তে চীনের ব্যাপক সামরিক প্রস্তুতি

শিশির গুপ্ত | Nov 20, 2020 09:30 am
ভারত সীমান্তে চীনের ব্যাপক সামরিক প্রস্তুতি

ভারত সীমান্তে চীনের ব্যাপক সামরিক প্রস্তুতি - ছবি : সংগৃহীত

 

পিপলস লিবারশন আর্মি (পিএলএ) চৌকিগুলোর শক্তিবৃদ্ধি, সৈন্যদের নতুন করে বিন্যস্ত করা ও আকসাই চিনের বিরোধপূর্ণ এলাকাগুলোতে সড়ক অবকাঠামো নির্মাণ জোরদার করার কাজ চলছে গত ৩০ দিন ধরে। আর এসব ঘটনা পরিষ্কার ইঙ্গিত দিচ্ছে যে সৈন্য প্রত্যাহার নিয় দুই দেশ আলোচনা অব্যাহত রাখলেও ৩,৪৮৮ কিলোমিটারের লাইন অব অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোলে (এলএসি) দীর্ঘ মেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে চীন, তারা ভারতের ওপর চাপ বাড়াচ্ছে।

সৈন্য প্রত্যাহার ও উত্তেজনা প্রশমন নিয়ে ভারত ও চীনের সামরিক বাহিনীর মধ্যে নবম দফা সংলাপ শিগগিরই অনুষ্ঠিত হবে।
সিনিয়র সামরিক কমান্ডারদের তথ্য অনুযায়ী, পিএলএ কারাকোরাম পাসের ৩০ কিলোমিটার পূর্ব দিকে সামার লঙ্গপা, মাউন্ট সাজুমের প্রতিটি স্থানে ১০টির বেশি ড্রাগআউট নির্মাণ করছে। কিজিল জিলগায় সৈন্য মোতায়েনও বাড়িয়েছে।

এলএসিতে এসব অবস্থানের ব্যাপারে ভারত ও চীনের নিজ নিজ অবস্থান রয়েছে। উভয় দেশই অপর দেশের দাবি মানতে নারাজ।
চীন এখন এসব এলাকায় তাদের শক্তি বাড়াচ্ছে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, চাশালের দক্ষিণে স্পণগর গ্যাপের রাস্তায় ৬০টি ভারী পরিবহন যান দেখা গেছে। লাদাখের পুরো এলাকায নজরদারি সরঞ্জাম স্থাপন করেছে চীনা বাহিনী। এলএসির ৬০ কিলোমিটার পূর্ব দিকে গোবাকেও চীনা ট্যাঙ্ক পরিবহন করতে দেখা গেছে।

সড়ক ও অবকাঠামো
ভারতীয় জাতীয় নিরাপত্তা পরিকল্পনাকারীদের তথ্যানুযায়ী চীনা সেনাবাহিনী আরো দ্রুতভাবে মোতায়েনের জন্য কৌশলগত রাস্তা নির্মাণ করে যাচ্ছে। তারা বিশেষভাবে নজর দিচ্ছে দেপসাং বালজ এলাকা ও ডিবিও সেক্টরের দিকে। কারাকোরাম পাস থেকে চিপ চ্যাপ ভ্যালি পর্যন্ত একটি রাস্তাও নির্মাণ করেছে তারা। দেপসাং বালজের চুতি চাঙ লার কাছেও রাস্তা নির্মাণকাজ চলছে। স্থানটি দুই দেশের সীমান্তের কাছাকাছি এলাকায় অবস্থিত। ২০১৩ সালে এই এলাকা দিয়েই চীনা বাহিনী ভারতীয় এলাকায় ঢুকে পড়েছিল। তাছাড়া খবর পাওয়া গেছে চীনা বাহিনী প্যাংসং সোর উত্তর তীরের ফিঙ্গার ৮-এ ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তারা ফিঙ্গার ৬ ও ফিঙ্গার ৮-এর মধ্যবর্তী রাস্তায় সম্প্রতি মহড়াও সম্পন্ন করেছে। তাছাড়া জমে যাওয়া লবণ পানির হ্রদের উত্তর তীরেও বাহিনী মোতায়েন দ্রুততর করেছ চীনারা।

পিএলও সীমান্তে পুরোপুরি মোতায়েনের কারণে চীনারা সব বিরোধপূর্ণ এলাকায় কন্টেইনার হাউজিং মডিউল স্থাপন করছে। গালওয়ান ভ্যালির গভীরে অন্তত ২৮৫টি কন্টেইনার ইউনিট পাঠানো হযেছে।
চুমারের শিকানচি টাউন পরিণত হয়েছে একটি প্রধান সেনা সরবরাহ ডিপোতে। এখানে ভারী সরঞ্জামের সরবরাহ অব্যাহত রাখার জন্য ভারী নির্মাণ সামগ্রীও রাখা হয়েছে।

সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস


 

ko cuce /div>

দৈনিক নয়াদিগন্তের মাসিক প্রকাশনা

সম্পাদক: আলমগীর মহিউদ্দিন
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সালাহউদ্দিন বাবর
বার্তা সম্পাদক: মাসুমুর রহমান খলিলী


Email: online@dailynayadiganta.com

যোগাযোগ

১ আর. কে মিশন রোড, (মানিক মিয়া ফাউন্ডেশন), ঢাকা-১২০৩।  ফোন: ৫৭১৬৫২৬১-৯

Follow Us